বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম কি জেনে নিন
বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম কি জানার জন্য নিশ্চয়ই গুগলে সার্চ করে এই
আর্টিকেলে এসেছেন? এই আর্টিকেলে আসার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। বাবা-মা হিসেবে, আপনি
নিশ্চয়ই চান আপনার সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। তাই, বাচ্চাদের গলা ব্যথার জন্য
কোন ওষুধ দেওয়া যায় এই প্রশ্নটি আপনার মনে আসা স্বাভাবিক।
নিচের আর্টিকেলে আপনাদের বাচ্চার সমস্যা সমাধানের জন্য ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় বা সঠিক সমাধান কি সেই বিষয় সহ আরও নানা বিষয়ে আলোচনা
করা হয়েছে যা আপনার বাচ্চার সুস্থাতার জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আর দেরি না করে আসুন এই
আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনার সমস্যার সমাধান নিয়ে যান।
ভূমিকা
বাচ্চাদের গলা ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণত সর্দি-কাশি, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। বিশেষত শীতের সময়ে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাচ্চারা যখন গলা ব্যাথায় কষ্ট পায়, তখন তারা খাবার গিলতে, কথা বলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করে। সঠিক ঔষধ এবং দ্রুত চিকিৎসা এ ধরনের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। বাচ্চাদের গলা ব্যাথার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে, তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোন ঔষধ ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া উচিত। সাধারণত গলা ব্যাথার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক, পেইন রিলিফ সিরাপ বা ঠান্ডা নিরাময়ের ঔষধ দেওয়া হয়। ডাক্তার কখনও কখনও ঘরোয়া চিকিৎসা যেমন লবণ পানির গার্গল করার পরামর্শ দেন, যা প্রাথমিক পর্যায়ে উপশম দিতে পারে। তবে, নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা পেতে অবশ্যই বাচ্চাদের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি, যাতে করে শিশু দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে পারে।
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ
বর্তমান সময়ে আস্তে আস্তে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। রাতের দিকে গরম হলেও
ভোরবেলা কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে অনেককেই। এই সময় গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি
এর মত সমস্যাগুলো প্রায় সব ঘরেই হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই ঢোক গিলতে গেলে প্রচন্ড
গলা ব্যাথার কারণে অনেক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বেলা বাড়লেও বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই এই সমস্যার সমাধান
পাওয়ার জন্য আপনারা হয়তো আজকে এই আর্টিকেলে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলের
অংশটুকুতে থাকছে দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ঔষধ কোনগুলো সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
গলা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যদিও কিছু ওষুধ গলা
ব্যথার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে কোনো ওষুধ সেবন করার আগে একজন
ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী।
কেন ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি?
কারণ নির্ণয়ঃ গলা ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন ভাইরাল সংক্রমণ,
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, অ্যালার্জি ইত্যাদি। ডাক্তার কারণ নির্ণয় করে সঠিক
চিকিৎসা নির্ধারণ করতে পারবেন।
সঠিক ওষুধঃ বিভিন্ন ধরনের গলা ব্যথার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা
হয়। ডাক্তার আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করবেন।
