সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট - টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

আপনি কি সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? যদি আপনার এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন। কারণ আমাদের মধ্যে এমন অনেকের রয়েছে যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তাই আপনাদের পরিবারের কিংবা আত্মীয়-স্বজন সকলের জন্যই এ বিষয়টি জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সকল নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও এই আর্টিকেলে টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন এই সকল বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলুন মূল আলোচনায় চাওয়া যাক।

সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করে সেই সম্পর্কে জানেন না। কিংবা এই বিষয় সম্পর্কে হয়তো কখনো শুনেননি। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যায় এই বিষয়টি জানেন কিন্তু কিভাবে করে বা এর নিয়ম কি তা হয়তো জানেন না। 

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এই আলোচনায় সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেবো। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা খুবই সহজ একটি মাধ্যম বিশেষ করে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই আপনি খুব সহজেই ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সবার প্রথমে যেটা করতে হবে সেটি হল সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার প্রস্রাবের নমুনা এক বালতিতে এবং উন্নত মানের একটি সাবান টুকরা করে সেই বালটিতে যোগ করুন। 
তারপর সম্পূর্ণভাবে সাবান এবং প্রস্রাবের নমুনা টুকু মিশ্রণ করুন। মিশ্রণ করা শেষ হওয়ার পর একটু লক্ষ্য করে যদি দেখেন মিশ্রণটি বুদবুদ আকার হয়ে উঠেছে, তাহলে আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সঠিকভাবে কাজ করে না। তাই এটি সম্পূর্ণ সত্য তা কখনো বলা সম্ভব নয়। আশা করি বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।

টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট, এই বিষয়টি সম্পর্কে যাদের অজানা রয়েছে তারা অবশ্যই এই আলোচনা থেকে সঠিকভাবে জেনে নিন। কারণ টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট অনেকেই করেন আবার অনেকেই করেন না। কিন্তু এটি করলে আপনি অবশ্যই সবকিছু সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তাই আসুন টুথপেস্ট ব্যবহার করে আপনি কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন তা সঠিকভাবে জেনে নিন।

প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই টেবিল চামচ সাধারণের টুথপেস্ট নিন এরপর সেখানে ইউরিন মিশ্রণ করুন। তারপর ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে যদি পেস্টের রং নীল হয়ে যায় তাহলে আপনি ধরে নিবেন রেজাল্ট সম্পূর্ণ পজেটিভ। আর এভাবেই আপনি সঠিকভাবে টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। আশা করি আপনাদের মধ্যে যাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে অজানা হয়েছিল তারা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চাইলে আপনাকে সবার প্রথমে যে বিষয়গুলো অবলম্বন করতে হবে তা এই আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রথমত প্রেগন্যান্ট কি না তা বাড়িতে থেকে জানার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হল প্রেগনেন্সি কিট। 

কিন্তু যদি আপনার সেটা না থাকে তাহলে অবশ্যই বাথরুমে উপস্থিত জিনিসগুলো ব্যবহার করে আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন বলে অনেকেই দাবি করেন। তবে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের স্ট্রিপে এক মূল্যবান রাসায়নিক দেওয়া থাকে। তবে যে সকল মহিলারা গর্ভবতী হন তাদের মূত্রে বিশেষ কিছু উপাদান থাকে বলেই সেই সংস্পর্শে রং বদলে যায় স্ট্রিপে। 
তাই কোন মহিলা গর্ভবতী হয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে জানা যায়। তবে আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চান তাহলে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজে নিজেই খুব সহজেই এই পন্থাটি ব্যবহার করতে পারেন যা নিচে দেওয়া হল-
  • সবার প্রথমে আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ইউরিন একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
  • এরপরে আপনাকে সেই পরিষ্কার পাত্রে সামান্য পরিমাণে শ্যাম্পু নিয়ে পানি মিশ্রণ করতে হবে।
  • এরপর সেই শ্যাম্পু করা পানি ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে সেখানে কয়েক ফোটা মূত্র মেশাতে হবে।
  • মূত্র বা প্রস্রাব মিশ্রণ করার হয়ে হয়ে গেলে লক্ষ্য করতে হবে সেখানে প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়েছে কি না, যদি হয় তাহলে রেজাল্ট পজিটিভ (result-positive), আর যদি ফেনা না হয় তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ (result-negative)।

চিনি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

চিনি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্টকরতে চাইলে আপনি খুব সহজেই বাড়িতে এই সহজ পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারবেন। অতএব আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা তা সঠিকভাবে পরীক্ষা করার জন্য আপনার ঘরে পরীক্ষাগুলোর মধ্যে এটি একটি ভালো পরীক্ষা। 

সেক্ষেত্রে আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে চিনি এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠে আপনার প্রস্রাবের নমুনা একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিন। যদি আপনার প্রস্রাবে এইচসিজি (HCG) হরমোন উপস্থিত থাকে, তাহলে চিনি দ্রবীভূত নাও হতে পারে এবং পিণ্ড তৈরি করতে শুরু করে। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি নিশ্চয় গর্ভবতী হয়েছেন কিনা তা সঠিকভাবে জানতে পারবেন। 
যদিও এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে অনেকেই বুঝতে পারেন, আবার অনেকেই বুঝতে পারেন না। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। যদি আপনার এই প্রক্রিয়াটি করতে ইচ্ছে না হয় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

