ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম - বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
আপনি কি ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম জানতে এই আর্টিকেলে এসেছেন? এই আর্টিকেলে
আপনাদের সুবিধার্থে গলা ব্যাথা ওষুধের নাম জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা
যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সার্চ করে এই পর্যন্ত এসেছেন তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনি যদি একজন গলা ব্যথা রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এই
আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন, ঢোক গিলতে গলা
ব্যথার দোয়া, গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত, বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের
নাম, ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়, গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত, গলা ব্যথা ও
কাশির ঔষধের নাম, এই সমস্ত বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে
আলোচনা শুরু করা যাক।
ভূমিকা
শীতে অথবা গরমে কমবেশি সকলেই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এই গলা ব্যথা দূর করার
জন্য কিছু কিছু মানুষ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আবার এর মধ্যে অনেকে ওষুধ সেবন
করে গলা ব্যথা দূর করে। কিন্তু এখন কথা হলো গলা ব্যথার জন্য সঠিক ওষুধ কোনগুলো
এবং গলা ব্যাথা ওষুধের দাম কত টাকা এই বিষয়গুলো অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই
আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম এবং বাচ্চাদের গলা
ব্যাথার ঔষধের নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই এই আর্টিকেল আপনারা
সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে
মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন
সামনে আসছে শীত। আর এই শীত কারো জন্য ভালো আবার কারো জন্য দুঃখের হয়ে আসে। ঢোক
গিলতে সমস্যা হয় বিশেষ করে শীতের সময়ে। কারণ ওই সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে
বাসা বাঁধে। তার কারণ হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বিশেষ করে সর্দি কাশির
সমস্যা তো শীতের সময় লেগেই থাকে।
তবে এই সমস্যার কারণে অনেক সময়ই কষ্ট হয়। কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন গলা
ব্যথা বা ঢোক গিলতে সমস্যা এইরকম অসুবিধার লক্ষণ কিন্তু ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিতে
পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম
মৃত্যুর কারণ হলো এই রোগ।
যদি আপনার হঠাৎ করে গলা ব্যথা বা ঢোক গিলতে সমস্যা মনে হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারন এখনকার সময়ে অল্পতেই বেশি সমস্যা তৈরি
হচ্ছে। শুধু তাই নয় ফুসফুসে ক্যান্সার স্তন ক্যান্সারের মতো খাদ্যনালীতে এই
ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে।
কিন্তু আমরা মনে করি ভোগ বিল্ডে সমস্যা হলে একটু ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু হ্যাঁ অল্পতেই আপনি ওষুধ খেলে কি বা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া
করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও একটি তোলা নিয়ে গলায় ছেঁক দিলেও অনেকটা
আরাম পাওয়া যায়।
তবে খাদ্যনালী ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কিছু সম্ভবও লক্ষণ রয়েছে যা আপনারা
অনেকেই জানেন না। সাধারণত মুখ গলা ও খাদ্যনালীতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের
ক্যান্সার ডেকে আনে। খাদ্যনালীর ক্যান্সারে কি কি লক্ষণ রয়েছে চলুন জেনে নিন।
- যেকোনো শক্ত খাবার খেতে গেলে ঢোক গিলতে সমস্যা হয়।
- এমনকি বিভিন্ন তরল খাবার খেতে গেলেও ভোগ কিনতে সমস্যা বা কষ্ট হয়।