জটিলতা প্রতিরোধঃ অনেক সময় গলা ব্যথা গুরুতর কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিলে জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়।
কিছু সাধারণ ওষুধ যা গলা ব্যথায় ব্যবহৃত হয়
- প্যারাসিটামল বা ইবুপ্রোফেনের মতো ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- মেনথল বা লিকোরাইসযুক্ত লজেন্স গলাকে শান্ত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- যদি গলা ব্যথা অ্যালার্জির কারণে হয় তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ দিতে পারে।
- যদি গলা ব্যথা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হয় তাহলে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণ করতে পারেন। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
- যদি গলা ব্যথা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে।
- শ্বাসকষ্ট হলে।
- যদি কোন খাবার গিলতে কষ্ট হয়।
- গলার স্বরের পরিবর্তন হলে।
- যদি প্রচন্ড জ্বর থাকে।
- যদি গলায় ফোলা বা লালচে দাগ দেখা যায়।
- থুতু বা কাশির সঙ্গে রক্ত বের হলে।
- যদি গলায় ব্যথার সাথে কানে ব্যথা হয়।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
ঋতু পরিবর্তন হলে শীত আমাদের ছুঁয়ে দিতে আসে বার বার। কিন্তু এই ছোঁয়া অনেকেরই
সহ্য হয় না। তাই অনেক মানুষের জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যাথা, ঠান্ডা লাগা সহ
বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। কারো শীতের সময় ভালো কাটে, কারো আবার
দুঃখের শেষ হয় না। গলা ব্যথা আমাদের প্রায় সময় হয়ে থাকে, এটি একটি স্বাভাবিক
বিষয়।
কিন্তু এই গলা ব্যাথা অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা অস্বাভাবিকের দিকে চলে যায়। গলা
ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সেটা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তাই যে সকল
ভাই ও বোনেরা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তাদের সঠিকভাবে জানানোর জন্যই আজকের
এই আর্টিকেল।
আজকে আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দিব যা আপনারা শুনলে হয়তো অবাক
হবেন। আর বলবেন কিভাবে সম্ভব? চলুন তাহলে জেনে নিন কি সেই জিনিস যা গলা ব্যাথা
হলে খেলে আরাম পাওয়া যাবে।
আমরা সকলেই জানি গলা ব্যাথা হলে হালকা একটু লবণ এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে
গড়গড়া করলে গলা ব্যাথা আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও আমরা অনেকে জানি তুলসী পাতা,
মধু, আদা, আমলকি, কমলা, জষ্ঠিমধু, কাঁচা হলুদ কিংবা গলা ও কাশি দূর করার জন্য
সিরাপ আমাদের গলা ও কাশি দূর করার জন্য বিশেষ কার্যকারী।
কিন্তু আপনারা কি জানেন গলা ব্যথা হলে ডার্ক চকলেট খেলে আরাম পাওয়া যায়? হইত
অনেকেই জানেন না। এই চকলেট আপনার গলা ব্যথা উপশম এবং সুস্বাদু প্রতিকার হতে পারে
বলেছেন গবেষকরা।
হাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালিন মরিস তিনি একজন কার্ডিওভাসকুলার এবং রেসপিরেটরি
স্টাডিজের প্রধান অধ্যাপক। তিনি বলেন, গলা ব্যথা এবং কাশি কমানোর জন্য বছরের পর
বছর গবেষণা করে এই অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি আরো জানান, যে সকল
রোগীরা চকলেট ভিত্তিক ওষুধ গ্রহণ করেছেন সেই সকল রোগীরা দুই দিনের মধ্যেই তাদের
উন্নতি লক্ষ্য করেছেন।
চকলেট স্ট্যান্ডার্ড গলা ব্যথা ও কাশি কমানোর যে সিরাপ গুলো রয়েছে তার চেয়ে
অনেক আঠালো হয়। ফলে আমাদের গলায় এক ধরনের আবরণ তৈরি করে এবং সেটা স্নায়ু
প্রান্ত গুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও চকলেটের নার্ভের শেষের উপর এক
ধরনের বাধ্যতামূলক প্রভাব রয়েছে আর এর জন্যই কোকো মধুর চেয়েও অনেক বেশি ভালো
কাজ করে এই ডার্ক চকলেট।
তাই আপনাদের গলা ব্যাথা বা কাশি হলে চকলেটের এক টুকরো ধীরে ধীরে চুষে খেতে পারেন।
হয়তো প্রথমদিকে আপনার একটু অস্বস্তি বোধ করবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনার অনেক ভালো
কাজ করা শুরু করবে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন গরম কোকো বা চকলেট খেলে
