ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার ১০টি জনপ্রিয় উপায়
আপনি কি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় খুচ্ছেন?
তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য সঠিক পথ।
আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে কাজ করতে
পারবেন এবং ভালো আয় করতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারলে আপনি, ইউটিউব চ্যানেলে
ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে আয়, ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার ৬ টি
জনপ্রিয় উপায় এবং একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত টাকা এই সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
ভূমিকা
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন
কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। অনেকেরই মনে হয় যে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা
ইনকাম করা খুব কঠিন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করলে এটি সম্ভব। যদি
আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। যে
কোন একটি সেক্টর বেছে নিয়ে তার ওপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় অনেক রয়েছে। যদি আপনি সঠিক
পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই সেক্টর থেকে প্রতি মাসে
লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সেই সমস্ত সঠিক
পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করেছি যা আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে চলেছে। এছাড়াও এই
আর্টিকেলে আলোচনা করেছি একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত টাকা। ফ্রিল্যান্সার
হতে হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানা জরুরী। তাই আসুন আর দেরি না করে শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং মূলত অনলাইন থেকে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। মূলত
ফ্রিল্যান্সিং থেকে আপনারা প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। কথাটা শুনতে
যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটাও সহজ নয়। লাখ টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে লাখ টাকার
মতোই পরিশ্রম করতে হবে। যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অন্যান্য কাজের চেয়ে এই কাজের ভিন্নতা হল এখানে আপনি চাইলে স্বাধীন মত কাজ করে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চাকরির বাজার খুবই ভয়াবহ
যার কারণে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং
করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ
করতে হবে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়লে আপনি সমস্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে
যাবেন। অন্যান্য কাজের চেয়ে ফেলেছি কাজ করা যতটা সহজ মনে করছেন ততটাও সহজ নয়।
ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীনতা হলেও এখানে নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয়
করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু ইলেকট্রনিক্সের প্রয়োজন
পড়বে। যেমনঃ ভালো একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ, ভালো ইন্টারনেট সংযোগ,
কাজ করার ইচ্ছা শক্তি ও চেষ্টা, কাজ শিখার জন্য ধৈর্য ও পরিশ্রম এবং সময়
প্রয়োজন।
এই চারটি জিনিস আপনার মধ্যে থাকলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন। আর
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে লাখ টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি কাজ করলে আয় হয়
সেটা অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে নিন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ই-মেইল মার্কেটিং
- সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং অ্যান্ড এনিমেশন
মূলত এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর এইগুলোর মধ্যে
যেকোনো একটির উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করলে আপনি খুব সহজেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ টাকা আয় করার জন্য ১০টি
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেমনঃ
- ফাইবার (Fiverr)
- আপওয়ার্ক (Upwork)
- ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
- ক্রাউড সোর্স (Crowdsource)
- কোডেবল (Codeable)
- ৯৯ডিজাইনস (99desings)
- পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)
- ফ্রিল্যান্স রাইটিং (Freelancewriting)
- টপটাল (Toptal)
- গুরু (Guru)
এই মার্কেটপ্লেস থেকে আপনারা চাইলে কোন একটি কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করে নিজের
মেধা ও দক্ষতা দিয়ে কাজ করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। মনে রাখবেন
মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম ও সময় দিতে হবে। তাহলে
আপনি সফলভাবে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেলে ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে
বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট তৈরি করে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম
করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই আপনি যদি তাদের মতো youtube চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট
তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কিছু বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে।
ইউটিউবে সফল হতে ভালো কন্টেন্টের পাশাপাশি এসইও (Search Engine Optimization)
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও হচ্ছে আপনার ভিডিওগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে
দেখানোর একটি প্রক্রিয়া। যখন আপনার ভিডিওগুলো সার্চ ইঞ্জিনে উপরে থাকবে, তখন আরো
বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট তৈরি করে
প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন সেই
পদ্ধতিগুলো।
মূলত ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হলে কি কি বিষয়ের উপর দক্ষ রাখতে হবে?
যে ভিডিওগুলো দেখতে অনেক বেশি আগ্রহ করে মানুষেরা সেগুলো ভিডিও তৈরি করতে হবে।
এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনারা বুঝবেন কোন ভিডিও অনেক বেশি পারফরম্যান্স হচ্ছে?
