দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ - দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ এ কোনটি তা জানতে হলে এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কেননা দাউদের যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে জানতে হলে এই আর্টিকেল আপনাকে গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি জানতে পারবেন সব থেকে ভালো দাউদের মলম বাংলাদেশে কোনটি এই সম্পর্কে। তাই আসুন আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ
যদি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে, দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান, দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ, দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ, পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা, দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়, দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম, দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ইন্ডিয়ান, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ

দাউদ হলো এক ধরনের ছত্রাক জনিত রোগ যা আমাদের ত্বকের যে কোন জায়গায় হতে পারে এবং গোলাকার লালচে দাগ এবং চুলকানি সৃষ্টি করে। দাউদ সাধারণত পায়ে হাতে অথবা ত্বকের যে কোন জায়গায় দেখা দেয়। 

এই রোগটির সঠিক চিকিৎসা না করলে এটি দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো সংক্রমণ বৃদ্ধি করে। আর বিশেষ করে এটি একটি সোয়াসে রোগ তাই যত দ্রুত সম্ভব সঠিক চিকিৎসা না করলে অন্যদেরও সংক্রমণ হতে পারে। তবে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ-এ হতে পারে এন্টিফাঙ্গাল মলম।
বিশেষ করে দাউদের সমস্যা দূর করার জন্য কার্যকারী পদ্ধতি হলো এন্টিফাঙ্গাল মলম ব্যবহার করা। এখন কিছু সবচেয়ে ভালো মলম নিয়ে আলোচনা করা হলো যা দাউদ দূর করতে বেশ কার্যকারী।

ক্লোট্রিমাজল মলম (Clotrimazole ointment): এই মলমটি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম যা দাউদ এবং অন্যান্য যে ছত্রাক জনিত সংক্রমণ রয়েছে সেগুলো চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি কোষের দিল্লির কার্যকলাপ বন্ধ করে দিতে সাহায্য করে এবং সংক্রমনের স্থান থেকে ধ্বংস করে দিতে সহায়তা করে। 

যদি আপনারা এই ক্লোট্রিমাজল মলমটি প্রতিদিন সংক্রমণ স্থানে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। তবে সম্পূর্ণ উপকার পেতে মিনিমাম ২ সপ্তাহ ক্লোট্রিমাজল মলমটি সংক্রমণ স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

মাইকোনাজল মলম (Miconazole ointment): এই মলম টি ও একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম যা ছত্রাকের কোষের বৃদ্ধি চক্র কে বাধা দিতে সাহায্য করে আর এর ফলে সংক্রমণ স্থানে ছত্রাকের বিস্তার করতে বাধা সৃষ্টি করে। এতে করে দাউদের মতো ফাঙ্গালজনিত সমস্যা থেকে খুব সহজেই নিস্তার পাওয়া যায়।

যদি আপনারা মাইকোনাজল মলমটি দিনে যেকোনো সময় দুইবার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তবে সম্পূর্ণভাবে ভালো করতে চাইলে কমপক্ষে দুই থেকে চার সপ্তাহ মলমটি ব্যবহার করতে হবে।

টেরবিনাফিন মলম (Terbinafine ointment): টেরবিনাফিন মলমটিও একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ফাঙ্গাল মলম, এই মলমটি মূলত দীর্ঘমেয়াদী একটি মলম যা ছত্রাক সংক্রমণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই মলমটির কাজ হল ছত্রাকের কোষের প্রাচীরকে ভেঙে ফেলে সেই ছত্রাকের বৃদ্ধি বন্ধ করে দিতে সাহায্য করে। 
আর এর ফলে দাউদের স্থানে আস্তে আস্তে সংক্রমণ কমতে শুরু করে আর এতে করে দাউদ ভালো হয়ে যায়। তবে এটি ব্যবহারের নিয়ম হল প্রতিদিন দিনের মধ্যে একবার অথবা দুইবার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এই মলমটি অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনি স্থায়ীভাবে উপকার পাবেন। 

যদি আপনার ডাউট টি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে তাহলে এই মলমটি আপনার জন্য খুবই উপকারী। তাহলে আপনারা আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ-এ কোনটি রয়েছে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি?

দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান

শরীরের যেকোনো স্থানে চর্মরোগ হিসেবে দাদের আবির্ভাব বা লক্ষণ অনেক সময় দেখা গেলেও এই দাউদের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষ দাউদের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ সেবন করেন আবার এই দাউদ ভালো করার জন্য ঔষধ ও বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু এই দাউদের চিকিৎসা হিসেবে অনেকেই সাবান ব্যবহার করে থাকে। 
তবে দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি তা হয়তো অনেকেই জানে না। তাই যারা জানে না তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমি কয়েকটি সবচেয়ে সেরা সাবানের নাম উল্লেখ করব যেগুলো ব্যবহার করে অনেকেই দাউদ ভালো করছেন। তবে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

দাউদ ভালো করার জন্য দুটি সাবান পাওয়া যায়ঃ-
  • ১) কিটোকোনাজোল সাবান (Ketoconazole soap)
  • ২) লুলিকোনাজোল সাবান (Luliconazole soap)
এই সাবান দুটি দাউদ ভালো করার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। যদি আপনারা দাউদ ভালো করতে চান তাহলে গোসল করার ১৫ মিনিট আগে সারা শরীরে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু (ketoconazole shampoo) লাগাবেন অথবা আপনি চাইলে সাইক্লোপাইরক্স (Ciclopirox Shampoo) শ্যাম্পু লাগাবেন। যদি আপনারা কয়েক সপ্তাহ এই শ্যাম্পুটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনাদের দাউদ আস্তে আস্তে সেরে উঠবে।

এছাড়াও দাউদ ও চুলকানি ভালো করার জন্য আরও একটি সাবান রয়েছে সেটি হল গ্যাকোটাচ সাবান (Gaco Touch Soap)। এই সাবানটি শরীরের চুলকানি ছোট ছোট লালচে ভাবসহ ত্বকের যেকোনো চুলকানির সমস্যা ও দাউদ ভালো করার জন্য খুবই কার্যকরী একটি সাবান। যদি আপনারা এই সাবানটি ব্যবহার করেন, 

তাহলে আপনাদের নিঃসন্দেহে বলতে পারি দাউদের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হবে এবং আপনি দাউদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। তাই আশা করি আপনারা উপরে উল্লেখিত সাবান বা শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি গ্যাকোটাচ সাবান (Gaco Touch Soap) সাবানটিও ব্যবহার করতে পারেন।

দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ

যদি আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাউদ ভালো করতে চান তাহলে আজকের এই আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে। 

তাই আপনাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ দাউদ ভালো করার জন্য যে সকল ঘরোয়া ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করব এই সকল ঔষধ গুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। নিচে কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার দেওয়া হল আপনারা সকলেই সঠিকভাবে জেনে নিন।

অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর কিছু সুবিধা, যে কারণে অনেকেই অ্যালোভেরা জেলের প্রতি অনেকটাই আগ্রহী। অ্যালোভেরা জেল দাউদের চিকিৎসায় বিশেষভাবে কার্যকারী একটি উপাদান। 

এই অ্যালোভেরা জেল এর মধ্যে রয়েছে কার্যকর এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা আক্রান্ত স্থানে দিনের মধ্যে দুই থেকে তিনবার অ্যালোভেরা জেল লাগালে অনেকটাই উপকারপাওয়া যায়। এলোভেরা জেল অনেকটা শীতল এবং ঘৃতকুমারী বৈশিষ্ট্য হওয়ার কারণে এটি চুলকানি ও ফোলা ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যালোভেরা জেল দাউদের জন্য কতটা উপকারী।

হলুদঃ এবার চলে আসুন হলুদের উপকার নিয়ে। যদি দাউদ দূর করতে চান তাহলে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য, ঠিক সে কারণেই দাউদের মতো যে সকল লক্ষণগুলোর শরীরে বা ত্বকে দেখা দেয় সেগুলো দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করে। 

