ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। যেহেতু
আপনারা জানেন না সেহেতু আপনাদের সুবিধার্থেই এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার
চেষ্টা করেছি। তাই আর দেরি না করে আসুন আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে নিন।
যদি আপনারা এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক
সেলারি একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ আরো বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে পেয়ে যাবেন। তাই আর
দেরি না করে আসুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা অনেকেই জানেন না। ডাচ বাংলা
ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। বিশেষ করে বাংলাদেশে যতগুলো
স্বনামধন্য ব্যাংকগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হল ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। এই
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আপনার সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০
টাকা লাগবে।
সাধারণত যে সকল স্টুডেন্ট একাউন্ট রয়েছে সেগুলো খুলতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে নূন্যতম
১০০ টাকা প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও যদি আপনি স্টুডেন্ট না হয়ে এমনিতেই ডাচ বাংলা
সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সর্বনিম্ন আপনার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভিআইপি
অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ৫০০০ টাকা লাগবে।
আর আপনি যদি একজন চাকরিজীবী কিংবা ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে সেভিংস একাউন্ট
খুলতে আপনার মিনিমাম ৫০০ টাকা অবশ্যই জমা দিতে হবে। আর যদি আপনি অনেক বড়
ইন্ডাস্ট্রিয়াল মালিক হন কিংবা ভিআইপি ভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান
সেক্ষেত্রে আপনার ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
তাহলে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত
টাকা লাগে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংক সেলারি একাউন্ট খুলতে চান কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার
কারণে অনেকেই খুলতে পারেন না। তবে যদি আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেলারি একাউন্ট
খুলতে চান তাহলে নিকৃষ্ট শাখায় গিয়ে খুব সহজেই খুলে নিতে পারবেন। কিন্তু
তারপরেও অনেক মানুষের জানার আগ্রহ থেকেই যায় যে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি
একাউন্ট খোলা নিয়ম কি তা জানতে। তাই আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য
সঠিকভাবে জেনে নিন।
যদি আপনি কোন ধরনের বেতন খুব সহজেই নিতে চান তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক সেলারি
একাউন্ট আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। কারণ ডাচ-বাংলা ব্যাংক এখন বাংলাদেশের
স্বনামধন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি। এটি খুবই জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত একটি ব্যাংক।
যেখানে অসংখ্য মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট
খোলার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হল-
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি (যদি আপনি ভোটার হন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড)
- নমিনির ১ কপি ছবি
- ট্রেড লাইসেন্স অথবা অফিস আইডি।
উপরে উল্লেখিত যে কাগজপত্র গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আপনার প্রয়োজন পড়বে। তবে
অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনার অবশ্যই একাউন্ট ওপেনিং ফরম পূরণ করতে হবে
(বাধ্যতামূলক)। এরপর ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের ফর্মটি সম্পূর্ণ পূরণ করা হয়ে
গেলে জমা দিতে হবে। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকে যিনি
দায়িত্বগত অফিসার রয়েছেন তিনি চেক করবেন।
যদি আপনি সঠিক তথ্য দেন তাহলে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট খুলে
দিবেন। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম জমার পরিমাণ
ক্যাশ একাউন্টে দিয়ে তারপর অ্যাকাউন্টে সচ্ছল করে নিতে হবে। (তবে অ্যাকাউন্ট
খোলার সময় একজন সুপারিশকারী থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)
সর্বশেষ আপনার অ্যাকাউন্ট সচ্ছল হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র গুলো রয়েছে
সেগুলো নিজের কাছে ভালোভাবে রেখে দিবেন। আশা করি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে
কত টাকা লাগে তা সঠিকভাবে জানার পাশাপাশি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট
খোলার নিয়ম সম্পর্কেও সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা অনেক বেশি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম
হলো দেশব্যাপী যে কোন সময় যেকোন স্থানে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করা যাবে। বিশেষ
করে এই ডাচ বাংলা ব্যাংকে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ সনাক্ত করার মাধ্যমে ১০০% নিরাপদ
ভাবে লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, যদি আপনার একাউন্টে জমাকৃত টাকা থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি খুব
সহজেই মুনাফা লাভের সুবিধা পেয়ে যাবেন। অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে
চাই তার কারণ হলো এখানে নানাদিক থেকে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে ডাচ বাংলা
ব্যাংক টাকা সঞ্চয়ের একটি অন্যতম ব্যবস্থা।
শুধু তাই নয়, যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে বাৎসরিক চার্জ
দিতে হবে না। আর এটিএম (ATM) চার্জ প্রথম বছরের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। এছাড়াও আপনি
চাইলে খুব সহজেই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম (ATM) থেকে টাকা উত্তোলন করে
যেখানে সেখানে কেনাকাটা করতে পারবেন।
আপনি যে কোন প্রান্তে যান না কেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট শাখা থেকে লেনদেনের
সুবিধা অনেক বেশি রয়েছে। পাশাপাশি ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফাস্ট ট্র্যাকে টাকা