এজন্য আপনাকে প্রথমে ইউটিউবে যেতে হবে এবং কোন ভিডিও বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার
হয়েছে সেগুলো ভিডিওটি ওপেন করে দেখতে হবে।
- যেই ভিডিওগুলোতে বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার রয়েছে সেই রকম ভিডিও তৈরি করলে আপনার ভিডিও ঐরকম ভাবেই ভাইরাল হবে।
- পাশাপাশি আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হবেন। আপনার টপিক অনুযায়ী। সেখানে গ্রুপ মেম্বাররা কি ধরনের পোস্ট দেয় কমেন্ট করে বা কি পছন্দ করে সেগুলো ভালোভাবে খেয়াল করবেন। সেখান থেকেও ভালো একটা আইডিয়া পাবেন।
- একটি কথা না বললেই নয়, আপনারভিডিও সর্বনিম্ন ১০ মিনিট হতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১০ মিনিটের ভিডিও দর্শকরা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন।
- তারপর আপনি যখন ভিডিও আপলোড দেবেন সেখানে আপনার ভিউয়ার্স কোন ধরনের ভিডিওর ওপর বেশি লাইট কমেন্ট এবং শেয়ার করছে সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
- যদি আপনি এই উপরে উল্লেখিত বিষয়ের উপর ভালোভাবে নজর রাখেন, তাহলে আশা করি আপনার কয়েক মাসের মধ্যে ভালো ভিডিও দিতে পারবেন।
- আর ভালো ভিডিও দিতে পারলে ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। মনে রাখবেন পরিশ্রম সফলতা চাবিকাঠি। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন তাহলে প্রথমে অল্প টাকা ইনকাম হলেও আস্তে আস্তে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম হবে।
শুধু তাই নয় ইউটিউব চ্যানেল থেকে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য আরো কিছু বিষয়ের উপর
কঠোরভাবে নজর দিতে হবে। মূলত এই বিষয়গুলো আপনার ভিডিওতে দর্শক নিয়ে আসার জন্য
অনেক বেশি সহায়তা করবে। আসুন তাহলে নিচে আরো কিছু টিপস দেয়া হয়েছে সেগুলো
সঠিকভাবে জেনে নিন।
কীওয়ার্ড রিসার্চঃ আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত জনপ্রিয়
কীওয়ার্ড খুঁজে বের করুন। এই কীওয়ার্ডগুলো আপনার ভিডিওর টাইটেল, ডিস্ক্রিপশন
এবং ট্যাগগুলোতে ব্যবহার করুন।
টাইটেল এবং ডিস্ক্রিপশনঃ আপনার ভিডিওর টাইটেল এবং ডিস্ক্রিপশন স্পষ্ট,
সংক্ষিপ্ত এবং কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। এতে করে দর্শকরা সহজে বুঝতে পারবে
আপনার ভিডিওতে কী আছে।
ট্যাগঃ আপনার ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ট্যাগ যোগ করুন। এটি আপনার
ভিডিওকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
থাম্বনেইলঃ একটি আকর্ষণীয় এবং ক্লিকযোগ্য থাম্বনেইল তৈরি করুন।
থাম্বনেইলে আপনার ভিডিওর মূল বিষয়টি প্রকাশ করা উচিত।
ট্রান্সক্রিপশনঃ আপনার ভিডিওর ট্রান্সক্রিপশন তৈরি করে আপনার ভিডিওকে আরো
এসইও ফ্রেন্ডলি করে তুলতে পারেন।
ব্যাকলিঙ্কঃ অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ভিডিওতে ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা
করুন। এটি আপনার ভিডিওর অথরিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।
উপরে উল্লেখিত সমস্ত পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আশা করি আপনার ইউটিউব
চ্যানেল থেকে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম আসবে। তবে এই সকল কাজ করতে
হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক সময় ব্যয় করতে হবে।
তাই ইউটিউব চ্যানেল থেকে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে সেই রকম প্রস্তুতি
নিয়ে এই সেক্টরে আসতে হবে। আশা করি বিষয়টি সঠিকভাবে বোঝাতে
পেরেছি। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় এটিও একটি
সেক্টর।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার ৬ টি জনপ্রিয় উপায়
আজকের এই ডিজিটাল যুগে সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফরমে
আপনি একটি লাভজনক আয়ের সুযোগ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি বিপণন
কৌশল, যেখানে ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা
প্রচার করা হয়।
এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের টার্গেটেড গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে
এবং তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং আধুনিক ব্যবসা
এবং ব্র্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দ্রুত ও সঠিকভাবে গ্রাহকদের কাছে
পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে এমন কোন গুলো জিনিস
রয়েছে যার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আজকে আমি আপনাদের এমন
৬টি ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল সম্পর্কে জানাবো যেগুলো হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই
আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে তিনভাগের দুই ভাগ মানুষ ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করছে।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য দেখানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পছন্দ হলে তারা সরাসরি
