জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়

জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা যারা জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। কারণ জাফরান সাবান আসল নকল না চিনলে আপনি কখনোই আসল সাবান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনার ত্বকে নকল সাবান ব্যবহার করলে ক্ষতি হবে। ঠিক সেই কারণেই আপনাকে আসল-নকল সাবান চিনে রাখা জরুরী। তাই আসুন এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিন।
জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়
আপনাদের মধ্যে যারা জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারাও এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনারা সকলেই জাফরান সাবানের সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে যাবে।

জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়

জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনারা সকলেই আজকের এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কেননা যদি আপনি বাজারে জাফরান সাবান কিনতে যান তাহলে আসল না নকল তার সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে আসল সাবান কিনে নিয়ে আসতে পারবেন।

তাছাড়াও যদি আপনারা আসল নকল না চিনে থাকেন তাহলে আসল সাবানের জায়গায় যদি ভুল করে নকল সাবান নিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই জাফরান সাবান আসল না নকল তার সঠিকভাবে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই না টেনে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জাফরান সাবান আসল নকল সঠিকভাবে জেনে নিন।

জাফরান সাবান খুবই স্বাভাবিকভাবেই নকল হয়ে থাকে। তার কারণ হলো এটি অনেক বেশি টাকা দাম সেজন্য। বিশেষ করে জাফরান সাবানের মূল্য কয়েক লাখ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর সে কারণেই অনেক ভুয়া ব্যবসায়ীরা লাভের পাল্লায় পড়ে এই জাফরান সাবানটি ভারী করতে আসল জাফরান সাবানের সাথে নকল মিশিয়ে জাফরান নামের অন্যান্য কিছু গুছিয়ে দেয়। 
কিন্তু যদি আপনি আসল সাবানের সঠিক বৈশিষ্ট্য জানতে পারেন তাহলে আপনাকে কোন দোকানদার বা ব্যবসায়ীরা ঠকাতে পারবে না। তাই আসুন জাফরান সাবানের সঠিক বৈশিষ্ট্য গুলো বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা সকলেই সবার প্রথমে জাফরান সাবানের রং এবং বন্ধ পরীক্ষা করে নিবেন। সেক্ষেত্রে আসল জাফরান সাবানে প্রাকৃতিক জাফরানের গন্ধ রয়েছে তাই আপনারা সহজেই জাফরান সাবান গন্ধ নিয়ে বুঝতে পারবেন। এই গন্ধটি একদম মৃদু। 

আর যে সকল জাফরান সাবান গুলো নকল সেগুলো সাবানের কৃত্রিম উপায়ে জাফরানের গন্ধ নিয়ে আসা হয় আর এই গন্ধগুলো অনেক তীব্র হয়ে থাকে বিশেষ করে জাফরান সাবানের রং, আসল জাফরান সাবানের রং এর থেকে অনেকটাই গাঢ় হয়ে থাকে। 

এছাড়াও আপনারা চাইলে জাফরান সাবান কিনার আগে সবার প্রথমে প্যাকেট দেখে নিবেন। সেখানে আসল না নকল তা সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে আসল জাফরান সাবানে প্যাকেটে উল্লেখ থাকে জাফরান সাবানটি আসল। 

আর অন্যদিকে যে প্যাকেটের গায়ে জাফরান সাবান আসল উল্লেখ না থাকবে সেটি মূলত নকল। তবে কিছু কিছু সময় আসল জাফরান সাবানের ফ্লেভার লেখা দেখিয়ে নকল সাবানটি বিক্রয় করে। কিন্তু এটি আসলেই একটি নকল জাফরান সাবান।

যদি আপনারা এই উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে না বুঝতে পারেন তাহলে সর্বশেষ পানিতে মিশিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে জাফরান সাবান আসল না নকল তা বোঝার ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার পাত্রে অল্প পরিমাণে পানি এবং এক টুকরো জাফরান সাবান নিয়ে মিশ্রণ করুন। 

ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে খেয়াল করবেন জাফরান আস্তে আস্তে পানিতে মিশতে শুরু করেছে কিনা এবং হলুদ রং বের হওয়ার সাথে সাথেই পানি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না? যদি পানিতে মিশে যায় এবং হলুদ রং বের হওয়ার সাথে সাথে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে এটি অবশ্যই আসল জাফরান সাবান। আর যদি হলুদ রং না ছাড়ে এবং পানি তাপমাত্রা বৃদ্ধি না হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে এটি নকল সাবান। 

