মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় - সেরা ১৬ টি

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে কিছু উপায় সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যে উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বিস্তারিত সম্পর্কে জেনে নিন
এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার ১৬ টি সেরা উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

বর্তমান যুগে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে অনেকেই অতিরিক্ত আয়ের পথ খুঁজছেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব, বিশেষ করে যদি আপনি কিছু সৃজনশীল এবং কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করেন। অনলাইনের দুনিয়ায় বিভিন্ন উপায়ে আপনি এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। যেখানে আপনি লেখা, ডিজাইন, বা ডেভেলপমেন্টের কাজ করে আয় করতে পারেন। এছাড়া, অনলাইন কোর্স তৈরি করে আপনার জ্ঞান শেয়ার করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অন্যান্য বিকল্প হিসেবে ব্লগিং, ইউটিউব ভিডিও তৈরি, অথবা সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে মার্কেটিং করে আয় করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন এবং মাসে ২০ হাজার টাকার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা এবং নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করলে এটি সম্ভব।

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

বর্তমান ডিজিটাল যুগ। আর এই যুগে এসে আমরা অনেকেই রয়েছি যারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য চেষ্টা করে থাকি। আমরা মনে মনে ভাবি যে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে কোন কিছু সহজ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানা থাকলে অনেক সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করা যেত।

কিন্তু আজকে আমি এই আর্টিকেলে যে উপায়গুলোর সম্পর্কে আলোচনা করব সে সমস্ত কিছুর অভিজ্ঞতা না থাকলে কখনোই এগোনো সম্ভব নয়। তাই সর্বপ্রথম আপনাদের একটা কথা বলতে চাই মাসিক বিশ হাজার টাকা ইনকাম করার আগে স্কিল তৈরি করা প্রয়োজন। এর মধ্যে আবার অনেকের স্কিল থাকলেও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে সামনে এগোতে পারে না। 
তাই পার্ট হোক আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ। আপনারা যারা মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় লিখে গুগলে সার্চ করে এই পর্যন্ত এসেছেন। তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কারণ এটি আপনি যদি সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে পড়েন তাহলে আশা করি আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

নিচে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ১৬ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
  • ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
  • ব্লগিং করে আয়
  • গ্রাফিক ডিজাইনিং করে আয়
  • আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
  • অ্যাপ ডিজাইনার করে আয়
  • ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
  • কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
  • অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
  • হাঁস পালন করে আয়
  • গরু পালন করে আয়
  • মাছ চাষ করে আয়
  • রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে ব্যবসা করে আয়
  • বস্ত্র ও ফ্যাশন ব্যবসা করে আয়
  • উৎপাদনশীল ব্যবসা করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো সকলেই জানেন অনলাইনে আয় করার অন্যতম সেরা মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। এটি এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনারা চাইলে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসে করা যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় স্বাধীনতা করা যায় সেজন্য এই ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা বলে সম্বোধন করা হয়। ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম উপায় হল নিজের দক্ষতা অর্জন করা। যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে কোন সেক্টরে সঠিক দক্ষতা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কি কি সেক্টর রয়েছে? দেখুন এখানে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসিও এক্সপার্ট ভিডিও এডিটর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কন্টেন্ট রাইটার ট্রান্সলেটর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি। 

যদি আপনি একজন কম্পিউটার প্রেমী হন কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে আপনার অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ মনে হয়, তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। 

সবার ক্ষেত্রে কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি প্রযোজ্য নয়। কারণ সবার স্মৃতিশক্তি এক নয়। যার কারণে কম্পিউটার প্রেমি হলেও আরো অন্যান্য সেক্টর রয়েছে সেগুলো আপনার পছন্দ অনুযায়ী শিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনি লেখাপড়ায় উচ্চতক্ষতা অর্জন করতে পারেন। 

তাহলে আপনার জন্য এসইও এক্সপার্ট কিংবা ওয়েব ডিজাইন এ কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে এগুলো করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত আয়ের উপায়। এই মার্কেটপ্লেসে কোনো একটি সেক্টরের প্রফেশনাল ভাবে দক্ষতা অর্জন করে আসলে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

বাংলাদেশের প্রায়ই লাখ লাখ মানুষ রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। কেউ আবার রয়েছে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকাও ইনকাম করছেন। ফ্রিল্যান্সিং এ এসে হুট করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে হবে না। প্রথম অবস্থায় আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। 