জমাদানের সুবিধা দিয়ে থাকে। তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
এর সুবিধা কতটুকু রয়েছে। তাই আপনারা চাইলে সকলেই ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলে
নিতে পারেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টাকা ইনকাম করেন। কিন্তু
এই টাকা অনেকে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। তবে যদি আপনি ডাচ-বাংলা
ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ
সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি সময়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্টের জন্য চালু করেছে
স্টুডেন্ট ব্যাংকিং।
যা সম্পূর্ণ সাধারণ ব্যাংকের মতোই। তবে যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন এবং ডাচ বাংলা
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তারা চাইলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে
পারেন। তবে চলুন কি কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আগে জেনে নিন।
- প্রথমত আপনাকে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে একটি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
- এরপর একাউন্ট ওপেনিং সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে করে দেবে অর্থাৎ আপনি যে জনকৃত ৫০০ টাকা দিবেন সেটি আপনার একাউন্টেই থাকবে।
- সারা জীবনের জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে DBBL Nexus কার্ড প্রদান করবেন। আর এর জন্য আপনাকে প্রতিবছর কোনো রকম চার্জ দিতে হবে না।
- শুধু তাই নয় যদি আপনার DBBL Nexus কার্ডটি হারিয়ে যাই কিংবা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনি অল্প কিছু চার্জে নতুন একটি কার্ড নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যা হয়তো অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে নেই।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেবা সমূহ
পূর্বে হয়তো আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এবং ডাচ বাংলা
ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কিন্তু
এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক সেবা সমূহ কি কি
রয়েছে সেটিও সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
তাই আপনাদের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এ বিষয়টি সঠিকভাবে
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন কি কি সেবা সমূহ ডাচ বাংলা ব্যাংকের রয়েছে
তার সঠিকভাবে জেনে নিন।
- প্রথমত আপনি সঞ্চয়ী হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
- এরপর আপনি নগদ টাকা জমা দিতে পারবেন এবং উত্তোলন করতে পারবেন।
- যদি আপনার ডাচ বাংলা একাউন্টে টাকা থাকে তাহলে আপনি অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
- বিদেশ থেকে যেকোনো অর্থ আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে গ্রহণ করে উত্তোলন করতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনার চলতি হিসাব খোলা থাকবে
- ফিক্সড যে ডিপোজিট রয়েছে সেটি আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে পেয়ে যাবেন।
- এছাড়াও আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে বেতন অথবা ভাতা প্রদান করতে পারবেন।
- এই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনি খুব সহজেই বিল প্রদান করতে পারবেন।
- অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রিয় বন্ধুরা উপরে যে সেবা সমূহ গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো সাধারণত ডাচ-বাংলা
ব্যাংক একাউন্টের সেবা সমূহ। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে এ
ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেই। তাই আপনারা চাইলে এই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে একটি
একাউন্ট তৈরি করে এখানকার সেবা সমূহ গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ রকেট একাউন্ট চেক করার কোড জেনে নিন
ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যা অন্য
ব্যাংকগুলোতে নেই। বিশেষ করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এ সঞ্চয়িক হিসাব
খোলা এবং চলতি হিসাব খোলা এর সুবিধা তে অনেক বেশি রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি সুদ
মুক্ত একাউন্ট খুলতে পারবেন কিংবা স্কুল ব্যাংকিং হিসাব একাউন্ট খুলতে পারবেন।
তবে অনেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে বাৎসরিক চার্জ নেই বলে একাউন্ট তৈরি করে না কিন্তু
ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কোনরকম বাৎসরিক চার্জ দিতে হবে না।
শুধু তাই নয় এখানে আপনি খুব সহজেই পানি, বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল গ্রহণ করতে
পারবেন।
এছাড়াও আপনার একাউন্টে জমাকৃত টাকার উপর মুনাফা লাভ পাবেন। যারা জয়েন্ট একাউন্ট
খুলতে চান তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্টে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট তৈরি
করবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট অথবা এফ ডি আর হিসাব খুলতে
পারবেন। সরাসরি নগদ টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন।
এছাড়াও এখানে সহজ শর্তে ঋণ পাবেন। চেক বই পেয়ে যাবেন। আরেকটি সুবিধে রয়েছে
সেটি হল এটিএম কার্ড একদম ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বেতন ভাতা ইত্যাদি প্রদান
দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় ফাস্ট ট্রাক, রেমিট্যান্স সহ আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড দিয়ে থাকেন। তথ্যসূত্রঃ মোঃ সাদমান শাহরিয়ার
লেখকের শেষ কথা | ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আশা করি আপনারা সকলেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে
কত টাকা লাগে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি একাউন্ট খোলার নিয়ম কি তা সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই
অন্যদের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
আর যদি কারো সম্পূর্ণ আলোচনা করে প্রশ্ন বা মতামত জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। আপনাদের সঠিক মতামত আমাদের আর্টিকেল লেখার অনেক
অনুপ্রেরণা দিবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url