ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন? মোবাইল ফোন আজকের
যুগের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ছাত্রজীবনে এর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর প্রভাব
ফেলতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা মোবাইল ফোনের কারণে ছাত্রদের শিক্ষা জীবনে যেসব
সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়া, গেমস, এবং অন্যান্য আসক্তির কারণে ছাত্ররা তাদের অধ্যয়ন থেকে
বিচ্যুত হয়ে পড়ছে। মোবাইল ফোন এই সমস্যার একটি প্রধান কারণ। এই আর্টিকেলে আমরা
আলোচনা করব ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে।
ভূমিকা
মোবাইল ফোন আজকের দিনে শিক্ষার্থীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি
যোগাযোগ, তথ্যপ্রাপ্তি এবং শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে অনেক সহায়ক হলেও, অতিরিক্ত ও
অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
প্রযুক্তির এই উন্নয়ন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব
ফেলতে পারে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত হওয়ার
ঝুঁকি থাকে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ হারাতে বাধ্য করে। এছাড়াও,
দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে শারীরিক সমস্যার উদ্ভব হয়, যেমন চোখের সমস্যা,
ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপ। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিনোদনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
প্রয়োজনীয় কাজ থেকে দূরে সরে যেতে পারে, যা তাদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত বিকাশে
নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে মোবাইল ফোনের সীমাহীন ব্যবহার তাদের মূল্যবান সময়
নষ্ট করে এবং পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী করে তোলে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে ছাত্র
জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে
আপনাদেরকে সঠিকভাবে জানিয়ে দেবো। আশা করি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে
আপনি সমস্ত বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ
পৃথিবীর সকল প্রযুক্তি আশীর্বাদ হয়ে এলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপব্যবহারে বয়ে
আনে অভিশাপ। মোবাইল ফোনের ভালো দিক রয়েছে আবার খারাপ দিক রয়েছে। কিন্তু এই
সমাজে মোবাইলের অপব্যবহার করে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট মানুষ। বর্তমান সময়ে
সকল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল।
এর উপকারিতা বলে কখনই শেষ করা যাবে না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব সময় কাজ করা
লেনদেন ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে মোবাইল অনেক বড় ফ্যাক্টর হয়ে
দাঁড়ায়। আজ ডিজিটাল যুগ। এই যুগে ইন্টারনেটে হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে যেগুলো
শিক্ষার্থীদের জন্য হয়ে ওঠে অভিশাপ।
মূলত কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা রয়েছে যারা পড়াশোনার নাম করে সব সময় মোবাইল ফোন
নিয়ে পড়ে থাকে। এইগুলোতে সবসময়ই ভিডিও গেম tiktok লেখাপড়া সহ নানা ধরনের
ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে শিক্ষার্থীদের। শুধু যে শিক্ষার্থী তা নয় আশেপাশের
ছোট বড় সকলেই আজ মোবাইলের অপব্যবহার করছেন।
অপ্রয়োজনে কখনোই ফোন ব্যবহার করা উচিত নয় এতে করে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা
দিতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি মোবাইলে প্রতি আগ্রহ হন। মোবাইলে
টিক টক বা অন্যান্য বিনোদন ভিডিও দেখে এবং খাবার খায়। এই অভ্যাসগুলো যে সকল
বাবা-মা করেন তারা নিজে নিজেই তাদের সন্তানদের অভিশাপ ডেকে আনে।
দিন দিন এই ছোট বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এছাড়াও অনেক
শিক্ষার্থীরা রয়েছে যারা রাতে বিছানায় আলো নিভিয়ে সারারাত স্মার্টফোন ব্যবহার
করেন আর এর ফলে চোখের দৃষ্টি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞরা
বলেছেন অন্ধকারে স্মার্টফোনের আলো আপনার চোখের দৃষ্টি কেড়ে নিতেও পারে।
এছাড়াও আপনার মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়তে পারে। ফলে শরীরের অন্যান্য যে
বাকি অংশগুলো রয়েছে সেগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।একজন শিক্ষার্থী মোবাইল
অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মেটাটোনিনের অভাব দেখা যায়। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক
ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও আরো নানা সমস্যা শরীরে হতে পারে মোবাইল ফোন সঠিকভাবে
ব্যবহার না করলে। মূলত কয়েকটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে
কয়েকটি পয়েন্ট নিচে দেওয়া হলোঃ
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আপনার মস্তিষ্কে টিউমার, অনিদ্রা, শারীরিক দুর্বলতা, পিঠে ব্যাথা, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, ডিপ্রেশনের শিকার হওয়া, চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া সহজ না ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে।
- মোবাইল ফোন অধিক ব্যবহারের ফলে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন পরিবার এবং অন্যান্য সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়। আর এর ফলে সবাই কাছ থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়।
- সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ঘন ঘন শেয়ার করার পরে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যেমন হ্যাক হয়ে যাওয়া। যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে, শিক্ষা ও দক্ষতার অবনতি ঘটে। যা সমাজে খুবই খারাপ একটি সমস্যা। এছাড়াও স্মার্টফোন অপব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা ব্লু ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি এগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়ছেন।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো জেনে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের
জন্য অভিশাপ কতটুকু রয়েছে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন এবং
অপ্রয়োজনীয় ভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। আশা করি আমার কথাগুলো আপনি
সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল ফোনের ১০ টি অপকারিতা
আমরা সকলেই জানি মোবাইল ফোন আমাদের যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। বাংলাদেশে এখন
পর্যন্ত প্রায় সকল মানুষের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। তবে এই ফোন ব্যবহার করে কেউ
কেউ উপকার উপলব্ধি করছেন আবার কেউ কেউ ক্ষতির দিকে ঢলে পড়ছে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে মোবাইল ফোনের ১০ টি অপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে
দিব যা আপনার কাজে দিবে। যেহেতু অতিরিক্ত মোবাইল কমবেশি অনেকেই ব্যবহার করেন। তাই
এই পোস্টটি আপনার জন্য আমার মনে হয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন আর দেরি না করে
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নিন।
মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়াঃ যদি আপনি অতিরিক্ত ভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার
করেন তাহলে আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে। একই সাথে আপনার অস্থিরতা ও অমনোযোগিতা
চলে আসবে। সাধারণত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা তৎক্ষণিক বুঝতে পারে না কিন্তু
পরবর্তীতে এ সমস্যাটি উপলব্ধি করতে পারেন।
কখন নিজের অজান্তে আপনি খুব খারাপ ভাবে আচরণ করে ফেলবেন তা কখনোই বলতে পারবেন না।
তাই অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি কমে নিয়ে আসা আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো।
কানে কম শোনাঃ দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার কানের সমস্যা হতে
পারে। যেমন আপনি যদি উচ্চ আওয়াজে কোন গান শুনেন অথবা কানের মধ্যে হেডফোন দিয়ে
অনেক জোরে গান শুনেন তাহলে আপনার শ্রবন শক্তি হারসওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা হতে
পারে।
মূলত ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সে যে শ্রবণ শক্তির হ্রাসের হার বর্তমানে অনেক
বেশি। শুধু তাই নয় দৈনন্দিন দুই থেকে তিন ঘন্টার অধিক মোবাইল ব্যবহার করলে তাদের
তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আংশিক বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া চলাফেরা করার সময় হেডফোন লাগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ
দুর্ঘটনা হয়ে মারা যাচ্ছে। পত্রিকার পাতা খুলে দেখলে বুঝা যায় আসলে মোবাইল ফোন
ব্যবহারের সমস্যা কতটুকু রয়েছে। তাই সবসময়ই বলি মোবাইল ফোন সচেতন ভাবে ব্যবহার
করুন।
ঘাড় ব্যথা হয়ে যাওয়াঃ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে আপনার ঘাড় ব্যাথা
বেড়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যখন আপনি একটু মাথা ঝুলিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার
করবেন বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব এগুলোতে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাবেন তখন
আপনি বুঝতে পারবেন ঘাড় ব্যথা।
এগুলো ব্যবহার করার পরে ঘাড় শরীর কি পজিশনে থাকে এগুলো সঠিকভাবে খেয়াল রাখা
সম্ভব হয় না যার কারণে অল্প সময়েই বেশি ঝুলে থাকার কারণে ঘাড় ব্যথা দেখা দেয়।