ততটা কার্যকর হবে না যতটা আপনার হওয়ার প্রয়োজন। তাই বুঝে শুনে খাওয়ার চেষ্টা
করবেন। (সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট)
ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন
ঢোক গিলতে সমস্যা, যা চিকিৎসা পরিভাষায় ডিসফেজিয়া নামে পরিচিত, একটি সাধারণ
সমস্যা যা খাদ্য, তরল, বা লালা গিলতে অসুবিধা তৈরি করে। এই সমস্যার পেছনে বিভিন্ন
কারণ থাকতে পারে। ঢোক গিলতে সমস্যা হলে তা দ্রুত নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা জরুরি,
কারণ এটি স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে সময় লাগা
ইত্যাদি এর লক্ষণ। তবে আমি আজকে ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে সাধারণ কিছু সমস্যার কারণ নিচে পয়েন্ট
আকারে উল্লেখ করবো যা আপনার জানা জরুরী।
ঢোক গিলতে সমস্যার কারণঃ
- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে গলা ফুলে যেতে পারে এবং খাবার গিলতে সমস্যা হয়।
- পাকস্থলীর এসিড যখন খাদ্যনালীতে উঠে আসে তখন গলায় জ্বালাপোড়া এবং গিলতে সমস্যা হতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে, ঢোক গিলতে সমস্যা হতে পারে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা বা গলার ক্যান্সারের কারণে। বিশেষ করে স্ট্রোক, পার্কিনসন্স ডিজিজ, বা মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগের কারণে গলার পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, যা ঢোক গিলতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
- ঢোক গিলতে সমস্যা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো গলার সংক্রমণ। সর্দি-কাশি বা টনসিলের সংক্রমণে গলা ফুলে যায়, যা ঢোক গিলতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
- এছাড়া গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড গলায় উঠে আসে, এটিও ঢোক গিলতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- এ ধরনের সমস্যা নির্ণয় করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণত সংক্রমণজনিত কারণে হলে ওষুধ এবং বিশ্রামই যথেষ্ট হয়। এবার চলুন জেনে নিন বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে।
বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
দেশের আবহাওয়া পরিবর্তন এর কারণে বিভিন্ন শিশুদের নানা রোগ দেখা দিচ্ছে ঘরে ঘরে।
প্রতিটা ঘরেই শিশুদের সর্দি, জ্বর ও কাশি এগুলো লেগেই রয়েছে। পাশাপাশি গলা
ব্যথাও দেখা দিচ্ছে। শিশুদের এই সমস্যাগুলো হওয়ার কারণে বাবা-মা অনেক ভয় থাকেন। তাই আজকে আমি বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো আলোচনা করবো। তবে, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ।
বিশেষ করে ৫ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের সাধারণত গলা ব্যাথা অনেক বেশি দেখা যায়।
বর্ষাকালের শুরুতে বা শীতকালে শিশুদের গলা ব্যাথা অনেক বাড়তে পারে। এই সময়ে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন বাচ্চাদের
যতগুলো অপারেশন করা হয় তার মধ্যে টন্সিলে অপারেশন প্রথম।
এই টনসিল সাধারণত স্ট্রেপট্রোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে কারণে বাচ্চাদের
হয়ে থাকে। তাছাড়াও আরো কিছু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের কারণে ও টনসিলাইজ হতে পারে।
এর লক্ষণ গলা ব্যথা এবং গলা ক্ষত হওয়া। বাচ্চাদের এই সমস্যাগুলো বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের কারণে হয়ে থাকে।
এখন অনেকে বলতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের গলা ব্যাথার জন্য কোন ওষুধ খাওয়া জরুরি বা
বাচ্চাদের গলা ব্যথার ওষুধের নাম কি। দেখুন আপনার বাচ্চার যখন অ্যাকিউট
টনসিলাইটিস দেখা দিবে তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক যেমনঃ
সেফিক্সিম, এজিথ্রোমাইসিন এইগুলো সেবন করাতে হবে।
এছাড়াও বাচ্চার যদি জ্বর ও ব্যথা থাকে তাহলে প্যারাসিটামল সেবন করাতে হবে।
কিন্তু শিশুদের অ্যাসপিরিন সেবন করা থেকে বিরত রাখবেন। এটি সেবন করলে বাচ্চাদের