অনলাইন পেজ থেকে অর্ডার করছে।
যদি আপনার এই অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করা প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি ডেভেলপ হয়তাহলে
আস্তে আস্তে আপনি এই অনলাইনে অন্য বিক্রয় করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ।
SEO & SEM করে টাকা আয়
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংএই দুটি একে অপরের সাথে
অঙ্গাভঙ্গি ভাবে সম্পর্কিত অথবা জড়িত। যখন আমরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেঅথবা কোন
সার্চ ইঞ্জিনেকোন পণ্য বা পরিষেবা লিখে সার্চ করি তখন প্রথম সারিতে সার্চ রেঙ্কে
আমাদের সামনে কোন পণ্যগুলোর ওয়েবসাইট।
অথবা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নিয়ে আসা হবে সেটা নিয়েই মূলত কাজ করে SEO অথবা
SEM এক্সপার্টরা। সুতরাং এটা নিয়েও যদি আপনি স্কিল অর্জন করতে পারেন। তাহলে আশা
করি আপনি এই জায়গায় ভালো একটি অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং
সেক্টরে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে টাকা আয়
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পাবলিকরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কিন্তু
নিজেরা করে না। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করার জন্য রাখা হয় সোশ্যাল
মিডিয়া ম্যানেজারকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট।
যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে স্কিল তৈরি করতে পারেন, তাহলে আশা করি
আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানের লোকেরা রয়েছে
যারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করার জন্য লোক হায়ার করে। যারা তাদের ফেসবুক
পেজ ইউটিউবে এবং ইনস্টাগ্রামে কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া, মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া
এই সমস্ত কাজগুলো তাঁরা করে থাকে।
এই কাজগুলো করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা সে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো পে করে থাকে
যারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই সেক্টরে ভালো
স্কিল তৈরি করতে পারলে আপনার কি পরিমানে চাহিদা রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে টাকা আয়
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। এই দক্ষতা
অর্জন করতে পারলে আপনারা প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
মূলত এই দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ওয়েবসাইট
ডেভেলপমেন্ট অনলাইন ভিত্তি বা ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে কাজ করে।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো হলোঃ সাইট অপটিমাইজেশন,
ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা, পারফরমেন্স ট্যাগ করার জন্য এনালিটিক্স টুলস ব্যবহার করা
এবং বিভিন্ন ডিভাইস ও ব্রাউজারে সাথে ওয়েবসাইট সংক্রান্ত মার্কেটিং এর সাথে
সমন্বয় করতে সহায়তা করে।
যা একজন ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে অনেক বড় একটি দক্ষতা। এই দক্ষতা থাকলে আপনি
খুব সহজেই ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় এটিও জনপ্রিয়
মাধ্যম।
ডিজিটাল এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে আয়
ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা
হিসেবে বিবেচিত। তার কারণ হলো এখন সোশ্যাল মিডিয়া যোগ প্রতি নিয়ত মানুষ সোশ্যাল
মিডিয়াতে অনেক সময় পর্যন্ত ব্যয় করে। আর এর কারণেই বিভিন্ন এডভেটাইজার
কোম্পানি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য পরিষেবা বা ব্যান্ডের প্রচারের
জন্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আসে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ১৫টি
আর আপনি যদি এড পরিচালনা করতে পারেন যেমন আমরা ইউটিউবে ফেসবুকে গেলে যে সকল
স্পন্সার অ্যাড, প্লেসমেন্ট, প্রোডাক্ট এড এগুলো কিন্তু আমরা দেখতে পায়। তাই আপনি
যদি সঠিকভাবে ডিজিটাল এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনি এই
সেক্টর থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
অনেকে মনে করেন ইমেইল মার্কেটিং এই সময়ে এসে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু
মোটেও না। ইমেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এখন লক্ষ লক্ষ পণ্য সেবার ডিজিটাল প্রচারণা
এবং ব্যান্ডিং প্রচারণা চালিয়ে আশা হচ্ছে। সেই সাথে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছে এই
ইমেল মার্কেটিং।
ডিজিটাল সুতরাং ইমেইল মার্কেটিংকে ছোট করে দেখার কোন রকম সুযোগ নেই। আপনি চাইলে
ইমেইল মার্কেটিং দক্ষতা অর্জন করে এই সেক্টর থেকে প্রতিমাসে ভালো টাকা আয় করতে
পারেন।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কোথায় থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করা যাবে?
