মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় - (সেরা ২৫টি)
আপনি কি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনার এই
বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই
আর্টিকেলে কিভাবে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার সম্পূর্ণ পড়লে দ্রুত
ইনকাম করার সহজ উপায় জেনে যাবেন।
এই আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর
৩০টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে কাজ করে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম
করার লক্ষ্য রাখেন। তাই আপনারা যেহেতু প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন।
সেহেতু অবশ্যই সঠিক দিক নির্দেশনা জানা জরুরী। সেজন্য এই আর্টিকেলে আপনাদের
সুবিধার্থে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর ৩০টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে
আলোচনা করেছি। এই ৩০ টি পদ্ধতির মধ্যে আপনি চাইলে যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে
সঠিকভাবে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। তাই আসুন কিভাবে আপনারা সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ
করে ইনকাম করবেন A to Z জেনে নিন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ২৫টি কার্যকর পদ্ধতি
কিভাবে আপনি খুব সহজে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন সেই সম্পর্কেই
আজকের এই আর্টিকেল। আজকে আমি এই আর্টিকেলে জনপ্রিয় ৩০টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে
আলোচনা করব যা থেকে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম
করতে পারবেন।
নিচে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব সে পদ্ধতি গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে অনুসরণ
করতে পারেন তাহলে আশা করি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবে।
তাহলে আসুন আর দেরি না করে সেই ৩০ টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ১ থেকে ৫
ফ্রিল্যান্সিং করেঃ বর্তমান ডিজিটাল যুগে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে
সবচেয়ে ডিমান্ডেবল বা চাহিদা সম্পূর্ণ জনপ্রিয় উন্মুক্ত পেশা। এই ফ্রিল্যান্সিং
করে অনেকে অল্প সময়ের ভেতরে বিভিন্ন সেক্টরে স্কিল ডেভেলপ করে লক্ষ লক্ষ টাকা
ইনকাম করছেন।
যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় করতে চান
তাহলে প্রথমত আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে সেক্টরগুলো রয়েছে তার মধ্যে
যেকোনো একটির উপর স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।
যেমনঃ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
এরপর, Upwork, fiber অথবা Freelancer.com এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর
বিভিন্ন ধরনের আপনার স্কিল এর ওপর গিগ তৈরি করে একাউন্টে রাখতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দক্ষতা অর্জন করে গেলেও নতুন অবস্থায় অনেক কম
চাহিদা থাকে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে যদি আপনার গিগ দেখে কোন ক্লাইন্টের পছন্দ হয় এবং সেই
ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে একটি কাজ দেয়, প্রথম পর্যায়ে যদি কোন একটি কাজ সম্পূর্ণ
করতে পারেন আশা করি পরবর্তী পর্যায়ে থেকে আপনার তেমন কোন কাজ না পাওয়া নিয়ে
চিন্তা করতে হবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়
করতে চাইলে অবশ্যই যেকোনো একটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ব্লগিং করেঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ব্লগিং
করে। বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষেরা মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার
বা তারও অধিক টাকা আয় করছেন। তাই আপনি যদি ভালোভাবে ব্লগিং শিখে আয় করতে চান
তাহলে প্রথমে আপনাকে ভালো একটি পেইড করছে ভর্তি হতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে ব্লগিং কোর্স শেখানো
হয়। তবে আপনারা অবশ্যই দেখে শুনে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন। তবে আমার
ব্যক্তিগত দিক থেকে যে প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হন না কেন সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের
ইনকাম দেখে তারপরে ভর্তি হবেন।
কারণ এমন অনেকও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কোন ইনকাম না করে আপনাদেরকে প্রশিক্ষণ