অন্য অসুখও হতে পারে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন এই ওষুধগুলো ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করাবেন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়
পূর্বের অংশে আমরা বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন
আমরা আলোচনা করব ভোগ গিলতে গলা ব্যাথা কেন হয় এই সম্পর্কে। অনেকেই এই বিষয়টি
সম্পর্কে প্রশ্নটি করে থাকেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এই আর্টিকেলের
অংশটুকুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
- প্রিয় ভিজিটর ঢোক গিলতে গলা ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সমস্যা। এই সমস্যার কারণে ছোট শিশুসহ বড়দেরও গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও ডিপথেরিয়ার কারণেও গলাব্যথা হয়ে থাকে।
- এছাড়াও কিছু কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা ঋতু পরিবর্তন, শীতকালে ঘরে তাপমাত্রা বেশি হয়ে গরম লাগা, ধূমপান, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ইত্যাদির কারণে আপনার গলা ব্যাথা হতে পারে।
- এই সমস্যাগুলো দূর করার জন্য আপনি গরম দুধের সাথে ১ চিমটি কাঁচাহলুদ বাঁটা মিশ্রণ করে খাওয়ালে আশা করি ঢোক গিলতে গলা ব্যথার সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন।
নবজাতক শিশুর গলা বসে গেলে করণীয়
নবজাতক শিশুর গলা বসে গেলে করণীয় কি, এই সম্পর্কে আপনারা যারা গুগলে সার্চ করে
এই পর্যন্ত এসেছেন তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রিয় ভিজিটর আপনাদের বাচ্চার
সমাধান দেওয়ার জন্যই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করেছে।
তাই আর্টিকেলটি না টেনে সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি আপনি
সঠিকভাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে যাবেন।
- নবজাতক শিশুর গলা বসে গেলে সেটি ভালো করার জন্য আপনার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো চলাচল ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- এরপর প্রতিদিনই হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার বাচ্চাকে গোসল করিয়ে দিতে হবে।
- বিশেষ করে শীতে বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি গলা ব্যাথা এগুলো লেগেই থাকে। ফলে হাতে প্রায় সময় জীবাণু লেগেই থাকে। তাই সবসময়ই হাত পরিষ্কার রাখুন এবং হাসি কাশি এগুলো দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করুন।
- শীতকালে সকলেরই প্রায় অসুস্থ লেগেই থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের আরও বেশি। তাই সবসময়ই বাচ্চার জন্য কোন ভাবেই ঠান্ডা না লাগে এবং সব সময় বিশ্রাম পাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- এছাড়াও সব সময় আপনার শিশুকে বেশি বেশি বুকের দুধ পান করানোর চেষ্টা করবেন।
- পাশাপাশি আপনার শিশুকে পরিমাণ মত ভিটামিন সি যুক্ত ফল অথবা ফলের রসগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
- আপনার শিশুর নাকের ব্লক পরিষ্কার করার জন্য লবণাক্ত নাসাল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
- এরপর আপনার শিশুর নাক সবসময় মুছে দেয়ার জন্য নরম রুমাল ব্যবহার করুন এবং ত্বক সুন্দর রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
উপরে উল্লেখিত পয়েন্ট আকারে যে বিষয়গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আপনার বাচ্চার
জন্য গলা বসে গেলে করণীয়। আশা করি এই সমাধান পাওয়ার পরে আপনার শিশুর আর কোন
সমস্যা হবে না।
লেখকের শেষ কথা | বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম এবং
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি
আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ
আরও অনেকেই জানতে পারবে।
তাই আর দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এই রকম আরো
আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার
কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url