আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিন
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়? এ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? যদি
আপনার এ বিষয়টি না জানা থাকে তাহলে চিন্তা কোন কারণ নেই। আজকের এই আর্টিকেলে এই
বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপাং গাছের শিকড় কতটা কার্যকরী সম্পূর্ণ
আর্টিকেল না করলে কখনোই বুঝতে পারবেন না। তাই আসুন আর দেরি না করে আর্টিকেলটি
মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
আপাং গাছের শিকড়ের যে উপকারিতা রয়েছে পাশাপাশি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে যদি আপনারা
আপান গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল ধৈর্য
সহকারে পড়ুন। আশা করি সঠিকভাবে সঠিক নিয়ম জেনে যাবেন।
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়, এই বিষয়টি জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ
করেছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আলোচনায় এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করব। বন্ধুরা আপাং গাছের শিকড় সাধারণত গোপন মহা ঔষধ যা কোমরে বাধলে
স্ত্রী সহবাস ক্ষমতা ও সময় বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
শুধু তাই নয় এটি এমন একটি ভেষজ ওষুধ যা সেবন না করে ব্যবহার করার মাধ্যমে এই
ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে এই আপাং গাছের শিকড় দ্রুত
স্কোলনরোধ এবং শুক্র তারল্যর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
বর্তমান সময়ে অনেক কবিরাজরা এই ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিয়ে থাকেন যা যৌন
ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
তবে যদি আপনারা শুক্র তারল্যতার সমস্যা দূর করতে চান তাহলে কোন কবিরাজি অথবা কোন
চিকিৎসা না করে নিঃসন্দেহে আপাং গাছের শিকড় কোমরে বেধে রাখতে পারেন। আশা করি
সহবাসের যাবতীয় সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাহলে আশা করি বুঝতেই পেরেছেন
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়।
আপাং গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
আপাং গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম, সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এই গাছটি এমন একটি মহা
ঔষধ যা সহবাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রায় কয়েকশো বছর আগে থেকেই
বহুবিট মহা ঔষধি এই আপান গাছের শিকড়ের গুণাগুণ থাকার কারণে এটি অত্যন্ত
ব্যবহারকারী হয়ে উঠেছে।
তবে যদি আপনারা আপাং গাছের শিকড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা সঠিক পদ্ধতি না জানেন
তাহলে এর কোনরকম উপকারিতা পাওয়া যাবে না। তাই আপনাদের সঠিক পদ্ধতি জানা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে আপনারা যথাযথ ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ উপকারিতা লাভ করবেন।
তাহলে চলুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
রস তৈরি করে: আপাং গাছের শিকড় আপনারা চাইলে রস তৈরি করে খেতে পারেন। কারণ রস
তৈরি করে খেলে ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। ঠিক সে কারণেই আপাং
গাছের শিকড় রস করে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চা হিসেবে পান করা: আপাং গাছের পাতা দিয়ে আপনারা চা তৈরি করে পান করতে পারেন।
কারণ এই পদ্ধতিতে পান করলে আপনাদের হজমের সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য
করবে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি শরীরকে ডিটক্সিফাই (Detoxify) করতেও সহায়তা করবে।
তেল হিসেবে ব্যবহার: যদি আপনারা কেউ আপাং গাছ থেকে তৈরি তেল চুলে এবং ত্বকে
ব্যবহার করেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক
ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে যার ফলে চুল ও ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সাহায্য করে।
ত্বকের প্রদাহ ও ফোলাভাব দূর করতে: যদি আপনারা ত্বকের প্রদাহ ও ফোলা ভাব দূর করতে
চান তাহলে আপাং গাছের শিকড় কিংবা পাতা সুন্দর করে গুড়ো করে ব্যবহার করলে ত্বকের
প্রদাহ ও ফোলা ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যে কোন ক্ষত দূর করতেও বেশ সাহায্য
করে। তাহলে আশা করি আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়, এই বিষয়টি জানার
পাশাপাশি আপাং গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম টাও সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
