গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ - বাচ্চার হার্টবিট না আসলে করনীয়
আপনি কি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ, সময় ও গুরুত্ব সম্পর্কে
জানতে চান? কখন আপনার বাচ্চার হার্টবিট প্রথমবার সোনা যাবে এবং কিভাবে এটি
পর্যবেক্ষণ করা হয় তা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আসুন
গর্ভাবস্থায় যত্নের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন।
এছাড়াও যদি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে,
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে আসে, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত
থাকে, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট না আসার কারণ, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার
হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয়, বাচ্চার হার্টবিট কত হলে ছেলে সন্তান, গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার হার্টবিট কখন আসে, বাচ্চার হার্টবিট না আসলে করনীয়, এই সকল বিষয়ে
সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ, সম্পর্কে অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে
যারা জানেন না। তাই তাদের ক্ষেত্রেই আজকে এই আলোচনায় বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে
দেয়া হবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ কোন সময়। অনেক গর্ভবতী
মায়েরা গর্ভাবস্থায় নিজের থেকেও অনেক বেশি গর্ভে থাকা সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত
থাকেন।
তার কারণ হলো প্রত্যেকটা নারীর স্বপ্ন মা হওয়া, আর এই সময় বাচ্চার হার্টবিট
কেমন হবে বা আসার লক্ষণ কি তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে
স্বাভাবিক অবস্থায় গর্বের শিশুর হার্টবিট প্রথম শোনা যায় গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ
সপ্তাহ থেকে।
এ সময় প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়েদের আলট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে শিশুর সঠিক হার্টবিট
ধরা পড়ে। আর এটি শোনার কারণ হলো শিশু এখন কেমন আছে সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে কিনা
এটার কারণে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ষষ্ঠ সপ্তাহ থেকে শুরু করে নবম সপ্তাহের
মধ্যে বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে আসে
অনেক গর্ভবতী মায়েরা বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে আসে তা নিয়ে প্রশ্ন করে
থাকেন। কিন্তু সঠিক উত্তর জানতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে
পড়তে হবে। কারণ অনেক বিষয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো একজন গর্ভবতী
নারীদের জন্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে আসে তা নিয়ে যারা প্রশ্ন করেছে তাদের
প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল ২২ থেকে ২৪ দিনের মধ্যে অর্থাৎ গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহের
মধ্যে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে যে সকল মহিলারা গর্ভবতী রয়েছে তাদের গর্ভাবস্থার
পঞ্চম সপ্তাহ থেকেই গর্বে শিশুর হার্টবিট গঠন শুরু হয়ে যায়।
তাই কনসিভ করার সাধারণত ২২ থেকে ২৪ দিনের মধ্যেই হার্টবিট চলে আসে। তবে এই সময়
বাচ্চাদের হৃৎপিণ্ড এতটাই ছোট থাকে যে আলট্রাসাউন্ড বা টপোলার মেশিনে কোনভাবে
হৃদপিণ্ডের শব্দ উৎপন্ন হয় না সে ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসকরা অনেক গর্ভবতী মহিলাদের
সাধারণত আট সপ্তাহ পর আলট্রাসাউন্ড করা হয়ে থাকে। তবে আশা করা যাই এই ৮ সপ্তাহ পর
থেকে বাচ্চাদের হার্টবিট খুব সহজেই বোঝা যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝা যাবে ১২ সপ্তাহ থেকে। তবে একজন বাচ্চার হার্টবিট কত