তাই মোবাইল ব্যবহার করার সময় সচেতন ও সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করা উচিত।
শুক্রাণু কমে যাওয়াঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে হাই
ফ্রিকোয়েন্সীর ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (Electro-magnetic radiation of
high frequency) শরীরে বিভিন্ন কোষ ও প্রজননতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে যার ফলে
পুরুষদের শুক্রানুর ঘনত্ব দিন দিন কমতে শুরু করে। এটি কোন গল্পকথা নয় বিশেষজ্ঞরা
গবেষণা করে দেখছেন এই সমস্যা বিধায় বলা হয়েছে।
মূলত জামার সাইড পকেটে বা প্যান্টের পকেটে ফোন অনেকক্ষণ পর্যন্ত দিলে মোবাইল
যথেষ্ট উত্তপ্ত থাকার কারণে অন্ডকোষের চারপাশের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়আর এর ফলে
শুক্রানুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইজন্যই পকেটে বা কাছে সব সময় ফোন না রাখার পরামর্শ
দেন বিশেষজ্ঞরা।
চোখের জ্যোতি কমে যাওয়াঃ দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের
জ্যোতি আস্তে আস্তে কমে যাবে। গবেষকের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে চোখের খুব কাছে মোবাইল
ফোন রেখে ব্যবহার করলে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যায় আর এর ফলে জিনগত
সমস্যা দেখা দেয়।
শুধু তাই নয় চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেও আপনাদেরকে ফোন চোখের কাছ
থেকে ব্যবহার করতে সবসময় মানা করবে। বিশেষ করে মোবাইলের নিলাম আলোচকের রেটিনার
দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মাধ্যমে অন্ধের দিকে নিয়ে যায়। মোবাইল ব্যবহার করার সময়
দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবহার করা ভালো।
চিন্তা শক্তি কমে যাওয়াঃ মূলত মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের
তড়িৎ চিন্তা শক্তি আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। আর এর ফলে পড়াশোনায় মন না বসা
ভালো রেজাল্ট না করা বিভ্রান্তিকর সময় কাটানো ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়ে।
প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা গেমস সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও ইত্যাদি দিকে অনেক বেশি সময়
দিয়ে ফেলছে আর এর ফলে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
জাপানের ডকোমো ফাউন্ডেশন ৫ টি দেশকে জরিপ করে ৭০ শতাংশ শিশু পেয়েছে যারা পরিবার
ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতার কারণ হিসেবে মোবাইল ফোনকে দায়ী করেছে। তাহলে বুঝতেই
পারছেন আপনার চিন্তাশক্তি আস্তে আস্তে কমে যাওয়া মূল কারণটা কি। তাই যত দ্রুত
সম্ভব মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহার না করে প্রয়োজনে ব্যবহার করুন।
মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জঃ অনেক মানুষ রয়েছে যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল
ব্যবহার করার ফলে মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয়। একজন মানুষ যত বেশি মোবাইল ফোন
ব্যবহার করবে তত বেশি উদ্বেগ এবং আতঙ্কের কারণ হতে পারে। এছাড়াও মোবাইল ফোনের
অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে একজন মানুষের বিষণ্নতা ও একাকীত্ব অনুভূতি হতে পারে যা
খুবই বাজে একটি সমস্যা।
মূলত এই সমস্ত সমস্যার কারণ একটাই সেটা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করা। এটা
মানসিক সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিতে
হবে।
পর্নো-আসক্তিঃ মোবাইল ফোনে অতি সহজে ইন্টারনেটের সু-ব্যবস্থা
হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে অল্প বয়সে মানুষেরা এই পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি হয়
করছে। শুধু তাই নয় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা ও এই পর্নোগ্রাফিতে অনেক বেশি
আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। দিন দিন শত শত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে
পর্নোগ্রাফে আসক্তি তৈরি হচ্ছে যা যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আর এর ফলে অনেক ছেলেমেয়েদের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি যৌন চাহিদা, ইভটিজিং,
ধর্ষণ ইত্যাদি বেড়েই চলেছে। পত্রপত্রিকা খুলে দেখলেই এই ধরনের নিউজের অভাব নেই।
তাই অবশ্যই এই সমস্যা থেকে বের হতে হলে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে
হবে।
তাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যায় কি কাজ করে এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ অল্প বয়সে কখনোই ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে
দিবেন না। তাদের সঠিক বয়স হওয়ার পরেই মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত।
হঠাৎ রিংটোন শোনাঃ মনের মধ্যে বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা তৈরি হয় অতিরিক্ত