যত বেশি ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারবেন ধীরে ধীরে তত বেশি উন্নতি করতে পারবেন। এখন বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি মূলত আপনার নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। যদি আপনি সেই নির্দিষ্ট সময় এবং একবার স্বয়ংক্রিয় হতে ইচ্ছুক হন তাহলে আশা করি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টি আপনার জন্য দুর্দান্ত আয়ের উপায় হতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং-এ অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে যেমনঃ যেমন প্রোগ্রামিং, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার জন্য আপনার নিজের অনেক আগ্রহ থাকতে হবে এবং যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। 

আশা করি এই কাজগুলো করে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় উপায়।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়

অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইউটিউব। ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, শর্ট ভিডিও তৈরি করে অনেকেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। তাই আপনিও যদি তাদের মতো প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। 

তবে youtube চ্যানেল খোলার আগে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন মানুষ youtube এ কি নিয়ে বেশি চাহিদা করছেন সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেল খুললে দ্রুত ইনকাম করা সহজ হতে পারে। যেমনঃ ফানি ভিডিও, ব্লগ ভিডিও, রান্না ভিডিও, ইসলামিক ভিডিও ইত্যাদি। এখানে উল্লেখিত যেগুলো দেয়া হয়েছে এগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে হবে তা নয়। 
আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোন ভালো ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে মানসম্মত প্রতিনিয়ত দুইটি করে ভিডিও আপলোড করতে হবে। তবে বাংলাদেশের মানুষের এখন শর্ট ভিডিওতে অনেক বেশি চাহিদা। তাই আপনি চাইলে শর্ট ভিডিও তৈরি করে প্রতিদিন দুইটি করে আপলোড করতে পারেন। এখানে আপনার পরিশ্রম অনেক কম লাগবে এবং সময়টাও অনেক কম। 

তবে, আপনাকে সেই সকল ভিডিওগুলো আপলোড করতে হবে যা প্রতিনিয়ত মানুষ দেখে। প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং viewers এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এরপর যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে এবং ৪০০০ ওয়াচ টাইম ভিডিও দেখা হয়ে যাবে। 

তখন আপনি গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করার জন্য এপ্লাই করবেন। এরপর গুগল এডসেন্স পাওয়ার পর আপনি সেখান থেকে প্রথম পর্যায়ে কম টাকা ইনকাম করতে পারলেও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আর তখন আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে আয়

বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা খুবই সহজ একটি মাধ্যম। তবে যদি আপনি সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য মূলত যে বিষয়গুলো নির্ভর করে সেগুলো হল নিশ, কনটেন্ট, দর্শকের সংখ্যা এবং গুণগত মানের উপর। সাধারণত প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার ফেসবুক থাকা প্রয়োজন। 

তবে প্রতি পেজ ভিড় ইনকাম নির্ভর করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ধরনের উপর এবং ব্লকের নিশ ও বিষয়বস্তুর ওপর। এখানে যে ইনকামের কথা বলা হয়েছে সেটি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। আপনারা যদি ব্লগিং করে আয় করতে চান তাহলে আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ৫০০০০ পেজ ভিউ থাকতে হবে।
যদি আপনি ৫০০০০ পেজ ভিউ বা ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে ব্লগিং করে বাংলাদেশের প্রায় হাজার হাজার মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। 

ব্লগিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি প্রথম পর্যায়ে কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে এখান থেকে আনলিমিটেড টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। তাই সবার আগে অবশ্যই ব্লগিং করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। ব্লগিং করে যেমন টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঠিক তেমনি ব্লগিং করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম ধৈর্য সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। 

ব্লগিং করে ইনকাম করার সবচেয়ে সুবিধা জনক যে বিষয়টি আমার কাছে মনে হয়েছে সেটি হল প্যাসিভ ইনকাম। অর্থাৎ প্রথমে কঠোর পরিশ্রম করলে পরবর্তীতে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ব্লগিং করার জন্য হাতে ১ বছর সময় নিয়ে এসে পরিশ্রম করতে পারেন আশা করা যায় আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