- বুক জ্বালাপোড়া ভাব দেখা দিতে পারে।
- হজমের সমস্যা দেখা দেখা দিতে পারে।
- বার বার ঢেকুর উঠা ও পেট ব্যাথা দেখা দিতে পারে।
- দীর্ঘদিন ধরে কাশি ও রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ক্লান্তি, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- বুকের মাঝখানে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা হতে পারে।
- গলার স্বর বদলে যেতে পারে ইত্যাদি।
সাধারণত খাদ্যনালী ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কিছু সম্ভবও লক্ষণ এগুলোই। তাই যদি
আপনার এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে
হবে। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন এইসব লক্ষণ দেখা দিলেই যে আপনার ক্যান্সার
হবে তা নয়।
অন্যান্য রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে একজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আশা করি ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন ই
প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার দোয়া
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার দোয়া সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সাধারণত প্রতিটা মানুষেরই
কম বেশি গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এই গলা ব্যথা কোন ওষুধ ছাড়াই আল্লাহ তায়ালার
ওপর বিশ্বাস করে ভালো করতে হলে আপনাকে যে দোয়াটি পড়তে হবে সেটি এই নিচের
অংশটুকুতে দেওয়া হয়েছে।
তাই আপনাদের যাদের প্রায় সময় গলা ব্যাথা হয়ে থাকে তারা নিচের দোয়াটি পড়লে
আল্লাহ তাআলার রহমতে ভালো হয়ে যাবে। তাই আসুন দোয়াটি জেনে নিন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার দোয়াঃ
দোয়াঃ আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া-কুদরাতিহি-মিন শাররি-মা আজিদু-ওয়া
উহাজিরু।
বাংলা অর্থঃ আল্লাহ তায়ালার নামে, আমি আল্লাহর অসীম সম্মান ও তাঁর বিশাল
ক্ষমতার অসিলায়-আমার অনুভূত এই ব্যথার ক্ষতি থেকে-আশ্রয় প্রার্থনা করি। (আমিন)
দোয়াটি পড়ার উপকারিতা জেনে নিনঃ
ওসমান বিন আবুল আস আসসাকাফি (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর কাছে মারাত্মক ব্যথা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। যে ব্যথায় আমাকে
প্রায় অকেজো করেছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি
তোমার ডান হাত ব্যথার স্থানে রেখে ৭ বার এই দোয়া পড়ো।
(ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৫২২)
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
সাধারণত গলা ব্যথা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এই গলা ব্যাথা যত দ্রুত সম্ভব উপশম
করতে না পারলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই গলা
ব্যথা হলে দেরি না করে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
সাধারণত গলা ব্যথা হলে আপনি ২ ভাবে সেই গলা ব্যথা উপশম করতে পারবেন। ১)
ঘরোয়া পদ্ধতিতে, ২) গলা ব্যথার ওষুধ সেবন করে। তাহলে চলুন নিচে
থেকে আমরা ২ ধরণের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।
১) ঘরোয়া পদ্ধতিতে
যদি আপনার ঠান্ডা কাশি এগুলোর কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে হালকা কুসুম গরম
পানির সাথে লবণ মিশ্রণ করে গড়গড়া করলে আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন। সাধারণত
এই পদ্ধতি অনেক বেশি মানুষ অবলম্বন করে।
এছাড়াও গলা ব্যথা উপশম করতে অত্যন্ত কার্যকারী চা। আপনার যদি গলা ব্যথা হয়
তাহলে আপনি চা এবং সামান্য আদা, আদার রস, লবঙ্গ, মধু এই গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি
মিশ্রণ করে খেতে পারেন, তাহলে গলা ব্যথা থেকে অনেক উপশম পাওয়া যাবে।
এগুলোর পাশাপাশি আপনি চাইলে গলাকে সম্পূর্ণ কোন পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে
জড়িয়ে রাখুন যাতে করে ঠান্ডা না লাগে।
- এরপর কথা বলার সময় চিৎকার করে কথা না বলে যতটুক সম্ভব বিরত থাকুন।
- সবসময় হালকা কুসুম গরম পানি পান করুন। ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- হালকা কুসুম গরম পানির সাথে মধু কিংবা লেবু মিশ্রণ করে খেলে গলা ব্যথা উপশম পাওয়া যায়।
- গলা ব্যথা দূর করার জন্য এক ধরনের চকলেট বা লজেন্স পাওয়া যায় সেটি চুষতে পারেন। এতে করে আপনার গলা ব্যাথা অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে।
২) গলা ব্যথার ওষুধ সেবন করে
গলা ব্যাথা হলে কোন ওষুধ খাবেন তার নির্ধারণ করতে পারবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
কারণ একজন ডাক্তার আপনার গলার কারণ এবং অবসরের উপর ভিত্তি করে আপনাকে সঠিক ওষুধ
প্রেসক্রিপশনে লিখে দিবেন।
তবে আজকে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিবো গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত। সাধারণত
কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো গলা ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে সেই ওষুধগুলো নিম্নে
দেওয়া হলোঃ
প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা (Acetaminophen) আসেটামিনোফেন: এই ওষুধগুলো
আপনার গলা ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। তবে এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
পেইন কিলার ঔষধ (Pain killer medicine): গলা ব্যথা দূর করার জন্য পেইন
কিলার ওষুধ সেবন করতে পারেন। এই ওষুধগুলো ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। তাছাড়া
আরো অনেক ওষুধ রয়েছে যেমন আসপিরিন,প্যারাসিটামল, ইবুপ্রোফেন ইত্যাদি। তবে এই
ওষুধগুলো ব্যথা দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হলেও আপনার গলা ব্যাথার মূল কারণ
সমাধানের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
লোজেঞ্জেস (Lozenges): এই ওষুধটি সাধারণত গলা ব্যথা ও কাশি দূর করার জন্য
সাহায্য করে থাকে। তাই আপনাদের যাদের গলা ব্যথা ও কাশি রয়েছে তারা এই ওষুধটি
খেতে পারেন। তবে এই ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ।
কারণ আপনার গলা ব্যথার কারণ বা স্থান দেখে সঠিক ওষুধ ডাক্তারা লিখে দিবেন।
ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): মূলত এই ঔষধটি একটি প্রশস্ত প্যাইনরেলিফিন ধরনের
ঔষধ। যা গলা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।
গর্গল করার সময় ব্যবহৃত ঔষধ: গলা ব্যথা কমাতে আপনি গর্গল করার সময়
বেটাদিন, সলুশন হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড, এই ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই
ওষুধগুলো আপনার গলা ব্যাথা দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী হতে পারে।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম
যে সকল ব্যক্তিদের ঢোক গিলতে সমস্যা হয় বা গলা ব্যথা রয়েছে তারা নিম্নে কিছু
ওষুধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো সেবন করতে পারেন। নিচের বিভিন্ন ধরনের ওষুধের উল্লেখ
করা হয়েছে যেগুলো আপনার ঢোক গিলতে গলা ব্যথা দূর করতে বিশেষ উপকারী। আর এই
ওষুধগুলোর বিভিন্ন পাওয়ার রয়েছে।
আপনার কি পরিমান মত পাওয়ার ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলতে
পারবেন। তাই এই ওষুধগুলো সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন
করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম জেনে নিন।
নিচে ঢোক গিলতে গলা ব্যাথা নিরাময়ের কার্যকরী কয়েকটি ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ
করা হলোঃ
- সুয়ালেক্স -- (Sualex)
- জিম্যাক্স-৫০০ (Zimax-500)
- ট্রাইডোসিল-৫০০ (Tridosil-500)
- রোলাক -- (Rolac)
- নাপা এক্সটেনড -- (Napa Extend)
- জিরোডল-পি (Zerodol-P)
- মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500)
