দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনাদের না জানা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিন। কারণ এখানে যদি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আশা করা যায় আপনারা দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে একদম সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
শুধু তাই নয় এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার? এ বিষয়টি সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবেন। তাই আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকৃত হবে।

দুবাই থেকে ইতালি ভিসা | দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব কত কিলোমিটার?

বর্তমান সময়ে দুবাইতে অনেক শ্রমিক রয়েছে। আর ঠিক সে কারণেই দিন দিন তাদের চাহিদাও অনেকটা কমে আসছে। বর্তমান সময়ে দুবাইয়ে কাজের অভাব অনেকটাই রয়েছে এবং এখানে বেশি কাজ করেও ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনেক মানুষ চিন্তা করেন যে দুবাই থাকা অবস্থায় ইউরোপের দেশে বা ইতালি সহ অন্যান্য রাষ্ট্র কিভাবে যাওয়া যায়। 

বর্তমান সময়ে যদি আপনারা দুবাই থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে অবশ্যই সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার অবস্থা অনুযায়ী আপনিও তাদের মত করে দুবাই কিংবা বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
যদি আপনি বৈধভাবে যাওয়ার প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই জেনে বুঝে যাবেন। তবে আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে দুবাই যাওয়া থেকে শুরু করে কি কি করতে হবে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আশা করি আপনারা সকলেই এই আর্টিকেলের সাথেই থাকবেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন অবৈধভাবে কখনোই বাইরের দেশে যাবেন না। এতে করে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার পদ্ধতি | দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব কত কিলোমিটার?

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই দুবাই ১ বছর থাকতে হবে। তারপরেই আপনি দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কারণ দুবাইতে বিভিন্ন নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো বাইরে আপনি কখনোই কোন কিছু করতে পারবেন না। কারণ দুবাইয়ের এমন নিয়ম রয়েছে যে যদি কোন ব্যক্তি দুবাই থেকে অন্য কোথাও যেতে চান তাহলে অবশ্যই অন্তত এক বছর দুবাইয়ে অবস্থান করতে হবে। 
তারপরে অন্যান্য দেশে ভিসার জন্য কিংবা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে তার আগে কখনোই যাওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনাকে কিছু প্রসেস অবলম্বন করতে হবে যেগুলো প্রসেস অবলম্বন করলে আপনি টুরিস্ট ভিটা কিংবা অন্যান্য যে কোন ভিসায় পাড়ি জমাতে পারবেন। তাই আসুন কি কি প্রসেস গুলো রয়েছে জেনে নিন।

  • যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ইতালিতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই সেটিকে কনভার্ট করে নিতে হবে কাজের ভিসায়। তারপরে আপনি এক বছর সেখানে অবস্থান করার পর ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • তারপর ইতালি যাওয়ার জন্য কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। যেমন বিজনেস ভিসা, কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, সহ আরো অন্যান্য ভিসা।
  • তবে যদি আপনি নরমাল ভিসাতে কিংবা কাজের ভিসাতে ইতালিতে পারি যেমন সেক্ষেত্রে তেমন কোন রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন পড়ে না। এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিলেই হয়ে যায়।
  • যদি আপনি নরমাল ভাবে কোন ভিসা নিয়ে অর্থাৎ কাজের বিষয় নিয়ে অন্য দেশে পাড়ি জামান তাহলে অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে যদি আপনি অন্য কোন হাই ক্যাটাগরির কাজ নিয়ে অন্য দেশে যেতে চান তাহলে কখনোই ভিসা এপ্রুভাল হবে না। তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

