গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি? বিস্তারিত জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক আপনারা কি গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি না এই সম্পর্কে
জানতে চান? যদি আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ গর্ভাবস্থায় নারকেল খেলে ক্ষতি হবে না উপকার হবে তা
হয়তো অনেকেই জানেন না। যেহেতু জানেন না সেহেতু সম্পূর্ণ আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে
পড়ুন। আশা করি সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
এই আর্টিকেল একদম শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি না
এই বিষয়টিও জেনে যাবেন। তাই ঘোরাঘুরি না করে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ভূমিকা
অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যারা গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য অনেক চিন্তাভাবনা
করেন। এ সময় কি খাবার খেলে গর্ভে থাকা শিশু সুস্থ থাকবে এগুলো নিয়ে চিন্তা
করেন। গর্ভকালীন সময়ে অনেকেই জানেন হয়তো পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা
প্রয়োজন। তবে আমরা কতজন জানি গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি না? তাই
আপনাদের সুবিধার জন্য এই আর্টিকেলে সুন্দর করে এ বিষয়টি আলোচনা করেছি। যদি
আপনারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া
যাক।
গর্ভাবস্থায় নারকেল জলের উপকারিতা
প্রত্যেকটা মহিলা গর্ভাবস্থায় নিজেও সন্তানের স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য অনেক
মনোযোগী হতে হয়। ফলে বিভিন্ন খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েরে খানিকটা
সচেতন থাকতে হয়। যাতে করে গর্ভে থাকা সন্তানের সঠিক পুষ্টি পৌছাতে পারে সেদিকে
খেয়াল রাখতে হয়।
এই সময় গর্ভবতী মায়েদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। কিন্তু অনেকের মনে
একটি প্রশ্ন ঘুরবা খেতে পারে সেটি হল কোন সময় থেকে নারকেল জল পান করা প্রয়োজন?
গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটা মায়েদের ডায়েটের দিকে একাধিক খেয়াল রাখতে
হয়।
নারকেল জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরের জন্য
খুবই উপকারী। তাই বলা হয় গর্ভধারণের তিন মাস পর থেকেই নারকেলের পানি পান করা
ভালো। এ সময় শরীরের পুষ্টির প্রয়োজনে অনেক বেশি হয়। তাই এই পানি পান করলে মা ও
শিশু দুজনেই পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ হয়।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় নারকেল জলের উপকারিতা আরো অনেক রয়েছে যেমনঃ-
- যদি আপনারা গর্ভকালীন সময়ে নারকেলের জল পান করতে পারেন, তাহলে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ফলে গর্ভাবস্থায় মা ও শিশু দুজনের জন্যই ভালো।
- এছাড়াও গর্ভবতী ভাইয়েরা নারকেলের জল পান করলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মূত্র সহ থেকে আশা কোন রকম সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই বুক জ্বালা দূর করতে পান করতে পারেন নারকেলের জল। ফলে আপনার বুক জ্বালা খুব সহজেই সেরে উঠবে।
- গর্ভাবস্থায় যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীর অনেকটা দুর্বল লাগে তাহলে তাৎক্ষণিক নারকেলের জল পান করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর খুব দ্রুত দুর্বলতা কেটে যাবে।
- নারকেলের জলে রয়েছে ফাইবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চা গর্ভবতী মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী।
- তবে অতিরিক্ত নারিকেল জল গর্ভকালীন সময়ে না খাওয়ায় ভালো। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে নারকেলের জল খেলেই যথেষ্ট। আশা করি গর্ভাবস্থায় নারকেল জলের উপকারিতা কি কি রয়েছে তা জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা বাবা মায়ের একটি কমন চিন্তা সেটি হচ্ছে গর্ভে থাকা
সন্তান লম্বা হবে নাকি খাটো হবে? শুধু তাই নয় প্রত্যেকটা বাবা-মা চায়
গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ানোর ফলে বাচ্চা লম্বা করতে। কিন্তু আসলে এটা কতটুকু
সত্য তা আজকে আমি এই আর্টিকেলে জানিয়ে দেবো। অনেকের মনে একটি প্রচলিত ধারণা সেটি
হল গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়?
