চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে?

পাঠক আপনারা কি চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনাদের এই বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটি আপনার সমস্যার সমাধানের জন্যই আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। তাই দেরি না করে চলুন বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিন। 
চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে জেনে নিন
শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা সকলেই অল্প বয়সে হাত পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়, কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে, কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে যাবেন।

ভূমিকা 

বয়স বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চামড়া ঝুলে যাবে বা কুঁচকে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আজকে আমি এই আর্টিকেলে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে এবং কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয় এই বিষয়গুলোসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবে। তাই আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

অল্প বয়সে হাত পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়? সমাধান

আমরা অনেকেই মুখের টক ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার সহ নানা ধরনের পরিচর্য তো করেই থাকি কিন্তু একবার কি হাত পায়ের কথা ভেবেছেন? বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরের বেশ পরিবর্তন চলে আসে। 

বিশেষ করে চামড়ায় ভাস পড়ে যাওয়া কিংবা চামড়া কুঁচকে যাওয়া। চোখের নিচে হাত পায়ের চামড়া ও গলা সবকিছুই যেন কিছুটা ঝুলে পড়ে যাই। এর প্রধান কারণ হলো বয়স বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি শরীরে কোলাজেনের উপাদান কমে যায়। আর এই কোলাজেন হলো একধরনের প্রোটিন। 

এটি মূলত লিগামেন্ট পেশী চামড়া অস্থ্রি ইত্যাদি প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বিল্ডিং ব্লগ করে এর অভাবে চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। ফলে শরীরের চামড়া শুকিয়ে ম্লান হয়ে পড়ে। শুধু কি তাই? এর পাশাপাশি চেহারার উজ্জ্বলতাও অনেক কমে যায়, শরীর দুর্বল মনে হয়। 
এছাড়াও সূর্যের প্রখর আলোয় বেশি সময় কাটালে ত্বক ও চামড়ার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বয়সের কারণে এ ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক তবে এর প্রতিকারের জন্য আমাদের অবশ্যই ত্বকের পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে। আপনারা চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।

তবে টাটকা ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত ফলমূল শাকসবজি খাওয়ার সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করি। এছাড়াও দিনে পাঁচ রকম ফল অল্প পরিমাণে খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায় যেমন- লিচু, জাম, কাঁঠাল, আনারস ইত্যাদি। পাশাপাশি শীতকালে আমলকি, আপেল, কমলা এগুলো খাওয়া যেতে পারে।

এগুলো করার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় ব্যায়াম। বয়স অনুযায়ী কমপক্ষে দিনে এক ঘন্টার বেশি ব্যায়াম করা উচিত এবং বয়স্কদের ১৫ মিনিট এতে করে স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। এর ফলে পায়ের গোড়ালি হাত কব্জি সহ সবকিছুই নড়াচড়া করলে অনেক বেশি উপকার হয়। 

ফলে বয়স বাড়লেও চেহারায় অনেক উজ্জ্বলতা ধরে রাখা অনেকটাই সম্ভব। আশা করি অল্প বয়সে হাত পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়? এর সঠিক সমাধান পেয়ে গেছেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়

শরীর স্বাভাবিকভাবে সুস্থ রাখতে আমাদের অবশ্যই ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। কিছু ভিটামিনের অভাবে বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে আমাদের শরীর। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন ও কিছু খনিজের অত্যন্ত প্রয়োজন। 

শুধু তাই নয় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইডেট আর প্রোটিনের ঘাটতি নিয়ে সতর্ক থাকলেও ভিটামিনের প্রতি আমাদের অনেকেরই অবহেলা শেষ নেই। অথচ এই ভিটামিন ও খনিজের অভাবেই বিভিন্ন ধরনের রোগ। 
চিকিৎসকের মতে শরীরে ভিটামিন আয়রন ইত্যাদির অভাব ঘটলে তা সরাসরি মুখের উপর প্রভাব পড়ে। প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও নিজে নিজে অনেকটা আন্দাজ করা যায়। সাধারণত এটি খাওয়া-দাওয়া অনিয়নের জন্যই ভিটামিন এ অভাব শরীরে দেখা দেয়।

ত্বকের জেল্লা কমতে থাকলে আন্দাজ করতে পারেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দিয়েছে। এই ভিটামিনের অভাবে আপনার ত্বক এবং মুখ ক্লান্তির ছাপ দেখা দিবে পাশাপাশি জিভে খাবারের স্বাদও কোন পাওয়া যাবে না। তাই ভিটামিন বি ১২ এর পরিমাণ ঠিক রাখতে দই, মাছ, চিজ এগুলো খেতে পারেন।

