মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫ এ কি কি রয়েছে যদি আপনাদের না জানা থাকে
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। কারণ আজকে আমি আর্টিকেলে মাসে ২০ হাজার
টাকা আয় করার ১৬টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো এবং সঠিক গাইডলাইন দিবো যাতে করে
আপনারা সঠিকভাবে ইনকাম করতে পারেন। তাই আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নিন।
এছাড়াও যদি আপনারা এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে মাসে
২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে কি কি দিক অনুসরণ করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে,
চলুন আর দেরি না করে A to Z গাইডলাইন জেনে নিন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫ সালে অনেক রয়েছে তার মধ্যে আজকে আমি
১৬টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যেগুলো থেকে আপনারা মাঝে বিশ হাজার
থেকে আরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন যুগ। আর এই যুগে আমরা
অনেকেই চেষ্টা করি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার।
তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিক স্কিল না জানার কারণে সামনে এগোতে। তবে একটি বিষয়
অবশ্যই মনে রাখবেন ২০২৪ সাল থেকে ২০২৫ সালে আরো বেশিঅনলাইনে ইনকাম করার চাহিদা
বৃদ্ধি পেয়েছে আর এই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু স্কিল
প্রয়োজন পড়বে।
যদি আপনি সঠিকভাবে দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনারা
অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ২০২৫
সালে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে তা অবশ্যই জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন আর
দেরি না করে ধৈর্য ধরে আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
তাহলে আশা করি আপনারা সকলেই সঠিক গাইডলাইন পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। তাহলে চলুন আর
দেরি না করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫ সালে কি কি রয়েছে তা
বিস্তারিত জেনে নিন।
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
- কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে
- ব্লগিং করে ইনকাম
- আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম
- ফেসবুক এর মাধ্যমে
- গ্রাফিক ডিজাইনিং করে আয়
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- এসইও এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
- অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
- ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে
- অ্যাপ ডিজাইনার করে আয়
- অনলাইনে বই বিক্রি করে
- ফটোগ্রাফি করে ইনকাম
- অনলাইনে নিজের পন্য বিক্রি করে
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল
ফ্রিল্যান্সিং। এটি এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে একটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। যেহেতু আপনারা
ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে খুব সহজে কাজ করতে পারবেন। সেহেতু এটিকে সকলেই মুক্ত
পেশা বলে থাকেন। আর এটাকে মূলত ফ্রিল্যান্সিং বলে সম্বোধন করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কোন বিষয়ের উপর (যেমনঃ- গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটার,
এসইও এক্সপার্ট, ভিডিও এডিটর ইত্যাদি দক্ষতা অর্জন করে তার ওপর বিশেষজ্ঞ হয়ে
ওঠা। আর যদি আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে
অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আপনার জন্য আয়ের একটি উৎস হতে পারে।
অনেকেই রয়েছে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পছন্দ করে বা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা
কেউ লেখাপড়ায় দক্ষতা অর্জন করতে চান। তবে এই সেক্টরগুলোতেও আপনি যদি দক্ষতা
অর্জন করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এ হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেগুলো
করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
দিন দিন বেকারত্ব হার বেড়েই চলেছে আর সে কারণেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটা অনেকেই
বেছে নিয়েছে বেকারত্বদের মধ্যে অনেকেই। তবে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ২০২৫ সালে
আরো বেশি উন্নতির দিকে এগিয়েছে।
যদি আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে এখানে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন
প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখাপড়ার উপর ভিত্তি করে কাজ
ইত্যাদি। মূলত এই কাজগুলো করেই আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম
যদি আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য জনপ্রিয় হতে পারে কনটেন্ট
রাইটিং। এই কনটেন্ট রাইটিং করে অনেকেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করছেন।