তবে বাচ্চা লম্বা হবে নাকি খাটো হবে তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে বাবা-মায়ের জিন এর
ওপর। শুধু তাই নয় আপনার গর্ভে থাকা বাচ্চা কেমন হবে তা সম্পূর্ণ আল্লাহতালার উপর
নির্ভর করে। তবে কিছু কিছু সময় বাবা-মা লম্বা হওয়ার শর্তেও তাদের গর্ভে থাকা
সন্তান খাটো এবং বেটে হয়ে থাকে।
তবে এই সমস্যার কারণ হলো গর্ভকালীন সময়ে মায়ের অসচেতনতার কারণে, পুষ্টিহীনতার
কারণে গর্ভের থাকা সন্তান পর্যাপ্ত লম্বা হয় না। তাই গর্ভকালীন সময়ে পর্যাপ্ত
পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। তাই আপনাদের ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয়ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি খেতে
হবে।
পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের শরীরে পানি শূন্যতা কিংবা রক্তশূন্যতা সমস্যা রয়েছে
কিনা তা দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। শুধু তাই গর্ভকালীন
সময়ে প্রতি দুই মাস পর পর চেকআপ করতে হবে এতে করে আপনারা খুব সহজেই গর্ভে
সন্তানের বৃদ্ধির অনুবাদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাধারণত ৮ থেকে ৪৮ সপ্তাহ
পর্যন্ত একটি গর্ভে থাকা সন্তান গ্রোথ বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা হয়।
তাই সবসময় খেয়াল রাখতে হবে গর্ভে থাকা শিশুর যেন কোনরকম পুষ্টিহীনতায়
জন্মগ্রহণ না করে। তবে গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মা খেয়াল রাখার পাশাপাশি বাবাকেও
খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় এই বিষয়টি
সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি
গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে তার গর্ভে থাকা শিশুর যেন
কোনরকম সমস্যা না হয়। তাই সব সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই সময় যত
বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবে তত বেশি সন্তান সুস্থ এবং স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।
গর্ভকালীন সময়ে বেশি বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
অনেক গর্ভবতী মায়েরা মনে করেন গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি না। অন্যান্য
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় লেবু খেতে পারবেন। যদি আপনারা
গর্ভকালীন সময়ে লেবুর রস পরিমাণ মত খেতে পারেন তাহলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর
হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত মুখের স্বাদও ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েদের খাবারের রুচি কম থাকে তাই এই সময় লেবু
খাওয়ার মাধ্যমে মুখের রুচি ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। পাশাপাশি বমি বমি ভাব দূর
করতেও গর্ভবতী মায়েরা লেবু খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম
ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম নিয়াসিন ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন সি সহ রাইবোফ্লাবিনের মত
উচ্চ খনিজ এবং ভিটামিন উপাদান সমূহ।
যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যদি আমরা এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো
বিবেচনার করি তাহলে প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় লেবু যুক্ত করা
উচিত। লেবু শুধু মুখের রুচি বাড়ায় না গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই
থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে। কমে যায় ফলে গর্ভবতী মায়েদের ওজন নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়াও লের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান ইনফেকশন জনিত সমস্যাগুলো দূর করতেও
সাহায্য করে। পাশাপাশি লেবু পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই
নয় লেবুতে প্রায় ২ গ্রাম ভিটামিন সি থাকে আর গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন সি
অত্যন্ত কার্যকারী তাই এটি সব সময় মত খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
তবে সবসময়ই লেবুর উপরে নির্ভর করলে চলবে না পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন না। প্রয়োজনে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে লেবু খাবেন। আশা করি গর্ভাবস্থায়ী লেবু
খাওয়া যাবে কিনা, গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা কি তা আশা করি সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি
নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি যা গর্ভবতী মায়েরা খেলে অনেক বেশি উপকার।
অনেকেই মনে মনে চিন্তা করেন গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি না। তবে এই
প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ গর্ব অবস্থায় নারকেল খাওয়া যাবে তবে পরিমাণ
মতো।
গর্ভাবস্থায় এমন খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন যা মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার
ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং সন্তানের বিকাশে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের
শাক সবজি ফল রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলা খেলে অনেক বেশি পুষ্টিকর উপকারিতা পাই। তবে
এই খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি নারকেল খাওয়া বিভিন্ন সুবিধা সরবরাহ করে।
তবে আপনাকে অবশ্যই নারকেল সুষুম পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদি গর্ভাবস্থায়সুসুমভাবে
নারকেল খেতে পারেন তাহলে শরীরে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায়
নারকেল দুধ, প্রয়োজনীয় ফ্যাট-এর একটি দুর্দান্ত উৎস।
এটি শিশুর বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নারকেলে থাকা তেল গর্ভবতী
মায়ের ত্বকের জন্য অনেক ভালো এবং এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে অনেক
বেশি সাহায্য করে। পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের চুলকানি এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার
মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় তিন মাস পর থেকে পরিমাণমতো নারকেল খেলে এটি নিশ্চিত করে যে মায়ের
নবজাতক সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকে দুধ রয়েছে। নারকেল হলো লরিক অ্যাসিড
সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধের একটি অপরিহার্য উপাদান।