গ্রাফিক ডিজাইন করে আয়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে যে সকল ইনকামের সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সেক্টর হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় হলো এই গ্রাফিক্স ডিজাইন। মূলত এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর প্রফেশনাল ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আশা করি এখান থেকে আপনি ভালো কিছু করতে সক্ষম হবেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বলতে সাধারণত সুন্দর ছবি বা দৃশ্য তৈরি করাকে বোঝানো হয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে ক্রেতাদের তথ্য দান করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও চিত্র, গল্প ইত্যাদি উপস্থাপনা করতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইন, ব্যানার, এগুলো তৈরি করে দিতে পারবেন। 
আর এগুলোর জন্যই বড় বড় কোম্পানিরা আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য ভালো জ্ঞানের প্রয়োজন। কম্পিউটার বিষয়ে ফুল দক্ষতা এবং ধারণা থাকলে তিনি খুব সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেতে পারবেন। শুধু যে অফলাইনে এর ভ্যালু রয়েছে তা নয়। অনলাইনে Upwork, fiber, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, এই ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক রয়েছে। 

তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর সঠিক দক্ষতা অর্জন করে আপনি চাইলে অফলাইনে কিংবা অনলাইনে দুটি মাধ্যম থেকেই প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই টাকা ইনকাম করাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার ওপর। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। আপনি চাইলেই খুব সহজেই আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হোক সেটা বাংলা আর্টিকেল কিংবা ইংরেজ আর্টিকেল। তবে এই আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

একজন আর্টিকেল রাইটার হয়ে উঠতে গেলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে প্রথম পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়াও মূল যে বিষয় সেটি হল এসইও এক্সপার্ট হতে হবে। আর্টিকেল রাইটিং এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্যাট এসইও করা। কারণ আপনি যেই আর্টিকেল লিখুন না কেন সেটি গুগলে Ranking এ তোলার জন্য আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে। 
আর সেজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ভালোভাবে শিখতে হবে বা জানতে হবে। যে সকল আর্টিকেল রাইটার রয়েছে তারা অফলাইনে কিংবা অনলাইনে যে কোন মাধ্যমেই আয় করতে পারবেন। অফলাইন বলতে আপনি বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির লোকদের কাছে বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

অনলাইনেও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer এগুলোতে প্রোফাইল তৈরি করে বিভিন্ন আর্টিকেলের গিগ উপস্থাপন করতে হবে। এরপর যে সকল ক্লায়েন্টেরা রয়েছে তারা আপনার গিগ দেখে বিভিন্ন কাজের অর্ডার করবেন আর সেই কাজগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি তাদের কাছ থেকে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

এখন বর্তমানে 1 USD সমান বাংলাদেশি টাকায় ১১৯.৪৯ টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন যদি কয়েকটা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি মাসে খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা ইনকাম হবে।

অ্যাপ ডিজাইনার করে আয়

অনলাইনে আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল অ্যাপ ডেভেলপার বা অ্যাপ ডিজাইনার। বিগত কয়েক বছর ধরেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিশেষজ্ঞরা জানান তথ্য প্রযুক্তি আস্তে আস্তে যত বৃদ্ধি হবে তত বেশি চাহিদা বৃদ্ধি হবে। বিশেষ করে যারা অ্যাপ ডেভেলপার কিংবা অ্যাপ ডিজাইনার করতে ইচ্ছুক তারা যত দ্রুত সম্ভব এটা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। 

এখান থেকে আপনি চাইলে খুব সহজে বিশ হাজার টাকা কিংবা তারও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফাইবার, আপওয়ার্ক, এই দুটো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপারের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের ইচ্ছা মতো কাজ করে অনেক ডলার ইনকাম করছেন। 
তাই আপনি যদি তাদের মত ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে একজন অভিজ্ঞ অ্যাপ ডেভেলপার কিংবা অ্যাপ ডিজাইনার হতে হবে। এরপর আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয়

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবার পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়া হল ফেসবুক। প্রতিনিয়ত ফেসবুকে লাখ লাখ মানুষ তাদের সময় পার করছে। কোন কারণ ছাড়াই অযথা ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করুন। মূল কোথায় যাওয়া যাক। দেখুন আপনি ফেসবুক কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এখন ফেসবুক শুধু ব্যবহার করার জন্যই নয় এটি আয় করারও একটি উৎস। এই ফেসবুক ব্যবহার করে শত শত মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের শর্ট ভিডিও আপলোড করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। আপনি চাইলে তাদের মত ইনকাম করতে পারেন তবে সেজন্য আপনাকে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। 
সেখানে ফলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। আর ফল হওয়ার তখনই বৃদ্ধি হবে তখন আপনার কনটেন্টগুলো অনেক মানসম্মত হবে। তাই আপনি চাইলে কি ধরনের কনটেন্ট ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জেগে থাকেন সেগুলো জানার জন্য youtube এ সার্চ করে জেনে নিতে পারেন। 