- ই ফিক্স ১০০ এম জি -- (E Fix 100Mg)
উপরে উল্লেখিত যে ট্যাবলেট গুলোর দেয়া হয়েছে সেগুলো দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময়
করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনাদের যাদের গলা ব্যথা রয়েছে এবং দ্রুত
অধিকার চান তাহলে উপরের উল্লেখিত এই ট্যাবলেট গুলো নিঃসন্দেহে সেবন করতে পারেন।
আশা করা যায় আপনারা এই ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে দ্রুত ব্যাথা উপশম পাবেন।
উল্লেখিত ট্যাবলেট গুলোর দামঃ
অনেকেরই জানার ইচ্ছে থাকে এই ট্যাবলেট গুলোর সঠিক দাম কত টাকা। তাই আপনাদের
সুবিধার্থে আমরা নিচে এই ট্যাবলেট গুলোর দাম উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনারা সেখান
থেকে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
তবে একটি কথা না বললেই নয় ওষুধগুলোর দাম বিভিন্ন কোম্পানির উপর নির্ভর করে। তাই
যে দাম নিচে দেওয়া হবে তার থেকে একটু কম অথবা বেশি হতে পারে।
সুয়ালেক্স -- (Sualex): এই ওষুধটি বাজারে যেকোনো ফার্মেসি দোকানে পেয়ে
যাবেন। এটির এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম শুধুমাত্র ১৭ টাকা।
জিম্যাক্স-৫০০ (Zimax-500): এই ওষুধটিও আপনি নিকটস্থ ফার্মেসী দোকানগুলোতে
পেয়ে যাবেন। এটির একপাতা ওষুধের দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম হলো ৩৫০ টাকা।
ট্রাইডোসিল-৫০০ (Tridosil-500): ট্রাইডোসিল-৫০০ এই ওষুধটিও আপনি যেকোন
ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। এই ওষুধের এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেট এর দাম
হলো ৩৫ টাকা।
রোলাক -- (Rolac): রেলাক এই ওষুধটিও আপনি যেকোন ফার্মেসি দোকানগুলোতে
পেয়ে যাবেন। এই ওষুধের এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেট এর দাম হলো ৯৫ টাকা।
ই ফিক্স ১০০ এম জি -- (E Fix 100Mg): ই ফিক্স ১০০ এম জি এই ওষুধটিও আপনি
যেকোন ফার্মেসি দোকানগুলোতে পেয়ে যাবেন। এই ওষুধের এক বক্সের দাম অর্থাৎ ১০ টি
ট্যাবলেট এর দাম হলো ১০৯ টাকা।
নাপা এক্সটেনড -- (Napa Extend): নাপা এক্সটেন্ড এই ওষুধটিও আপনি যেকোন
ফার্মেসি দোকানগুলোতে পেয়ে যাবেন। এই ওষুধের এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেট
এর দাম শুধুমাত্র ১৫ টাকা।
জিরোডল-পি (Zerodol-P): এই ওষুধটিও আপনি যেকোন ফার্মেসি দোকানগুলোতে পেয়ে
যাবেন। এই ওষুধের এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেট এর দাম শুধুমাত্র ৫৫ টাকা।
মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500): এই ওষুধটিও আপনি যেকোন ফার্মেসি দোকানগুলোতে
পেয়ে যাবেন। এই ওষুধের এক পাতার দাম অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেট এর দাম হলো ৬৭ টাকা।
বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
বিভিন্ন কারণে শিশুদের গলা ব্যথা হতে পারে। এসবের মধ্যে প্রধান হলো ইনফেকশন।
বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই ইনফেকশনটি বাচ্চাদের হয়ে থাকে। বিশেষ
করে শিশুদের গলা ব্যথা কারণ হতে পারে সর্দি, কাশি, গলা খুসখুস করা, জ্বর, গলা
ব্যথা, গলায় অস্বস্তি ভাব, মাথাব্যথা, খাবারের অরুচি, খাবার গিলতে ব্যথা বেড়ে
যাওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, জিহ্বা লাল হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা হওয়া ইত্যাদি।
এছাড়াও যদি গলা ব্যাথার কারণে শিশুদের খাদ্যনালী বা টনসিল ফুলে যাওয়া থেকেও হতে
পারে বিভিন্ন সমস্যা। তাই বাচ্চাদের গলা ব্যথা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে
অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
এছাড়াও বাচ্চাদের গলা ব্যথার জন্য আপনারা ঘরোয়াভাবে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে
বাচ্চাদের গলা ব্যথা কমাতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমত বাচ্চার মুখ পরিষ্কার
