দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাসম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? অনেকেই রয়েছে যারা দুধের সর খেয়ে থাকেন কিন্তু এর সঠিক উপকরণ সম্পর্কে না জানেন না। যেহেতু আপনারা জানেন না সেহেতু আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আর দেরি না করে জেনে নিন।
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক কিভাবে বানাতে হয় সেই নিয়ম সম্পর্কেও জানেন না। তাই আসুন আপনারা এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিন।

দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। যেহেতু আপনারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান সেতু আপনাদের কথা চিন্তা করেই আজকের এই অংশটুকুতে দুধের সর এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যদি শহরে বিভিন্ন ধরনের উপকার রয়েছে যা জানলে হয়তো আপনারা প্রতিনিয়ত এটি খাওয়া এবং ব্যবহার করা শুরু করবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সেই কি কি উপকারিতা রয়েছে তার সঠিকভাবে জেনে নিন।

  • অনেকে রয়েছে যাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাম মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। কেউ কেউ প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেন কেউ আবার ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন দুধের সর ব্যবহার করলে আপনার ত্বক কিংবা মুখ উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে? 
  • হয়তো অনেকেই জানেন না। যদি আপনারা দুধের সর মুখে বা ত্বকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনাদের ত্বক হয়ে উঠবে অনেক উজ্জ্বল ও ফর্সা। তাই আপনারা চাইলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
  • তরল জাতীয় যে সকল খাবারগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হলো দুধের সর। এই দুধের সাথে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড, ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • যদি আপনার শরীর দুর্বলতা ভাব দেখা দেয় কিংবা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে দুধের সর নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ দুধের সাথে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন ও মিনারেল রয়েছে আর এটি ক্লান্তি ভাব দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • এছাড়াও আপনাদের মধ্যে যাদের মুখে কিংবা ত্বকে কালো দাগ রয়েছে সেটি যদি আপনারা ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে চান তাহলে দুধের সর খুবই কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনারা যদি প্রতিদিন দুধের সর ত্বকের কালো দাগের উপর কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখেন। এইভাবে যদি আপনারা বেশ কয়েকদিন লাগিয়ে রাখেন, তাহলে ত্বকের কিংবা মুখের কালো দাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও যদি আপনারা ত্বক পরিষ্কার রাখতে চান তাহলে নিয়মিত দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বিভিন্ন সময়ে ত্বকে ধুলাবালি জমে যায় তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক দূর করার জন্য দুধের সর খুবই ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও দুধের সর মুখের ওপর বা ত্বকের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে রাখলে আপনার ত্বক বা মুখ অনেকটা উজ্জ্বল ও পরিষ্কার হবে।
  • যদি আপনার শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই দুধের সর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ দুধের সরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ক্লোটিন ভিটামিন ডি এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে পাশাপাশি বডির গঠন সঠিক রাখতেও সহায়তা করে।
  • এছাড়াও যে সকল ব্যক্তিদের অল্প বয়সে ত্বকে বয়স্কের ছাপ দেখা যায় তারা দুধের সর ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে। কারণ দুধের স্বরে রয়েছে প্রোটিন ও ভিটামিন যা ত্বকের প্রয়োজনীয় কোলাজেন উপাদান উৎপাদন করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। ফলে আপনার ত্বক টানটান থাকে এবং বয়সের কোন ছাপ বোঝা যায় না।
  • যদি আপনার শরীরের হার মজবুত রাখতে চান তাহলে দুধের সর প্রতিদিন খেতে পারেন। তাছাড়া শরীরের বেশি শক্তি বজায় রাখলেও অনেক বেশি সাহায্য করে। কারণ দুধস্বরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং ম্যাঙ্গানিজ।
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বকের ক্ষত দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে দুধের সর ও মধু। যদি আপনারা দুধের সর এবং সামান্য পরিমাণে মধু মিশ্রণ করে তোকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হবে।
  • এছাড়াও যদি আপনাদের ত্বক অনেক কমল ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চান এবং ত্বক নরম রাখতে চান তাহলে দুধের সর এবং কমলা লেবুর খোসা গুড়ো করে ভালোভাবে মিশ্রণ করে তাকে ব্যবহার করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার তো অনেকটা কমল ও নরম হবে।
  • এছাড়াও অনেকেরই ত্বকে বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়ে থাকে তবে এই ব্রণ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে দুধের সর। যদি আপনারা নিয়মিত মুখে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন তাহলে, আশা করা যায় ত্বকের ব্রণ খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হবে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যদি আপনার কাশি হয় তাহলে সেটি দূর করার জন্য দুধের সরের সাথে নারকেল গুঁড়া কিংবা গোলমরিচ অথবা এলাচ উপাদান গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপাদান মিশ্রণ করে গরম করে খেলে আপনার কাশিও ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও ছোট শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য দুধের সর অত্যন্ত কার্যকারী। যদি আপনারা প্রতিনিয়ত ছোট বাচ্চাদের দুধের সর খাওয়াতে পারেন, তাহলে স্মৃতিশক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে। ফলে পড়াশুনাতে অনেক ভালো করতে পারবে এবং যেকোন কথা মনে রাখতে সাহায্য করবে।
  • হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে দুধের সর। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের এ ধরনের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। তাই যদি তারা নিয়মিত দুধের সর খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আশা করা যায় এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা

যদি আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে দুধের সর খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা যারা দুধের সর খেতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে দুধের সরখান তাহলে পেটের ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

শুধু তাই নয় আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও আরেকটা রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দুধের সর বেশি পরিমাণে খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। তবে শিশুদের অবশ্যই দুধের সর খাওয়ানো থেকে বিরত রাখবেন কারণ শিশুদের ক্ষেত্রে দুধের সর খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। 
কারণ এটি অনেক সময় পর্যন্ত হজম হয় তাই বাচ্চারা দ্রুত হজম করতে না পারলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি আপনি দুধের সর আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আশা করি দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন।

দুধের সর খেলে কি মোটা হয়

অনেকেই জানতে চান দুধের সর খেলে কি মোটা হয়? দুধ সাধারণত শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন ডি এবং আমিনো এসিড পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে যদি আপনারা ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চান তাহলে অন্যান্য সব ধরনের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দুধের ভেতর থাকা সর খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে। 

বিশেষ করে যেগুলো ননী বিহীন বা লো ফ্যাট এরকম দুধ বেছে নেওয়া প্রয়োজন।  যাতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দুধের সর খেলে হাড় মজবুত হয়।  কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। 

দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক

পূর্বে আমরা দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এখন আমরা আলোচনা করব দুধের সর মুখে দিলে কি হয়? অনেকেই দুধের স্বর দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে চান কারণ ত্বকে ব্যবহার করার জন্য। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রচেষ্টা করেন কিন্তু সঠিক উপায় অবলম্বন না করলে কখনোই ত্বক উজ্জ্বল করা সম্ভব নয়। 

তাই আজকে আমি আপনাদের সুবিধার্থে ত্বক ভালো রাখতে কিভাবে আপনি দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

অনেক সময় গরমে বাইরে গেলে ত্বক উড়ে কালো হয়ে যায় সেই সঙ্গে আবার কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। ফলে ত্বকের জেলা অনেকটা কমে যায় এবং সুন্দর্য কমে যায়। যদি আপনারা এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে অবশ্যই ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতে আজকের এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। সেটি হলো প্রথমে আপনাকে দুই চামচ দুধের সর এবং এক চামচ বেসন মিশ্রণ করে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে হবে।

তারপর ভালোভাবে সেই ফেসপ্যাক টুকু মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ অংশগুলোতে অন্তত ৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। মেসেজ করা হয়ে গেলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার এই ভাবে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের দাগ ছোপ দূর হওয়ার পাশাপাশি ট্যানও দূর হবে।

অনেক সময় দেখা যায় সারা বছরে প্রায় ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তবে এই ধরনের সমস্যা এরাতে আপনারা চাইলে দুধের সর এর ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমত এক চামচ দুধের সর এবং এক চামচ পরিমাণ মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে মুখে ২০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে অন্তত দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

এছাড়াও যদি আপনারা ত্বক অনেক নরম ও তুলতুলে রাখতে চান তাহলে এক চামচ দুধের সর এবং এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশ্রণ করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন এরপর আপনার ত্বকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। একদিন পরপর এভাবে যদি আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

তাহলে আশা করা যায় আপনার ত্বক অনেক নরম ও তুলতুলে রাখতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি হবে। আশা করি দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটিও সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম

অনেকেই দুধের স্বর দিয়ে নাইট ক্রিম কিভাবে তৈরি করবেন জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে বিভিন্ন উপাদানের সাথে দুধের সর ব্যবহার করে কিভাবে নাইট ক্রিম তৈরি করবেন সে উপায়গুলো সম্পূর্ণ এই অংশটুকুতে আলোচনা করব। যদি আপনাদের এই বিষয়টি অজানা থাকে তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে সঠিকভাবে জেনে নিন।
রূপচর্চার ক্ষেত্রে দিনের পর দিন বিভিন্ন ক্রিম বাজারে আসছে যেগুলো ব্যবহার করে অনেকের তোকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া ভাবে দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য হতে পারে খুবই উপকারী। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

দুধের সর ও অ্যালোভেরাঃ অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অনেক হাইড্রোইড করতে সাহায্য করে। তার কারণ হলো অ্যালোভেরা তে বিদ্যমান কিছু এন্টি এরেন্থিন রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন কিংবা ক্ষত থেকে সরে উঠতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। যদি আপনারা দুধের সর এবং অ্যালোভেরা একসঙ্গে মিশ্রণ করে তাকে ব্যবহার করতে পারেন। 

তাহলে তো অনেক হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি ত্বক তারণ্য বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। সেজন্য প্রথমে আপনাকে ২ টেবিল চামচ দুধের সর এবং ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ করা ব্যাক টুকু মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

দুধের সর ও মধুঃ ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ দূর করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে দুধের সর ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার নিয়ম হল প্রথমে এক টেবিল চামচ দুধের সর এবং এক টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিন এরপর মিশ্রণটি সম্পূর্ণ মুখ সমানভাবে লাগিয়ে রাখুন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুধের সর ও হলুদঃ প্রথমে এক চা চামচ দুধের সর এবং এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিন এরপর কয়েক মিনিট অর্থাৎ ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। তারপর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক অনেক ভালো রাখতে সাহায্য করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।

দুধের সর মুখে দিলে কি হয়

অনেকেই প্রশ্ন করেছেন দুধের সর মুখে দিলে কি হয়? বন্ধুরা দুধের সর তুলে খেতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি এটি মুখে ব্যবহার করলেও হাজার হাজার উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকে আমি এমন কিছু তথ্য আপনাদেরকে জানাবো যেগুলো হয়তো আপনারা আগে কোথাও জানেননি। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যদি আপনি আপনার মুখে দুধের সর মাখতে পারেন, তাহলে এটি আপনার ত্বককে মশ্চারাইজ করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। 
শুধু তাই নয় দুধের সর ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার টক হয়ে উঠবে অনেক উজ্জ্বল এবং ত্বকের বয়স বাড়াতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন অনেক ভারতীয়দের মধ্যে দুধ দিয়ে রূপচর্চা করার এখনো প্রবণতা রয়েছে। এমনকি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বকের পরিষ্কার কথা অনেক ভালোভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে দুধের সর দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এখন সহজে পারবেন।

দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা

আপনাদের মধ্যে যারা দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা করতে চান তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। যদি আপনারা এই আর্টিকেলের অংশটুকু একদম মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে কিভাবে দুধের সর ব্যবহার করে আপনারা রূপচর্চা করবেন তা সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

ময়েশ্চারাইজারঃ দুধ ত্বকের প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। যদি ত্বকে কয়েক মিনিট দুধের সর মালিশ করা হয়, তাহলে ত্বকের গভীরভাবে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত যে সকল কোষগুলো রয়েছে সেগুলোর ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতায়ঃ যদি আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। দুধের স্বরের সঙ্গে সামান্য কিছু মধু মিশ্রণ করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক সুস্থ থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ত্বকের দাগছোপ দূর করেঃ যদি আপনাদের ত্বকে কোন দাগ ছোপ হয়ে থাকে তাহলে সে আক্রান্ত স্থানে দুধের সর মালিশ করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে দুধের সর এক টেবিল চামচ নিতে হবে এরপর অল্প কিছু লেবুর রস মিশ্রণ করে তোকে ব্যবহার করতে হবে এতে করে আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়ে যাবে এবং নতুন গঠনে সাহায্য করবে।

বয়সের ছাপ দূর করতেঃ আজিমকাল থেকে অনেক নারীরা ফেসপ্যাক হিসেবে দুধের সর ব্যবহার করতেন। কারণ এ দুধের স্বরে প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে যা কোষ কলার উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্যঃ দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানাতে পেরেছেন। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে ও বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আপনারা সকলেই অনেক উপকৃত হয়েছেন। তাই আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ রইল আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করুন এবং এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানিয়ে রাখুন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