তাই প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কেনার আগে অবশ্যই জাফরান সাবান পরীক্ষা করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করে আপনারা সকলেই জাফরান সাবান আসল নকল সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে পারবেন। আশা করি জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে একদম সঠিক তথ্য পেয়ে গেছেন।

জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম

পূর্বে আশা করি আপনারা সকলেই জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে আসল নকল চেনার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে যা হয়তো অনেকেই জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে জাফরান সাবান ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে একদম বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
  • জাফরান সাবান ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে আপনার ত্বকের কোন সাবানটি উপযুক্ত সেই সাবানটি বেছে নিতে হবে। যদি জাফরান সাবান উপযুক্ত হয় তাহলে অবশ্যই আসল জাফলং সমান বেছে নিবেন।
  • জাফরান সাবান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য যেটা একদম উপযুক্ত সেটাই বেছে নিবেন। যদি পারেন তাহলে শুষ্ক ত্বক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ভিত্তি করে সাবান বাছাই করে নিবেন।
  • এরপর ত্বকে আসল জাফরান সাবান ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন যাতে করে তবে কোনরকম ময়লা না থাকে।
  • তারপর আসল জাফরান সাবানটি তবে ব্যবহার করবেন। ত্বকে সাবান ব্যবহার করার পর ভালোভাবে ঘষে সাবানের ফেনা তৈরি করে নিন অথবা মুখে ঘোষে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফেনা তৈরি করুন।
  • জাফরান সাবানটি ত্বকে ব্যবহার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবে যেন নাকের ছিদ্রের ভিতরে অথবা মুখের ভেতরে বা চোখে না যায় এতে করে সমস্যা হতে পারে। তাই ভালোভাবে সাবান মুখে ব্যবহার করা উচিত।
  • ত্বকে জাফরান সাবান ভালোভাবে ব্যবহার করার পর আস্তে আস্তে ত্বক ডলতে থাকুন। এতে করে আপনার ত্বকের যাবতীয় ময়লা দূর হয়ে যাবে। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
  • তারপর একটি নরম রুমাল কিংবা তোয়ালে ব্যবহার করে ত্বক ভালোভাবে মুছে নিন এভাবে নিয়মিত জাফরান সাবান ব্যবহার করুন। আশা করি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হওয়া শুরু করবে।

জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম

যেহেতু আপনারা পূর্বে জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় এবং জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন সেহেতু এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত। তাই আপনি এখন বাড়িতে বসেই একটি জাফরান সাবান খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন। 

তবে এই জাফরান সাবানটি বানাতে চাইলে বেশ কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। তাহলেই আপনি খুব সহজে একটি জাফরান সাবান বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জাফরান সাবান বানানোর জন্য কি কি নিয়ম ফলো করতে হবে জেনে নিন।
  • সবার প্রথমে জাফরান সাবানটি বানাতে চাইলে শুধু জাফরান প্রয়োজন পড়বে। যেটা আপনি যেকোনো বাজারে খোঁজ করলে পাবেন কিংবা কোন পেজ থেকে অর্ডার করেও নিতে পারবেন।
  • এরপর আপনাকে পরিমাণ মতো জাফরান এবং দুধ একসঙ্গে মিশ্রণ করে দুই থেকে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার কারণ হলো যদি আপনারা বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখেন তাহলে জাফরানটা অনেক নরম হয় এবং এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • এরপর সোপ বেজ লাগবে। এটি সাধারণত আপনারা অনলাইনেই পেয়ে যাবেন। এই সোপ বেজের প্যাকেটের উপরে গট মিল্ক লেখা থাকবে এবং এটি অনেকটা নরম ও মোলায়েম হয়ে থাকে। সাবান তৈরি করার জন্য এই সোপ বেজে অনেক বেশি ভালো। এগুলো ভালোভাবে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
  • তারপর সুন্দর করে একটি পরিষ্কার পাত্রে সোপ বেজ রেখে চুলাতে জ্বাল দিয়ে গলিয়ে নিতে হবে। তারপর সেখানে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিতে হবে। এই ক্যাপসুলটি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
  • এই সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে ভালোভাবে মিশ্রণ করে তিন থেকে পাঁচ মিনিট চুলাতে রেখে দিতে হবে। তারপর ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
  • এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে কিংবা আপনি কিভাবে সাবানটি তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই শেইপ তৈরি করে সেখানে ঢেলে দিতে হবে। তারপর উপরে আরো কিছু জাফরানের টুকরো ছিটিয়ে দিবেন যাতে করে সাবানটি দেখতে আরো অনেক সুন্দর লাগে। ঢেলে রেখে দিবেন মিনিমাম ১ ঘন্টা তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলেই আপনার সম্পূর্ণ একটি সাবানে রূপ নিবে।
  • ১ ঘন্টা পর যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন সেই পাত্র থেকে বের করে নিবেন এরপর সেই সাবানটি আপনারা নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই এখন থেকে বাড়িতে বসেই জাফরান সাবান বানিয়ে নিতে পারবেন।