সপ্তাহে আসে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের জরায়ুতে বাচ্চার অবস্থান,
প্লাসেন্টার অবস্থান এবং মায়ের ওজনের উপর। আশা করি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট
আসার লক্ষণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে
আসে তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কত থাকে
প্রায় পাঁচ থেকেছয় সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাবস্থা থেকে আপনার শিশুর হৃৎপিণ্ড
স্পন্দিত হতে শুরু করে। আর এ সময় একটি স্বাভাবিক ব্রণের হৃদস্পন্দন মায়ের যেমন
হয় ঠিক তেমনি বাচ্চাদেরও প্রতি মিনিটে প্রায় ৮০ থেকে ১০৩ বিট/ মিনিট হয়ে থাকে।
শুধু তাই নয় এই যে পয়েন্ট রয়েছে এখান থেকে প্রথম মাসে প্রতিদিন মিনিটে প্রায়
তিন বিট করে বৃদ্ধি হওয়া শুরু করে।
আর সর্বশেষ গর্ভাবস্থার নবম সপ্তাহের শুরুর দিকে। একটি স্বাভাবিক ভ্রূণের
হৃদস্পন্দন ঘরে প্রায় ১৭৫ বিট/ মিনিট হয়ে থাকে। তারপর থেকে আস্তে আস্তে কমতে
শুরু করে এবং সর্বশেষে প্রেগনেন্সির মাঝামাঝিতে ১২০ থেকে ১৮০ বিট/ মিনিট হয়ে
থাকে। যখন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার শেষ দশ সপ্তাহ চলে আসে এ সময় আরো কমে
যায় আর তখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিশ্রামরত সময়ে যে হার্টবিট হয়ে থাকে
তার দ্বিগুণ হয়।
তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার শিশুর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন
হবে। ঠিক যেমন আপনার হয়ে থাকে। অনেক সময় ঘুমানো নড়াচড়া বা আরো অন্যান্য
ক্রিয়াকলাপের কারণে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক জনের স্পন্দন পরিবর্তন হয় তাই আপনার
শিশুর ও হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যদি আপনি এটি
অস্বাভাবিক মনে করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট না আসার কারণ
অনেকেই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট না আসার কারণে বিভিন্ন চিন্তার মধ্যে
থাকেন। তবে একজন গর্ভবতী মায়ের এ বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ
ধরনের সমস্যাই শুধু আপনি নন আরও অনেকেই করতে পারে তাই সঠিক বিষয়টি জেনে রাখা
জরুরী। তাই আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট না আসার
কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আসুন আপনি কিংবা আপনার পরিবারের জন্য
হলেও সঠিক তথ্য জেনে নিন।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি একদম মিনাল আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ৭ থেকে ৯ সপ্তাহের
মধ্যে বাচ্চার হার্টবিট সনাক্ত করা যেতে পারে। যদি উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কোনরকম
ভ্রুনের হার্টবিট সোনা না যায় তাহলে চিন্তা করার তেমন কোন প্রয়োজন নেই।
শুধু তাই নয় যদি আপনার গর্ভপাতের কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে হতে পারে আপনার গর্ব
অবস্থায় সময়ের হিসেবে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে। জরায়ুতে ঢোলের অবস্থান
প্লাসেন্টার অবস্থান এবং মায়ের ওজনের ওপর নির্ভর করে বাচ্চার হার্টবিট কত দ্রুত
বোঝা যাবে। সপ্তাহ খানেক পরে আশা করা যায় আপনারা যারা গর্ভবতী মহিলারা রয়েছেন
তারা সকলেই কাঙ্ক্ষিত শব্দটি শুনতে পারবেন।
আর যদি আপনি দুই সপ্তাহ পরেও বাচ্চার হার্টবিট না শুনতেতাহলে গর্ভপাতের সম্ভাবনাই
বেশি। এছাড়াও যদি বাচ্চার হার্টবিট একবার শোনা যায় তারপর যদি পরবর্তী আল্ট্রা
সাউন্ডে হার্টবিট পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রেও গর্ভপাত হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া
যায়।
কিন্তু অনেকেই এই গর্ভপাতের সম্পূর্ণ দোষ মায়ের উপর চাপিয়ে দেন কিন্তু একটি কথা