এই ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা ব্যাপারই না। যদি আপনার প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ থাকে কিংবা গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি সেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং পণ্য বিক্রয় পেস্ট সার্ভিস ইত্যাদি করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তাই আপনারা যারা এখন পর্যন্ত ফেসবুক মার্কেটিং শিখেন নাই। তারা যত দ্রুত সম্ভব ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ফেসবুকে অযথা টাইম নষ্ট না করে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। এখানে আপনি কোনো পণ্যের প্রচার করেন এবং সেই পণ্য আপনার রেফারেল লিংকের মাধ্যমে বিক্রি হলে আপনি কমিশন পান। এটি পণ্য বিক্রি না করেও আয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম। বিশেষত, যারা ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন, তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে।

কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে?

  • প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। যেমনঃ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, রকমারি, অথবা অন্যান্য জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক।
  • এরপর আপনি সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের রেফারেল লিংক পাবেন।
  • সেই লিংকটি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব ভিডিও বা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
  • কেউ সেই লিংক থেকে পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুবিধাঃ 

  • কোনো পণ্য মজুদ করতে হয় না।
  • অল্প বিনিয়োগে বড় আয়ের সুযোগ।
  • যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়।
যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় মার্কেটিং থেকে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর এটিও একটি জনপ্রিয় উপায়।

কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

কনটেন্ট রাইটিং বর্তমানে অনলাইন আয়ের একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক পেশা। বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, এবং ই-কমার্স সাইটের জন্য মানসম্পন্ন কনটেন্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং সৃজনশীল হন, তবে কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য একটি দারুণ উপায় হতে পারে আয়ের। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Fiverr, Upwork, এবং Freelancer এ কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। 
এসব প্ল্যাটফর্মে হাজারো কাজের সুযোগ থাকে, যেখানে আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, এবং ওয়েবসাইট কনটেন্ট লিখে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে নিজস্ব ব্লগ তৈরি করে নিয়মিত পোস্ট লিখে Google AdSense, স্পন্সরশিপ এবং এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা বা তাঁরও বেশি আয় করতে পারবেন।

অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়

অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয় করা বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সেরা উপায়ের মধ্যে একটি। ডিজিটাল যুগে মানুষ তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং নতুন কিছু শেখার জন্য অনলাইন কোর্সের ওপর নির্ভর করছে। আপনি যদি কোনো বিশেষ দক্ষতায় পারদর্শী হন, তবে নিজের জ্ঞান শেয়ার করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার বিশেষজ্ঞ দক্ষতার উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করুন, যা অন্যরা শিখতে আগ্রহী। 

এটি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বা ভাষা শিক্ষা। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেআপনার কোর্স প্রচার করতে পারেন। আর সঠিকভাবে প্রচারণা করলে প্রচুর শিক্ষার্থীআপনার কোর্স কিনবে আর সেখান থেকেই আপনার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে।

অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যবসা করে আয় করবেন কীভাবে জেনে নিন: ১-৬

হাঁস পালন করে আয়

আপনারা যারা বাণিজ্যিকভাবে পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্য হাঁস পালন একটি লাভজনক কৃষি ব্যবসা হতে পারে। হাঁসের ডিম এবং হাঁসের মাংস অনেক বেশি জনপ্রিয় আর এই কারণেই এটি পালন করলে আপনি খুব সহজেই দ্রুত মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি চাইলে হাঁসের ডিম এবং হাঁস বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। হাঁসের ডিম পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু, যা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। এছাড়া হাঁসের মাংসও অত্যন্ত জনপ্রিয়, ফলে এটি বাজারে দ্রুত বিক্রয়যোগ্য। 
এছাড়াও হাঁসের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম খরচেই হয়ে যায় এবং মুরগির তুলনায় হাঁসের রোগ প্রতিরোধ অনেক শক্তিশালী তাই এদের চিকিৎসার খরচও অনেক কম। অল্প সময়ে দ্রুত মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল হাঁস পালন করা।