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলারা প্রায় সময় রক্তস্বল্পতায় ভোগেন যা মা ও শিশুর জন্য
খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় পরিণত নারকেল খেলে রক্তস্বল্পতার
বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন গর্ভাবস্থায় নারিকেল
খাওয়া যাবে কি না।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কিনা তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে কিছু বিষয়ের ওপর।
অর্থাৎ গর্ভবতী মায়েদের শসা খাওয়ার ফলে শরীরে বেশকিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে
পারে তাই এ কারণে গর্ভাবস্থায় সাধারণত শসা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। যদি
আপনারা জিজ্ঞেস করেন গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি? তবে আমি বলব যদি আপনার
মধ্যে নিম্নে লিখিত শর্তগুলি থাকে তাহলে কখনোই খাওয়া উচিত নয় যেমনঃ
- গ্যাসট্রাইটিস
- পাইলোনেফ্রাইটিস
- কোলাইটিস -- (মলাশয়ে প্রদাহ)
- হেপাটাইটিস -- (যকৃতের প্রদাহ)
- দীর্ঘস্থায়ী নেফ্রাইটিস -- (বৃক্কের স্ফীতি এবং প্রদাহ)
যদি আপনাদের মধ্যে এরকম কোন সমস্যা থাকে, তাহলে কখনোই গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া
যাবে না। আর যদি না থাকে তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে শসা খেতে পারবেন। তবে আমার মনে
হয় আপনি ভালোভাবে নিশ্চিত হতে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। চলুন এবার
জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর উপকারিতা গুলোঃ
কম মাত্রায় ক্যালোরিঃ শসা খেলে ওজন বৃদ্ধি এটি প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।
কারণ এটি সুরতা প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং আপনার দীর্ঘ সময়ের জন্য
পূর্ণবোধ করে রাখতে সহায়তা করে। তাই শসা সবজিটি প্রায় চার ক্যালরি রয়েছে।
জলবিয়োজন প্রতিরোধ করেঃ শশাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা বিশুদ্ধ পানি রয়েছে আর
গর্ভাবস্থায় পরিমান মত শসা খেলে আপনার ইলেকট্রনিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক
বেশি সাহায্য করবে।
ভিটামিন কেঃ শশাতে রয়েছে ভিটামিন কে যা গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর
এবং শক্তিশালী হাড়ের জন্য পুষ্টিকর একটি উপাদান। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে
ভিটামিন বি যা হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই আপনারা চাইলে
পরিমান মত শসা গ্রহণ করতে পারেন।
ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করেঃ গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন কারণে ফোলা ভাব হয়ে
থাকে তবে এই ফলাভাব দূর করতে খেতে পারেন শসা।
ভ্রূণের বিকাশ ঘটায়ঃ শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি ১, ভিটামিন
২, ভিটামিন বি ৩, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন যা ভ্রূণের বিকাশের জন্য
অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করেঃ শুধু তাই নয় শসাতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি
গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ গুলো প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সহায়তা
করে।
রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ যদি আপনার শরীরে গর্ভকালীন সময়ে
ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে আপনি খাদ্য তালিকায় শসা রাখতে পারেন এবং খেতে পারেন।
যেহেতু এটি শরীরের রক্তচাপ এবং সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি
সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ শসার মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা
গর্ভাবস্থায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা খুব সহজেই দূর করা সহজ হবে। তাই আপনারা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শসা খেতে পারেন।
মেজাজের উন্নতি ঘটায়ঃ সজার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি যা মস্তিষ্কের জন্য
অনেক ভালো কাজ করে এবং আপনার মেজাজের উন্নতি করতে সহায়তা করে। তাই অন্যান্য
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শসাও খেতে পারেন।
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়ঃ যদি আপনি প্রথম ত্রৈমাসিকে অবস্থান করেন
তাহলে আপনার কজন গ্রহনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য কিছুটা শশা সংযুক্ত করতে পারেন।
অর্থাৎ কিছু শসা খেতে পারেন এতে করে আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় গাব খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মা ও শিশুর সুস্থতা
নিশ্চিত করে। গাব একটি জনপ্রিয় ফল, যা এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিচিত। তবে গর্ভাবস্থায় গাব খাওয়া যাবে কি, তা নিয়ে
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে।
তাই আপনাদের শুভযাত্রা আজকে আমি এই পোস্টে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করব। তার দেরি না করে আসুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় গাব খাওয়া যাবে তবে পরিমাণ মতো। কারণ গাবে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
উপকারী। কারণ এইসব উপাদানগুলো গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে এবং পাশাপাশি হজম শক্তি উন্নত করতেও সহায়তা করে।
তবে গাব খাওয়ার আগে অবশ্যই এর পরিমাণ এবং প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। আর
এর জন্য সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার
গ্রহণ করার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর গ্রহণ করা উচিত। এতে করে আপনার
কোন রকমের সমস্যা হবে না এবং আপনি নিশ্চিন্তে যে কোন খাবার ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
পাঠক আপনারা হয়তো সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া যাবে কি
না এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। মূলত গর্ভাবস্থায়ী নারকেল খাওয়া যাবে
তবে পরিমাণ মতো। তবে অতিরিক্ত গ্রহণে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
একটি বিষয় না বললেই নয় গর্ভাবস্থায় তিন মাস পর নারকেল খেতে পারেন। তবে যে কোন
খাবার গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। সর্বশেষে এই আর্টিকেলটি
পড়ার জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url