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে। আর এই সময় হঠাৎ করে অনেকেই রিংটোন বা vibration
বেজে ওঠার শব্দ শুনতে পান। অর্থাৎ তাদের মনে হয় কেউ একজন ফোন করছে সেজন্য
নোটিফিকেশন বা কল আসছে।
কিন্তু আসলে তা বাস্তবে এমন কিছুই হয়নি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে
এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার না করে
প্রয়োজনে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতিঃ গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ দীর্ঘক্ষণ
স্মার্টফোন ব্যবহার করলে স্ক্রিনে ক্লিক, ট্যাব, সোয়াইপের পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে
যায় যার ফলে আঙ্গুলের জয়েন্টে ব্যাথা হয়। এমনকি অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার
করার ফলে আর্থরাইটিসের সমস্যা হওয়ারও সম্ভাবনাঅনেক বেড়ে যায়।
তাছাড়া কানের মাঝামাঝি রেখে কথা বলা দীর্ঘক্ষণ ফোনের ডিসপ্লেতে তাকিয়ে থাকা
অতিরিক্ত ঝুলে দীর্ঘক্ষণ মেসেজ টাইপিং করার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে
যায়। তাই অতিরিক্ত টাইপিং না করে সঠিক পদ্ধতিতে টাইপিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন
বিশেষজ্ঞরা। আশা করি মোবাইল ফোনের ১০ টি অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে
পেরেছেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের শারীরিক প্রভাব
আজকাল অল্প বয়সী মানুষদের শরীরের সমস্যার কারণ মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করা।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল বাচ্চারা অনেকক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে
তাদের মস্তিষ্ক ও কানের মস্তিষ্ক ও কানে Non-malignant tumors (নন-ম্যালিগন্যান্ট
টিউমার) হওয়ার উচ্চতর আশঙ্কা থাকে।
এছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের রেটিনা
কর্নিয়া এবং চোখের অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এর ফলে ক্ষীণ দৃষ্টি
সমস্যা। এ রোগের কারণে মাথাব্যথা যন্ত্রণা ক্লাসের পিছনে বসে সামনের বোর্ডের
স্পষ্ট লেখা দেখতে না পাওয়া ইত্যাদির সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে এখন বর্তমান
সময়ে খুব অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদের চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়।
তার কারণ অল্প বয়সে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করার কারণে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিক রয়েছে আবার খারাপ দিক রয়েছে দীর্ঘক্ষন মোবাইল
ব্যবহার করলে শারীরিক সমস্যা মানসিক সমস্যা চিন্তাশক্তির সমস্যা সহ নানা ধরনের
সমস্যা দিন দিন তৈরি হচ্ছে।
বিশেষ করে স্মার্ট ফোন আসক্ত ছেলেমেয়েদের মাথা ব্যাথা, ঘাড় ব্যথা, অনিয়মিত
খাওয়া,হাত ও পিঠে ব্যথা সহ নানা ধরনের মারাত্মক রোগের আক্রান্ত হতে পারে।
এছাড়াও অনিয়মিত ঘুম ভুলে যাওয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ধীরে ধীরে
বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া, অমনোযোগিতা, খিটখিটে মেজাজ সহ নানা
ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে ।
এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবেনা। তাই আপনারা যারা মোবাইল
ফোন ব্যবহারের শারীরিক প্রভাব সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আশা করি সঠিকভাবে জানতে
পেরেছেন।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা বলতে গেলে শেষ হবে না। তবে আপনাদেরকে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বলার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। একজন ছাত্রের হাতে
প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত হাতে মোবাইল দেওয়াটা আমার কাছে মনে হয় নিজের
সন্তানকে ধ্বংসের দিকে দেওয়া ছাড়া আর কোন কিছুই নয়।
কারণ আপনি যখনই একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিবেন তখনই
পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল ফোনে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়বে। আর এর ফলে আপনার
সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে বাকি থাকবে না। একজন ছাত্রকে কখন মোবাইল দিতে
পারবেন যখন অনলাইনে ক্লাস করার দরকার পড়বে তখন দেবেন।
এছাড়াও কোন ই-বুক নিয়ে মোবাইলে পড়লে সেটাও ঠিক আছে আবার কোন কিছু জ্ঞান অর্জন
করলে সেটাও ঠিক আছে। কিন্তু অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে আপনার সন্তানের ক্ষতি
ছাড়া ভালো হবে না। আজকে আমি আপনাদের ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে
সঠিকভাবে জানিয়ে দেবো এই আর্টিকেলে।
তাই আপনারা যারা ছাত্র জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত দিকে চাচ্ছেন বা এ বিষয়টি সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন তারা আশা করি নিজে নিজে সুন্দর করে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে
পয়েন্ট আকারে দেয়া হয়েছে জেনে নিন।
- ছাত্র-ছাত্রীরা বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। প্রতিনিয়ত এইরকম কাজ অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা করে থাকেন। আর এর ফল অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তারা বুঝতে পারেন। যেমন রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে মাথা যন্ত্রণা, ঘুম না হওয়া, স্বাস্থ্য কমে যাওয়া, দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজসহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।
- অনেক ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে করতে একপর্যায়ে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় ভাবেও পড়াশোনা বাদ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটান। আস্তে আস্তে পড়াশুনার চাহিদা কমতে শুরু করে এবং পরবর্তীতে দেখা যায় পড়াশোনার উপর কোনরকম মন মানসিকতা থাকে না। প্রতিনিয়ত ব্যবহার করার জন্য ফোন আমাদের প্রয়োজন কিন্তু এই ফোনের অপব্যবহার করে অনেক ছাত্রছাত্রীরা আর ধ্বংসের দিকে ধাপ বাড়িয়েছে।
- দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে কিশোর কিশোরীরা, ছাত্র-ছাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনায় ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারে না। আর এর ফলে রুচি ভালো থাকে না খাবারে মন বসে না কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ রেগে যায় অপুষ্টিতে ভোগে কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না এ সমস্যাগুলো অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের হয়ে থাকে। আমি মনে করি এগুলো হওয়ার বিশেষ কারণ হলো মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করা।
- বিশেষ করে অনেক ছাত্রছাত্রীরা বর্তমান সময়ে গেম নিয়ে খুবই আসক্ত হয়ে পড়ছে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে তারা দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাটিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এগুলো কাজ করে থাকেন তারা কখনোই চিন্তা করে না যে তাদের সামনের ভবিষ্যৎটা কি। আমি মনে করি যারা প্রতিনিয়ত রাতকে রাত না মেনে দিনকে দিন না মেনে গেম নিয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
- জীবনে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই পড়াশোনা প্রয়োজন রয়েছে। যদি আপনি সঠিকভাবে পড়াশোনা না করেন বা গেম নিয়ে আসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে আপনার শারীরিক সমস্যা মানসিক সমস্যা দুশ্চিন্তা অল্প বয়সে নেশা করা সহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
- ছাত্রছাত্রীরা রাতে বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভিডিও দেখার ফলে তাদের মানসিক বিপর্যয় ঘটে আর এর ফলে আস্তে আস্তে তাদের যৌন ক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। মোবাইল ফোন অপব্যবহার করলে ছাত্রছাত্রীর জীবনে নেমে আসবে ভয়াবহ দুর্যোগ।
- বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি, ব্লু ফিল্ম, এগুলো দেখে তারা হস্তমৈথুন করেন। আর এর ফলে শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, দুশ্চিন্তা সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগেন। বর্তমান সময়ে এই কাজগুলো কোন পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি করে থাকেন। আর এর ফলে ধর্ষণ, যৌন চাহিদা, ইভটিজিং সহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের। তাহলে বুঝতেই পারছেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা কতটুকু রয়েছে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল
১) ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল দিকগুলোঃ
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল দিক অনেকগুলো রয়েছে। আজকে আমরা এই বিষয়টি
সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিবো। কারণ একজন ছাত্রের এগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। ছাত্র
জীবনে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো জানার আগে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে
ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল দিক সমূহ গুলো। তাই আসুন আর দেরি না করে
জেনে নিন।
পাঠ পুনরাবৃত্তিঃ যদি কোন ছাত্র কোন কারণে ক্লাস করতে সমর্থ না হয়, তাহলে
তারা অনলাইনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরে বসে ক্লাস করতে পারে। শুধু
তাই নয় তারা চাইলে আরো নানা ধরনের শিক্ষা বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে জেনে জ্ঞান অর্জন
