হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কি হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম, ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয়, হাঁসের ডিমের অপকারিতা, হাঁসের ডিম কখন খাওয়া উচিত, হাঁসের ডিম খেলে কি বাত হয়, হাঁসের ডিম কাঁচা খেলে কি হয়, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
হাঁসের ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সুস্বাদু খাদ্য, যা স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েটের জন্য বেশ উপকারী। মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেলসের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তবে, হাঁসের ডিমের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হওয়ায় উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়া, অ্যালার্জি বা খাবারের সংবেদনশীলতায় ভোগা ব্যক্তিদের হাঁসের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক পরিমাণে হাঁসের ডিম খেলে শরীরের জন্য তা উপকারী হতে পারে, তবে এর অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
হাঁসের ডিম কাঁচা খেলে কি হয়
আজকের এই আর্টিকেলে থাকবে হাঁসের ডিম কাঁচা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া খুবই উপকারী। কিন্তু কাঁচা খেলে কি হয় চলুন আজকের এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন।
কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়া জন্মায় যা মানুষ খেলে পেটে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। ফলে আপনার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আরেকটি ব্যাপার হলো ডিম কতদিন ধরে রাখা হয় এটা অনেকেই জানেন না।
দীর্ঘদিন রাখার জন্য ডিমের ভেতরে পরজী বাসা বেধেছে কিনা এটাও অজানা। তাই কখনোই সেদ্ধ ছাড়া কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়। সিদ্ধ করা ডিম উচ্চ তাপমাত্রা দেওয়ার কারণে যে ব্যাকটেরিয়া পর জীবাণু থাকে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় যার কারণে সিদ্ধ ডিম খেলে কখনোই ভয় কিংবা চিন্তা করতে হয় না।
প্রতিদিন কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে আপনার ডায়রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। এছাড়াও পেটে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে পেটব্যথা বমি জ্বর ইত্যাদির মত অবসর্গ দেখা দিবে কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে। সাধারণত যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তারা কখনোই কাঁচা ডিম খাবেন না।
এছাড়াও যারা শিশু এবং বয়স্ক রয়েছেন তাদেরও হাঁসের কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়। যদি আপনার শরীরে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের অসুখবিসুখ লেগে থাকে কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে হাঁসের কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়। শুধু হাঁসের নয়। কোনো ধরণের কাঁচা ডিম সিদ্ধ ছাড়া খাওয়া বকামি ছাড়া আর কিছুই না।
কাঁচা ডিমের মধ্যে অ্যাভিডিন নামে এক ধরণের উপাদান থাকে যা খেলে ভিটামিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। আপনার শরীরে যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজগুলো রয়েছে সেগুলো কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই পাঠক ভুল করেও কখনো বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে বা কারো সাথে ঠাট্টা করেও কাঁচা ডিম খাবেন না।
এছাড়াও অনেকে আধা সিদ্ধ করেও ডিম খেয়ে থাকে এটিও খাওয়া ঠিক নয়। কারণ আবাসিদের ডিমেও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পুরো ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়াটাই অনেক ভালো। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন এক থেকে দুটি ডিম খেতে পারবেন।
তবে, কারো যদি কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডিমের পরিমাণ কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলাটাই সর্বোচ্চ ভালো হবে।
হাঁসের ডিম খেলে কি বাত হয়
আজকে আমি এই আর্টিকেলে অংশটুকুতে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হলো ডিম খেলে কি বাত হয়? বা হাঁসের ডিম খেলে কি বাত হয় এই সম্পর্কে। অনেকেরই মনে ধারণা যে ডিম খেলে গেঁটে বাত হয়। বিশেষ করে আরও বেশি সন্দেহ করে হাঁসের ডিম নিয়ে। অনেক মানুষ রয়েছে গেটে বাত হওয়ার ভয়ে হাসির ডিম খেতে ভয় পান।
তবে আপনার হয়তো জানেন না হাঁসের ডিম হোক কিংবা মুরগির ডিম হোক এর সঙ্গে গেটে বাত হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম খেলে বরং অনেক বেশি স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। তবে হ্যাঁ, যদি কোন ব্যক্তির আগে থেকেই গেটে বাত থাকে তাহলে শুধু ডিম নয় উচ্চ ক্যালরিযুক্ত যে কোনো খাবার খেলেই গেটে বাতের সমস্যা দেখা দিবে।
