দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসে যায়। মূলত এই বিষয়টি আমরা শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত সঠিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
করলে আশা করি সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি আপনারা কিভাবে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা
যায় সেই অ্যাপ গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইনে আয় করা খুবই সহজ একটি মাধ্যম হয়েছে। যদি আপনি
সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে আশা করি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম
করা আপনার কাছে খুবই সহজ মনে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে সবার আগে জানতে হবে দিনে
৫০০ টাকা ইনকাম apps কোনগুলো সেই সম্পর্কে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে সেই অ্যাপ
সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো থেকে আপনি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বা তার বেশি
ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করার
জন্য অবশ্যই পরিশ্রম ধৈর্য এবং সময় দিতে হবে। তাহলে আশা করি এখান থেকে আপনি
প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আসুন আর কথা না মূল বিষয়ে
যাওয়া যাক।
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps
বর্তমান বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ। এই যুগে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় অনেক
রয়েছে। কিন্তু অনেকে সঠিক দিক নির্দেশনা না জানার কারণে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
পারেনা। তবে আপনাদেরকে আজকে আমি এমন কিছু অ্যাপ সম্পর্কে জানিয়ে দেবো যেগুলো
থেকে আপনি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
এখানে আপনার হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের দরকার নেই। যদি একটু বেসিক ধারণা থাকে তাহলে
আপনি এই সেক্টর গুলো থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
নিচে যে অ্যাপ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব এগুলো ছোট বড় সকলেই করতে পারবেন।
বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তাদের জন্য এই অ্যাপগুলো অনেক বেশি ইনকাম করার
একটি উপকারী দিক হিসেবে বিবেচিত। তাহলে আসুন দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন।
আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো কিভাবে ব্যবহার করে জেনে
৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব। আসুন নিচে অ্যাপগুলো দেয়া হলো জেনে নিনঃ
- ফেসবুক অ্যাপ -- (Facebook App)
- টেলিগ্রাম -- (Telegram App)
- ইউটিউব অ্যাপ -- ( Youtube App)
- আপওয়ার্ক অ্যাপ -- (Upwork App)
- লিঙ্কডইন অ্যাপ -- (Linkedin App)
- সোয়াগবাক্স অ্যাপ -- (Swagbucks App)
- ফাইবার অ্যাপ -- (Fiverr app)
- ইয়াসেন্স অ্যাপ -- (Ysense App)
- ওয়ার্কআপ জব -- অ্যাপ (Workup job App)
- টফি অ্যাপ -- (Toffee App)
- রকমারি অ্যাপ -- (Rokomari App)
- অ্যালামি অ্যাপ -- (Alamy pp)
ফেসবুক অ্যাপ থেকে ইনকাম (Facebook App)
আপনি যদি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps খুঁজে থাকেন, তাহলে ফেসবুক অ্যাপ আপনার জন্য
সেরা একটি আয়ের মাধ্যম হতে পারে। ফেসবুক শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি
এখন টাকা আয় করার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।
ফেসবুক অ্যাপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায়, যা মানুষকে অনলাইন
ইনকামের সুযোগ করে দিয়েছে। নিম্নে ফেসবুক থেকে যিনি ৫০০ টাকা ইনকাম করার কিছু
উপায় দেওয়া হলো জেনে নিনঃ
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন -- যদি আপনার ফেসবুক পেজে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে
তাহলে আপনি সেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে বিজ্ঞাপন দেখানোর
মাধ্যমে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার ফেসবুক পেজে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকার কারণে বিভিন্ন বড় বড়
কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্যর বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য টাকা দিতে চাইবে। তখন আপনি
চাইলে যিনি ৫০০ টাকার নয় তার চেয়েও বেশি টাকা তাদের কাছ থেকে আবদার করে নিতে
পারবেন।
ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েট করে ইনকাম -- আপনি যদি কনটেন্ট তৈরি করতে অনেক
বেশি পছন্দ করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে একজন কনটেন্ট
ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত ভিডিও আপলোড করতে হবে।
যদি আপনার ভিডিওগুলোতে অনেক বেশি ভিউ আসে এবং ফেসবুক পেজে অনেক বেশি ফলোয়ার এবং
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন হয় তারপর থেকে অল্প অল্প ইনকাম শুরু হবে কিন্তু পরবর্তীতে
সেই পেজ থেকে হাজার হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত একজন
কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে
পারে।
আপনি চাইলে তাদের মত করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুক পরোক্ষভাবে ব্যবহার
করলে আপনি দিনে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে সফল হওয়া যায়?
