ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন। এই পোস্টে আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
এই পোস্টের একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, ই ক্যাপ এর কাজ কি, ই ক্যাপ খেলে কি হয়, ই ক্যাপ ৪০০ খেলে কি হয়, ই ক্যাপ ২০০ খেলে কি হয়, ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম, ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ই-ক্যাপ এর দাম, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
ই ক্যাপ হলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি সাপ্লিমেন্ট, যা ত্বক, চুল এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা দেহকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। ই ক্যাপ সাধারণত ত্বকের ময়েশ্চারাইজার, সূর্যের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা, এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই ই ক্যাপ ব্যবহার ফলে আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা হয়ে থাকে যা আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আপনারা যদি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
ই ক্যাপ এর কাজ কি
ই ক্যাপ সেক্স এর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। এই ইক্যাপে একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার কারণে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে পাশাপাশি রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতেও সাহায্য করে এবং যৌন উত্তেজনা কে উন্নত করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই ক্যাপ শেখ সমস্যায় বেশ কিছু উপায় কাজ করে থাকে। যেমনঃ
রক্ত প্রবাহ উন্নত করেঃ ভিটামিন ই ক্যাপ রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করে পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যে ইলেকশন উন্নত করে এবং মহিলাদের মধ্যে যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেঃ ই ক্যাপ এ একটি শক্তিশালী অ্যান্টক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ই ক্যাপ লিঙ্গের অঙ্গগুলির কোষগুলি থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। যা ইলেকশন এবং যৌন উত্তেজনা কে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণঃ ভিটামিন ই ক্যাপ হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সহায়তা করে পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যে টেস্টারনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং মহিলাদের মধ্যে ইন্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন ভিটামিন ই ক্যাপ এর কাজ কি বা ই ক্যাপ খেলে কি হয়।
ই ক্যাপ ৪০০ খেলে কি হয়
ই ক্যাপ ৪০০ হলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি ক্যাপসুল, যা শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন ই হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের কোষগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বক, চুল, ও হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ই ক্যাপ ৪০০ অনেক ধরনের শারীরিক উপকারিতা প্রদান করে।
ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার উপকারিতা
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ ভিটামিন ই ত্বকের কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ কমায়।
চুলের যত্নে কার্যকরঃ ই ক্যাপ ৪০০ চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চুলের গোঁড়া মজবুত করে। এটি চুলের শুষ্কতা ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা কমায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ ভিটামিন ই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ ভিটামিন ই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
তবে, ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন ই গ্রহণের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
ই ক্যাপ ২০০ খেলে কি হয়
ই ক্যাপ ২০০ একটি জনপ্রিয় ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট, যা সাধারণত ত্বক, চুল এবং শরীরের জন্য নানা উপকারিতা প্রদান করে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে।
ই ক্যাপ ২০০ খাওয়ার উপকারিতাঃ
ত্বকের জন্য উপকারীঃ ই ক্যাপ ২০০ ত্বকের সুরক্ষা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, বলিরেখা কমায় এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ ভিটামিন ই চুলের জন্যও বেশ উপকারী। যদি চুলে জট বেঁধে যায় বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে চুল যত্ন নিতে পারেন না তারা ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন। এটি চুলের ঝলমলে ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায়।
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করেঃ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তারা ই ক্যাপ ২০০ খেতে পারেন। ই ক্যাপ ২০০ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিক্রি করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন অসুস্থতা এবং সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে।
হার্টের সুরক্ষাঃ ই ক্যাপ রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, রক্ত জমাট বাঁধা কমায় এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
