কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় এই সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনাদের এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আর দেরি না করে আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় জেনে নিন
এই আর্টিকেল এর একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা বিভিন্ন বিষয়ে জেনে যাবেন যেমন- বার বার জ্বর আসার কারণ, বড়দের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, শরীরে হালকা জ্বর কেন হয়, শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ, ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি কি।

ভূমিকা

প্রত্যেকটা মানুষেরই কম বেশি জ্বর হয়ে থাকে। জ্বর হলো সাধারণ একটি সমস্যা। এটি কোন রোগ নয় বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে জ্বর হয়ে থাকে। তবে এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে দেখা দিতে পারে। তাই আপনাদের চিন্তা মাথায় রেখে আজকে আমি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় এবং ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি কি তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেল একদম শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

বার বার জ্বর আসার কারণ

প্রথমত জ্বর কোন রোগ নয় বরং এর অন্য কোন রোগের বর্হিঃপ্রকাশ হলো এই জ্বর। আমাদের শরীরে যখন কোন ভাইরাস অ্যাটাক করে কিংবা আমাদের শরীরে যখন কোন রোগ বাসা বাধে ঠিক তখনই সেই রোগ কিংবা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য নিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর এটাকে আমরা অনেকেই জ্বর বলে চিনে থাকি। 
বারবার জ্বর আসার কারণ মূলত আপনার শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধার জন্য চেষ্টা করছে কিনা ভাইরাস দ্বারা আপনার দেহ বারবার অ্যাটাক হচ্ছে। এর কারণে আপনার বারবার জ্বর আসছে। এক্ষেত্রে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

শরীরে হালকা জ্বর কেন হয়

বিভিন্ন রকমের জ্বর রয়েছে। অনেক মানুষের শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। আবার অনেকের ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে। কারো কারো আবার হালকা জ্বর গায়ে থাকে যার যন্ত্রণা বেশ কয়েকদিন বইতে হয়। মূলত জ্বরের মাত্রা বহু রোগের নির্দেশ করে। জ্বর নিজে কোন রোগ নয় অনেক রোগের প্রকাশ পাই জ্বররূপে। 
একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৮৯.৬ ফারেনহাইট। যখন কোন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ঠিক তখনই জ্বর বলে গণ্য করা হয়। হালকা জ্বর হলে তার তাপমাত্রা থার্মোমিটার ৯৯ থেকে ১০১ ফারেনহাইট এর মধ্যে থাকে। শরীরের দীর্ঘদিন যদি অল্প অল্প করে জ্বর হয় তাহলে নানা রোগের কারণ দেখা দিতে পারে যেমন-

  • যক্ষ্মা
  • লিস্ফোমা
  • কালাজ্বর
  • ম্যালেরিয়া
  • এইচআইভি ইনফেকশন
এছাড়াও আপনার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোড়া যেমনঃ 
  • ফুসফুসে ফোড়া
  • লিভারের ফোড়া
কানেকটিভ টিস্যু রোগ যেমনঃ 
  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাটিস
  • এসএলই
থাইরয়েড রোগ যেমনঃ 
  • হাইপারথাইরয়জ্জিম
  • কৃত্রিম জ্বর
  • ওষুধজনিত জ্বর
আরও অন্যান্য কারণে যেমনঃ 
  • ফুসফুসে ক্যান্সার
  • লিভার ক্যান্সার
  • কিডনি ক্যান্সার।
যদি দীর্ঘদিন পর্যন্ত রোগীর শরীরের জ্বর থাকে তার কারণ জানার জন্য রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত ইতিহাস জেনে নিতে হবে। কিভাবে জ্বর আসে, কিভাবে চলে যায়, জ্বর কখন আসে, দিনে কোন সময় বেশি জ্বর আসে ইত্যাদি উপসর্গ আছে কিনা। 

