ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার জেনে নিন

আপনারা যারা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাঁরা এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেল আপনি সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি ভাইরাস ও ব্যক্তির জন্য রোগের সঠিক প্রতিকার পেয়ে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন। 
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার
মূলত এই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চাই। তাই আশা করি আপনারা সকলেই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়লে খুব সহজেই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার জেনে যাবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সঠিক প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা জানা অত্যন্ত জরুরি। ভাইরাস মূলত আমাদের দেহের সজীব কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং কোষগুলোকে ব্যবহার করে নতুন ভাইরাস তৈরি করে, ফলে দেহে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়।

অন্যদিকে, ব্যাকটেরিয়া হলো একটি নিউক্লিয়াসযুক্ত,অসবুজ, এককোষী অণুজীব যা দ্রুত স্বাধীনভাবে বংশবিস্তার করতে পারে। এটি এক্সোটক্সিন নামক বিষাক্ত পদার্থ মানবদেহে নিঃসৃত করার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। তবে এসব প্রতিষেধকের পাশাপাশি নিজের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা ও সচেতনতা বজায় রাখাকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ধরা হয়। 

এই ব্লগে আমরা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগগুলো কীভাবে ছড়ায়, তাদের সাধারণ উপসর্গগুলো কী, এবং কোন ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এছাড়াও, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ও প্রাথমিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হবে যা আপনাকে সহজে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে সাহায্য করবে।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দেখতে প্রায় একই ধরনের ক্ষুদ্র জীবাণু হলেও, এদের গঠন, জীবনচক্র এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য এবং প্রধান পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলোঃ

বৈশিষ্ট্য

ভাইরাস

ব্যাকটেরিয়া

সংজ্ঞা

ভাইরাস এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র, অণুজীব যা নিজে থেকে বেঁচে থাকতে এবং প্রজনন করতে সক্ষম নয়। এরা জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেলুলার মেকানিজম ব্যবহার করে নিজের সংখ্যা বাড়ায়।

ব্যাকটেরিয়া হল আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত,অসবুজ, এককোষী অণুজীব। এরা এবং আর্কিয়া হল এককোষী জীব, যাদের কোষে দ্বিস্তরী ঝিল্লি (প্রাচীর বা পর্দা বা সূক্ষ আবরণ) দ্বারা আবৃত কোনো অঙ্গানু থাকে না।

আকার 

ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় অনেক ছোট, সাধারণত ২০-৩০০ ন্যানোমিটার।

ব্যাকটেরিয়া তুলনামূলকভাবে বড়, সাধারণত ২০০-২০০০ ন্যানোমিটার।

আকৃতি

এদের আকার এবং গঠন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন গোলাকার, সুঁচালো, বৃত্তাকার বা জটিল জ্যামিতিক গঠন।

ব্যাকটেরিয়ার কোষ মূলত দণ্ডাকার, কমাকৃতি, গোলাকার,প্যাঁচানো ইত্যাদি আকৃতির হয়ে থাকে। 

গঠন

একটি প্রোটিন কোটের ভেতর নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত।

কোষপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম, এবং নিউক্লিয়য়েড নিয়ে গঠিত।

জীবনচক্র

জীবিত কোষের বাইরে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় থাকে এবং কেবলমাত্র জীবন্ত কোষে প্রবেশ করলেই সক্রিয় হয়।

ব্যাকটেরিয়া নিজে থেকেই জীবিত এবং বিভিন্ন স্থানে বংশবিস্তার করতে পারে।

প্রজনন প্রক্রিয়া

ভাইরাস কোনো কোষের ভিতর প্রবেশ করে ওই কোষের মাধ্যমে নিজেদের সংখ্যা বাড়ায়।

ব্যাকটেরিয়া দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে নিজেরাই বংশবিস্তার করতে সক্ষম।

চিকিৎসা

ভাইরাসজনিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়; এর জন্য ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

বাসস্থল

শুধুমাত্র জীবন্ত কোষে বেঁচে থাকতে পারে।



মাটি, পানি, শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ কি কি?

ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আক্রমণ করতে পারে এবং এগুলো দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। ভাইরাস ঘটিত রোগ বেশিরভাগই সাধারণত সংক্রামক এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিচে কিছু ভাইরাসজনিত রোগের তালিকা তুলে ধরা হলোঃ 

  • ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু)
  • ডেঙ্গু
  • চিকুনগুনিয়া
  • হেপাটাইটিস
  • হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি)
  • মিজলস (হাম)
  • রুবেলা
  • রেবিস (হাইড্রোফোবিয়া)
  • পোলিও
  • করোনা ভাইরাস (COVID-19)

ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ কি কি?

ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে এদের চিকিৎসা করা সম্ভব। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সাধারণত এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে, দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। নিচে কিছু ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের নাম তুলে ধরা হলোঃ

  • টাইফয়েড
  • যক্ষ্মা
  • নিউমোনিয়া
  • মেনিনজাইটিস
  • টিটেনাস
  • ডিপথেরিয়া
  • কলেরা
  • গনোরিয়া
  • পেপটিক আলসার
  • প্লেগ

রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গ

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো ভিন্ন ভিন্ন হলেও কিছু ক্ষেত্রে একই রকম হতে পারে। নিচে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট রোগের সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলো তুলে ধরা হলোঃ 

ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলে দেহে যে ধরনের লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা যায়, তার মধ্যে সাধারণত রয়েছেঃ

  • জ্বর
  • মাথাব্যথা
  • গলা ব্যথা ও সর্দি
  • শরীরে ব্যথা ও ক্লান্তি
  • জ্বরের সাথে ত্বকে র‌্যাশ
  • শ্বাসকষ্ট

ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা যায় সেগুলো হলোঃ 

  • উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর
  • ক্ষতস্থানে ফুলে যাওয়া ও ব্যথা
  • গলা ফুলে যাওয়া ও ব্যথা
  • তীব্র পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া
  • প্রস্রাবে জ্বালা ও ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট ও কাশি

প্রতিরোধ এবং প্রতিকার

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের মানুষদের রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। নিচে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের কিছু উপায় তুলে ধরা হলোঃ 

প্রতিরোধ

ভ্যাকসিন গ্রহণঃ অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিরুদ্ধে বর্তমানে ভ্যাকসিন রয়েছে, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস, এবং টিটেনাস। ভ্যাকসিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাসঃ নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। পাশাপাশি, দূষিত পানি এবং অনিরাপদ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

সঠিক খাদ্যাভ্যাসঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

মশার কামড় থেকে সুরক্ষাঃ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এড়াতে মশারি ব্যবহার এবং মশার উপদ্রব প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারঃ বিশেষত ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে, জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।

প্রতিকার

অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধঃ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার চিকিৎসায় উপযুক্ত ওষুধের ভূমিকা অপরিসীম। তবে, অ্যান্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর, ভাইরাসজনিত সংক্রমণের জন্য নয়। ভাইরাস সংক্রমণের জন্য নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা ভ্যাকসিনের প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ রোগের সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। শরীরের এনার্জি এবং ইমিউন সিস্টেম পুনরুদ্ধারে বিশ্রাম অপরিহার্য।

পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটঃ ডায়রিয়া বা জ্বরের মতো রোগে দেহের পানিশূন্যতা পূরণ করতে পর্যাপ্ত পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করা জরুরি। এতে দেহের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং সুস্থতা ত্বরান্বিত হয়।

ঘরোয়া প্রতিকারঃ কিছু ঘরোয়া উপায় যেমন আদা-লেবুর চা, মধু ও লেবুর মিশ্রণ, তেঁতুল পানি ইত্যাদি গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি ও সাধারণ ব্যথায় সহায়ক হতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শঃ কোন ধরনের সংক্রমণ হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে সংক্রমণের ধরন, রোগের তীব্রতা, এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা উপর। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগের জন্য আলাদা চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, কারণ এদের সংক্রমণ প্রক্রিয়া এবং চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন। নিচে সাধারণ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরা হলোঃ

ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসা

  • অ্যান্টিভাইরাল ওষুধঃ নির্দিষ্ট ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কার্যকর হতে পারে। যেমন, এইচআইভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা হেপাটাইটিস ভাইরাসের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহৃত হয়। এগুলো ভাইরাসের বিস্তার কমাতে সাহায্য করে।
  • ভ্যাকসিনঃ ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যেমন হেপাটাইটিস, এবং পোলিও ভাইরাসের জন্য প্রাপ্ত ভ্যাকসিনসমূহ।

ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসা

  • অ্যান্টিবায়োটিকঃ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো অ্যান্টিবায়োটিক। পেনিসিলিন, অ্যামোক্সিসিলিন, ডক্সিসাইক্লিন এবং সিফালোস্পরিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ ঔষধ যেমনঃ Moxaclav 625, doxicap 100mg, Penvik 250, Cefotil Plus 500, ইত্যাদি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত হয়।
  • প্রোবায়োটিকঃ কিছু ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক ব্যবহার করে রোগীর দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়া পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা হয়। এটি রোগীর অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে অত্যন্ত কার্যকর।

রোগের বিস্তার কমানোর উপায়

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিস্তার রোধে সচেতনতা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এসব রোগের বিস্তার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিস্তার কমানোর জন্য কিছু কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

  • নিয়মিত হাত ধোয়া ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
  • পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।
  • টিকা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
  • সঠিকভাবে খাবার রান্না ও সংরক্ষণ করা।
  • রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
  • ঘরের ভেতরে এবং বাহিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
  • ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে নিষ্কাশন করা।
  • জনসমাগম স্থানে মাস্ক ব্যবহার করা।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
  • প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও ওষুধ গ্রহণ না করা।

উপসংহার | ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার 

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, এবং নিয়মিত টিকাদান এসব রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত দৈনন্দিন জীবনে এসব অভ্যাসকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবসময় সতর্ক থাকা। মনে রাখতে হবে, প্রতিরোধই রোগ প্রতিকারের সেরা উপায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