দুবাই থেকে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

যদি আপনি দুবাই থেকে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে যে বিষয়গুলো ফলো করতে হবে আজকে আমি সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না এবং আপনারা যারা নতুন অবস্থায় বাইরের দেশে আবেদন করার জন্য প্রস্তুত তাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি নিম্নে আলোচনা করব। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
  • প্রথমত আপনাকে ইতালির যে সকল জব ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোতে একটি সিভি তৈরি করে জমা এবং আবেদন করতে হবে।
  • তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন তাদের যে রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে অর্থাৎ নিয়ম-কানুন রয়েছে সেই অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে।
  • এরপর আবেদন করা হয়ে গেলে আপনার ফোন নম্বর অথবা ইমেইল এর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাই সবসময়ই ফোন অন করে রেখে দিবেন।
  • এরপর যদি আপনার রিকোয়ারমেন্ট অর্থাৎ তাদের দেওয়া নিয়মকানুন অনুযায়ী যদি সবকিছু কাগজ পত্র ঠিক থাকে তাহলে আপনার ভিসা তৈরি করার জন্য যে প্রসেসগুলো রয়েছে তারাই করে দিবে।
  • এরপর আপনাকে একটি ইনভাইটেশন লেটার নিয়ে দুবাইয়ের ইতালি দূতাবাস হতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মূলত উপরে উল্লেখিত যে কয়েকটি পদক্ষেপ গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোর সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আপনার দুবাই থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিছুদিনের মধ্যে চলে আসবে। এটি আসতে অন্তত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। তাই অবশ্যই ধৈর্য ধরে আপনার ভিসাটি গ্রহণ করবেন।

দুবাই থেকে ইতালি ভিসা আবেদন | দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার?

বর্তমান সময়ে দুবাই থেকে ইতালি ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে আপনি চাইলে দুবাই থেকে ইতালিতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ বাদেও ইন্ডিয়াতেও বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে ইতালিতে কাজের ভিসা দিয়ে ইতালিতে পাঠাচ্ছে। সেখানে আপনারা চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এবং সরাসরি ইতালি যাওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ নিতে পারবেন। 
শুধু তাই নয় আপনি চাইলে সরাসরি ইতালি দূতাবাসে গিয়েও যোগাযোগ করে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনারা এই দূতাবাসে যাতে পারেন তাহলে কতগুলো লোক ভিসার জন্য আবেদন করছে বা করতে পারবে বা কতগুলো নিবে তার সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেখানে গিয়ে আপনার বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। এবং আপনি চাইলে সেই অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার?

দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার সেটা অনেকেই জানেন না। ঠিক সেজন্যই আজকে আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের সঠিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
  • ৬ মাস মেয়াদী এক্টিভেট পাসপোর্ট লাগবে।
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • এনআইডি (NID) কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে।
  • ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে।
  • বর্তমান সময়ে কোন কাজের নিয়োজিত আছেন তার প্রমান প্রয়োজন পড়বে।
  • এর আগে কোথায় ট্র্যাভেল করেছেন তার প্রমাণ লাগবে।
  • আপনার কোন কাজের উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা রয়েছে তার একটি বেতন রশিদ প্রয়োজন পড়বে।
  • দুবাইতে কতদিন অবস্থান করছেন তার প্রমান, পাসপোর্টের একটি কপি লাগবে।
মূলত এই সকল কাগজপত্রই প্রয়োজন পড়ে। এগুলো আপনাকে দুবাইয়ের যেকোনো এজেন্সিকে দিতে হবে। তারপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। মূলত এ সকল কাগজপত্র বাদেও যদি আপনার কোন কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেটা জানিয়ে দিবেন। আশা করা যায় এর বাইরে আর কিছু লাগবে না।

দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব | দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার?

অনেকেই জানতে চেয়েছেন দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব বা কত কিলোমিটার? সাধারণত দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব ৬২৬৭ কিলোমিটার। আর যদি আপনি বিমান পথে দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে চান তাহলে তার দূরত্ব ৪৩২১ কিলোমিটার। যদি আপনারা না বুঝতে পারেন তাহলে নিচে একটি ছবি দিয়েছি সেখান থেকে আপনারা জেনে নিন।

আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন ১ঃ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ কত?

উত্তরঃ ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।

প্রশ্ন ২ঃ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য দুবাইতে কতদিন থাকতে হবে?

উত্তরঃ এক বছর অবস্থান করা লাগবে।

প্রশ্ন ৩ঃ দুবাই থেকে কি ইতালি যাওয়া যায়?

উত্তরঃ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া যায়। 

লেখকের মন্তব্যঃ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা সকলেই দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন যেগুলো জেনে আশা করি অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনারা এ বিষয়গুলো জানার পর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি নিয়মিত https://www.emamdigitalbd.com/ ভিজিট করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