চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয় - চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয়
সম্মানিত পাঠক আপনার হয়তো অনেকেই চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয় এই সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য কোথাও না পাওয়ার কারণে হয়তো এই আর্টিকেলে এসেছেন।
তাই আপনাদের চিন্তা মাথায় রেখে আজকে আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো চিনা
হাঁস কত দিনে ডিম দেয় এই সম্পর্কে। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
চিনা হাঁস হলো অনেক সৌখিন এবং এটি পৃথিবীব্যাপী হাঁস খামারীদের কাছে বেশ
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই চিনা হাঁসের মাংস এত যে সুস্বাদু এবং ভালো বলে অনেকেই
এর চাহিদা বেশি করেন। তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা চিনা হাঁস লালন-পালন করেন
ডিম উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার জন্য। কিন্তু চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয় সেটা
কি জানেন? হয়তো অনেকেই জানেন না। নিচে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি আপনারা সকলেই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিবেন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক যদি আপনারা এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন
তাহলে চিনা হাঁসের তথ্য বা চিনা হাঁসের জাতের তথ্য, চিনা হাঁসের খাদ্য তালিকা,
চিনা হাঁসের ডিম কত দিনে ফোটে, চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয়, চিনা হাঁসের
বাচ্চার দাম কত, চিনা হাঁসের ভ্যাকসিন তালিকা, চিনা হাঁসের ঔষধের তালিকা, এই সকল
বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তাই আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল খুব মনোযোগ
সহকারে পড়বেন এবং এ বিষয়গুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি তাড়াহুড়া করে না পড়ে
ধীরে ধীরে পড়ার চেষ্টা করবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে
নেওয়া যাক।
চিনা হাঁসের তথ্য বা চিনা হাঁসের জাতের তথ্য
আপনাদের মধ্যে যারা চিনা হাঁসের তথ্য বা চিনা হাঁসের জাতের তথ্য সম্পর্কে না
জানেন তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল এর অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন। কারণ নিচে আমরা
বিস্তারিতভাবে চিনা হাঁসের তথ্য সঠিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন আর
দেরি না করে জেনে নিন।
১) -- চিনা হাঁসের জাতের নাম -- মাসকোভি ( cairina moschata)
২) -- চিনা হাঁসের অন্যান্য নাম -- চীনা,মাস্কো এবং বার্বারী।
৩) -- চিনা হাঁস পালনের উদ্দেশ্য -- মাংস ও সৌখিনতার জন্য।
৪) -- চিনা হাঁসের জাতের আচরণ -- ধীরস্থির,শক্ত,আকর্ষনীয় এবং শান্তশিষ্ট।
৫) -- চিনা হাঁসের আকার -- এ জাতের হাঁস গুলো সাধারণত বড় আকৃতির হয়ে থাকে।
পাড়া হাঁসের ওজন প্রায় ৪ কেজি থেকে ৬/৭ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং পারি হাঁসের
ওজন ২ কেজি থেকে ৫/৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৬) -- ডিমে তা দেওয়ার প্রবণতা -- অন্যান্য হাঁসের মতোই।
৭) -- আবহাওয়া সহনশীলতা -- সব ধরনের আবহাওয়াতে সহনশীল।
৮) -- ডিমের রং -- সাদা রঙের হয়ে থাকে।
৯) -- ডিমের আকার -- অন্যান্য হাঁসের তুলনায় বড়। এই জাতের হাঁসের ডিমের ওজন
প্রায় ৬৫ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
১০) -- ডিম উৎপাদনের পরিমাণ -- এরা বছরে প্রায় ১০০ থেকে ১২০টি ডিম দিয়ে
থাকে।
১১) -- হাঁসের রং -- কালো, নীল, সাদা, চকলেট, সবুজাভ কালো সহ কয়েকটি রঙের হয়ে
থাকে।
১২) -- এই জাতের হাঁসের মূল দেশ -- ইউরোপ, আমেরিকা এবং ব্রাজিল।
চিনা হাঁসের ডিম কত দিনে ফোটে
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা গ্রামাঞ্চলে এই চেনা জাতের হাঁসগুলো পালন করে
থাকেন। কিন্তু তারা অনেকেই জানেন না যে চিনা হাঁসের ডিম কত দিনে ফোটে। কিংবা এই