আপাং গাছের শিকড় খেলে কি হয়
আপাং গাছের শিকড় খেলে কি হয়, এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন
না। আপাং গাছ একটি এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ। যা কয়েকটি নামে বেশ পরিচিত। এই গাছটির
সাধারণত দুইটি রং হয়ে থাকে একটি হল সাদা আরেকটি হলো লাল। তবে এই গাছের ফুল,
পাতা, শিকড়ের যে উপকারিতা রয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
রাস্তার সাইডে বা বিভিন্ন বন জঙ্গলে অনেক জায়গায় এই গাছটি হয়ে থাকে। কিন্তু এই
গাছটির কি কি উপকারিতা যদি আপনারা জানেন তাহলে হয়তো চমকে যাবেন। তাই আসুন আর
দেরি না করে জেনে নিন।
- যাদের অকাল প্রসবের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে এই গাছের ফুল অর্থাৎ এমন চারা গাছ গোড়া থেকে মূলসহ তুলে যদি কোন গর্ভবতী মায়ের কোমরে বেধে দেওয়া হয় তাহলে আল্লাহর রহমতে অকাল প্রস্রবের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও আপাং গাছের শুকনা ডাটা আগুনে পুড়িয়ে খার তৈরি করে আট গ্রাম ক্ষার এবং জলপাই তিল তেল দিয়ে একসাথে মিশ্রণ করে তাদের ওপরে হালকা করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিলেই ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার পাওয়া যায়। যদি চার থেকে পাঁচ দিন এইভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই দাদ রোগ দূর হয়ে যাবে।
- যাদের অল্প বয়সে চুল পাকা সমস্যা রয়েছে তারা আপাং গাছের শিকড় পরিমাণ মতো নিয়ে ভালোভাবে বেটে দুপুরে গোসল করার আগ মুহূর্তে অর্থাৎ দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে সম্পূর্ণ মাথায় ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। যদি কিছুদিন এই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই চুলের রং আস্তে আস্তে আগের তুলনায় অনেকটাই কালো হয়ে যাবে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
- আপাং গাছের বীজ ৩ গ্রাম নিয়ে আতপ চালের ধোয়া পানি দিয়েভালোভাবে আপাং গাছের বীজ বেটে সকালে একবার করে প্রতিদিন নিয়ম অনুসারে তিন থেকে চার দিন সেবন করলে অর্শের যন্ত্রণা এবং রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
- আপাং গাছের টাটকা পাতা ৮ থেকে ১০ টি এবং আতপ চাল চার গ্রাম নিয়ে উভয়কে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে বেটে ফোঁড়ার চারপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে দিলে ভেতর থেকে যে দূষিত রক্ত ও পূঁজ রয়েছে সেটি খুব সহজেই বের হয়ে যাবে। তবে এই ভাবে দুই থেকে তিনবার দিলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
- যে সকল ব্যক্তিরা কাশি এবং হাঁপানি সমস্যায় ভুগেন তারা চাইলে আপাং গাছের ছাই এবং মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে সেবন করলে কাশি ও হাঁপানির সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- যাদের দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে আপাং গাছের সমবার দিনে তুলে পরের দিন মঙ্গলবারে কোমরে বেঁধে রাখলে চাঁচতে দ্রুত বীর্যপাত হওয়া বন্ধ হয় এবং বীর্য গাঢ় ও বীর্য ধরে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- যদি কারো চোখের সমস্যা হয় অর্থাৎ চোখে দেখতে অসুবিধা হয় তাহলে আপাং গাছের শিকড়ের মণ্ড ব্যবহার করলে এই চোখের সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
- যদি কোন কারণে প্রচুর আঘাতে রক্ত বের হয় এবং সেটি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে আপাং গাছের শিকড়ের নির্যাস সে রক্তপাত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন তাহলে আশা করি রক্ত সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে।
- অনেকেরই নিদ্রার সমস্যা হয় তবে আপাং গাছের ক্বাথ সেবন করার ফলে নিদ্রাহীনতা খুব সহজেই দূর হয়, পাশাপাশি যাদের উন্মাদ রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আপাং গাছের শিকড় ২৩ গ্রাম এবং শ্বেত বেরেলার শিকড়ের ছাল ৮২ গ্রাম একত্রে করে ভালোভাবে চূর্ণ করতে হবে এরপর ডেলিটার পানি এবং আড়াই পোয়া গরুর দুধ ভালো ভাবে জাল দিয়ে মিশ্রণ করে ৫৮ গ্রাম ক্বাথ প্রস্তুত করতে হবে। এরপর সেটি প্রতিদিন সকালে উন্মাদ রোগীকে সেবন করতে হবে। এতে করে উন্মাদ রোগ দ্রুত ভালো হবে।
