তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের, কি কি তা যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারেন। কারণ আপনাদের সুবিধার্থেই সঠিক তথ্যগুলো এই আর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আর্টিকেলটি না টেনে সম্পূর্ণ আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া কোনটি পড়তে হয় সে সম্পর্কেও এই আর্টিকেলে জানিয়ে দিয়েছি। তাই দেরি না করে সামনে রমজান মাস আসার আগেই এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিন। পেজ সূচীপত্র
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের
তারাবি নামাজ, এটি হলো রমজান মাসের বিশেষ একটি সুন্নত নামাজ। এই নামাজটি প্রত্যেকটা মুসলিম ব্যক্তিরা রমজান মাসে রাতে ইমামসহ মসজিদে আদায় করে থাকেন। বিশেষ এই সুন্নত নামাজ টি মূলত ইফতার ও সাহরির মাঝের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই বিশেষ নামাজটি আমাদের প্রত্যেকটা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত-পূর্ণ।
তবে, তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জন্য কিছুটা আলাদা হতে পারে। তবে তারাবি নামাজ মূলত পুরুষদের মতই আদায় করা হয়ে থাকে। আজকের এই আলোচনায় আমরা তারাবি নামাজের সঠিক নিয়ম-কানুন এবং তারাবি নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জন্য যে বিশেষ দিকগুলো রয়েছে সে সকল দিকগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব।
সর্বপ্রথম যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল তারাবি নামাজের পরিমাণ, তারাবি নামাজ সর্বমোট ২০ রাকাত। তবে এটি ফরজ নয় এটি মূলত সুন্নত। তবে অনেক মসজিদেই মুসল্লীরা ৮ রাকাত তারাবি পড়ে থাকে।
তবে ৮ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ানো সম্পূর্ণ মসজিদের ইমামের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তবে যদি কোন ইমাম ২০ রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে সেটাও সাধারণভাবে একটি প্রথা ও অধিক ফজিলত-পূর্ণ।
আর তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জন্য যেটা রয়েছে সেটা হল, মহিলারা মসজিদে তারাবি নামাজের জন্য অংশ নিতে পারেন তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তাহলে মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ পড়তে পারবে। নিয়মগুলো হলঃ-
- মহিলারা রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করলে সঠিক পর্দা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ মহিলাদের সারা শরীরের কোন অংশ যেন খোলামেলা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একজন মুসলিম মহিলাদের সঠিক যে পর্দা রয়েছে সেটি করতে হবে।
- আর যদি কোন মহিলারা মসজিদে না যে বাড়িতে পড়তে চাই তাদের ক্ষেত্রে বাড়িতেও তারাবির নামাজ আদায় করা যাবে। তবে বাড়িতে তারাবি নামাজ পড়ার জন্য পর্দা বিজি থাকতে হবে এবং যেকোন স্থানে নামাজ আদায় না করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মহিলারা তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মসজিদে বা অন্য জায়গায় সুব্যবস্থা থাকতে পারে।
- এবার আপনাকে নামাজের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। অর্থাৎ তারাবি নামাজ আদায় করার আগে সুন্দর করে ওযু করে নিতে হবে। ( তবে যদি কোন মহিলারা বিশেষভাবে মাসিক বা নফসির অবস্থায় থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে তারাবির নামাজ না পড়া উচিত নয়)
- এরপর নামাজ আদায় করতে হবে। প্রথমত তারাবি নামাজের নিয়ত অন্যান্য নামাজের মতই অন্তরে শুধু সুন্নতে মোয়াক্কাদা তারাবীর নামাযের নিয়ত করে তাকবীর বলবে।
- এরপর তাকবীরে তাহরিমা বলার পর বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখুন। (লক্ষ্য রাখুন ডান হাতের তিন আঙ্গুল বাম হাতের কব্জির উপরে থাকবে এবং বুড়া আঙ্গুল ও কিনি আঙ্গুল কব্জি ধরে রাখবে)
- এরপরে মনে মনে ছানা পড়ুন, সুবহানাকাল্লাহুম্মা, ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবারা কাসমুকা, ওয়া-তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গাইরুক। (নাসায়ি, হাদিস নম্বরঃ- ৮৮৯)
- এগুলো পড়া হয়ে গেলে, এরপর মনে মনে আউযুবিল্লাহি-মিনাশ শাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ুন। এরপরে, সূরা ফাতিহা পড়ুন এরপর শেষে আমীন বলুন। (মনে মনে পড়ুন)
- এবারে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ুন। সূরা ফাতিহা শেষ হয়ে গেলে তার সাথে একটি সূরা যেকোনো যোগ করে পড়ুন।
- এবার আল্লাহু আকবর বলে রুকুতে যান। রুকুতে আপনার মাথা যেন নিতম্বের বরাবর থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন (আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ- ৭২৯) এবং রুকুতে আপনার হাতের যেই আঙ্গুলগুলো রয়েছে সেগুলো হাটুর ওপরে চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়ে হাঁটু আঁকড়ে ধরে রাখুন। (মুজামে সাগির ২/৪৯৭)