দিতে চায় সেই রকম প্রতিষ্ঠানের কখনোই ভর্তি হবেন না। ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার
টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে চাইলে ভালোভাবে ব্লগিং কোর্স সম্পূর্ণ করে
নিশ্চিতভাবে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং করেঃ বর্তমান সময়ে google কে সমৃদ্ধ করার
জন্য কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ। এই
কাজটি আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে রয়েছে
যারা
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
খুজে থাকেন।
আশা করি তাদের জন্য কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং খুবই সহজ একটি প্যাসিভ ইনকাম করার
উপায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আপনি এখান থেকে অটোমেটিক ভাবে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং কাজ করতে করতে আপনি কিছুদিনের জন্য বাইরে
কোথাও ঘুরতে গেলেও আপনার ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম হতেই থাকবে।
এটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় হওয়ার একটাই কারণ সেটি হচ্ছে গুগল যেকোনো
ধরনের ডাটা বা তথ্য কালেক্ট করে থাকে এই কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং এর ওপর
নির্ভর করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা সহজে আয় করার মাধ্যম
হচ্ছে এই আর্টিকেল রাইটিং। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট
রাইটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আপনি চাইলে আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এই সকল মার্কেটপ্লেস গুলোতে
ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার কনটেন্ট সেল করে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনার মূল্যবান
সময় নষ্ট না করে কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এর ওপর কাজ শুরু করুন এবং
অন্যদের মতো আপনিও প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করুন।
পার্ট টাইম ব্যবসা করেঃ বর্তমান যুগে পার্ট টাইম ব্যবসা করে আয় করা একটি
জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী এবং
যারা বাড়তি আয় করতে চান, তাদের জন্য পার্ট টাইম ব্যবসা একটি ভালো বিকল্প। এটি
আপনাকে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি স্বাধীনভাবে আয়ের সুযোগ করে দেয়।
পার্ট টাইম ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মূলধন প্রয়োজন হয় না, বরং সৃজনশীলতা,
সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই আয় করা সম্ভব। আপনি চাইলে
পার্ট টাইম ব্যবসা শুরু করে প্রতিমাসের ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে
কিছু পার্ট টাইম ব্যবসা ভিত্তিক কাজ রয়েছে।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-কমার্স বা ঘরে তৈরি পণ্য বিক্রি করে
পার্ট টাইম আয়। পার্ট টাইম ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে
পারবেন এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে পূর্ণকালীন ব্যবসায়ও পরিণত করতে পারবেন। সঠিক
পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে পার্ট টাইম ব্যবসা একটি লাভজনক ইনকাম উৎস হতে
পারে।
ইউটিউবিং করেঃ বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের অবসর
সময়গুলোকে বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে সময়
পার করে থাকেন। তবে এই অবসর সময়কে আপনি কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
সেজন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি ইউটিউব চ্যানেল। প্রথমত আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল
তৈরি করে নিতে হবে এবং মানুষ কোন ভিডিও গুলো দেখতে বেশি পছন্দ করে সেই রিলেটেড
ভিডিও গুলো আপলোড করতে হবে। আস্তে আস্তে যখন আপনার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব সংখ্যা
বৃদ্ধি হবে এবং ভিউয়ার্স বেড়ে যাবে।
তখন আপনি ইউটিউবে মনিটাইজেশন করে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রতি মাসে খুব
সহজেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হয়তো প্রথম অবস্থায় আপনার
পরিশ্রম সময় এবং ধৈর্য দিয়ে কাজ করতে হবে এবং ইনকাম কম হতে পারে। কিন্তু আস্তে
আস্তে আপনার ইনকাম অনেক বেশি বৃদ্ধি হওয়া শুরু করবে। পরবর্তীতে আপনি
প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম
করতে শুরু করবেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ৬ থেকে ১০
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ অনলাইন থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা আয়