- যাদের কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে যাদের বুক ধড়ফড়ানি শুরু হয় তারা প্রত্যেক সকালে ঠান্ডা পানি এবং এক চামচ আপাং গাছের পাতার তাজা রস কিছুদিন নিয়মিত খেলে এ ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- আপাং গাছের শুকনো গুড়া দাঁতের ব্যথা হলে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয় শ্বাসকষ্ট ও গনোরিয়া রোগ ভালো করতে আপান গাছের পাতা অনেক বেশি সাহায্য করে। আশেপাশে কান ও চোখের সমস্যা দূর করতেও আপাং গাছের পাতা রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাই আপনারা চাইলে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে চাইলে আপাং গাছ ব্যবহার করতে পারেন।
- যাদের খোসপাচড়া ও চুলকানি সমস্যা রয়েছে তারা পাঁচ গ্রাম আপাং গাছ এবং দুই কাপ পানি হালকা কুসুম করে এক কাপ করে নিবেন। এরপর ভালোভাবে থেকে পানিটুকু প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পান করবেন। যদি আপনারা ১০ থেকে ১৫ দিন এই নিয়মটি ফলো করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় চুলকানির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
- একদিন পরপর যদি শরীরে জ্বর উঠে তাহলে এটি খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। তাই এই জ্বর দূর করতে চাইলে আপাং গাছের মূল ভালো হবে পিষে থেকে রস বের করে প্রতিদিন দুইবার করে খেলে জ্বর দূর হয়ে যাবে।
- যদি আপনাদের কারো হাত পা কেটে যায় তাহলে আপাং গাছের টাটকা পাতার রস সেই কাঁটা স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেকটা ব্যথা উপশম পাবে।
আপাং গাছের উপকারিতা কি
আশা করি আপনারা সকলেই পূর্বে আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয় তা সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন। এখন আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে আপাং গাছের উপকারিতা কি, এই
সম্পর্কে। আপাং গাছের উপকারিতা অনেক রয়েছে শুধু তাই নয় পাশাপাশি এর মহা ঔষধি
গুণাগুণ থাকার কারণে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের কাছে অতি পরিচিত আপাং গাছ।
বিশেষ করে এটি আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় বলে এই আপাং গাছের
মূল্য অনেকটাই মানুষের কাছে বেশি। আপাং গাছের পাতা এবং শিকড় থেকে তৈরি যে ওষুধ
মানুষের শরীরের রোগ দূর করে ঠিক তেমনি এটি খেলে মানুষের আরো বিভিন্ন সমস্যাও দূর
হয়। তবে আজকে আমি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং কার্যকারি কয়েকটি উপকারিতা আলোচনা
করব।
ত্বক ও ক্ষত নিরাময়ে: যদি আপনারা আপাং গাছের রস ত্বকের যেমন ব্রণ ক্ষত একজিমা
রেশ ইত্যাদি নিরাময়ে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। কারণ এই আপান
গাছের রসে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এবং ছত্রাকনাশক গুণাবলী রয়েছে যার কারণে ত্বকের
জন্য অনেক বেশি উপকারী।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলী: আপাং গাছের পাতা ও মূল অর্থাৎ শিকড়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন সম্পন্ন যার কারণে এটি শরীরের যেকোনো ক্ষতিকর পদার্থ দূর
করতে সাহায্য করে ফলে শরীরকে অনেক বেশি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
প্রদাহ প্রতিরোধে: যে সকল ব্যক্তিদের প্রধা ও সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ গলা ব্যথা
ত্বকের ফোলা ভাব ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে তারা আপাং গাছের শিকড় ও পাতা একসঙ্গে
মিশ্রণ করে সেবন করলে প্রদাহ প্রতিরোধে অনেক বেশি সাহায্য করে।
অ্যাজমা ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায়: যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তারা আপাং
গাছের শিকড় ভালোভাবে ওষুধ তৈরি করে ব্যবহার করলে শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা এবং
অ্যাজমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। (এই পদ্ধতি যারা অবলম্বন করেছেন তাদের কাছ থেকেই
প্রমাণিত হয়েছে)
শ্বাসকষ্ট দূর করতে: বর্তমান সময়ে অনেক ছেলে মেয়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।
তবে এ সমস্যার জন্য অনেকেই চিকিৎসা করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। তবে যদি
আপনারা আপাং গাছের শিকড় ও পাতা ব্যবহার করেন তাহলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে
রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও হাঁপানি সর্দি কাশি সহজ যাবতীয় সমস্যা দূর করতে এই
আপান গাছের প্রাকৃতিক ঔষধ অত্যন্ত কার্যকারী।
মূত্র-সংক্রমণ: মুত্র সংক্রমণ করার জন্য দুই থেকে তিন চামচ আপাং গাছের টাটকা
পাতার রস এবং এক গ্লাস ডাবের পানি একসঙ্গে মিশ্রণ করে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার
পান করলে মূত্র সংক্রমণ করা সম্ভব। তবে যদি আপনারা সাত থেকে দশ দিন নিয়মিত এভাবে
পান করেন তারা আশা করি অনেকটাই উপকার পাবেন।
ক্ষুদা সমস্যা দূর করতে: যে সকল ব্যক্তিদের খিদে পায় না জোর করে খাওয়াতে হয়
আবার খেলে হজম হয় না সে ক্ষেত্রে তারা চাইলে আট ভাগ আপাং গাছের শেখর এবং এক ভাগ
গোলমরিচ একসঙ্গে বেটে নিয়ে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে নিবেন। এরপর সেই বইগুলো
ভালোভাবে ছায়াতে শুকিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে খাবারের পর পানি দিয়ে একটি
করে বড়ি খাবেন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ক্ষুদা সমস্যা দূর হবে।
লাল আপাং গাছ চেনার উপায়
লাল আপাং গাছ কিনতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যা আমরা এই আলোচ্য
বিষয়টুকুর মধ্যে আলোচনা করব। বিশেষ প্রজাতির এই লাল আপান গাছ যার কিছু নির্দিষ্ট
বৈশিষ্ট্য রয়েছে। লাল আপাং গাছের পাতা সাধারণত সবুজাভ লাল রঙের হয়ে থাকে এবং এর
যে মূল রয়েছে অর্থাৎ শিকড় ও বাকল রয়েছে সেগুলো কিছুটা লালাভ হয়ে থাকে।
এছাড়াও লাল আপা গাছ চেনার উপায় হল এই গাছের ফুল গুলো অনেকটা উজ্জ্বল লাল অথবা
গোলাপি রঙের হয়ে থাকে তাই এটি সহজেই চেনা যায়। এই গাছটি চেনার উপায় গুলোর
মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে পাতা ফুলের রং এবং আকার। লাল আপান গাছের উচ্চতা প্রায়
৬ থেকে ১০ ফুট হয়ে থাকে এবং এই গাছটি মূলত পাহাড়ে এলাকায় বেশি জন্মে
থাকে।
লাল আপান গাছের আরো একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটি হল এর যে শিকল রয়েছে সেখান থেকে
নির্গত রস পাওয়া যায় যা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদিক এবং
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই লাল আপাং গাছের নির্গত রস ত্বকের
হত সারাতে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
সাদা আপাং গাছের উপকারিতা
সাদা আপাং গাছের উপকারিতা বিশেষত্ব মহা ঔষধি এবং গুণাগুণের জন্য অতি পরিচিত। সাদা
আপাং গাছের পাতা ও মূল অর্থাৎ শিকড়ের তৈরি ওষুধ পেটের ব্যথা দূর করতে এবং হজমের
সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় সাদা আপান গাছের শিকড়
ত্বকের সমস্যা জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও এই সাদা আপাং গাছের পাতা ও ফুল দিয়ে তৈরি রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করে। এই গাছটি মানুষের কাছে এতটাই কার্যকারী যে এর যাবতীয় অংশ ঔষধ
হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাদা আপাং গাছের শিকড়, পাতা ও ফুল সবকিছুই ঔষধ হিসেবে
প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
সাদা আপান গাছের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটি হলো এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী। তাই এই গাছটির রস স্থানীয়ভাবে ক্ষত ও প্রদাহ
নিরাময়ে বেশ কার্যকারী। এছাড়াও সাদা আপান গাছের শিকড় ত্বকের আদ্রতা বজায়
রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে পাশাপাশি ত্বক অনেক মসৃণ করে তোলে।
সাদা আপাং গাছের শিকড় থেকে তৈরি ঔষধ আমাদের বদহজমের সমস্যা দূর করে এবং অন্ত্রের
সমস্যা দূর করে। যদি আপনারা এই গাছটি বাজারে কিনতে যান তাহলে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে
প্রায় ২০০ টাকায় পাওয়া যাবে। যদি কেউ এই গাছটি সঠিকভাবে চাষ করতে পারে তাহলে
এর মহা ঔষধি গুনাগুন বজায় থাকবে।
সাদা আপাং গাছের ছবি
আপনারা যারা সাদা আপাং গাছ চিনেন না তাদের ক্ষেত্রে আজকে আমি আপনাদের সুবিধার্থে
সাদা আপাং গাছের কিছু ছবি এখানে নিম্নে দিয়ে রেখেছি। আশা করি আপনারা দেখে
সঠিকভাবে সাদা আপাং গাছ কোনগুলো তা সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
ইতিমধ্যে আপনারা যারা সম্পূর্ণ আলোচনা করেছেন তারা আশা করি আপাং গাছের শিকড়
কোমরে বাধলে কি হয় এবং আপাং গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম কি তা সঠিকভাবে জানতে
পেরেছেন। যেহেতু আপনারা এ বিষয়গুলো জেনে আশাকরি উপকৃত হয়েছেন সেহেতু অবশ্যই
অন্যদের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
কারন আপনার মত তারাও এ বিষয়টি পড়ে অনেক উপকৃত হবে। যদি আপনাদের কারো এই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে কোন মতামত বা প্রশ্ন জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
বক্সে জানিয়ে দিবেন। আশা করি আপনাদের রিপ্লের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url