গরু পালন করে আয়

আপনারা চাইলে গরু বাণিজ্যিকভাবে পালন করেও দ্রুত সময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে গরু পালন করার জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তাই আপনাদের যাদের প্রচুর টাকা রয়েছে তারা গরুর ব্যবসা করতে পারেন। গরুর ব্যবসায়ী প্রচুর পরিমাণে লাভ হয় যা মাসে হিসাব করলে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা তারও বেশি ইনকাম হয়। তাই যাদের অল্প পুঁজি রয়েছে তাদের জন্য এই ব্যবসা নয়।

মাছ চাষ করে আয়

আপনারা তো সকলেই জানেন সারা বাংলাদেশে মাছের চাহিদা কত বেশি। যদি আপনি দ্রুত লাভবান হতে চান তাহলে মাছ চাষ করতে পারেন। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে মাছ চাষ করলে আশা করি এখান থেকেই আপনি প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করতে চাইলে আপনাকে নিজস্ব পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ ছেড়ে সেগুলো খাবার দিয়ে বড় করে বাজারকৃত করে বিক্রয় করতে হবে। 

এছাড়াও আপনি যদি পঞ্চাশ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে বড় বড় পুকুর বা দিঘী কন্ট্রাক্ট নিয়ে সেগুলোতে বিভিন্ন জাতের মাছ ছেড়ে পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বাজারকৃত করে বিক্রয় করলে আশা করি আপনি এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এরমধ্যে এটিও একটি জনপ্রিয় উপায়।

রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে ব্যবসা করে আয়

রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে ব্যবসা বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত। খাবার মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ, তাই রেস্তোরাঁ ও ক্যাফের চাহিদা সবসময় থাকে। ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে মানুষ ঘরের বাইরে খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই আপনি যদি শহরের যে কোন স্থানে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে ব্যবসা শুরু করেন এবং ভালো মানের খাবারের সেবা প্রদান করেন। 
তাহলে আশা করা যায় আপনার প্রতি মাসে খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা ইনকাম হবে। এছাড়াও আপনি যদি আরও বেশি আয় করতে চান তাহলে নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে হবে এবং ফুড ডেলিভারি সেবা চালু করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন।

বস্ত্র ও ফ্যাশন ব্যবসা করে আয়

অল্প সময়ে লাভজনক ব্যবসা হতে পারে আপনার বস্ত্র এবং ফ্যাশন ব্যবসা। ফ্যাশন সচেতন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাই এ খাতে আয়ের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বস্ত্র ও ফ্যাশন ব্যবসা করে আপনি সহজেই একটি শক্তিশালী আয়ের উৎস গড়ে তুলতে পারেন। বস্ত্র ও ফ্যাশন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি নিজের দোকান দিতে পারেন অথবা অনলাইনে বিক্রয় শুরু করতে পারেন। 

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে (যেমনঃ রকমারি, দারাজ) ফ্যাশন পণ্য বিক্রি করে সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তবে ফ্যাশন ব্যবসায় ট্রেন্ড এবং মৌসুম অনুযায়ী নতুন ডিজাইন ও পণ্য সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন সচেতনতার কারণে নতুন ডিজাইনের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই আপনাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তাহলে আপনি অনেক বেশি লাভবান হবেন এবং প্রতি মাসে আপনার খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

উৎপাদনশীল ব্যবসা করে আয়

বর্তমান যুগে উৎপাদনশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা একটি লাভজনক উদ্যোগ। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করে আপনি একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। উৎপাদনশীল ব্যবসার মাধ্যমে আপনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, খাদ্য, পোশাক বা অন্যান্য দ্রব্য উৎপাদন করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 
আপনারা যারা অল্প সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাঁরা উৎপাদনশীল ব্যবসা করতে পারেন। যেমনঃ খাদ্য উৎপাদন, বস্ত্র ও পোশাক, শিল্পকলা ও হাতের কাজ, বাগান ও কৃষি ইত্যাদি।

লেখকের শেষ কথা | মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সবার আগে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ইনকাম না হলেও ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার পরবর্তীতে ভাল কিছু ইনকাম আসার সম্ভাবনা থাকবে।

এই আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো আপনারা যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকলে কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে রাখুন। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