মসুর ডালে কি এলার্জি আছে? আসুন জেনে নিন

সম্মানিত পাঠক মসুর ডালে এলার্জি আছে কিনা তা জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ এই আর্টিকেলে মসুর ডালে কি এলার্জি আছে তা সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তাই আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই নিচে থেকে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন।
মসুর ডালে কি এলার্জি আছে?
এছাড়াও আপনাদের মধ্যে যারা কোন কোন শাকে এলার্জি আছে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারাও এই অংশটুকু থেকে এ বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে নিন।

ভূমিকা

বাঙালিরা ভাত ডাল খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। ডালের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা পূর্ণ ডাল হল মসুর ডাল। এই মসুর ডাল কমবেশি অনেক মানুষ খেয়ে থাকেন। কেউ ভর্তা করে খায় কেউ আবার ঝোল করে খাই। কিন্তু অনেকের একটি সাধারণ প্রশ্ন যে মসুর ডালে কি এলার্জি আছে? এবং কোন কোন শাকে এলার্জি আছে। তাই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই আসুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

লাউ এ কি এলার্জি আছে

লাভ হলো এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা কম বেশি অনেক মানুষ খেতে পছন্দ করেন। এই লাউ খাওয়ার ফলে অনেকের আবার এলার্জির মতো সমস্যা হতে পারে। তাই যদি আপনার লাউ খাওয়ার পরে কোন এলার্জির লক্ষণ বুঝতে পারেন যেমন চুলকানি, লাল লাল ভাব, তাহলে এলার্জি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। 

এছাড়াও যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে লাউ খেতে হবে এরপর যদি কোন লক্ষণ দেখতে পান তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার লাউ খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। আর যদি কোন লক্ষণ না দেখতে পান তাহলে আপনি লাউ খেতে পারবেন। এটি খুবই উপকারী ও পুষ্টিকর সবজি। 
বিশেষ করে এই লাউ গরমকালে অনেক বেশি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তার একটাই কারণ গরমকালে লাউ খেলে শরীর শীতল থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যে কারণে এটি অনেকেই বিভিন্নভাবে রান্না করে খাই যেমন নিরামিষ, ভাজি, সালাদ, কিংবা বড়া হিসেবেও লাভ খেয়ে থাকে।

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা জানতে চেয়েছেন কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি এই আর্টিকেল এর অংশটুকুতে এ বিষয়টি সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বন্ধুরা খাওয়ার জন্য এমন অনেক সবজি রয়েছে যেগুলোতে কিছু কিছু মানুষের এলার্জি আছে আবার কিছু কিছু মানুষের অ্যালার্জি নাই। তবে বিশেষ করে যে সকল খাবারগুলোতে অনেক বেশি এলার্জি পাওয়া যায় সেগুলো হলো

  • টমেটো
  • বেগুন
  • মিষ্টি কুমড়া
  • গাজর
  • বাঁধাকপি
  • ফুলকপি
সাধারণত উপরে উল্লেখিত এই সবজিগুলোতে অনেক বেশি মানুষের এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। তবে যদি আপনার দীর্ঘদিন পর্যন্ত এলার্জির সমস্যা কিংবা লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম

আপনারা যারা এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ নিচে আমরা কিছু অ্যালার্জি জাতীয় খাবারের নাম উল্লেখ করব যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার প্রায় সময় এলার্জির সমস্যা তৈরি হয়। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

  • গরুর দুধ
  • চিনাবাদাম
  • ডিম
  • শেলফিশ
  • মাছ
  • গাছ বাদাম
  • চিনা বাদাম
  • সয়া
  • গম
  • কলা
  • গাজর
  • লেবু
  • শসা
  • গ্রিন টি
  • ভিটামিন সি অথবা কমলা জাতীয় ফল ইত্যাদি।
সাধারণত উপরে যে সকল এলার্জি জনিত খাবারের নাম দেয়া হয়েছে এগুলো খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কিছু কিছু মানুষের এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জি হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু মানুষের হয় না। তাই যদি কারো এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি হয় তাহলে অবশ্যই বেশি দেরি না করে চিকিৎসা করুন।

মসুর ডালে কি এলার্জি আছে

বাঙালিরা ডাল ভাত খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। ডালের মধ্যে সবচেয়ে মসুর ডালের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। প্রায় প্রত্যেক দিনই মসুর ডাল খাওয়া হয় কিন্তু পুষ্টিবিদের মতে নিরাপদ ভেবে মসুর ডাল অতিরিক্ত খাওয়া মোটেও উচিত নয়।