আপনারা চাইলে সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য সাময়িক প্রয়োগ বা মৌখিক উপাদান হিসেবে দাউদে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চা, চা দুধ অথবা খাবারে পরিমাণ মতো হলুদ যোগ করুন। আর এটি যদি প্রয়োগ করতে চান সেক্ষেত্রে তেলে অথবা পানিতে এক চামচ হলুদ মিশ্রণ করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। 

ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর সেটিকে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং জায়গাটি ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। আশা করি অনেক উপকার পাবেন।

আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপনার হয়তো অনেকেই জানেন আপেল ফিডার ভিনেগার একটি দুর্দান্ত এন্টিফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি দাউদ নিরাময়ের জন্য অনেক বেশি ব্যবহৃত। যদি আপনাদের দাউদ হয়ে থাকে তাহলে একটি তুলো প্যাডকে-অপরিশোধিত-আপেল সিডার ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন। 

এরপর যেখানে আপনার দাউদ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানটি মুছে ফেলুন। এইভাবে প্রতিদিন তিনবার লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর মুছে ফেলুন। আশা করি আপনার দাউদের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ওরেগানো তেলঃ ওরেগানো তেলের মধ্যে রয়েছে বন্য পড়ে গেল যা থাইমল এবং কারভাক্রোল নামক দুটি যৌগের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। এই তেলটি ব্যবহার করা ফলে দাউদের সমস্যা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব। যাদের দাওদের সমস্যা রয়েছে তারা পড়ে ওরেগানো তেলটি ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে মিশ্রণ করে আক্রান্ত স্থানে লাগে রাখুন। ভালোভাবে উপকার পেতে প্রতিদিন তিনবার এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন।

নারকেল তেলঃ আপনারাই তো সকলেই জানেন নারকেল তেল চুলের জন্য কতটা উপকারী। কিন্তু কয়জন জানেন নারকেল তেল ব্যবহারের ফলে দাদ ঘা অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। হয়তো অনেকেই জানেন না। 

নারকেল তেলের মধ্যে কিছু ফ্যাটি এসিড থাকে যা ছত্রাকের কোষগুলো ঝিল্লির ক্ষতি করে ফলে তাৎক্ষণিক তাদের মৃত্যু হতে পারে। যদি কারো দাউদ হয়ে থাকে তাহলে নারকেল তেল লাগিয়ে চিকিৎসা করুন। এতে করে যে সকল ছত্রাক সংক্রমণ রয়েছে সেগুলো প্রতিরোধ হবে আর সহজেই দাউদ ঘা দূর হবে।

চা গাছের তেলঃ অনেক অস্ট্রেলিয়ান স্থানীয় মানুষেরা চা গাছের তেল ব্যবহার করে বিভিন্ন ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে। তাই যদি আপনি তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে চান তাহলে ১২ ফোটা ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল এবং আউন্স কোল্ড-প্রেসড ক্যারিয়ার অয়েল একসঙ্গে মিশ্রণ করে ২% ডিলিউশন তৈরি করুন। 

এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে আপনার ত্বকের যে জায়গায় দাদ হয়েছে সেই আক্রান্ত স্থানে দিনে তিনবার লাগিয়ে রাখুন। আশা করি আপনার দাদ অর্থাৎ দাউদ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ-এ কি কি রয়েছে এ বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে চিনি, মিষ্টি, চকলেট, বাজে খাবার এগুলো না হলে খাওয়া একেবারেই নিষেধ। এগুলো খাওয়ার ফলে আরও সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

এছাড়াও অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং চিপস, বিস্কুট, মিষ্টি, চকলেট, সোডা, সাদা চিনি ইত্যাদি খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবারগুলো খেলে খুব সহজেই শরীরের রক্তের শর্করা স্তর বৃদ্ধি পায় এবং স্ক্রিন সমস্যার মধ্যে দাঁত এবং অন্যান্য যে ত্বকের সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো আরো বেশি উৎপন্ন হয়।

যেহেতু এই দাদ বিভিন্ন এলার্জি ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে সেহেতু এ ধরনের খাবার কখনোই খাওয়া উচিত নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়