যেমনঃ মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদি। তবে কারো যদি গেটে বাথ হয় তাহলে চিকিৎসকরা মুরগির বা হাসের ডিম খেতে বারণ করে থাকেন। কারণ ডিম খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় যা গেটে বাতের রোগীর জন্য প্রযোজ্য নয়।
তবে কোন সুস্থ রোগী যদি ডিম খায় তাহলে তার কোন বাতের রোগ বা গেটে বাত হওয়ার আশঙ্কায় নেই। যে সকল ব্যক্তিরা এরকম ধারনা করেন তাদের এটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। তাহলে আশা করি এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন হাঁসের ডিম খেলে কি বাত হয় কিনা।
হাঁসের ডিম কখন খাওয়া উচিত
হাঁসের ডিম কখন খাওয়া উচিত, এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে পারেন। হাঁসের ডিম কোন সময় খেলে শরীরের জন্য ভালো তা আমরা অনেকেই জানিনা।
আমরা সকলেই সুস্থ শরীর নিয়ে জীবন যাপন করতে চাই কিন্তু কোন কারণে কিংবা সঠিক দিক নির্দেশনা না জানার কারণে অনেকেই অনিয়মিত ভাবে কোন কিছু অধিক খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হাঁসের ডিম শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে।
প্রতিনিয়ত দুটি করে হাঁসের ডিম খেলে ১৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও ১৫৫ ক্যালোরি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ৬ ও কোবালমিন পাওয়া যায়। আর এই পোস্টটি বোন আমাদের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। সাধারণত হাঁসের ডিম সকালে খাওয়ার বিষয়ে মঠ বেশিরভাগ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
কারণ সকালের খাবার ভারি হলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। যদি আপনারা প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম খেতে পারেন, তাহলে আশা করি আপনার শরীরে ডিমের সবটুকু পুষ্টি কাজে লাগবে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন দুপুরের পর ডিম না খাওয়াই ভালো।
কারণ শরীর এমনিতেই গরম আরো বেশি গরম সৃষ্টি করতে পারে দুপুরের পর ডিম খেলে। তবে রাতের দিকে ডিম খাওয়ার খুব একটা খাওয়ার প্রয়োজন নেই। রাতে খেলে মেদ জমার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে আর সকালে খেলে অনেক বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়া যদি আপনারা রাতে খেতে চান তাহলে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে পারেন। আশা করি হাসির ডিম কখন খাওয়া উচিত এই বিষয়ে আপনি হয়তো সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক হাসির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আমি এই আর্টিকেলে হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান, তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আর আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনি হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
সাধারণত একটি হাসির ডিমের মধ্যে রয়েছে, ১৮১ কিলোক্যালরি, ৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ, ১৩.৭ গ্রাম ফ্যাট ও ৩ মিলিগ্রাম লোহা। এই পুষ্টিগুলো মানুষের শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিনিয়ত কাজকর্মের জন্য প্রচুর পরিমাণে শারীরিক শক্তি প্রয়োজন পড়ে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজকর্মে যাওয়ার আগে নিয়মিত একটি করে হাঁসের ডিম খেলে সারাদিনের শক্তি জোগাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। বিশেষ করে আপনি যদি প্রচুর ব্যায়াম বা GYM করেন, তাহলে হাসের ডিম আপনার জন্য উপযুক্ত একটি খাবার। হাঁসের ডিম আপনার আরো বেশি ব্যায়াম করতে সাহায্য করবে বা শারীরিক পরিশ্রম করতে শক্তি যোগান দেবে।
যারা ব্যায়াম করেন তাদের খাদ্য তালিকায় চিকিৎসকরা প্রতিদিন হাঁসের ডিম রাখার জন্য বলেন। হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যা গ্রহণকৃত খাবারকে এনার্জিতে পরিণত করতে সাহায্য করে। আর সেই এনার্জি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন হাঁসের ডিমের উপকারিতা কতটুকু রয়েছে। হাসের ডিমের আরো স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে যা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না।
হার্ট ভালো রাখেঃ যে সকল ব্যক্তিদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত হাঁসের ডিম খেতে পারেন। কারণ হাঁসের ডিম হার্টের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ড়ের সময় হাঁসের ডিম খাওয়াঃ পিরিয়ডের সময় হাঁসের ডিম খাওয়া মেয়েদের খুবই ভালো। কারণ এই সময় মেয়েদের অতিরিক্ত পিরিয়ড হওয়ার ফলে অ্যানামিয়া হয়। আর হাঁসের ডিমে থাকা আয়রন অ্যানামিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেজন্যই মেয়েদের হাঁসের ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