চিনা হাঁসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে কতদিন সময় লাগে। যেহেতু আপনারা জানেন না
সেহেতু আপনাদের সুবিধার্থেই আমরা এই বিষয়টির সঠিক উত্তর নিয়েই আজকের এই
আর্টিকেলের অংশটুকুতে হাজির হয়েছি। তাই আসুন জেনে নিন।
চিনা হাঁসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ২৮ দিন সময় লাগে। আর এই সময়ের
মধ্যে দুই একদিন কমবেশি হতে পারে এটা প্রত্যেকটা জাতের হাঁসের ক্ষেত্রেই হয়ে
থাকে। তবে আনুমানিক ২৮ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয়
যারা জানেন না চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয় তারা এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন।
সাধারণত চিনা হাঁস ৬ থেকে ৭ মাস বয়স হওয়ার পর থেকেই ডিম দেওয়া শুরু করে। এই
চিনা হাঁস গুলো বছরে প্রায় ৭০ থেকে ১২০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। তবে একটানা এই
হাঁসগুলো ৮ থেকে ১৬ টি ডিম পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
এরপর প্রায় ৩৫ দিনের জন্য আবার ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এই জাতের যে হাঁসগুলো
রয়েছে সেগুলো অনেক বছর পর্যন্ত ডিম দিতে থাকে। তাই আপনারা যারা এই হাঁসগুলো
নেয়ার জন্য ইচ্ছুক তারা নিতে পারেন। এই জাতের হাঁস গুলো থেকে বছরে ভালো ডিম
পাওয়া আশা করা যায়।
চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়
চিনা হাঁস, যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Anas platyrhynchos domesticus. আমাদের দেশে
একটি জনপ্রিয় হাঁসের প্রজাতি চিনা। এটি শুধু মাংসের জন্য নয়, ডিম উৎপাদনের
জন্যও বিখ্যাত। চিনা হাঁস পালনের মাধ্যমে অনেকেই কৃষি ও পোল্ট্রি খাতে সাফল্য
অর্জন করছেন। তবে, যারা নতুন করে হাঁস পালনে আগ্রহী, তাদের প্রাথমিক প্রশ্নগুলোর
মধ্যে অন্যতম হলো চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়?
সাধারণত, চিনা হাঁস ৬ থেকে ৭ মাস বয়স হওয়ার পর থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে
সঠিক যত্ন ও পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করালে এই সময়কাল আরও নির্ভরযোগ্য হতে পারে।
চিনা হাঁস প্রতি বছর প্রায় ৭০ থেকে ১২০টি ডিম পর্যন্ত দিতে পারে।
ডিম উৎপাদনের জন্য চীনা হাঁসের যে খাদ্য তালিকা রয়েছে এবং পরিবেশ দুটোই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চমানের প্রোটিন যেমন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য
পর্যাপ্ত পানি সঠিক আবাসন এগুলো সঠিকভাবে দিলে ডিম দেওয়ার সময়কাল এবং
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি হতে পারে। আশা করি চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয় এই সম্পর্কে
বিস্তারিতও জানতে পেরেছেন।
চিনা হাঁসের বাচ্চার দাম কত
অনেকেই একটি প্রশ্ন করেন সেটা হল চিনা হাঁসের বাচ্চার দাম কত? চিনা হাঁসের
বাচ্চার দাম সাধারণত ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এই এটি স্থান,
বাচ্চার বয়স, হাঁসের জাত, বাজারে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়ে
থাকে।
কোন কোন সময় চিনা হাঁসের বাচ্চার দাম কিছুটা কম থাকে আবার কোন কোন সময় অনেক
বেশি থাকে। তাই যদি আপনি এই বাচ্চাগুলো নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এলাকার
বাজারে কিংবা পোল্ট্রি ফার্মে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে আপনি এর সঠিক দাম পেয়ে
যাবেন।
চিনা হাঁসের খাদ্য তালিকা
যদি আপনারা চিনা হাঁসকে ভালোমতো পুষ্টিকর খাবার এবং লালন পালন করতে পারেন তাহলে
এই জাতের হাঁস থেকে অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। কারণ এই হাঁসগুলোকে যত আপনি
পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন ঠিক ততই দৈহিক বৃদ্ধি পাবে ফলে আপনার লাভবান হওয়ার
অনেক বেশি সুযোগ থাকবে।
এছাড়াও এই হাঁসগুলোকে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি চিনা হাঁসের খাদ্য
তালিকা নিচে বিস্তারিত দিয়েছি। আশা করি আপনারা এই অনুযায়ী চীনা হাঁসকে খাদ্য
খাওয়ালে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