ইনকাম করার দুটি মাধ্যম রয়েছে। ১) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ২)
লোকাল মার্কেটিং
ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর মধ্যে রয়েছেঃ
- ফাইবার (fiber.com)
- আপওয়ার্ক (Upwork.com)
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম (freelancer.com)
ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা লাখ লাখ ডলার আয়
করছেন। তাই আপনারা যদি এই প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে
উপরে দেওয়া নিয়মগুলো অনুসরণ করে কাজ শুরু করুন।
সেই সাথে লোকাল মার্কেটিং করেও আপনি বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে পার্সোনাল ভাবে আপনি তাদের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
আশা করি আপনি এই দুটি সেক্টর থেকেই ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
মনে রাখবেন এটি থেকে টাকা ইনকাম করা যতটা সহজ মনে করছেন ততটা নয়। আপনি এই
বিষয়গুলো কত দ্রুত সম্ভব নিজের ব্রেনে আয়ত্ত করতে পারবেন তার ওপর সম্পূর্ণ
নির্ভরশীল। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এই
সেক্টর গুলোই অনেক ভালো।
একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত
একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত টাকা, এই প্রশ্নটি সামনে আসলে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক ধরনের কাজ সামনে আসে। বর্তমান সময় ডিজিটাল যুগ এই সময়ে
ফ্রান্সিং করে অনেকেই প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি পেশা আর এই পেশাতে যত বেশি প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে
পারবে তত বেশি আরো উন্নতির দিকে যাবে। দিন দিন প্রযুক্তি এত উন্নত হচ্ছে যার
কারণে ফ্রিল্যান্সাররা আস্তে আস্তে তত বেশি উপার্জন করতে পারছে।
CNBC এবং অতিরিক্ত গবেষণার তথ্য অনুসারে যে সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সেরা রয়েছে
দ্বারা এক ঘন্টায় কত ডলার ইনকাম করেন এবং বার্ষিক বেতন কত টাকা সেটা অনেকেই
জানেন না। তাই আজকে আমি এ সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানিয়ে দেব। চলুন তাহলে আর
দেরি না করে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত টাকা জেনে নিন।
- একজন প্রফেশনাল লেখক ফিনান্সার প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। যার বার্ষিক আয় ৪২ হাজার ডলার।
- একজন মোবাইল ডেভেলপার ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় রেট করে ৫৫ থেকে ৬৫ ডলার যা বার্ষিক আয় হিসেবে পায় ১ লক্ষ ডলার।
- একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় রেট করে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ডলার। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ৯০ হাজার ডলার।
- একজন প্রোগ্রামার গড়ে প্রতি ঘন্টায় আয় করেন ৬০ থেকে ৭০ ডলার। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার।
- একজন অনলাইন বিজ্ঞাপনকারী ফ্রিল্যান্সারপ্রতি ঘন্টায় আয় করেন প্রায় ৫০ ডলার। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ১ লক্ষ ডলার।
- এছাড়াও যারা সম্পাদক হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে তাদের ঘরে প্রতি ঘন্টায় আয় হয় ২৫ থেকে ৩০ ডলার। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ৪০ হাজার ডলার।
- আর যারা সাধারণ ডেভেলপার ফ্রিল্যান্সার তাদের গড়ে প্রতি ঘন্টায় আয় হয় ৫০ থেকে ৬০ ডলার। যার বার্ষিক বেতন আনুমানিক প্রায় ১ লক্ষ ডলার।
- আর যারা ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে ফ্রিল্যান্সারে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করে তাদের প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ডলার আয় হয়। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ৯০ হাজার ডলার।
- এছাড়াও একজন ডেটা বিশেষক ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় গড়ে পঞ্চরথ থেকে ৬৫ ডলার আয় করে। যার বার্ষিক বেতন প্রায় এক লক্ষ ডলার।
- যে সকল ব্যক্তিরা ট্রান্সক্রাইবার হিসেবে ফ্রিল্যান্সারে কাজ করেন তাদের গড়ে ঘণ্টায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ ডলার আয় করেন। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ৩২ হাজার ডলার।
- একজন প্রফেশনাল CRM ম্যানেজার প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ডলার উপার্জন করেন। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার।
- একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে চাই। যার বার্ষিক গড় বেতন প্রায় ৪২ হাজার ডলার।
- একজন বুঁসকিপার ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ডলার উপার্জন করে থাকে। যার বার্ষিক বেতন প্রায় ৪০ হাজার ডলার।
উপরে উল্লেখিত যে সকল ফ্রিল্যান্সারদের কথা বলা হয়েছে তারা সকলেই প্রফেশনাল
ফ্রিল্যান্সার। তাই আপনি যদি তাদের মত করে আয় করতে চান তাহলে যে কোন একটি
বিষয়ের উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে তারপর মার্কেটপ্লেসে যে একাউন্ট খুলে
প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা | ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায়
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা
ইনকাম করার উপায় এবং একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত এই সম্পর্কে সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন। প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চাইলে লাখ টাকার মত পরিশ্রম করতে
হবে। তাহলেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আপনারা যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়ে একটুও
উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের বিষয়ে একটি কমেন্ট করে
জানিয়ে দিবেন।
আর অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। এরকম আরো অনলাইন
ইনকামআর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষে বলতে
চাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url