  • এছাড়াও দীর্ঘদিনের অল্প অল্প জ্বর সকালে কমে যায়, বিকেলের দিকে আসে, কখনো কখনো কাশি সঙ্গে রক্ত বের হয়ে যায়, খাবার অরুচি থাকে, যক্ষা রোগের সঙ্গে বসবাসের ইতিহাস সহ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সন্দেহ করা হয় তার যক্ষ্মা হয়েছে। 
  • আবার দীর্ঘদিনের জ্বরের সঙ্গে যদি খাবারের অরুচি ভাব স্বাভাবিক থাকা শর্তেও নিজের শরীরে ওজন কমে যায় মাটির ঘরে মেঝেতে থাকা ইতিহাস পাশে গরুর ঘর থাকার ইতিহাস থাকলে এবং পরীক্ষা করে রক্তশূন্যতা কিংবা পেটের উপরে ভাগে চাকা থাকলে সন্ধ্যে করা হয় তার কালা জ্বর হয়েছে।
  • এছাড়াও দীর্ঘদিনের জলের ইতিহাসের সঙ্গে রাতে শরীরে ঘামানোর ইতিহাস জন্ডিসের ইতিহাস শরীরের চুলকানি শরীরে বিভিন্ন জায়গায় গ্লান্ড ফুলে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে তাকে সন্দেহ করা হয় তার লিস্ফোমা হয়েছে।
  • অল্প অল্প জ্বরের সঙ্গে ডানদিকে উপরে পেটব্যথা পরীক্ষা করে যদি জন্ডিস মাঝেমধ্যে পাতলা পায়খানা লিভার বড় পাওয়া যায় ইত্যাদি সন্দেহ করা হলে তার লিভারের সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা করা যায়।
  • হঠাৎ জ্বর হতে হতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, ঘাম দিয়ে জ্বর কমা, দুর্গন্ধযুক্ত হলুদের সঙ্গে কাশি ইত্যাদি সন্দেহ থাকলে তার ফুসফুসে ফোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। মূলত শরীরে হালকা জ্বর হওয়ার এগুলোই কারণ দেখা দিতে পারে। 

শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ

আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু রয়েছে যাদের জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি কম থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ সে সফল শিশুদের আক্রান্ত বেশি করে। এছাড়াও সে সকল শিশুগুলো অল্প ঠান্ডা বা গরম পরিবেশেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

আমাদের দেশের সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়ে থাকে সেটি হল জ্বর ও ঠান্ডা। কিন্তু কেন? আজকে আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে জানিয়ে দেব শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে। তাই কথা না বলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
সাধারণত শিশুরা ভাইরাস বা অন্যান্য সংক্রমনের কারণে জ্বরে ভোগেন। জরদেহের একটি প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া। শরীরে যদি কোন রোগ দেখা দেয় তাহলে শরীর তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গড়ে তোলে জ্বরের মাধ্যমে। 

তবে এটাও সত্যি যে ঘন ঘন জ্বর হওয়া একদমই ভালো লক্ষণ নয়। এক্ষেত্রে শিশুর অন্য কোন সমস্যায় আক্রান্ত আছে কিনা তা অবশ্যই জানা দরকার রয়েছে। তাই শিশুদের কারণ নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। আসুন জনে নিন।

  • যেসকল শিশুরা বারবার ঠান্ডা ও সর্দি-কাশিতে ভোগেন। সে সকল শিশুগুলো বেশিরভাগ কান পাকা ও সাইনাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়।
  • এছাড়াও শরীরে কিছু কিছু রোগ বারবার আক্রমণ করতে পারে যা জ্বর আরো অনেক বেশি দিন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। যেমন ম্যালেরিয়া, যক্ষা, টাইফয়েড জ্বর।
  • যদি কোন শিশুর জন্মগত মূত্রতন্ত্রের ত্রুটি থাকে তাহলে বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণ হয়ে জ্বর আসতে পারে।
  • সবসময়ই জ্বরে ভোগা শিশুর যদি কোন সময় জ্বর সেরে না উঠে তাহলে জটিল কোন রোগ আছে কিনা তা জানতে হবে যেমন ক্যান্সার কিডনি। আর এর কারণেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ

শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসকরা। গরম হোক কিংবা ঠান্ডা হোক পানির সঙ্গে কোনো রকম আপোষ করা চলবে না কাউকেই। কারণ যদি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে তাহলে আপনি পানি শূন্যতায় ভুগবেন ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। 

সাধারণত কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত হয় পর্যাপ্ত পানি পান্না করার অভাবে। কারণ যদি আপনার কিডনিতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে আর এর ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে।
শরীরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে খাওয়া-দাওয়া ব্যাপক অনিয়ম হতে পারে এবং বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধের কারণে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। তবে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আগে আপনার শরীরে বেশ কিছু ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। যেমন বারবার জ্বর আসা। এর বাইরেও কিডনিতে অসুখের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন-

ঘন ঘন জ্বরঃ যদি আপনার শরীরে জ্বর হয় তাহলে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। কারণ এটি হতে পারে আপনার কিডনিতে পাথর জমার একটি লক্ষণ। যদি আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসে এবং তার সাথে তীব্র পেটব্যথা হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