করতে পারে। এতে করে সঠিক জ্ঞান চর্চা হবে এবং পাঠ সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় দূর
হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই মোবাইল ফোন সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
বিভিন্ন পরীক্ষায় আবেদনঃ অনেক ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে যারা অনলাইনের
মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আবেদন করেন। আর এর মাধ্যমে তারা
অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বিষয়ক
তথ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। শুধু তাই নয় অনলাইনে আরো অনেক শিক্ষা বিষয়ক তথ্য
রয়েছে যেগুলো জেনে নিজের জ্ঞান অর্জন করা যাবে।
অনলাইন ক্লাসঃ অনেক ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে যারা ঘরে বসে খুব সহজেই মোবাইল
ফোন ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। এটি একটি মোবাইল ব্যবহার করার ভালো
দিক। আসলে আমরা মূলত অনেকেই ভাবি মোবাইল ফোন খারাপ কিন্তু আসলে মোবাইল ফোনের
অপব্যবহার করাটা খারাপ। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল দিক থাকবে এটাই
স্বাভাবিক। কিন্তু কুফল দিকগুলো আস্তে আস্তে কমিয়ে সুফল ভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে
আসতে হবে।
২) ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কুফল দিকগুলোঃ
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারঃ আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন
ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শারীরিক সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি মানসিক সমস্যা হবে।
আপনার পরবর্তীতে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার
করে নিজের মস্তিষ্কের সমস্যা তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই।
মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তিঃ অনেক ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে যারা মোবাইল ফোনের
প্রতি অনেক আসক্তি। এখন ডিজিটাল যুগ। আর এই যুগে মোবাইল ফোন প্রয়োজনে ক্ষেত্রে
ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু মোবাইলের অপব্যবহার করাটা কখনোই ভালো দিক নয়। মোবাইল
ফোনের প্রতি আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করা ছাত্রদের দায়িত্ব।
সময়ের অপচয়ঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে সময়ের অপচয় হয়
পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এর ফলে বড় ধরনের রোগ
তৈরি হয়। তাই কম সময় মোবাইল ব্যবহার করা দরকার এবং বেশি সময় পড়াশোনা ও
অন্যান্য কাজ করা দরকার। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে না পারলে
পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এ বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রেখে সামনে
এগোনো উচিত।
গেম খেলাঃ বর্তমান সময়ে গেম খেলা একটি ভাত খাওয়ার মত অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনের পর দিন রাতের পর রাত জেগে জেগে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা গেম
খেলছেন। তাই ছাত্র জীবনে স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে উচিত।
অপ্রয়োজনীয় ভাবে গেম খেলে সময় নষ্ট না করা বুদ্ধিমানের কাজ।
সামাজিকতার অভাবঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে অল্প বয়সী
ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সামাজিকতা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ তারা সমাজের যে
লোকজন রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে মেলামেশা না করে মোবাইল ফোন নিয়ে নিজের মত করে ইনজয়
করতে বেশি পছন্দ করে আর এর ফলে সামাজিকতার ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যঘাত ঘটে।
ব্রেনের ক্ষতিঃ দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ব্রেনের ক্ষতি হয়।
আমাদের মানবদেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান মস্তিষ্ক। যদি আপনার মস্তিষ্ক
ঠিক থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে খেতে পারবেন।
আর যদি আপনার মস্তিষ্কের সমস্যা হয় তাহলে কোন কিছুই করতে পারবেন না। তাই
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজের ব্রেনের ক্ষতি না করে অন্য কাজের দিকে
ফোকাস করুন। এতে করে আপনার সামনের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে।
লেখকের শেষ কথা | ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এই বিষয়টি আপনাদের জ্ঞান অর্জন করার জন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। তাই আপনারা যদি এই শিক্ষা বিষয় জেনে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের বিষয়ে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষে বলতে চাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url