- এরপরে রুকুতে সর্বনিম্ন ৩ বার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পড়ুন। তবে আপনি যদি আরও বেশি বার করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। (তিরমিজি, হাদিস নম্বরঃ- ২৪২)
- এরপরে আপনি রুকু থেকে উঠে সামিআল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ুন। এরপরে সরাসরি তাকবির অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যান (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বরঃ- ৭৪৭) এবং সিজদায় গিয়ে সর্বনিম্ন ৩ বার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ুন। (তিরমিজি, হাদিস নম্বরঃ- ২৪২)
- এরপরে, সিজদা থেকে ওঠার সময় সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটি হলো মাথা উঠিয়ে ডান হাত এবং বাম হাত রানের উপরে রেখে স্থির ভাবে বসে আল্লাহুম্মাগ ফিরলি-ওয়ার হামনি-ওয়াজবুরনি-ওয়াহদিনি-ওয়ারজুকনি-ওয়া আ’ফিনি ওয়ারফা’নি। এই দোয়াটি পড়তে হবে।
- এরপরে তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সিজদায় যেতে হবে। এরপর দ্বিতীয় সেজদায় ৩ বার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়তে হবে। (বেশি পড়লে বেশি সওয়াব)
- তারপর সরাসরি আল্লাহু আকবর বলে দাঁড়িয়ে যাবেন। (এই পর্যন্ত ১ম রাকাত সম্পন্ন হয়ে যাবে)
এখন দ্বিতীয় রাকাত শুরু হল, এই দ্বিতীয় রাকাতে হাত উঠানোর দরকার নেই, ছানাও পড়ার দরকার নেই, আউজু বিল্লাহও পড়ার দরকার নেই। তবে আগের মত করে সূরা ফাতিহা পড়ে শেষে আমিন বলবেন এবং সেই সঙ্গে অন্য একটি সূরা (আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেটা পারবেন) পড়ে সরাসরি আগের নিয়মে রুকু ও সেজদা করবেন।
তবে দ্বিতীয় সেজদা শেষ করে স্থির ভাবে বসে আপনাকে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। (বাধ্যতামূলক)
এগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ বলতে বলতে ডানে এবং বামে মাথা ফেরাবেন। তবে মনে রাখবেন সালাম ফেরানোর সময় চোখ এদিক-ওদিক না দিয়ে সিনা বরাবর রেখে সালাম ফেরাবেন।
মূলত এইভাবে ২ রাকাত নামাজ সম্পূর্ণ করুন এবং একইভাবে ৪ রাকাত নামাজ শেষ করে একটু বিশ্রাম করুন। এরপর আবার নামাজ শুরু করুন। এভাবেই মূলত তারাবি নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার জন্য বলা হয়।
তবে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জন্য পর্দা বজায় রাখা শৃঙ্খলা বজায় রেখে নামাজ পড়া এবং অন্যান্য যে মুসল্লী রয়েছে তাদের সাথে সম্মানের সহিত কথা বলা। আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে তারাবি নামাজের মাধ্যমেই এই রমজান মাস আল্লাহর কাছ থেকে রহমত এবং ক্ষমা লাভ করা সম্ভব।
তাই এই সময় সঠিক তারাবি নামাজ পড়ুন এবং নিজের যে গুনাহগুলো রয়েছে সেগুলো আল্লাহর কাছে তুলে ধরুন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার গুনাগুলো মাফ করবেন এবং আপনাকে হেফাজত দান করবেন। ( আমিন)
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া, আপনাদের মধ্যে যারা জানেন না তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিন। কারণ আর কিছুদিন পরেই রমজান মাস, এই মাসে তারাবি নামাজ পড়তে গেলে অবশ্যই এই দোয়াগুলো প্রয়োজন হবে।
সেক্ষেত্রে দোয়া গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। তাই আসুন আর কথা না বাড়িয়ে আপনাদের তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া-টি জানিয়ে দিই।
উচ্চারণ -- সুব্হানাযিল-মুলকি-ওয়াল-মালাকুতি, সুব্হানাযিল ইয্যাতি-ওয়াল আয্মাতি-ওয়াল হাইবাতি-ওয়াল কুদরাতি-ওয়াল কিবরিয়াই-ওয়াল যাবারুত। সুব্হানাল মালিকিল-হাইয়্যিল্লাজি লা-ইয়ানামু ওয়ালা-ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।
তারাবির নামাজের নিয়ত
প্রত্যেকটা মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়া গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে এই তারাবি নামাজ পড়তে গেলে অনেকেরই মনে একটি বাধা সৃষ্টি হয় সেটি হল তারাবির নামাজের নিয়ত কি তা নিয়ে। প্রত্যেকটা আমল করার জন্য নিয়ত করা প্রয়োজন।
ঠিক সে ক্ষেত্রেই তারাবি নামাজের জন্য নিয়ত করা প্রয়োজন। আপনারা যারা আরবি জানেন না তারা চাইলে মনে মনেও বাংলাতে নিয়ত করতে পারবেন। আজকে আমি আপনাদের আরবি এবং বাংলা উভয় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন-উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা-রাকাআতাই সালাতিত-তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা-মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল-কাবাতিশ শারিফাতি-আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ হলোঃ আমি কেবলামুখী হয়ে, ২ রাকাত-তারাবি সুন্নত-নামাজের নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার।