অবশ্যই জেনে রাখুন যদি গর্ভপাত হয় তাহলে সেটির জন্য কখনোইমাকে তাই করা উচিত নয়।
হয়তো অন্য কোন কারণে আপনার এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রায় ২০ শতাংশ মেয়েদের এই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আশা করি
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ সম্পর্কে উপরে সঠিকভাবে জানার পাশাপাশি
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট না আসার কারণ কি তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয়
গর্ভাবস্থায়ী বাচ্চার হার্টবিট সাধারণত ১০০ থেকে ১৬০ এর মধ্যে থাকলে সেটাকে
নরমাল ধরা যায়। কিন্তু যদি এর থেকে বেশি বেড়ে যায় তাহলে বাচ্চার হার্টবিটের
সমস্যা তৈরি হয় তাই কিভাবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্ট সুস্থ রাখবেন তা নিয়েই
আজকের এই আর্টিকেল।
কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে,গর্ভাবস্থায় হার্টবিট বেড়ে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হয় তাহলে গর্ভস্থ শিশুর হাট অনেক সুস্থ থাকে। তাহলে চলুন কি কি নিয়ম মেনে চলতে
হয় জেনে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক অ্যাসিড গ্রহন -- যদি আপনি গর্ভধারণ পরিকল্পনা করেন, তাহলে
সেই ক্ষেত্রে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে। এটি গ্রহণ করার
ফলে আপনার নিউরাল টিউব ডিফেক্ট ছাড়াও আরো কিছু হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা ঝুঁকি
কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে।
ধূমপানের অভ্যাস দূর করুন -- শুধু তাই নয় যদি আপনার কিংবা আপনার স্বামীর
ধুমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি বন্ধ করে দিন। কারণ কিছু কিছু গবেষণায় দেখা
গিয়েছে যে প্রায় দুই ভাগ জন্মগত হৃদরোগের কারণ হলো বাবা বা মায়ের ধূমপান।
অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন -- যদি আপনারা অ্যালকোহল
বা নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন তাহলে সেটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন এবং
স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। এতে করে আপনি এবং গর্ভে থাকার শিশু
উভয় সুস্থ থাকবে।
সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন -- অনেক গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিসের মাত্রা
অনেক বেশি থাকার কারণে সুগার লেভেল বেড়ে যায় কিন্তু গর্ভাবস্থায় সুগার লেভেল
যত বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন তো তত বেশি উপকার। গর্ভকালীন সময়ে
ডায়াবেটিসের কারণে জন্মগত হৃদরোগের ঝুঁকির অনেকটাই আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকে
এই বিষয়গুলো জেনে সঠিকভাবে চিকিৎসা করুন।
শরীরচর্চা করুন -- গর্ভকালীন সময়ে যে সকল মেয়েরা সঠিক নিয়ম কানুন মেনে
শরীরচর্চা করেন তো তো তাদের বাচ্চাগুলোর হৃৎপিণ্ড অনেক সুস্থ থাকে। তাই আপনাকে
অবশ্যই গর্ভকালীন সময়ে শরীরচর্চার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তবে হ্যাঁ শরীর চর্চার
করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপর শরীর চর্চায় মনোযোগ
দিন।
বাচ্চার হার্টবিট কত হলে ছেলে সন্তান
বাচ্চার হার্টবিট কত হলে ছেলে সন্তান হয় তা নিয়ে অনেকেরই গুঞ্জন রয়েছে।
অনেকেরই মনে এই ভুল ধারণাটি প্রচলিতভাবে যুগের পর যুগ চলে এসেছে এই পর্যন্ত। তাই
হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন আসে বাচ্চার হার্টবিট কত হলে একটি ছেলে সন্তান
হবে।
প্রিয় বন্ধুরা কিছু মেডিকেল সাইন্স থেকে ধরা যায় বাচ্চার যদি হৃদস্পন্দন ১৪০
বিবিএম এর বেশি অথবা সমান হয় তাহলে সেই বাচ্চাটি মেয়ে হিসেবে ধরা যায়। আর
অন্যদিকে যদি বাচ্চার হিট স্পন্দন রেড ১৪০ বি পি এম এর কম হয় তাহলে সেই গর্ভস্থ
বাচ্চাটি সাধারণত ছেলে হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু এই ধারণাটি সবসময় সঠিক ভাবে কাজ