জাফরান সাবান এর উপকারিতা

জাফরান সাবান এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। জাফরান সাবান যতটা উপকারী তা হয়তো জানলে আপনারা সবাই চমকে যাবেন। জাফরান সাবান আমাদের শরীরের এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এই সাবানটি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায় যেমন ব্রণ, কালো দাগ ইত্যাদি।
জাফরান সাবান এর উপকারিতা
জাফরান সাবান তৈরি করা হয় বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে। যেমন প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, চর্বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, এন্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরও বিভিন্ন উপাদান। এতকিছু উপাদান থাকার কারণে এই সাবানটি প্রায় অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ জানেন না এর কি কি উপকারিতা রয়েছে। 

তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলে জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি জাফরান সাবান এর উপকারিতা সম্পর্কেও জানিয়ে দেব। তাই আসুন আর দেরি না করে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা সঠিকভাবে জেনে নিন।

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে -- বিভিন্ন কারণে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ত্বকে কালো দাগ দেখা দেয়। কারো কর্মব্যস্ততা বা রোদের কারণে, আবার কারো কারো বিভিন্ন সমস্যার কারণে কালো দাগ দেখা দেয়। শুধু তাই নয় ত্বক কালো হওয়ার পাশাপাশি তোকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত আমরা সকলেই জানি ত্বকে কালো দাগ হওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত ত্বকের রোদ লাগা। 

তবে যদি আপনারা এই কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন জাফরান সাবান। এতে কিছু বিশেষ উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি ব্রণ মেছতা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। 

ত্বক মসৃণ রাখতে -- বয়স বৃদ্ধি না হতেই অনেকেরই ত্বক কুঁচকে যায় কিংবা বয়সের ছাপ দেখা যায়। আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। আর এর কারণেই ত্বক অনেকটা রুক্ষ, শুষ্ক এবং ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি ত্বকের সৌন্দর্য আবার আগের মত নিয়ে আসতে চান বা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন জাফরান সাবান। 

কারণ এই সাবানে যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো আপনার ত্বকের রুক্ষতা এবং শুষ্কতা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে শুধু তাই নয়, জাফরান সাবান ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এছাড়াও ত্বকের যাবতীয় সমস্যা অর্থাৎ বয়স্কের ছাপ দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ত্বকের কোষগুলোকে পুষ্টি জুগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে -- দৈনন্দিন জীবনে নানা কর্মব্যস্ততার কারণে নিজের ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারেন না অনেকেই। আর এর কারণেই আস্তে আস্তে ত্বক অযত্নের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু অনেকেই রয়েছে যারা বিভিন্ন সাবান ব্যবহার করেও দেখা যায় ত্বকের সৌন্দর্য আগের মত আর ফিরে আসে না অর্থাৎ ত্বক আর গ্রো করে না। 

কিন্তু আমার আপনার সকলেরই সবসময়ই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে যারা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তারা জাফরান সাবান ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই সাবানটি এতটাই ত্বকের জন্য উপকার যে আপনি প্রতিদিন গোসল করার সময় কিংবা সকালে একবার এবং রাতে একবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে -- বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বকে ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় থাকে না আর এর কারণে অনেকেরই ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু আপনি যদি ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে চান তাহলে জাফরান সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। 

ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করতে -- আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা জমে যায়। আর ত্বকে ময়লা জমার কারণে অনেকের ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দেয়। তবে এই সংক্রমণ থেকে রেহায় পেতে জাফরান সাবান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাফরান সাবানের মধ্যে যে উপাদানগুলো রয়েছে এগুলো আপনার ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে ফলে আপনার ত্বক অনেকটাই ভালো থাকবে। 

জাফরান সাবান এর অপকারিতা

জাফরান সাবান এর উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি জাফরান সাবান এর অপকারিতাও রয়েছে। আশা করি আপনারা পূর্বে জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়, জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম এবং জাফরান সাবানের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছেন। আসুন এবার জেনে নিন জাফরান সাবানের কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

যদি আপনারা জাফরান সাবান সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন তাহলে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে যা আপনারা অনেকেই জানেন না। বাজারে আসল নকল দুই ধরনেরই সাবান রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি সঠিক জাফরান সাবান যাচাই করতে না পারেন তাহলে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন। (উদাহরণস্বরূপঃ- যদি আপনারা বাজার থেকে আসল জাফরান সাবান না কিনে নকল জাফরান সাবান কিনেন, তাহলে নকল সাবানে রাসায়নিক কেমিক্যালের আপনার ত্বকে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।)

আবার বেশি উপকারের আশায় একদিনে অনেকবার যদি আপনারা জাফরান সাবান ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকে উপকার না হয়ে ক্ষতি হতে পারে। কেননা অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। যদি আপনি জাফরান সাবান অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। 

তাই বেশি সুন্দর্যের আশায় অতিরিক্ত ব্যবহার না করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধরার সময় এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার জাফরান সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমান। এইভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আশা করি উপকার পাবেন।

জাফরান সাবান price in bangladesh

আমাদের বাংলাদেশে জাফরান সাবানের দাম অনেকটা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেকেই এই সাবানটি কিনতে পারেন না। জাফরান সাবান price in bangladesh এর তুলনায় অন্যান্য দেশে এই জাফরান সাবানের দাম কিছুটা কম। বিশেষ করে বাংলাদেশে এই জাফরান সাবানের যে দাম ধরা হয়েছে এই দামটি অন্যান্য দেশে কিছু কম থাকার কারণে অনেকেই এই সাবানটি ব্যবহার করতে পারেন। 

এই সাবানের যে উপকারিতা রয়েছে তা হয়তো আপনারা উপরে পড়ে বুঝতে পেরেছেন। তাই দাম বেশি হলেও (জাফরান সাবান price in bangladesh) কিনে ব্যবহার করা ভালো। বিশেষ করে এটি আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। 

জাফরান সাবান দাম

জাফরান সাবান বিভিন্ন রকম রয়েছে এবং বিভিন্ন দামের রয়েছে। আপনারা চাইলে জাফরান সাবান অনেক বেশি টাকা দেয় কিনতে পারবেন আবার কিছু কম টাকা দিয়েও কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। জাফল সাবান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। 

তবে যদি আপনারা জাফরান সাবানের দাম নিয়ে থাকেন তাহলে এই অংশটুকু থেকে জাফরান সাবানের দাম জেনে নিতে পারেন। Saffron soap- জাফরান সাবান ৭৫ গ্রাম এর দাম ৬০০ টাকা, আবার অন্যদিকে Cosprof Saffron Soap - জাফরান সাবান ১০৮ গ্রাম এর দাম ৩০০ টাকা, এছাড়াওঃ-
  • Saffron soap - জাফরান সাবান ৮০ গ্রাম এর দাম ৬৫০ টাকা।
  • Saffron goat milk soap - জাফরান সাবানের দাম ৫৯০ টাকা।
  • Saffron Goat Milk Soap - জাফরান সাবানের দাম ৬২০ টাকা।
  • Saffron Handmade Soap - জাফরান সাবানের দাম ২৫০ টাকা।

জাফরান সাবান পিক

আপনাদের মধ্যে যারা জাফরান সাবানের পিক চিনেন না তারা চাইলে এখানে কয়েকটি জাফরান সাবানের পিক দেওয়া হয়েছে দেখে নিতে পারেন।

শেষ কথা | জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনারা অবশ্যই বাজারে জাফরান সাবান কিনতে গেলে আসল সাবান কিনার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার ত্বকে কোন ক্ষতি হবে না। কারণ জাফরান সাবানটি খুবই উপকারী একটি সাবান। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবহার করলে আশা করি এর সমস্ত উপকরণ ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