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করতে হবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। আপনারা বাংলাতেও আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য উপরে উল্লেখিত (বাংলা অর্থ) যেটি দেয়া হয়েছে সেভাবে বললেও আল্লাহতালা কবুল করে নিবেন। তবে জামাত হলে অবশ্যই ইমামের পিছনে পড়িতেছি আল্লাহু আকবার। এইভাবে বলবেন।
তারাবির নামাজ কত রাকাত
তারাবি নামাজ হলো রমজান মাসের একটি বিশেষ সুন্নত নামাজ যা মুসলমান ভাইয়েরা রমজান মাস ব্যাপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর এই তারাবি নামাজ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তবে অনেক ব্যক্তি একটি বিষয় নিয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সেটি হলো তারাবি নামাজ কত রাকাত, তারাবি নামাজ জোড়া জোড়া রাকাত করে জোড় সংখ্যক রাকাত করে পড়া হয়। তারাবি নামাজের রাকাত সম্পূর্ণভাবে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এটি এক এক জায়গায় এক এক ভাবে পড়া হয়।
বিশেষ করে মালিকি, হানাফী, শাফেয়ী এবং হাম্বলী ফিকহের অনুসারী-গণরা মূলত ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে থাকেন। আর অন্যদিকে সালাফীরা এবং আহলুল হাদীসরা ৮ রাকাত তারাবীহ পড়ে থাকেন। তথ্যসূত্র:bn.wikipedia.org
তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়
অনেকেই জানতে চেয়েছেন তারাবি নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়, মূলত তারাবির নামাজের দোয়া হলো ‘আল্লাহ আকবার’। এটি রাকাত শেষে পড়া হয়। তারাবির এই নামাজ রাতের নামাজের একটি হিসেবে হিজরী লুনার ক্যালেন্ডারের রমজান মাসের ৫ থেকে ৬ নামাজের মধ্যে অদ্বিতীয় করা হয় মূলত এই হাতের নামাজের মতই তারাবির নামাজ ও পড়া হয় মুকদ্দসা ভেদে।
এই তারাবির নামাজ পড়ার সময় যখন আপনি প্রতি রাকাত শেষ করবেন ঠিক তখনই আল্লাহু আকবার বলে পড়া শেষ করবেন। এটির মানে হল আল্লাহ সবচেয়ে বড় এবং সর্বশক্তিমান। এটি মূলত তারাবি নামাজের রাকাত শেষে পড়া হয় যখন বান্দারা রুকু ও সিজদার পর দ্বিতীয় সুরা পড়া হয়।
তারাবির নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়
আমাদের এই বাংলাদেশের মূলত দুই ধরনের তারাবি প্রচলিত রয়েছে একটি হলো খতম তারাবি আরেকটি হলো সূরা তারাবি। খতম তারাবি হল কোরআন শরীফ থেকে যেগুলো পড়া হয় সেগুলোই মূলত খতম তারাবি।
আর সুরা তারাবি হলো যেগুলো ছোট ছোট সূরা রয়েছে যেমন- সূরা নাস, সূরা ইখলাস, সূরা লাহাব, সূরা ফালাক, সূরা ফীল, সুরা কুরাইশ, এ ধরনের সূরা দিয়ে তারাবি পড়ানোকে মূলত সুরা তারাবি বলা হয়।
সংক্ষেপে সূরা তারাবি পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করার জন্য যে সকল সূরা গুলো ব্যবহার করা হয় মূলত সেগুলোকেই সূরা তারাবি বলা হয়। আশা করি তারাবির নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল? যেহেতু এ বিষয়টি আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না সেহেতু আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারেন। তারাবির নামাজ এটাকে মূলত সুন্নত বলতে পারেন।
কারণ অনেক আলেমরা বলেছেন যে এটি সুন্নত আবার অনেকেই বলেছেন তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই তারাবির নামাজটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই নামাজটি পড়ে তারাবির সালাতের গুরুত্ব বোঝানো হয়।
তবে মূল কথা হল তারাবির নামাজ মূলত সুন্নত এটি নফল নয়। আশা করি তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিষয়টি জানার পাশাপাশি তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ
রমজান মাস হল নিজের গুনাহ মাপের মাস। এই মাসে তারাবি নামাজ শেষ করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা কবুল করেন। তবে তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থসহ যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আল্লাহর সাথে কিভাবে কথা বলবেন।
তাই মোনাজাতের এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আপনি কথা বলে নিজের গুনাহ গুলো মাফ করে নিতে পারবেন। তাই দেরি না করে আসুন এই দোয়াটি জেনে নিন।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ইতিমধ্যে এই আলোচনার মাধ্যমে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া কোনটি পড়তে হয় সে সম্পর্কেও সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন, তারা অবশ্যই অন্যদের আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
কারণ আপনার শেয়ার করার মাধ্যমেই এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে পারবে। আর যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url