অন্যান্য ডালের তুলনায় সবচেয়ে বেশি মসুর ডাল খেতে অনেক মানুষ পছন্দ করেন। এই ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। গবেষকরা বলেন এক কাপ সেদ্ধ মসুর ডাল থেকে ১৮০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১০ গ্রাম এবং ফাইভারে পরিমাণ প্রায় ছয় গ্রাম। প্রোটিনের ক্ষেত্রে মাছ-মাংস এগুলো চেয়েও অনেকে ডাল খেয়ে থাকেন। কিন্তু সবার জন্য মসুর ডাল নয়।
মসুর ডাল হলো ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এটি খাওয়ার ফলে রক্তের শর্কর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় মসুর ডাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। মসুর ডাল খাওয়ার ফলে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে ও হার্টের স্বাস্থ্য এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। যে সকল ব্যক্তিদের উচ্চ ইউরিক এসিডের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই এই ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

মসুর ডালে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। পিউরিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং জয়েন্টে ব্যথা বাড়ায়। এছাড়াও যে সকল রোগীরা আগে থেকে কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তার কারণ হলো যদি কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্য তালিকায় মৌসুম ডাল থাকে তাহলে কিডনিতে পাথর কিংবা আরো অন্যান্য কিডনিতে বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে।

এছাড়া মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি বেশি খাওয়ার ফলে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই মসুর ডালে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকার কারণে যদি আপনারা অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্য তালিকায় যোগ করেন তাহলে ওজন বৃদ্ধি ও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। 
কারো কারো আবার মসুর ডাল খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। যা ফোলা ভাব চুলকানি এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল যন্ত্রণার মতো বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তাহলে বুঝতে পারছেন মসুর ডালে কি এলার্জি আছে কিনা।

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে

এমন কিছু শাক রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পালং শাক, পুঁইশাক, কচু শাক, মিষ্টি কুমড়ার শাক ইত্যাদি। তবে কোন কোন শাকে এলার্জি আছে এটি যদি আপনি ভালোভাবে শনাক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই শাক খেতে হবে। 

এরপর যদি কোন লক্ষণ দেখা দেয় যেমন চুলকানি, ফোলা ভাব, শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, বুকে ব্যাথা তাহলে সেই শাকগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যদি কোন সাপ খাওয়ার পর সমস্যা না হয় বা এই লক্ষণ গুলো দেখা না দেয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে শাক খেতে পারেন।

সিমে কি এলার্জি আছে

সিমে এলার্জি আছে কিনা তা জানতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে সিম খেতে হবে। খাওয়ার পর যদি চুলকানি ফুসকুড়ি ফোলা ভাব লালচে হয়ে যাওয়া এগুলো লক্ষণ শরীরে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই সিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যদি আপনি এই লক্ষণগুলো না দেখতে পান তাহলে নিশ্চিন্তে আপনি সিম খেতে পারেন। 
সিম খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের এলার্জি হয় আবার কিছু কিছু মানুষের হয় না। এটা সম্পূর্ণ বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। যদি আপনার অ্যালার্জি দীর্ঘ মেয়াদি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

বরবটিতে কি এলার্জি আছে

বরবটিতে কি এলার্জি আছে, আপনারা যারা এই প্রশ্ন করেছেন তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব বরবটিতে অতিরিক্ত এলার্জি নেই। তবে বরবটিতে এলার্জির পরিমাণ কতটুকু আছে তা বোঝার জন্য আপনাকে প্রথমে বরবটি খেতে হবে। 
খাওয়ার পর যদি কোন এলার্জির লক্ষণ বুঝতে পারেন তাহলে বরবটিতে আপনার এলার্জি আছে। আর যদি কোন লক্ষণ না দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে বরবটিতে আপনার কোন এলার্জি নেই।

শেষ কথাঃ মসুর ডালে কি এলার্জি আছে

মসুর ডালে কি এলার্জি আছে আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। যতগুলো ডাল রয়েছে সবথেকে চাহিদা বেশি মসুর ডালে। এটি যদি আপনারা নিয়মিত খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন তবে কিছু কিছু মানুষের মসুর ডালে এলার্জি রয়েছে। তাই যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। (ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