চুল ও ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিশেষ কার্যকারী। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা চুল পড়া রোধ করতে চাই কিংবা ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাই। তারা যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারে তাহলে আশা করি চুল পড়া দূর হবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
তবে কিছু সময় ই ক্যাপ ভুল ভাবে ব্যবহার করার কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আসুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন।
বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে সাহায্য করেঃ ভিটামিন ই ক্যাপ বার্ধক্যর প্রভাব কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই যে সকল মানুষের এই সমস্যাটি রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত নিয়ম অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে এই সমস্যাটি ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে।
হাড়ের সমস্যা দূর করতেঃ যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা ই ক্যাপ খেতে পারেন। কারণই ক্যাপ যে ভিটামিন রয়েছে তা হাড়ের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যাদের বন্ধ্যত্বের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত ই ক্যাপ খেতে পারেন। আশা করি বন্ধ্যত্বের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
ত্বক ময়েশ্চার রাখতেঃ বর্তমান সময়ে এখন একটু একটু প্রকৃতি শীত বিরাজ করছে। এই সময় আপনি চাইলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতে ক্রিমের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ রাতে ঘুমানোর আগে আপনার ত্বকে ভালোভাবে ই ক্যাপ সারারাত লাগিয়ে রাখলে ত্বক ময়েশ্চার করতে সাহায্য করবে।
যে সকল ব্যক্তিদের ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখা, ত্বক টান পড়া বা অন্যান্য দাগ পড়ার মতো সমস্যা রয়েছে। তারা ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ই ক্যাপে যে ভিটামিন রয়েছে তা এই সমস্যাগুলো দূর করতে অনেক বেশি উপকারী।
নখ ময়েশ্চার রাখতেঃ শীতের সময় নখ মশ্চারাইজ রাখা প্রয়োজন। নইলে পরবর্তীতে নখের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। হয়তো ভেঙ্গে যেতেও পারে। তাই আগে থেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমত আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুলে যে ভেতরের তরল পদার্থটি রয়েছে সেটি নখের চারপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। বিশেষ করে এই পদ্ধতি রাতে অবলম্বন করলে অনেক বেশি ভালো থাকে নখ।
রোদে পোড়া থেকে বাঁচতেঃ অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ত্বক রোদে পড়ার কারণে অনেক সময় কালো হয়ে যায় কিংবা সানবার্ন পড়ে যায়। তবে এই সমস্যা দূর করার জন্য ই ক্যাপ অত্যন্ত কার্যকারী। আপনারা চাইলে ই ক্যাপ ব্যবহার করে রোদে পোড়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
চুল পড়া দূর করতেঃ বর্তমান সময়ে অল্প বয়সে চুল পড়ে যায় কিংবা পেকে যায় তবে এই সমস্যা দূর করার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। আপনার বাড়িতে যে তেলটি ব্যবহার করছেন তার সাথে ই ক্যাপসুল মিশ্রণ করে ব্যবহার করলে আশা করি আপনার চুল পড়া দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ক্ষত সারাতেঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের বিভিন্ন ক্ষত নির্ণয় করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ই ক্যাপসুল সেবন করার ফলে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই ক্যাপসুল আপনার ক্ষতস্থানের জন্য কতটা উপকারী।
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেঃ ই ক্যাপ আমাদের শরীর সতেজ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ই ক্যাপ এমন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের ত্বক এবং মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। ই ক্যাপ সৌন্দর্য চর্চার জন্য খুবই কার্যকারী একটি উপাদান।
ই ক্যাপ এর অপকারিতা
সবকিছুর যেমন উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি কি ক্যাপ এর অপকারিতা ও রয়েছে। তাই উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা কি কি রয়েছে সেটাও জানা জরুরী। তাই আসুন জেনে নিন।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে সরাসরি ত্বকে ই ক্যাপসুল লাগালে ক্ষতিও হতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভেবে চিন্তে ব্যবহার করুন।
- ত্বক ভালো রাখতে সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার না করাই উচিত। বিশেষ করে লেবুর রস মধু কিংবা দইয়ের সাথে মিশ্রণ করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল হবে। এছাড়াও ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগছোপ কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশ্রণ করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগছোপ কমাতেও সাহায্য করবে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত সেবন করার ফলে আপনার আমাশয় সহ এলার্জিজনিত যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো দেখা দিতে পারে। তাই এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
- এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম
পূর্বে আমরা জেনে এসেছি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিব ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। ভিটামিন ই, একটি অক্সিডেন্ট যা সাধারণত বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারে পাওয়া যায় যেমন- সবুজ শাক সবজি বিভিন্ন ধরনের বীজ ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
বিশেষ করে আমাদের শরীরের জন্য এটি খুবই দরকারী। ভিটামিন ই আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সতেজ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে তাই ভিটামিন ই আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। অনেক মানুষ রয়েছে যারা সবুজ শাক-সবজি খেতে কম ভালোবাসেন। শাক-সবজি কম খাওয়ার ফলে সঠিক ভিটামিন শরীরে থাকে।
যার ফলে ডাক্তাররা ভিটামিন ই ক্যাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও কারো মাথার চুল অল্প বয়সে পড়ে গেলে কিংবা শরীরের ত্বক খসখসে ভাব হলে তখন ডাক্তাররা ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে বলেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম, কখন খেতে হয়।
তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন কোন ওষুধে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ই ক্যাপ সাধারণত 200 IU এবং 400 IU হয়ে থাকে। তবে 200 IU ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হল দিনে ১টি অথবা ২টি। তবে 400 IU ক্যাপসুল হলে দিনে ১টি খাওয়াটাই সঠিক নিয়ম। এই ওষুধগুলো খাওয়ার সর্বোচ্চ সঠিক সময় হলো সন্ধ্যাবেলা হালকা কিছু নাস্তা খাওয়ার পর ই ক্যাপ খাওয়া।
যদি আপনার সন্ধ্যায় কোনভাবে খাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে আপনি রাতে খাবার গ্রহণ করার ৪০ মিনিট পর ই ক্যাপ খেতে পারেন। সম্পূর্ণ উপকার পাওয়ার জন্য আপনাকে টানা ৩০ দিন অর্থাৎ একমাস খেতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন রোগের ধরন অনুযায়ী এই ওষুধগুলো খেতে হয় যেমনঃ
- শিশুদের ভিটামিন-ই এর অভাবে প্রতিদিন 200 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- চুল ও ত্বকের জন্য প্রতিদিন 200 IU-400 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- বয়স্ক মানুষের ঠান্ডাজনিত সমস্যায় প্রতিদিন 200 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা প্রতিদিন 400 IU-800 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- প্রাপ্তবয়স্কদের ভিটামিন-ই এর অভাব দেখা দিলে প্রতিদিন 200 IU-400 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- যাদের সিকল সেল এনিমিয়া সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিদিন 400 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
- থ্যালাসেমিয়া সমস্যায় 800 IU ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন রোগের ধরন অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করার জন্য দেয়া হয়েছে। তবে এগুলো সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
আপনি মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন সেটার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলেও অনেক উপকার মিলবে। এছাড়াও মুখের ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপ এর এমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরে র্যাশ হওয়া, বমি বমি ভাব ক্লান্ত লাগা মাথা ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপ অতিরিক্ত সেবনের ফলে আপনার হার দুর্বল হয়ে যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে কিংবা থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। তাই এগুলো সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন।
যারা ই ক্যাপ খাবেন নাঃ
- যারা গর্ভাবস্থায় রয়েছে তারা ই ক্যাপ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও দুগ্ধদানকারী মা ই ক্যাপ খাবেন না।
- যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তারা ই ক্যাপ খাবেন না। এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- যাদের হাই কোলেস্টেরল রয়েছে তারাও ই ক্যাপ খাবেন না।
- তাদের লিভার রোগ রয়েছে তারাও ই ক্যাপ খাবেন না।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা ই ক্যাপ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ অনেক কোম্পানির ওষুধ রয়েছে যেগুলোতে সুগার ব্যবহার করা হয়েছে।
- এছাড়াও যাদের রক্ত রোগ রয়েছে তারাও ই ক্যাপ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের জন্য কিংবা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তবে এই ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ই ক্যাপ এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আপনার যারা জরুরী। তাই আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।
ই ক্যাপ আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করেন, তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, প্রচন্ড পেট ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হওয়া, ক্লান্তি পাওয়া, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি নিকটস্থ অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপর সেবন করবেন।
ই-ক্যাপ এর দাম
আপানারা যারা ই-ক্যাপ এর দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তারা নিচের তালিকাটি দেখলেই দাম জেনে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
লেখকের শেষ কথা | ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে।
তাই আর দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url