ক্রমিক নং -- খাদ্য উপাদান -- বাচ্চা হাঁস (০-৬ সপ্তাহ) -- বাড়ন্ত হাঁস (৭-১৯
সপ্তাহ)
১) -- ভুট্টা ভাঙ্গা -- ৯ কেজি -- ৯ কেজি।
২) -- গম ভাঙ্গা -- ১৮ কেজি -- ১৯ কেজি।
৩) -- সয়াবিন তেল -- ১১ কেজি -- ১১ দশমিক ৫ কেজি।
৪) -- চালের কুড়া -- ৯ কেজি -- ৮ দশমিক ৫ কেজি।
৫) -- লবণ -- ১৫০ গ্রাম -- ১৫০ গ্রাম।
৬) -- ডিসিপি(DCP) -- ৬২৫ গ্রাম -- ৬২৫ গ্রাম।
৭) -- ভিটামিন প্রিমিক্স -- ১২৫ গ্রাম -- ১২৫ গ্রাম।
৮) -- ঝিনুক চূর্ণ -- ১ কেজি -- ১ কেজি।
৯) -- মিথিওনিন -- ৫০ গ্রাম -- ৫০ গ্রাম।
১০) -- লাইসেন্স -- ৫০ গ্রাম -- ৫০ গ্রাম।
১১) -- প্রোটিন কনসেনট্রেট -- ১ কেজি -- ১ কেজি।
১২) -- সর্বমোট -- ৫০ কেজি -- ৫০ কেজি।
চিনা হাঁসের ভ্যাকসিন তালিকা
সাধারণত চিনা হাঁসের রোগ বালাই কম হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনেক
মানুষ এই চীনা হাঁস লালন-পালন করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিন্তু এই হাঁসের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলেও এ হাঁসগুলোতে কিছু ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত করে। আর
সেই কারণেই অনেক খামারিদের এই হাঁসগুলো মারা যায়।
তাই ভাইরাসনিত রোগ যেন হাঁসকে আক্রমণ করতে না পারে সে জন্যই আজকে আমি এই
আর্টিকেলে চিনা হাঁসের ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। আসুন তাহলে নিচে
হাঁসের ভ্যাকসিন তালিকা বিস্তারিতভাবে দেয়া হয়েছে জেনে নিন।
ক্রমিক নং -- বয়স -- রোগের নাম -- ভ্যাকসিনের নাম -- প্রয়োগ পদ্ধতি
১) -- ২০ থেকে ২২ -- ডাক প্লেগ -- ডাক প্লেগ -- ১ মিলি করে বুকের চামড়ার
নীচে।
২) -- ৪০ থেকে ৪২ – ডাক প্লেগ -- ডাক প্লেগ -- ১ মিলি করে বুকের চামড়ার
নীচে।
৩) -- ৭০ -- ডাক কলেরা -- ডাক কলেরা -- ১ মিলি করে বুকের চামড়ার নীচে।
৪) -- ৯০ -- ডাক কলেরা -- ডাক কলেরা -- ১ মিলি করে বুকের চামড়ার নীচে।
৫) -- ১০০ -- ডাক প্লেগ -- ডাক প্লেগ -- ১ মিলি করে বুকের বা রানের মাংসে।
উপরে উল্লেখিত যে ভ্যাকসিনগুলোর নাম দেয়া হয়েছে এগুলো দেওয়ার পরে প্রতি ৪ মাস
পর পর ডাক প্লেগ টিকা বা ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং ৬ মাস পর পর ডাক কলেরা টিকা দিতে
হবে। এছাড়াও যদি বার্ড ফ্লু এর প্রভাব অনেক বেশি দেখা যায় তাহলে আপনাকে ৪ মাস
বয়স হলেই সাথে সাথে টিকা দিতে হবে। এতে করে আপনার চিনা হাঁস গুলো সুস্থ ও
স্বাবলম্বী থাকবে।
চিনা হাঁসের ঔষধের তালিকা
যদি আপনারা চিনা হাঁস ব্লগে সঠিক মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে হাঁস
সুস্থ থাকবে। এতে করে আপনার হাঁস থেকে অধিক ডিম এবং মাংস উৎপাদন করতে পারবেন। ফলে
অনেক লাভবানও হতে পারবেন। তাই খামারি ভাইদের কথা চিন্তা করে নিচে বিস্তারিতভাবে
চিনা হাঁসের ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো-
ক্রমিক নং -- ঔষধের নাম -- ঔষধের মাত্রা -- ঔষধ প্রদানের সময়
১) -- ডব্লিউ এস (WS) -- ৩ লিটার পানিতে ১ গ্রাম -- ২ থেকে ৩ দিন প্রতি সপ্তাহে,
এইভাবে চার সপ্তাহ পর্যন্ত।
২) -- ই-সেল (E-Sel) -- ৩ লিটার পানিতে ১ গ্রাম -- প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন,
বিশেষ করে ডিম দেওয়ার সময়ে।
৩) -- ভিটামিন এডি৩ই (AD3E) -- ৩ লিটার পানিতে ১ গ্রাম -- প্রতি সপ্তাহে ১-২ দিন,
বিশেষ করে ডিম দেওয়ার সময়ে।
৪) -- রেনামাইসিন -- ২ কেজি খাদ্যে ১ গ্রাম -- ১ থেকে ২ মাস, পরপর ৩ থেকে ৫ দিন।
৫) -- জিংকভেট -- ২ লিটার পানিতে ১ গ্রাম -- ১ থেকে ২ দিন, প্রতি সপ্তাহে
নিয়মিত।
লেখকের মন্তব্যঃ চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা সকলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন চিনা হাঁস
কত দিনে ডিম দেয় এবং চিনা হাঁস বছরে কয়টি ডিম দেয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাই আপনি যদি আর্টিকেলটি
পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোন মতামত জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে রাখুন। আর
আমাদের এই আর্টিকেলটি নিয়মিত ফলো করুন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url