করার জনপ্রিয় মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। এখানে অনলাইন ভিত্তিক
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের প্রচুর পরিমাণে
চাহিদা রয়েছে।
তাই আপনি যদি একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হতে পারেন তাহলে আপনি
বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হিসেবে কাজ করে খুব
সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ বর্তমান সময়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য
এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় উপায়। ঘরে বসে প্রাচীর ইনকাম করার সবচেয়ে
জনপ্রিয় মাধ্যম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং।
যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির এফলেট প্রোগ্রামের যুক্ত হতে পারেন
তাহলে আশা করি আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে পেসিভ ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমত আপনাকে
কয়েকটি এফিলেট মার্কেটিং কোম্পানি প্রোগ্রামে জয়েন হয়ে কাজ করতে হবে এবং আস্তে
আস্তে মাসে লাখ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব হবে।
তাই আপনাকে অবশ্যই এই ইনকাম করার আগে এফেক্ট মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা
এবং দক্ষতা থাকতে হবে। ফলে আপনিও মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বরং আপনার
যদি অনেক বেশি এফিলেট মার্কেটিং এর উপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আরো অনেক বেশি ইনকাম
বৃদ্ধি করতে পারবেন। আশা করি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
কোচিং সেন্টার করেঃ যদি আপনি প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে
চান তাহলে আপনার জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল কোচিং সেন্টার। আপনি যদি সঠিকভাবে
কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আশা করি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার
চেয়েও আরো অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফাস্ট ফুডের দোকান করেঃ আপনি যদি চান তাহলে ফাস্টফুডের দোকান করেও প্রতি
মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফাস্ট ফুডের দোকান এমন জায়গায় দিতে
হবে যেখানে অনেক বেশি জনসমাগম হয় এরকম স্থানে।
তাহলে আপনি প্রতি মাসে খুব সহজেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে
একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন মানুষ কি খেতে বেশি চাহিদা করে সেগুলো তৈরি করে
বিক্রয় করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটরিং করেঃ আপনি যদি পড়াশুনায় অনেক বেশি পারদর্শী হয়ে থাকেন
তাহলে, বাংলা, ইংরেজি, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, বিশুদ্ধভাবে
কুরআন শিক্ষা কিংবা অনলাইনে ইনকাম বিষয়ে কোন স্কিল বা দক্ষতা এই সমস্ত কিছুর
মধ্যে কোন কিছুর ওপর যদি আপনার অনেক বেশি দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই
অনলাইন টিউটরিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করতে
পারবেন।
বর্তমান সময়ে ইউটিউব, ফেসবুক, গুগল মেট ইত্যাদির মাধ্যমে যেকোনো একটি বিষয়ের
উপর ক্লাস নিয়ে অনলাইন থেকে খুব সহজেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। তাই
আপনারও যদি কোন কিছুর বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে সেটি কাজে লাগিয়ে অনলাইনে
টিউটরিং করে আয় করা শুরু করতে পারেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ১১ থেকে ১৫
ইনস্টাগ্রাম থেকেঃ ফেসবুকের মতোই ইনস্টাগ্রামও একটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশেষ করে যারা অনেক বেশি সেলিব্রেটি তারা ইনস্টাগ্রাম
ব্যবহার করেন। সেখানে আপনি যদি একটি একাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের শর্ট ভিডিও,
কনটেন্ট, বা অন্যান্য ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন করতে পারেন।
তাহলে ইনস্টাগ্রাম থেকে অনায়াসেই আপনি প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। তাই আপনার যদি কোন স্কিল থাকে তাহলে সেটা কাজে লাগিয়ে ইনস্টাগ্রাম
থেকে ইনকাম শুরু করুন।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনঃ বর্তমানে ডিজিটাল যুগ। এই ডিজিটাল যুগে স্মার্ট একটি
পেশা হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং। সাধারণত যে সকল অফিস বা বাসাবাড়ি রয়েছে সেগুলোতে
