ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় - উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা

আপনি কি ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই আর্টিকেলে আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়লে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায়
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে, উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা, উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা, ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা, ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা, ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম, ওলট কম্বল গাছের ছবি এবং ওলট কম্বল খেলে কি হয় এই সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।

ভূমিকা 

ওলট কম্বল গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Abroma augusta) একটি ঔষধি গাছ, যা প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য এই গাছ বেশ কার্যকরী বলে বিবেচিত। গাছটির নানা ঔষধি গুণ রয়েছে, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। তবে এই গাছ চিনতে পারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রাকৃতিক চিকিৎসায় কার্যকর হলেও চেনার ভুল হলে প্রয়োজনীয় গুণাগুণ থেকে বঞ্চিত হওয়া যায়। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় এবং উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের যাদের এই বিষয়গুলো জানার আগ্রহ রয়েছে তারা আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আশা করি সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে যাবেন।

উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা

আজকে আমরা এমন একটি উদ্ভিদ সম্পর্কে কথা বলব যা আমাদের দেহের যৌন শক্তি বৃদ্ধি সহ দেহের কঠিন থেকে কঠিনতম রোগ নিরাময় অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। পথ চলতে গিয়ে অজানা কতগুলো উদ্ভিদের ফুল আমরা দেখে মুগ্ধ হয়। দরকারী এই সব ফুল ও লতাপাতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা আমাদের উচিত। কেননা প্রাণ ও প্রকৃতি আমাদের জীবন ধারণে দরকারি। 
কোন কোন উদ্ভিদ মানবদেহের শক্তি বলের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। ঠিক তেমনি একটি উদ্ভিদ হলো উলট-কম্বল। হ্যাঁ আজকে আমরা কথা বলবো উলট কম্বলের অসাধারণ গুণগত মান সম্পর্কে। উলট-কম্বল উদ্ভিদ প্রকৃতি গতভাবেই বেড়ে ওঠে। উলট-কম্বল ফুল মূলত বর্ষার ফুল। তাই এই সময় দেখা যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে।

  • অনেক পুরুষই আছেন যৌন অক্ষমতায় ভুগছেন। অনেকে আছেন যৌন মিলন করতে গিয়ে অল্প দুই তিন মিনিটের মধ্যে খুব অল্প সময়ে যেমন ধরুন এক দুই মিনিটের মধ্যে বীর্য বের হয়ে যায়। তারা এই গাছের ডাটা কুচি কুচি করে কেটে সন্ধ্যার সময় একটি পরিষ্কার গ্লাসে অথবা মগে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এটি ছেঁকে দেখবেন ভেজানো পানিটি একটু গাড়ো গাড়ো ভাব রয়েছে ওটি পান করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। এতে আপনি যৌন সক্ষমতা পেতে পারেন ১০-১৫ এমনকি আধা ঘন্টাও যৌন সক্ষমতা পেতে পারেন।
  • আবার কারো কারো বীর্য পাতলা সমস্যায় ভুগছেন। যারা বীর্য পাতলা সমস্যায় ভুগছেন তারাও একটানা এই ডাটা ভেজানো পানি পান করবেন। আশা করি অনেক উপকারিতা লাভ করবেন।
  • মেয়েদের ক্ষেত্রেও এটি অনেক কার্যকরী। যেমনঃ দীর্ঘদিন থেকে অনিমিত ঋতুস্রাব, জরায়ু সংক্রান্ত রোগ, বন্ধ্যাত্ব, ব্যাথা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে এটি কার্যকর বলে জানান ভেষজ বিশেষজ্ঞগণ।
  • এতে থেকে তৈরিকৃত ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বিশেষ করে বন্ধ্যাত্ব রোগীদের ক্ষেত্রে বা যাদের কখনো বাচ্চা হয় না তাদের ক্ষেত্রে ওলট কম্বলের মূলের শাল ভীষণ উপকারী।
  • এছাড়াও যারা গনোরিয়া রোগে ভুগছেন তাঁরা ওলট কম্বল গাছের পাতা ও কান্ডের রস খেলে গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। গনোরিয়া রোগের জন্য ওলট কম্বল গাছের পাতা ও কান্ডের রস বিশেষ উপকারী।
  • আবার যে সকল পুরুষেরা আগের মত উত্তেজনা পান না তারা এই ওলট কম্বল গাছের শিকড়ের বাকল খেতে পারেন। এর শিকড়ের বাকোলে রয়েছে এমন একটি উপাদান যা যৌন উত্তেজনাকে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পাড়িয়ে দিতে পারে। 

উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা

উলট কম্বল একটি ভেষজ উদ্ভিদ, যা সাধারণত ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। এই গাছের পাতা, শেকড়, এবং ডাটার নির্যাস আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যদিও উলট কম্বলের ডাটার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে, বিশেষত যখন এটি ভুলভাবে বা অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়।

উলট কম্বলের ডাটার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতাঃ

হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ উলট কম্বলের ডাটা প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলেও অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটাতে পারে। বিশেষ করে মহিলাদের মাসিক চক্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত সেবনে গ্যাস্ট্রিক সমস্যাঃ এই গাছের ডাটার অতিরিক্ত সেবন করলে পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, এবং হজমে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি পেটের অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

রক্তচাপের সমস্যাঃ উলট কম্বলের ডাটা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক হলেও, এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে রক্তচাপ অত্যধিক কমে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকরঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উলট কম্বলের ডাটা সেবন করা বিপজ্জনক হতে পারে। এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই গর্ভকালীন সময়ে এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
উলট কম্বলের ডাটার ঔষধি গুণ থাকলেও এর অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে এবং নির্ধারিত ডোজে ব্যবহার না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই ওলট কম্বল কোন সময় খেতে হবে বা কিভাবে খেতে হবে তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা

আপনার অনেকেই জানতে চেয়েছেন ওলট কম্বল বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আজকে আমি আপনাদের সুবিধার্থে এ বিষয়টি সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। ওলট কম্বল বিজি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন ভিটামিন এ ভিটামিন সি পটাশিয়াম ফাইবার ফসফরাস ক্যালসিয়াম ফ্লাভনয়েড ইত্যাদি যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

এছাড়াও হাড় ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যৌন সংক্রান্ত যে সমস্ত সমস্যাগুলো রয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করে এই ওলট কম্বল বীজ। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা ঠিক করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তাহলে আশা করি ওরকম্বল গাছের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা

আমাদের বাড়ির আশেপাশে বন জঙ্গলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধী গাছপালা রয়েছে যে গাছগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা বা জানার চেষ্টাও করি না। তবে এই গাছগুলো আপনার হতে পারে অনেক বড় ধরনের রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই আপনাকে সেই সকল কাজগুলো সম্পর্কে জানা উচিত। 
আজকে আমি এই আর্টিকেলে ওলট কম্বল গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। এই গাছটি মূলত মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। তাই আসুন আর দেরি না করে কি কি উপকারিতা রয়েছে জেনে নিন।

  • ওলট কম্বল গাছে যে সকল কচি কচি ডাল রয়েছে সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে মিশ্রণ করে খেলে যৌনশক্তি এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি ওলট কম্বল গাছের মুল খেলে চুল পড়া রোধ এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করবে।
  • ওলট কম্বলের গাছ সর্দি কাশি নিরাময় করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। পাশাপাশি অনিদ্রা জনিত সমস্যা হাঁপানি কুষ্ঠ রোগ যত রোগ এ সমস্ত রোগের সমস্যা দূর করতে ওলট কম্বল বেশ কার্যকারী।
  • এছাড়াও রক্ত আমাশার জন্য ওলট কম্বল গাছ খুবই ভালো একটি প্রাকৃতিক সমাধান। আপনারা চাইলে এই ওলট কম্বল গাছের পাতা পানিতে সারারাত ভিজে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে সে ভিজিয়ে রাখা পানি রোগীকে পান করালে আশা করা যায় রক্ত আমাশার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
  • যে সকল ব্যক্তিদের অকালে দাঁত পড়ে যায় এবং অল্প বয়সে চেহারায় বয়স্ক সাপ দেখা দেয় তারা হলুদ গাছের রস খেতে পারেন। এই রস খাওয়ার ফলে আপনার এইগুলো সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।
  • ওলট কম্বলের গাছ মানুষের শারীরিক দুর্বলতা জ্বর শারীরিক শক্তি এগুলো ঠিক করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এমনকি শরীরের কোন জায়গায় কেটে ঘা হয়ে গেলে অথবা ফোড়া হয়ে গেলে ওলট কম্বলের গাছের ডাল সেদ্ধ করে ক্ষতস্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে ব্যথা উপশম হয়।

ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায়

ওলট কম্বল যার বৈজ্ঞানিক নাম হল (Abroma augusta). এই গাছটি মূলত ভারত বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার সরস মাটিতে অনেক বেশি দেখা গেলেও প্রাচীন আয়ুর্বেদ এ গাছটির কোন উল্লেখ নেই। অনেকেই বলে থাকেন যে এই গাছটি নাকি কুইন্সল্যাণ্ডের গাছ এবং এটি নাকি ইংরেজদের হাত ধরে এদেশে এসেছে। 
ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
১৯৭২সালে ইন্ডিয়ান মেডিকেল গেজেটে সর্বপ্রথম ওলট কম্বল গাছের টাটকা মূল এর রস মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়মিত ও স্বাভাবিক করতে সক্ষম সেই ব্যাপারে লিখে থাকেন ভুবন মোহন সরকার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ওলট কম্বল গাছ নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং গবেষণা চলছে। সাধারণত ওলট কম্বল ১০ থেকে ১৫ ফুট লম্বা একটি গাছ হয়ে থাকে। 
এছাড়াও এই ওলট কম্বল গাছের পাতা লোমশ, অনেক বড় আকৃতির হয় এবং গোলাকৃত হলেও অন্য পৃষ্ঠায় সেই পাতার লম্বা ও গোটাটা হৃৎপিণ্ড আঘার হয়ে থাকে। ওলট কম্বল গাছের পাতা গায়ে লাগলে ভীষণ কুটকুট করে। এই ওলট গাছের পাঁচটি গাড়ো লাল রঙের পাপড়িযুক্ত ফুল রয়েছে এবং সেটি নিচের দিকে ঝুলে থাকে। 

বিশেষ করে বীজাধার ঊর্দ্ধমুখী উল্টানো ছাতার মতো দেখতে লাগে। ভেতরে ছোট ছোট কালো বীজ থাকে এবং এর কান্ডে ছাল থেকে রেশমের মত চিকণ ও শক্ত আঁশ বের হয়। এই ওলট কম্বল গাছের পাতা, মূলের ছাল, পাতার ডাটা, মূল সবকিছুই ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

ওলট কম্বল গাছের মূলের ছাল, পাতার ডাটা, মূল অনেক মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময় বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। তাহলে আশা করি ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। (সূত্র: সৌরেন্দুশেখর বিশ্বাস)

ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম

ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাও খুবই জরুরী। কারণ ওলট কম্বল সঠিক নিয়মে খেতে পারলে মানবদেহের বিভিন্ন সমস্যা আশা করা যায় খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। তাহলে চলুন ওলট কম্বল ঠিক কোন কোন রোগের জন্য কতটুকু পরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