দাদ হলো একটি ছত্রাক জনিত রোগ। যে সকল ব্যাক্তিদের দাদ হয়ে থাকে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে কতটা যন্ত্রণা দায়ক। প্রচন্ড চুলকানি হওয়ার পাশাপাশি লালচে দাগ এবং খুবই অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে দাদ। যদি আপনারা সময় মতো এর সঠিক চিকিৎসা না নেন তাহলে সারা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাদ সৃষ্টি হতে পারে। 

দাদের মধ্যে কোনরকম শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করা যাবে না। তবে হ্যাঁ ছত্রাক বিরোধী যে সকল সাবান ও শ্যাম্পু রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন যা উপরেই আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কাপড়গুলো পরিধান করা হয় সেগুলো অবশ্যই যেন ঢিলা ঢালা এবং আরামদায়ক সুতির কাপড় হয় তাহলে সারা শরীরে দাদ কম হবে। 

তবে হ্যাঁ যদি আপনার অনেক বড় জায়গা জুড়ে দাদ বড় হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিবেন। অনেক সময় এগুলোতে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে যায় তাই ডাক্তারেরা দেখে-শুনে এন্টিবায়োটিক দিতে পারে। তাই আপনার শরীরে যদি কোনরকম দাঁত দেখতে পান তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের স্বরপণ্য হন।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম

অনেকেই জানতে চেয়েছেন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম কি? বন্ধুরা যেহেতু আপনারা জানতে চেয়েছেন সে তো অবশ্যই আপনাদের সুবিধার জন্য হলেও সঠিক মলমটির নাম জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন। তাই আজকে আমি কয়েকটি দাউদ ভালো হওয়ার সেরা মলমের নাম বলবো যেগুলো মধ্যে আপনারা যে কোন একটি মলম ব্যবহার করে উপকার পাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম কি তা জেনে নিন।
  • ফাঙ্গিট্যাক ক্রিম (Fungitac cream)
  • লিউলিজল ক্রিম (Lulizol Cream)
  • ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম (Clotrimazole cream)
  • ফাঙ্গিডাল ক্রিম (Fungidal cream)
  • ইবারকোনাজল ক্রিম (eberconazole cream)
  • ও২ ডার্ম‌ ক্রিম (O2 Derm Cream)
  • ক্ল্যারেক্স প্লাস ক্রিম (Clarex Plus Cream)
  • নিও ক্যাস্ট‌র-এন এফ ক্রিম (Neo Castor-Nf Cream)
  • ওর্নো‌ডার্ম‌ ক্রিম (Ornoderm Cream)
  • টোকোডার্ম‌ প্লাস ক্রিম (Tocoderm Plus Cream)
  • প্যানডার্ম‌ প্লাস ক্রিম (Panderm Cream)

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ইন্ডিয়ান

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ইন্ডিয়ান কোনটি তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে দাউদের জন্য বাংলাদেশের যে মলমগুলো রয়েছে সেগুলোও অনেক বেশি কার্যকারী তবে যেহেতু আপনারা ইন্ডিয়ান মলম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সেহেতু অবশ্যই আপনাদের দাউদ রোগের ভারতীয় মলমের নাম কি তা জানিয়ে দেবো।

বন্ধুরা দাউদ বা একজনের জন্য যে মলমটি ভারতীয় খুবই জনপ্রিয় সেটি হল টপিকাজোল প্লাস (Topicazole plus), এই মলমটি দাউদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি মলম। এটি মূলত ইন্ডিয়ান একটি মলম যা ব্যবহার করলে দ্রুত দাউদ সেরে ওঠবে।

শেষ কথাঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম বাংলাদেশ-এ কোনটি এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানালাম। আশা করি আপনারা সকলেই এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি অনেক ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জন সবার কাছে আর্টিকেলটি শেয়ার করে জানিয়ে দিন এবং প্রতিনিয়ত এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন একবার হলেও https://www.emamdigitalbd.com/ ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