শুধু তাই নয় যদি আপনি ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের নিচে ফোলা ভাব লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যান। কারণ নানা কারণে এমনটা হলেও অনেক সময় শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যার ফলে শরীর সারাদিন ক্লান্ত হয়ে থাকে তখন সুস্থ হয়ে যায় এবং প্রয়োজন। তাই শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিদিন আলো বেদনা দই স্ট্রবেরি এগুলো খেতে পারেন।

কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সারা বছর ঠোঁট ফাটা বা শরীর শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আর এটি মূলত ভিটামিনের অভাবেই দেখা দেয়। এছাড়াও অনেকের রক্তস্বল্পতার কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যায় আবার কিছু কিছু মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে শরীর শুকিয়ে যায়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আপনারা চাইলে টাটকা সবজি খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনার যদি মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হয় তাহলে অবশ্যই সাবধান হয়ে নিন। কারণ মুখের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে দায়ী ভিটামিন সি এর অভাব। এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য লেবু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।

শরীর শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেকেরই রুক্ষ চুল হয়ে থাকে যার শরীরে ভিটামিনের অভাবের কারণে এটি দেখা যায়। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন বি ৭ এর অভাব দেখা দেয় তাহলে রুক্ষ চুল ও শুক্ষ হয়ে যায়। ফলে নখও ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। তাই যথেষ্ট পরিমাণে ডিম বাদাম ইত্যাদি গ্রহণ করা ফলে শরীরে ভিটামিন বি ৭ এর পরিমাণ ঠিক হতে পারে। আশা করি বিষয়টি আপনারা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।

চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে

যদি শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দেয় তাহলে চামড়া কুঁচকে যাই। তবে আপনাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে আরো বেশ কিছু ভিটামিন এর গুরুত্ব অপরিহার্য। মূলত সেই তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২। এটি শরীরের রক্তকণিকা এবং নায়কের সুস্থ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

যদি আপনার শরীরে এই ভিটামিনের ঘাট দেখা যায় তাহলে তাদের প্রাকৃতিক জেলা শুরু করে। কারণ এমন পরিস্থিতির শরীরে স্বাস্থ্যকর কোষের সংখ্যা কমে যায় আর তার ফলেই দেখা যায় এই ধরনের সমস্যা। তাই হাজার যত্ন নেওয়ার পরেও অনেকেরই ত্বকের জেলা ফেরে না। 
তাই আপনারা চাইলে একবার ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হয়েছে কিনা একবার টেস্ট করে দেখে নিতে পারেন। ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দিলে হাঁটু, কনুই, বগল এবং গলায় কালচে ছোপ প্রকট হতে শুরু করে। তাই এরকম কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ঘরোয়া টোটকা কাজে না লাগিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করুন। 

শুধু তাই নয় এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে ত্বক রুক্ষ এবং ফ্লেকি হয়ে যেতে পারে। এমনকি আপনার ত্বক অকালেই বয়সের চাপ ও বলে দেখাও দেখা দিতে পারে তাই এখনই সাবধান হয়ে নিন। যদি আপনার তাকে এরকম ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। আশা করি আপনার চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয়

বন্ধুরা পূর্বে আমরা জেনে এসেছি চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে? এখন আমরা জেনে নেব কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয়। ভিটামিন এবং খনিজ ঘাটতি বিভিন্ন উপায়ে ত্বকে প্রবাহিত করে। চুল নখ ও ত্বকের স্বাস্থ্যর জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। 
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানির মত সমস্যা হয় বা অ্যালার্জি হয় তা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। শরীরের বিভিন্ন অংশ চুলকায় এবং যাদের টক শুষ্ক থাকা প্রয়োজন হতে পারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি। মূলত এমন পাঁচটি ভিটামিন রয়েছে যার ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে চুলকানি ও শুষ্ক ত্বকের মত সমস্যা হতে পারে। সেগুলো হল-