কিভাবে সাজালে সুন্দর দেখা যায় সেই সম্পর্কে যার অভিজ্ঞতা থাকে তাকেই ইন্টেরিয়র
ডিজাইন বলা হয়। বিশেষ করে শহরে এই কাজের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে ইন্টেরিয়র ডিজাইন
এর কাজ করে আপনি প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আসলে কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করার খুবই সহজ যদি আপনার কোন
একটি বিষয়ের উপর স্কিল থাকে।
ট্রান্সলেশন সার্ভিস করেঃ যদি আপনার ট্রান্সলেশন সার্ভিস সম্পূর্ণ দক্ষতা
থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে এই সার্ভিস দিয়ে ৩০ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম
করতে পারবেন। ট্রান্সলেশন সার্ভিস বর্তমানে অনলাইন আয়ের একটি চমৎকার মাধ্যম
হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
যারা একাধিক ভাষায় দক্ষ, তারা ট্রান্সলেশন সার্ভিসের মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করতে
পারেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য
ভাষান্তর সেবা প্রয়োজন হয়, যা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করা
সম্ভব। ট্রান্সলেশন সার্ভিসে ইনকাম করার কয়েকটি উপায়ঃ ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম,
কনটেন্ট ট্রান্সলেশন, ইবুক বা বই ট্রান্সলেশন ইত্যাদি।
টাইপিং করেঃ প্রতিমাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করার অনেক পদ্ধতির সম্পর্কে আমরা
জেনেছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো টাইপিং করে ইনকাম করা। যদি আপনার লেখালেখির ওপর
দক্ষতা বা টাইপিং স্কিল ভালো থাকে তাহলে আপনি অনায়াসেই টাইপিং করে হাজার হাজার
টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখাশোনা করার জন্য বা
কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য টাইপিং স্কিল নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সেই সকল কোম্পানিতে
আপনি জব করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও টাইপিং স্কিল
বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন হয় যেমন আদালতে।
আদালতে বিভিন্ন জমির দলিল পত্র লেখা, কাগজপত্র লেখা ইত্যাদি আরও অনেক বিষয়ে
টাইপিং স্কিল লোকদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই আপনাকে এমনভাবে দক্ষতা অর্জন করতে
হবে যাতে করে সকলে আপনার CV দেখে চাহিদা করে চাকরি দেয়। আর এই চাকরি করার মাধ্যমে
আপনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরার ব্যবসা করেঃ বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্ট বা
রেস্তোরাঁর ব্যবসা করে অনেকেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। আপনি যদি তাদের মতো অল্প
সময়ে খুব দ্রুত প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান তাহলেরেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরার
ব্যবসা আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বর্তমানে অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড
বা জাঙ্ক ফুড বেশি পছন্দ করে।
যেমনঃ নান রুটি, পিজা, তান্দুর রুটি, গ্রিল, বার্গার, চিকেন চপ ইত্যাদি। এছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, মাটান, তেহরি ইত্যাদি
খাবার খেতে অনেক মানুষ পছন্দ করে। আর এই খাবারগুলো আপনারা তৈরি করে বিক্রয় করার
মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ১৬ থেকে ২০
মাছ চাষ করেঃ যদি আপনার নিজস্ব পুকুর থাকে তাহলে আপনি সেই পুকুরে বিভিন্ন
ধরনের মাছ চাষ করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি
চাইলে বিভিন্ন ধরনের পুকুর কন্টাক্ট নিয়ে সেখানে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে
প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
হাঁসের খামার করেঃ বর্তমান সময়ে হাঁসের খামার করে অনেকেই স্বাবলম্বী
হচ্ছেন। তাই আপনি যদি হাঁসের খামার দিতে পারেন তাহলে আশা করি সেই হাঁসের খামারের
মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এখানে কিছু ইনকামের সিস্টেম রয়েছে। যদি আপনি হাঁসের বাচ্চা নিয়ে এরপর
সেগুলো বড় করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকার থেকেও বেশি ইনকাম
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বড় হাঁস কিনে, এরপর সেই হাঁসের ডিম বিক্রয়
করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ছাগল পালন করেঃ প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করার অন্যতম একটি
উপায় হল ছাগল পালন করা। আপনি যদি ছাগল বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আশা