আবার অনেকে আরও অনেক বেশি টাকা আয় করছেন। তবে আপনার কাজের উপর নির্ভর করে ইনকাম
বৃদ্ধি হবে।
বিশেষ করে যদি আপনার হাতে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি
বিভিন্ন ধরনের জীবনযাপন, স্বাস্থ্য, বিনোদন, রান্না ইত্যাদি বিষয়ের উপর লেখালেখি
করে আয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, যদি আপনি Content Writing এ দক্ষ হন তাহলে
Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদিতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে
পারবেন।
আরো মজার বিষয় হল এই টাকা আপনি খুব সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে বিকাশে বা পেপালে
তুলতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন আর্টিকেল লেখার যে নিয়ম রয়েছে সেটি
অবশ্যই জানতে হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয়
উপায়।
ব্লগিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় একটি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হল ব্লগিং। আপনারা
চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে।
তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর আপনার ব্লগের কন্টেন্ট, নিশ, গুণমান, এবং দর্শকদের
সংখ্যার উপর।
এছাড়াও এই ব্লগিংয়ের কিছু নীতিমালা রয়েছে যদি আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা
ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে প্রতি ৫০ হাজার পেইজ ভিউ নিয়ে আসতে হবে।
প্রতি পেজ ভিউ গড়ে ০ দশমিক ৫ সেন্ট থেকে ০ দশমিক ৯০ সেন্ট হয়ে থাকে, তাহলে আপনি
প্রায় ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি ইনকাম করতে পারবেন।
আর যদি আপনি এর থেকেও আরো বেশি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার ব্লগিংয়ের বিভিন্ন
বিষয়বস্তুর ওপর এবং বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করবে। এখানে যে ইনকাম করার কথা বলা
হয়েছে এটি মূলত গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করে ইনকাম করার প্রসেস। ব্লগিং করে
অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।
এখানে কাজ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করতে হবে।
তাড়াহুড়া করে কখনোই অনলাইনে ইনকাম করা যায় না। ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কমপক্ষে
এক বছর হাতের সময় নিয়ে আসতে হবে। তারপরেই আপনি ব্লগিং করে সফলতা অর্জন করতে
পারবেন।
ফেসবুক থেকে ইনকাম
আমরা কমবেশি অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। তবে আপনি কি জানেন এই ফেসবুক থেকে
আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন? হয়তো জানেন না, এমন অনেক উপায়
রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে ইনকাম করতে পারবেন।
সে উপায় গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম একটি উপায় হল ফেসবুক পেজ খুলে ইনকাম। প্রথমত
আপনাকে ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করতে হবে। এগুলোকে মূলত
এগুলোকে Reels ভিডিও বলা হয়। (তবে ভিডিওর মান অবশ্যই মানসম্মত এবং মানুষের
চাহিদার উপর নির্ভর করে তৈরি করতে হবে)
এই ভিডিওগুলো আপনার পেজে আপলোড করতে হবে এবং যত মানুষ আপনার এই ভিডিওগুলো দেখবে
আপনার তত বেশি ইনকাম হবে। আর আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ফেসবুক পেজ খুলে প্রতি মাসে
২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের মধ্যে যে সকল জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো রয়েছে তার মধ্যে
অন্যতম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। অনেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রচুর টাকা ইনকাম
করছেন। তার কারণ হলো এখানে সময় অনেক বেশি লাগলেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন
দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনেকেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম
করছে।
আর আপনি যদি তাদের মত ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন
ভালোভাবে শিখতে হবে এবং ধৈর্য ধরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তারপর Upwork, Fiverr, Freelancer একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রফেশনাল
পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ১৫টি
যাতে করে ক্লায়েন্টরা আপনার পোর্টফোলিও দেখে কাজের জন্য নক করে। তারপর যদি কোনো
ক্লাইন্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর কাজ দেয়, তাহলে সেটি যদি আপনি ভালোভাবে করতে
পারেন তাহলে ভালো রিভিউ পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে এটিও একটি জনপ্রিয় উপায়।
আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনেকের পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি যদি আপনি আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করেন তাহলে
বিষয়টা কেমন দেখায়? অবশ্যই ভালো দেখায়। কারণ আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদা ২০২৫