  • ভিটামিন ডি
  • ভিটামিন ই
  • ভিটামিন সি
  • জিংক
ভিটামিন ডিঃ রোদ কিংবা সূর্যালোক ভিটামিন নামেই পরিচিত। এই ভিটামিন শরীরের হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি টপকে তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং ব্রণ, বলি ও সূক্ষ্ম রেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই টপকে হাইড্রেট এবং ময়শ্চারাইড রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে এটা আপনার প্রদাহ এবং বার্ধক্যর প্রাথমিক প্রভাব কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বক শুষ্কতা এবং ফাটল সৃষ্টি হয়। তাই ভিটামিন ই অভাব পূরণ করলে এ ধরনের সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

ভিটামিন সিঃ আপনি হয়তো ভিটামিন সি এর কথা শুনেছেন যে ত্বক রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক থেকে পানির ক্ষয় বেড়ে যায়। যার ফলে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায় তবে সর্বাধিক টক সংরক্ষণের সুবিধার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। আশা করি আপনাদের এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

জিংকঃ সামান্য জিংক আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যেমন- শুষ্ক মাথার ত্বক, সোরিয়াসিস, একজিমা ইত্যাদি। তাই আপনার ত্বক সুরক্ষিত আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। যেমনঃ লাল মাংস, মুরগি, মটর শুঁটি, বাদাম ইত্যাদি।

কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে

বছরে একবার হাত-পায়ের চামড়া উঠে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সব সময় হাতের চামড়া উঠলে এটি কখনোই স্বাভাবিক নয়। সারা বছর হাত-পায়ের চামড়া উঠার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসার বিজ্ঞানী ভাষায় বলা হয় কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিচা (Keratolysis exfoliatica)। মূলত এটি ভিটামিন ই এর অভাবে হয়ে থাকে। 

এইভাবে শরীর থেকে চামড়া উঠে গেলে শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় কাজের ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে শরীর যত নিলেই এ ধরনের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনার হাতের চামড়া উঠে তাহলে স্টিলের তেল গ্লিসারিন ও গোলাপজল সহ পরিমাণে মিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন। 
যদি আপনার হাতের কাছে তিলের তেল না থাকে তাহলে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও হাত-পায়ের চামড়া উঠে যাওয়া বন্ধ করতে সোয়াবিন গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই উপকারী একটি উপাদান। 

প্রথমত আপনাকে সয়াবিন করায় দিয়ে হালকা কিছুক্ষণ নেড়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে এরপর সেটা দিয়ে হাত এবং পা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে আপনি যদি একটু খেয়াল করে হাত ও পা পরিষ্কার রাখেন এবং রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। 

তাহলে আশা করি আপনার হাত পায়ের চামড়া উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনারা পায়ের চামড়ার জন্য মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং ঘৃতকুমারী অর্থাৎ এলোভেরা রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে চামড়া উঠার জায়গায় ভালোভাবে লাগিয়ে রাখলে আশা করি অনেক উপকার পাওয়া যাবে। 

বিশেষ করে রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট আগে এভাবে ব্যবহার করে এবং পাতলা মোজা পড়ে ঘুমালে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়

অনেকেই জানতে চেয়েছেন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায় দেখুন এটি মূলত বংশগত কারণে কিংবা আর অন্যান্য কারণে হতে পারে। চুল পাকার সঙ্গে জেনেটিক বা বংশগত সম্পর্ক রয়েছে সেজন্য কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে চুল অন্যদের তুলনায় আগে পাকা শুরু করে। 

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের লোকজনই তো সমস্যার কারণেও চুল পেকে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে যেমন থাইরয়েডের সমস্যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জনিত সমস্যা রক্তশূন্যতা এলার্জি প্রোজেরিয়া ও প্যানজেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে কম বয়সে চুল পাকতে শুরু করে।
শুধু তাই নয় শরীরে ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন ডি ৩ ভিটামিন ই ভিটামিন বি-৬ বায়োটিন আয়রন ও কপারের ঘাটতির কারণে সকালে আপনার চুল পেকে যাওয়া শুরু হতে পারে। পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এর সমাধান পেতে চাইলে আপনারা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে এর সমাধান নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথাঃ চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে

সম্মানিত পাঠক আশা করি এই আলোচনায় চামড়া কুচকে যায় কোন ভিটামিনের অভাবে এবং কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয় এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এটি মূলত আপনাদের সুবিধার জন্য আলোচনা করা হয়েছে। যাতে করে আপনারা সকলেই এই ধরনের সমস্যা থেকে কিভাবে রেহাই পেতে হয় তা সঠিকভাবে জানতে পারে। 

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন পাশাপাশি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