করি সেখান থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ছাগল পালন করার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এরপর সেই
ছাগলগুলো বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে বড় করে স্বাস্থ্যবান করে
বিক্রয় করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
ব্রয়লার মুরগি পালন করেঃ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার সহজ একটি
উপায় হল বয়রা মুরগি পালন করা। বাংলাদেশে বয়লার মুরগির চাহিদা প্রচুর পরিমাণে
রয়েছে। তাই আপনি যদিবয়লা মুরগি উৎপাদন করে বড় করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আশা
করি আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ডিম উৎপাদন করেঃ আপনি যদি হাঁস মুরগির ডিম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে
পারেন তাহলে আপনি হাঁস এবং মুরগির ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। বাংলাদেশ হাঁস মুরগির ডিম উৎপাদন করে অনেক মানুষ প্রতি মাসে প্রচুর
টাকা ইনকাম করছেন। আপনিও চাইলে তাদের মত করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: ২১ থেকে ২৫
মুদিখানার দোকান করেঃ বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার শূন্য। তাই বেকার ঘরে
বসে না থেকে মুদিখানার দোকান করে বাড়ির আশেপাশে কিংবা জনবহুল এলাকায় মুদিখানার
দোকান শুরু করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কারণ মুদিখানার দোকানে যে সকল জিনিসপত্র তোলা হয় সেগুলো নিত্য প্রয়োজনীয়
জিনিস। সেই জিনিসপত্র মানুষের সবসময় প্রয়োজন পড়বে। সুতরাং আপনি চাইলে
মুদিখানার দোকান থেকে অনায়াসে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
টেলিগ্রাম থেকে ইনকামঃ টেলিগ্রাম শুধু মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি এখন
আয়ের একটি চমৎকার মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সঠিক কৌশল এবং পরিকল্পনার
মাধ্যমে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব। যেহেতু টেলিগ্রাম অ্যাপে অনেক ধরনের
সুবিধা এবং ফিচার রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে সহজেই ইনকাম করা যায়।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ১৫টি
টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার কিছু জনপ্রিয় উপায় হলো চ্যানেল এবং গ্রুপ তৈরি করা,
এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল পণ্য বিক্রি, পেইড সাবস্ক্রিপশন। টেলিগ্রাম থেকে
আয় করতে হলে সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে নিয়মিত
ইন্টারঅ্যাক্ট করতে হবে।
কাপড়ের ব্যবসা করেঃ কাপড়ের ব্যবসা একটি লাভজনক এবং দ্রুত আয়ের সুযোগ
করে দেয়, বিশেষ করে যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রয়োগ করা হয় তাহলে খুব
সহজেই কাপড়ের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্যাশন এবং কাপড়ের চাহিদা সবসময় অনেক বেশি
থাকে, তাই কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ একটি
প্রক্রিয়া।
কবুতর পালন করেঃ কবুতর পালন বর্তমানে আয়ের একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক মাধ্যম
হয়ে উঠেছে। বিশেষত শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বা গ্রামের খোলা আঙিনায় কবুতর পালন
করা বেশ সহজ এবং স্বল্প বিনিয়োগে করা যায়।
সঠিক পরিকল্পনা, যত্ন এবং বাজারজাত করার কৌশল জানলে কবুতর পালন থেকে ভালো পরিমাণে
আয় করা সম্ভব হয়। আপনি চাইলে কবুতর বিক্রি করে কিংবা কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে
প্রতিমাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কসমেটিকস এর ব্যবসা করেঃ সৌন্দর্য সচেতন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে,
আর এর সঙ্গে কসমেটিকস পণ্যের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। এই চাহিদার কারণে কসমেটিকস
ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ একটি বিষয়। তাই
আপনারা চাইলেই এই কসমেটিকস এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা | মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে
থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে।
তাই আর দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এই রকম আরো
আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার
কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। এই
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url