তলপেট ব্যথাঃ যদি আপনার ঘন ঘন তলপেট ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই সতর্ক হোন। কারণ এটি হতে পারে আপনার কি দিতে পাথর জমার একটি ইঙ্গিত। যদি আপনার দীর্ঘদিন এরকম তলপেটে ব্যথা দেখা দেয় তাহলে কখনোই সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

বমি বমি ভাবঃ যেকোনো কিছু খেলেই বমি বমি ভাব কিংবা মাথা ঘোরা ইত্যাদি কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রায় সময় এরকম সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হোন এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াঃ যদি আপনার কিডনিতে পাথর জমা হয় তাহলে আপনি প্রস্রাবের সময় কিংবা প্রস্রাবে পরবর্তীতে জ্বালা অনুভব করতে পারবেন। এছাড়াও প্রস্রাবে বাজে ধরনের দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত দেখা দিতে পারে। তাই প্রস্রাব করার সময় কোনো রকম কষ্ট অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পরামর্শ নিন।

তীব্র জ্বালা যন্ত্রণাঃ যদি আপনার দেহের কিডনিতে পাথর জমে তাহলে আপনার পিঠের দিক থেকে পাঞ্জরের দুই পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। যদি আপনার এই যন্ত্রনা দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করেন তাহলে অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় 

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়, বিষয়টি সম্পর্কে যাদের অজানা রয়েছে তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন। যদি আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরে কোন না কোন ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। মূলত সেই ভিটামিনের ঘাটতির কারণেই আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হচ্ছে। 

তবে এই ঘন ঘন জ্বর হয় ভিটামিা-ডি এর অভাবে হয়। তাই যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত জ্বর কিংবা ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। শুধু যে ভিটামিন ডি এর অভাবে জ্বর হয় তা নয় ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলেও শরীরে জ্বর হতে পারে।
তাই যদি ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এই দুটি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আপনার ঘন ঘন জ্বর খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হবে। তাহলে আসুন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো জেনে নিন।

১) ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা
  • ডিম
  • দুধ
  • দই
  • কমলা
  • ফ্যাটি ফিশ যেমন (টুনা, ম্যাকরেল, স্যালমন সামুদ্রিক জাতীয় মাছ)
২) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা
  • তরমুজ
  • পেয়ারা
  • কলা
  • স্ট্রবেরি
  • লেবু
  • কমলা
  • পেপে
  • আনারস
  • আম
  • কিউই
  • মরিচ
  • টমেটো
  • আলু
  • ফুলকপি
  • বাঁধাকপি
  • সবুজ
  • মটর
সাধারণত উপরে উল্লেখিত এই ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো আপনি খাওয়ার ফলে ঘন ঘন জ্বর হওয়া থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন। আর অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং চিকিৎসা করবেন। আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় এবং কি কি ভিটামিন খেলে অভাব গুলো পূরণ হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

যদি আপনার শরীরে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হয় বা তার বেশি জ্বর হয় এবং তিনদিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তবে সাধারণভাবে কিছু জ্বর কমানোর ঘরো উপায় সম্পর্কে জানাবো যা আপনার জ্বর কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। 

  • প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা। (যেমনঃ বিভিন্ন ফলের রস লেবুর রস ডাবের পানি স্যুপ ইত্যাদি)
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম প্রয়োজন। (মিনিমাম প্রতি রাতে আট থেকে নয় ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমের প্রয়োজন)
  • হালকা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা। (বিশেষ করে সুতি জামা পড়ানো উচিত)
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। (লেবু, কমলা, পেপে, আনারস, আম)
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। (যেমনঃ মুরগির মাংস বা কোন সবজি)
  • স্পঞ্জ গোসল করা। (যেমনঃ তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে বাড়তি পানি নিংড়ে ফেলে দিয়ে শরীরের উপরিভাগ পরিষ্কার করা)
  • উষ্ণ পানিতে গোসল করা। (অর্থাৎ হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল)
  • ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ ব্যবহার। (যেমনঃ আইবুপ্রোফেন, অ্যাসিটামিনোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, অ্যাসপিরিন)
সাধারণত ওপরে উল্লেখিত এই কয়েকটি দিক অনুসরণ করলেই আপনার জ্বর আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে। তবে যদি জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আশা করি ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি আপনাদের তা জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়

সম্মানিত পাঠক আশা করি আপনারা সকলেই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় এবং ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি কি তা হয়তো সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আমাদের শরীরের জ্বর একটি সমস্যা। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে শরীরে জ্বর আসে। তবে এই জ্বর ভালো করতে কি কি করতে হবে তা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করে জানতে পেরেছেন। 

তাই যদি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