করে না।
তাই এটি নিয়ে কখনো চিন্তা করারও কোন প্রয়োজন নেই। একমাত্র উপর আল্লাহকে বিশ্বাস
করে সঠিকভাবে নামাজ পড়ে যদি আল্লাহর কাছে আপনি ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান চান তাহলে
অবশ্যই দেবেন। তাই সবার প্রথমে আল্লাহকে বিশ্বাস করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ুন। আশা করি আপনার মনের আশা আল্লাহতালা পূরণ করে দিবে ইনশাআল্লাহ।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট কখন আসে
অনেক আগের কথা যখন গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের শিশুর হার্টবিট পরীক্ষা করার
জন্য একমাত্র বোঝার যন্ত্র ছিল স্টেথেস্কোপই। কিন্তু আস্তে আস্তে বর্তমান সময়ে
এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার কারণে বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার হওয়াতে অনেক
আগে থেকেই বাচ্চাদের হার্টবিট সনাক্ত করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয় গর্ভবতী মায়ের
গর্ভে থাকা বাচ্চার হার্টবিট সোনা যায়।
তবে সাত থেকে আট সপ্তাহ পর যদি কোন গর্ভবতী মহিলা আল্ট্রাসাউন্ড করে তাহলে অবশ্যই
তার গর্ভে থাকা শিশু হার্টবিট বুঝতে পারবে। তবে ডাক্তারের মতে ১২ সপ্তাহের পর
সঠিকভাবে বোঝা যায়। তবে একজন গর্ভে থাকা শিশু হার্টবিট কত দ্রুত শোনা যাবে তার
সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের জরায়ুতে বাচ্চার অবস্থান, প্লাসেন্টারের অবস্থান এবং
মায়ের ওজনের ওপর।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট এই সময়ই আসে। আশা করি গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার হার্টবিট কত সপ্তাহে আসে এই সম্পর্কে পূর্বে জানার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার হার্টবিট কখন আসে এই সম্পর্কেও সথিকভাবে জানতে পেরেছেন।
বাচ্চার হার্টবিট না আসলে করনীয়
আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় যদি আপনার শিশু হৃদ্পন্দন না আসে তাহলে চিন্তার কোন কারণ
নেই। হয়তো আপনার কোনো না কোনো সমস্যার কারণে বাচ্চার হার্টবিট না আসতে পারে। তবে
না চিন্তা তিনটির বিষয়ে সম্পর্কে জেনে রাখবেন। কেননা গর্ভকালীন সময়ে একদম শুরু
থেকে শিশুর হার্টবিট না শোনা গেলে বিভিন্ন লক্ষণ বা অপেক্ষা কিংবা পরীক্ষা করলে
আশা করা যায় বাচ্চার হার্টবিট চলে আসে।
কিন্তু অনেক গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চার হার্টবিট আসে না সে ক্ষেত্রে আলট্রাসাউন্ড
এর ধরন কি তা সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। যদি আলট্রাসাউন্ড সঠিকভাবে করা যায় তাহলে
অবশ্যই বাচ্চার হার্টবিট সঠিকভাবে শোনা যাবে।
তবে সাধারণত ছয় সপ্তাহ থেকে নয় সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার হার্টবিট না শোনা গেলে
খারাপ লক্ষণের দিকে যেতে পারে। যদি গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট দুই সপ্তাহ পর না শোনা
যায় তাহলে ধরে নিতে হবে গর্ভপাতের সম্ভাবনাই বেশি। তবে, বাচ্চার হার্টবিট না
আসলে করনীয় ভালোভাবে আলট্রাসাউন্ড করতে হবে।
শেষ কথা | গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ
সময় অনেক গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক সমস্যার সাথে মোকাবেলা করেন শুধু তাই নয় এ
সময় অনেক গর্ভবতী মহিলারা মানসিক সমস্যাতেও ভোগেন। কিন্তু এ সময় নিয়মিত
স্বাস্থ্য পরীক্ষা হালকা ব্যান্ড পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
তবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণ সম্পর্কে যদি আপনার জানা না থাকে
তাহলে আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাই যদি আপনারএই
আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানিয়ে যাবেন
এবং নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url