সালের অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই যদি আপনি সঠিকভাবে এবং সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে আর্টিকেল রাইটিং এরও বড়
দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে
আর্টিকেল রাইটিং করে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে আর্টিকেল রাইটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে
আশা করা যায় আপনি প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে
অবশ্যই পড়াশোনার পাশাপাশি আর্টিকেল রাইটিং হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনেকেই টপ রেংকিং-এ বাংলাদেশে রয়েছে। যদি আপনি একজন ভালো
ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন, তাহলে আমার জানা মতে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে
পারদর্শী।
তাই আপনিও যদি তাদের মতো করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান
তাহলে অবশ্যই যেকোনো একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যান। তারপর সেখানে ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট শিখে নিন। তবে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট করে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করেন তা জেনে নিবেন।
তারপর ভর্তি হয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ওপর দক্ষতা অর্জন করে Upwork, fiverr,
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার ক্লায়েন্টের কাজ
করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে এই সেক্টরে সকলে সফল হতে পারে না/ তাই জেনে বুঝে অবশ্যই ধাপ বাড়ানো উচিত।
কারণ এই সেক্টরে আপনাকে সকল কোডিংগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
যেখানে আপনি খুব সহজেই সীমিত পরিমানে ইনভেস্ট করে অনেক বেশি লাভজনক হতে পারবেন।
যদি আপনি টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলেও ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনি অন্য
কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে
আপনি কিছু কমিশন পাবেন অর্থাৎ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে অনেক ভালো ভালো কোম্পানির রয়েছে যেগুলো কোম্পানিতে কাজ করে মার্কেটিং-এ
বিভিন্ন পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি করা মাধ্যমে এবং ক্রেতাদের উৎসাহিত ও ধারণা
দেওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। আমার জানা মতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এটিও একটি
জনপ্রিয় উপায়।
এসইও এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম
এসইও (SEO) যার পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল
শাখা হলো এসইও। যদি আপনি এসইওতে এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই
আপনাকে এসইও ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এসইও মানে হলো কোন ওয়েবসাইটকে গুগলের
সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানো। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটকে প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে এসে
ভিজিটর আনার প্রক্রিয়াকেই মূলত এসইও বলা হয়।
এসইও করে আপনি যত বেশি ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন ঠিক তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
বিশ্ববাজারে এসইও এক্সপার্টদের হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেগুলো করে প্রচুর টাকা
ইনকাম করা সম্ভব। তাই যদি আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে
এসইও এক্সপার্ট হয়ে যান।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ও লাভজনক মাধ্যম হল ইউটিউব। বর্তমান
সময়ে ইউটিউবিং করে মানুষ এখন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। তাই যদি আপনি একটি
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে একটি
প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
তারপর সেখানে নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করতে হবে, তবে হ্যাঁ যে ভিডিও গুলো আপনি
আপলোড করবেন সেগুলো অবশ্যই মানুষের চাহিদা সম্পন্ন এবং মানসম্মত ভিডিও হতে হবে।
তাহলে মানুষের দেখার চাহিদা বাড়বে এবং মানুষ সে ভিডিওগুলো ভিউ করবে।
আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিউ হবে আপনি google এডসেন্সের মাধ্যমে তত বেশি
ইনকাম করতে পারবেন। তবে প্রথম অবস্থায় ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার করতে
হবে। তারপর গুগল মনিটাইজেশন অন করে আয় করা শুরু করতে হবে। এর আগে আয় করতে
পারবেন না।
তাই ধৈর্য ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেন আশা করি আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন। আপনি যত
বেশি ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলে
শুধুমাত্র ২০হাজার টাকা ইনকাম হবে তা নয়।
যদি আপনি ভালোভাবে ইউটিউব চ্যানেল এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন এবং ভিউয়ার বৃদ্ধি
করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনি ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম
পর্যন্ত করতে পারবেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা স্টুডেন্ট। তবে স্টুডেন্টরাও অনলাইনে কোর্স
বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এইটা
কিভাবে? দেখুন আপনি যদি কোন একটি বিষয়ের উপর পারদর্শী হন অর্থাৎ কোন একটি
সাবজেক্টের উপর দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি সেই বিষয়ের উপর অনলাইনে কোর্স
তৈরি করবেন, এবং সেই কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।
তবে প্রথম অবস্থায় আপনাকে অনলাইন কোর্সগুলো ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে হবে এবং
কিভাবে অনলাইন কোর্স করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখে
নিবেন এবং দক্ষতা অর্জন করবে। প্রথম অবস্থায় না হলে আস্তে আস্তে আপনার অনলাইন
কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম শুরু হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
গুলোর মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় উপায়।
অ্যাপ ডিজাইনার করে আয়
বর্তমান সময়ে অ্যাপ ডিজাইনার করেও আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে
অনেকের ক্ষেত্রে অ্যাপ ডিজাইন করা সম্ভব হয় না। কারণ অ্যাপ ডিজাইনার করতে গেলে
কোডিং জানতে হয় যা অনেকের দাঁরা হয় না।
তবে আপনি যদি কোডিং শিখতে পছন্দ করেন বা কোডিং করার চাহিদা থাকে তাহলে আপনি অ্যাপ
ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সারা বিশ্বে অ্যাপ ডিজাইনারের প্রচুর
চাহিদা রয়েছে। যদি আপনি সঠিকভাবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে
আশা করা যায় আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
শুধু যে ২০ হাজার টাকা তা নয় আপনি চাইলে প্রফেশনাল ভাবে অ্যাপ ডিজাইন করে প্রতি
মাসে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি এর থেকেও বেশি
ইনকাম অ্যাপ ডিজাইন করে করতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আপনার অ্যাপ ডিজাইনের ওপর এবং
মানুষের চাহিদের উপর নির্ভর করে।
অনলাইনে বই বিক্রি করে ইনকাম
অনলাইনে পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি করার মতোই অনলাইনে আপনারা খুব সহজেই বই বিক্রি
করতে পারবেন। তবে অনলাইনে বই বিক্রি করতে চাইলে আপনার সর্বপ্রথম প্রয়োজন পড়বে
একটি ওয়েবসাইট। সেখানে আপনার অনলাইনে যেগুলো বই বিক্রি করবেন সেগুলো ভালোভাবে
সাজিয়ে রাখবেন।
তারপর সেই ওয়েবসাইটে যে সকল ট্রাফিক বা ভিজিটর আসবে তাদের মধ্যে যাদের পছন্দ হবে
তারা অনলাইন থেকে আপনার কাছ থেকে বই ক্রয় করবেন। আর এভাবেই আপনি অনলাইনে বই
বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। প্রতিমাসের ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার ভালো
একটি উপায় হল এই উপায়।
ফটোগ্রাফি করে ইনকাম
আমরা কারণে কিংবা কারণে নিজের মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে থাকি। কিন্তু আমরা
অনেকেই জানিনা যে এই ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। তবে হ্যাঁ যদি
আপনি একজন ফটো প্রেমি হন তাহলে অবশ্যই উন্নত মানের ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে Istock, Gettyimage, Pond5 ইত্যাদি
মার্কেটে আমার আপনার ছবি আপলোড করে বিক্রি করা সম্ভব।
যদি এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কেউ আমার/ আপনার কিনে তাহলে আমাদের একাউন্টে টাকা জমা
হবে। আর এভাবে প্রতিদিন বেশি বেশি ছবি আপলোড করে মাস শেষে দেখা যাবে খুব সহজেই ২০
হাজার টাকা ইনকাম হয়ে গেছে। তাই আর দেরি না করে আপনারা সকলেই ছবি বিক্রি করার
মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে নিজের পন্য বিক্রি করে
যদি আপনি কোন পণ্য কম দামে কিনে সেগুলো আবার অনলাইনে বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে
পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে একটি
Facebook Page তৈরি করে কিংবা Daraz অথবা bikroy.com এ বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা পণ্য
কম দামে কিনে এই ওয়েবসাইটগুলোতে বেশি টাকা দিয়ে বিক্রয় করে ইনকাম করতে
পারবেন।
যদিও আপনার প্রথম কয়েক মাস ইনকাম কম হবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনি খুব সহজেই মাসে
বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে
এটিও একটি জনপ্রিয় উপায়।
লেখকের শেষ কথাঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৫
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বিভিন্ন রয়েছে যেগুলো আজকে আমি এই আর্টিকেলে
আলোচনা করেছি। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন থেকে অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।
আশা করি আপনারাও সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে তাদের মতো করে অনলাইন থেকে অনেক বেশি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তাঁরা অবশ্যই
অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত জানানোর থাকে তাহলে কমেন্ট
করে জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url