  • যে সকল ব্যক্তিদের প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রণায় তারা ওলট কম্বল পাতার ডাটা তিন থেকে চারটি খেতে পারেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমত ওলট কম্বল গাছের পাতার ডাটা নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে ২৫০ মিলিগ্রাম পানি দিয়ে ভালোভাবে ডাটা গুলো কচলিয়ে প্রয়োজনে স্বাদ বাড়ানোর জন্য চিনি মিশ্রণ করে সকালে এবং সন্ধ্যায় খেলে অনেক বেশি আরাম পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও যে সকল মেয়েদের জরায়ুর স্থান চ্যুতি সমস্যায় ভুগছেন তারা ওলট কম্বল গাছের মূলের যে ছাল রয়েছে সেটি ৫ গ্রাম পরিমাণ খেতে হবে। সেজন্য আপনাকে প্রথমত ওলট কম্বল গাছের তাজা মূলের ছাল বেটে নিতে হবে। এরপর অল্প কিছু পানি বেটে নেওয়া ছালের সাথে মিশ্রণ করে সকালে এবং সন্ধ্যায় সেবন করলে অনেক বেশি আরাম পাওয়া যাবে। তবে স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য চিনি অথবা গুড় ব্যবহার করতে পারেন।
  • যে সকল ব্যক্তিরা রজ কিচ্ছাতা সমস্যায় ভুগছেন তারা ওলট কম্বল মূলের ছাল ৬০ গ্রাম পরিমাণ খেতে পারেন। এটি ব্যবহারের পদ্ধতি হলো প্রথমে ওলট কম্বল গাছের মূলের ছাল নিন। এরপর পরিষ্কার পাত্রে ১ পোয়া পানি দিয়ে সেই ছাল ফুটিয়ে নিন। এরপর যখন অর্ধেক হয়ে যাবে তখন থেকে সকালে এবং বিকেলে সেবন করলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • যারা প্রদর সমস্যায় ভুগছেন তারা ওলট কম্বল গাছের মূলের ছাল চূর্ণ ১ পোয়া খেতে পারেন। কিভাবে খাবেন? মূলত প্রথমে আপনাকে ওলট কম্বল গাছের মূলের ছাল চূর্ণ এবং অল্প কিছু পানি একসঙ্গে মিশ্রণ করে সকালে এবং সন্ধ্যাবেলা খালি পেটে সেবন করলে প্রদর সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

ওলট কম্বল গাছের ছবি

আপনারা যারা ওলট কম্বল গাছ চিনেন না তাদের জন্যই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ওলট কম্বল গাছের ছবি তুলে ধরেছি। আশা করি নিচে সেই ছবি দেখে আপনারা সেই গাছটি সঠিকভাবে চিনতে পারবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে সেই ছবিটি দেখে নিন।

আশা করি উপরের ছবিটি দেখে আপনি সঠিকভাবে চিনতে পেরেছেন যে ওলট কম্বল গাছ কোনগুলো।

ওলট কম্বল খেলে কি হয়

ওলট কম্বল খেলে কি হয় এই প্রশ্নটি বিভিন্ন মানুষ করে থাকে। তাই যারা এই প্রশ্নটি করে থাকেন আশা করি এই আর্টিকেল এর অংশটুকু থেকে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। সাধারণত কম্বল খেলে আসলে ক্ষতি হয় না উপকার হয় সে সম্পর্কে অনেকে না জানার কারণে বিভিন্ন ভুল ধারণা নিয়ে মনে বসে থাকে। 

তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই অংশটুকু পড়লে আশা করি আপনারা ওলট কম্বল খেলে কি হয় এ সম্পর্কে জেনে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ওলট কম্বল সাধারণত মানব দেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। এই ওলট কম্বলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ওলট কম্বল গাছের সবকিছুই ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

যেমনঃ ওলটকমল গাছের ছাল, মূল,শিকড়, ডাটার রস সবকিছুই। চিকিৎসকরা এই গাছের সমস্ত কিছু মানুষের চিকিৎসাতে ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তিদের গনোরিয়া রোগ হয়ে থাকে এই ওলট কম্বলের রস খেলে অনেক উপকার পাবে। এছাড়াও যে সকল নারীদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ওলট কম্বল বেশ ভালো কাজ করে।

ওলট কম্বল গাছের পাতার ডাটা সেদ্ধ করে খেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে উপকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এমনকি আপনি চাইলে গবাদি পশু কেউ খাওয়াতে পারেন। তবে অবশ্যই গবাদি পশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। 

বিশেষ করে যে সকল পশুদের পাতলা পায়খানা হয়ে থাকেএবং হাঁস মুরগির বিভিন্ন অসুখ হয়ে থাকে সে সমস্যা দূর করার জন্য ওলট কম্বল খাওয়ালে সমাধান পাওয়া যায়। ওলট কম্বল খাওয়ানোর তেমন একটা অপকারিতা নেই। তাই এটি নিশ্চিন্তে খাওয়াতে পারেন। আশা করি এই বিষয়টি জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।

লেখকের শেষ কথা | ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায়

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ওলট কম্বল গাছ চেনার উপায় এবং উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে।
তাই আর দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