নুন দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

নুন দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চাইলে আপনাকে সবার প্রথমে চিনির মতো করেই লবণ ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে করবেন তা এই আলোচনায় বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। সেজন্য আপনাকে প্রথমে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রস্রাবের নমুনা এবং একজনকে লবণ একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিন। তারপর মিনিমাম ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। 
অপেক্ষা করা হয়ে গেলে আপনি একটা সাদা বালটিতে ক্রিমি ঝাঁকুনি তৈরি দেখতে পাচ্ছেন কিনা সেটা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করুন অর্থাৎ পরীক্ষা করুন। যদি আপনি দেখতে পান ক্রিমি ঝাঁকুনি দিচ্ছে তাহলে রেজাল্ট পজিটিভ (result-positive), আর যদি ক্রিমি ঝাঁকুনি না দেখা যায় তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ (result-negative)। তথ্যসূত্রঃ https://www.bajajfinservhealth.in/

ভিনেগার দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

ভিনেগার দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চাইলে আপনারা খুব সহজেই বাড়িতে বসে টেস্ট করতে পারবেন। বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সেটা চেক করতে সাদা ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা সঠিকভাবে না জানলে বুঝতে পারবেন না। তাই আসুন সঠিক নিয়ম কানুন এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন।

সবার প্রথমে আপনাকে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে আপনার নমুনা এবং সাদা ভিনেগার ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। এরপর মিনিমাম তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা শেষ হয়ে গেলে সেখানে বুদবুদ গঠনের সাথে ভিনেগারের রং পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা সঠিকভাবে পরীক্ষা করুন। 
যদি বুদবুদ করে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন রেজাল্ট পজিটিভ আর যদি আপনার সেই পরীক্ষাকৃত পানি বুদবুদ না করে তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ অর্থাৎ আপনি প্রেগন্যান্ট নন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন এই যে পরীক্ষাগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে করা হয় সেগুলো সঠিকভাবে সবসময় ফলাফল নাও দিতে পারে। 

সুতরাং অবশ্যই চিন্তা না করে সতর্ক থাকুন এবং আপনি নির্ভর করতে পারেন এরকম পরীক্ষা করুন। যাতে করে আপনি সঠিক ফলাফল পান। আশা করি সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট এই বিষয়টি সম্পর্ক জানার পাশাপাশি ভিনেগার দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।

যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রাকৃতিক ঘরে তৈরি পরীক্ষাগুলি নিশ্চিত-শট ফলাফল নাও দিতে পারে। সুতরাং, সতর্ক থাকুন এবং আপনার উপর নির্ভর করতে পারেন এমন ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময়

অনেকেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক নিয়ম জানেন না এটি মূলত টেস্ট করার সঠিক নিয়ম রয়েছে। যার কারণে অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। যেহেতু আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না সেহেতু এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। আপনাদের কথা চিন্তা করেই আজকে আমি এ বিষয়টি একদম সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

যদি কোন মহিলার মাসিক সঠিক সময় না হয় এবং আপনি যদি কনডম, পিল বা বড়ি ও ইনজেকশন ব্যবহার ছাড়া সহবাস করে থাকেন তাহলে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে। মাসিক মিস হওয়ার প্রথম দিনই আপনাকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে হবে তাহলে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সেটা সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
মূলত প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য একজন গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবের একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয় আর এটির ফলে একজন গর্ভবতী মহিলাদের প্রস্রাবে যে হরমোনের পরিমাণটি শুরু থেকে অল্প পরিমাণে থাকে সেটি আবার গর্ভধারণের সময় শুরুর দিকে কিংবা সহবাস শেষ হয়ে গেলে দ্রুত টেস্ট করে নিতে হয়। 

যদি আপনি টেস্ট করেন তাহলে সাধারণত হরমোনের যে উপস্থিতি রয়েছে সেটির সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। আর এই কারণেই সহবাসের পর কমপক্ষে ২১ দিন কিংবা পরবর্তীতে যে মাসিকের সময় রয়েছে সেই তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এতে করে সঠিকভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো সম্ভব হয়। 

বর্তমান সময় আধুনিক যুগ আর এই যুগে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে অবশ্যই আপনাকে সামনে মাসের পিরিয়ডের তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এমনকি গর্ভধারণের নয়কিনের মধ্যে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে তাহলে আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন যে গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।

শেষ কথাঃ সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

আশা করি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা সকলেই সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সকল নিয়ম কানুন সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনারা টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। যেহেতু আপনারা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে হয়তো কোথাও শোনেননি কিংবা জানেন নি। 
আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন মতামত বা প্রশ্ন জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবে। পাশাপাশি অন্যদের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