চোখের সমস্যা সমাধানেঃ শরীরের প্রতিটা অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের চোখ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই চোখ ভালো রাখতে আমাদের অবশ্যই ভিটামিনের দরকার রয়েছে। আর হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখ ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই প্রতিনিয়ত একটি করে হাঁসের ডিম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ হাঁসের ডিম ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। প্রতিনিয়ত আমরা পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করে ফেলি। আর এটি পরবর্তীতে কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন ১টি করে হাঁসের ডিম খান তাহলে এটি খিদে কমায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে তারা প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি হাঁসের ডিম খেতে পারেন। কারণ হাঁসের ডিমে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ থাকে। বিশেষ করে আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় একটি খারাপ কোলেস্টরেল এবং আরেকটি ভালো কোলেস্টরেল। তবে হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আর এর জন্যই শরীরে ভালো কোলেস্টরেল পরিমাণ ঠিক থাকে।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা
হাঁসের ডিমের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। আজকে আমরা জানবো হাঁসের ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। অতিরিক্ত যেকোনো কিছু খাওয়ার ফলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঠিক তেমনি অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আপনি চাইলে প্রতিদিন ১/২ টি হাসের ডিম খেতে পারেন। কিংবা একদিন পরপর একটি করে হাঁসের ডিম খেতে পারেন।
যখনই আপনি অতিরিক্ত হাসির ডিম খাবেন তখনই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে। আর এটি বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো হাঁসের ডিম খেয়ে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। আশা করি হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয়
ছেলেদের জন্য হাসির ডিম একটি আদর্শ খাবার। কারণ ছেলেরা যখন কাজকর্ম করে তখন তাদের শারীরিক শক্তি প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একটি অথবা দুটি হাঁসের ডিম খেলে শারীরিক শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও যারা ব্যায়াম বা জিম করে থাকেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম খুবই উপকারী খাবার।
একজন ছেলে মানুষ প্রতিদিন ব্যায়াম কিংবা জিম করে যে শারীরিক শক্তি ঘাটতি তৈরি করে সেটি পূরণ করতে হাঁসের ডিম খুবই কার্যকারী। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় একটি অথবা দুটি করে হাঁসের ডিম রাখা অত্যন্ত উপকারী। হাঁসের ডিমের যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা শারীরিক শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
ফলে ক্লান্তি কম লাগে এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে পারে। হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি ছেলেদের হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং যৌন শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয়।
হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম
হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১টি অথবা ২টি। কিংবা একদিন পরপর একটি করে হাসির ডিম খেতে পারেন। এভাবে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে যারা ব্যায়াম করে তাদের খাদ্য তালিকায় হাঁসের ডিম রাখা প্রয়োজন।
প্রতিদিন ব্যায়াম করার আগে একটি করে এবং ব্যায়াম করার পরে একটি করে হাঁসের ডিম খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে হাঁসের ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে দুপুরের পর হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিম খাওয়ার দরকার নেই। কারণ সকালে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
যদি আপনার ওজন কম থাকে তাহলে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে হাঁসের ডিম খেলে ওজন বাড়বে। অনেকেই হাঁসের ডিমের হাফ বয়েল খেতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু হাফ বয়েল শরীরের জন্য একদমই উপকারী নয়। তাই যেকোনো ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধ করে তারপরে খেতে হবে।
লেখকের শেষ কথা | হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক হাঁসের ডিম পুষ্টিকর হলেও সঠিক পরিমাণে এবং সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও পরিমিত সেবনে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকা উচিত। হাঁসের ডিম, পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও, সবাইকেই এটি খাওয়া উচিত নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হাঁসের ডিম খাওয়া উচিত নয়।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url