রাখতে হবে। যদি ছোট শিশু হয় তাহলে হালকা করে মুখের ভেতরের সাইডে নরম একটি
তোয়ালে দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
যদি বাচ্চা খাবার গ্রহণ করতে পারে তাহলে হালকা গরম খাবার দিন এবং খাবারের পরে মুখ
পরিষ্কার করে দিন। এছাড়াও বাচ্চা যদি একটু বড় হয় তাহলে হালকা কুসুম গরম পানি
এবং লবণ একসঙ্গে মিশ্রণ করে গড়গড়া করতে দিন। তাছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
খেতে দিন। পাশাপাশি আপনার বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করার সুযোগ দিন। তবে
পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
তবে আপনি যদি বাচ্চাদের গলা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করানোর মাধ্যমে ভালো করতে চান
তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ ডাক্তারেরা তার গলা ব্যথা এবং কিছু
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন অনুপাতে দেওয়া
হবে।
এছাড়াও যে সকল বাচ্চাদের বয়স ১২ বছরের কম তাদের জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া হয়ে
থাকে। এই ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের জ্বর, গলা ব্যথা খুব সহজেই দূর হয়ে
যায়। যদি কোন কারণে বাচ্চারা ভালো হতে দেরি বা অন্য কোন সমস্যা হয় তাহলে যত
দ্রুত সম্ভব শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের অসুখ। তবে শীতের শুরুতে
এবং শীতের শেষে ঠান্ডা কাশির সমস্যা কমবেশি প্রতিটা মানুষেরই লেগেই থাকে। অনেক
সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হয়ে ঢোক গিলতে কষ্ট হয়
বা সমস্যা হয়।
তবে এই সমস্যার কারণে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ব্যথাটি সাধারণত টনসিলের কারণে হয়ে
থাকে। মূলত অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণেই টনসিলের সংক্রমণ। আমাদের শরীরের
প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ বলা যায় এই টনসিল।
সাধারণত এই সর্দি, কাশি ভাইরাসগুলোই টনসিলের সংক্রমণের জন্য দায়ী। শুধু তাই নয়
গলা ব্যথার জন্য অনেক সময় ভাইরাস জনিত মনোনিউক্লিওসিসও দায়ী হয়ে থাকে। এছাড়াও
গলা ব্যাথা হয়ে থাকে ডিপথেরিয়ার কারণেও।
শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি বিভিন্ন এলার্জির সমস্যা শীতকালে ঘরের তাপমাত্রা বেশি
গরম হয়ে যাওয়া, শুষ্ক আবহাওয়া, অধিক মসলাযুক্ত খাবার কিংবা ধূমপানের কারণেও
অনেক সময় গলা ব্যথা হতে পারে।তবে এই সমস্যা দূর করার জন্য অনেকেই কি করবেন বুঝতে
পারেন না। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দুধ ও এক চিমটি হলুদ একসঙ্গে মিশ্রণ
করে খেলে অনেক উপশম পাওয়া যায়।
গলা ঢোক গিলতে গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতেও দুধ এবং কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে
মিশ্রণ করে খেলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আপনারা যারা ঢোক গিলতে গলা
ব্যথা কেন হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন আশা করি তারা সঠিক উত্তর
পেয়ে গেছেন।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে এসেছেন তারা
এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ গলা ব্যাথা হলে কি কি খেলে আরাম পাওয়া
যায় বা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
গলা ব্যাথা দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো হালকা কুসুম গরম পানি এবং এক চিমটি
লবণ মিশ্রণ করে গড়গড়া করা। যদি আপনারা সকাল দুপুর রাত তিন বেলায় এই কাজটি করতে
পারেন তাহলে আশা করি গলা ব্যাথা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেনরএরপর গলা ব্যথা দূর
করার জন্য আপনি চা খেতে পারেন।
চা-এর সাথে আদা/লবঙ্গ/মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে খেতে পারলে খুব দ্রুত গলা ব্যাথা
থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও আপনারা চাইলে গলা ব্যথা দূর করার জন্য কমলা,
আমলকি, কাঁচা হলুদ, আদা, মধু, জষ্ঠিমধু, লেবু, তুলসী কিংবা বিভিন্ন ধরনের কাশি বা
গলার সিরাপ খেতে পারেন।
এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার গলা ব্যথা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাহলে আপনারা যারা
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এসেছেন। তাঁরা আশা করি
সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম
গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। দেখুন গলা ব্যাথা ও
খুশখুশে কাশির জন্য আপনি পানি লবণ বা আদা কিংবা দুধ ও হলুদ সঠিক পদ্ধতিতে খেতে
পারেন। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এগুলো খাওয়া যায়? তাই আপনাদের
সুবিধার্থে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে
জেনে নিন।
লবণ পানিঃ যখন আপনার গলা ব্যথা এবং খুশখুসে কাশি হবে তখন এক চিমটি লবণ ও
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। সর্বনিম্ন ১০ সেকেন্ড সময় ধরে গড়গড়া
করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার গড়গড়া করুন। আশা করি আপনি নিজেই দ্রুত সমাধান পেয়ে
যাবেন।
আদা খানঃ গলা ব্যাথা উপশম করার জন্য আদা খুবই উপকারী। এটা থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত গলা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এটি খাওয়ার নিয়ম হলো
প্রথমে আপনাকে এক থেকে দেড় ইঞ্চি আদার টুকরো নিতে হবে। এরপর সেই আদা অল্প আগুনের
আছে এক গ্লাস পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে গরম গরম চুমুক দিয়েই খেতে হবে। আপনি চাইলে তার
সঙ্গে চা পাতা এবং মধু মিশ্রণ করে আদা চা খেতে পারেন। এভাবে খাওয়ার ফলে আপনি খুব
কম সময়ে গলা ব্যথা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন।
দুধ ও হলুদ খানঃ আপনারা হয়তো জানেন কিনা দুধ ও হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকার। হলুদে এক ধরনের কারকিউমিন পদার্থ রয়েছে যা বিভিন্ন ক্ষত কিংবা ব্যথা
সারিয়ে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনাদের যেহেতু গলা ব্যথা বা গলা
খুসখুসে ভাব রয়েছে সেহেতু হালকা কুসুম গরম দুধ এবং সামান্য কাঁচা হলুদ একসঙ্গে
মিশ্রণ করে খেতে পারলে অনেকটাই গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
আপনার হয়তো অনেকেই খুঁজছেন গলা ব্যথা ও কাশির ওষুধের নাম। প্রিয় পাঠক গলা ব্যথা
ও কাশির জন্য যে ওষুধগুলো সেবন করতে হয় সেটি একমাত্র ডাক্তার আপনার গলার অবস্থা
দেখে এবং কাশি হওয়া দেখার উপর ভিত্তি করে প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দেবেন।
আর সেগুলো ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনি দ্রুত গলা ব্যথা ও কাশি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে
উপরে যে পদ্ধতিগুলো দেয়া হয়েছে আশা করি এই পদ্ধতি আপনি যদি ঘরে বসে থেকে
অবলম্বন করেন তাহলে আশা করি ডাক্তারের কাছে আর যেতে হবে না।
লেখকের শেষ কথা | ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম
প্রিয় ভিজিটর আপনারা অনেকেই এই আর্টিকেলটি পড়ে বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
এবং ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি আপনারা এই
আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বা
আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।
আর এইরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ে তথ্য পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আর এই
বিষয়গুলো পড়ে আপনার যদি কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে
জানিয়ে রাখুন। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url