কীভাবে সফল হবেন? -- ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েট করে ইনকাম করা বর্তমানে
জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট যেমন ভিডিও,
পোস্ট, লাইভ স্ট্রিমিং ইত্যাদি তৈরি করে আপনি সহজেই আয় করতে পারেন। ফেসবুকের
বিশাল ব্যবহারকারী ভিত্তির কারণে এটি একটি শক্তিশালী আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
- ১) ইন-স্ট্রিম অ্যাডস (In-Stream Ads) -- ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ইন-স্ট্রিম অ্যাডস একটি ভালো আয়ের সুযোগ। যদি আপনার ভিডিওতে ভালো সংখ্যক ভিউ এবং এনগেজমেন্ট থাকে, তবে আপনি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চালিয়ে আয় করতে পারবেন। ভিডিওগুলো মনিটাইজ করার জন্য আপনার পেজের নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার থাকতে হবে এবং ভিডিওগুলির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৩ মিনিট হতে হবে।
- ২) স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন -- কনটেন্ট ক্রিয়েটরেরা ব্র্যান্ড বা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। স্পন্সরশিপ পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে আপনি ব্র্যান্ডের জন্য প্রচারণা চালাবেন এবং এর বিনিময়ে অর্থ পাবেন।
- ৩) ফ্যান সাবস্ক্রিপশন -- ফেসবুক এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ফ্যান সাবস্ক্রিপশন চালু করার সুযোগ দেয়। ফলোয়াররা মাসিক ফি প্রদান করে বিশেষ কনটেন্ট দেখতে পারবেন। এটি নিয়মিত আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে।
- ৪) ফেসবুক স্টার্স -- লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় ভক্তরা আপনাকে ফেসবুক স্টার্স দিতে পারে, যা অর্থে রূপান্তরিত হয়। ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং কনটেন্ট যেমন গেমিং, শিক্ষা বা বিনোদনমূলক কনটেন্ট জনপ্রিয় করে তোলে এবং স্টার্সের মাধ্যমে আয়ের পথ তৈরি করে।
ফেসবুকে সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি এবং সৃজনশীল ধারণা
উপস্থাপন করা জরুরি। পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফেসবুক কনটেন্ট
ক্রিয়েট করে আপনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয় করতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম -- ফেসবুক মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইন ইনকামের
একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। প্রচুর ব্যবহারকারী এবং শক্তিশালী বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম
থাকার কারণে ফেসবুকে মার্কেটিং করে আয় করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এখানে কিছু
জনপ্রিয় উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো, যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে
দিনে ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
- ১) ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ থেকে আয়ঃ আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে নিয়মিত আকর্ষণীয় কন্টেন্ট পোস্ট করে ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। ফলোয়ার বাড়লে, আপনি পণ্যের প্রমোশন করে বা স্পন্সরশিপ নিয়ে আয় করতে পারেন। পেজের এনগেজমেন্ট ভালো হলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে তাদের পণ্য প্রচারের জন্য অর্থ প্রদান করবে। আর এর ফলে আপনি দিনে ৫০০ টাকা থেকে আরও অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
- ২) ফেসবুক বিজ্ঞাপন (Facebook Ads) ব্যবহারের মাধ্যমে আয়ঃ ফেসবুকের বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন। এভাবে ক্লায়েন্টের ব্যবসায়িক সাফল্য বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আপনি তাদের থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রতিনিয়ত ভালো টাকা আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সামান্য পরিশ্রম করতেই হবে।
- ৩) এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি লিংক শেয়ার করতে পারেন, এবং আপনার ফলোয়াররা সেই লিংকের মাধ্যমে পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। আর এভাবে দিনে আপনার লিংক থেকে কয়েকটি পণ্য কিনার মাধ্যমে আপনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
টেলিগ্রাম অ্যাপ থেকে ইনকাম (Telegram App)
বর্তমান দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps এরমধ্যে টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয়। সাধারণত
ফেসবুক পেজের মতোই এই টেলিগ্রাম। যদি আপনি টেলিগ্রামে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারেন
তাহলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটের লিংক অথবা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রচার
করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপ রয়েছে যেগুলোতে পণ্যের লিংক শেয়ার করে
ইনকাম করা সম্ভব। আর এভাবেই দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খুব সহজেই ইনকাম করা সম্ভব।
এখন কথা হচ্ছে কিভাবে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করবেন সেই পদ্ধতি নিচে পয়েন্ট আকারে
দেয়া হয়েছে জেনে নিন।
- প্রথমত আপনাকে যেটা করতে হবে টেলিগ্রামে একটি জনপ্রিয় চ্যানেল বা গ্রুপ তৈরি করতে হবে। প্রথম অবস্থায় হয়তো ফলোয়ার অনেক কম থাকতে পারে। কিন্তু চ্যানেল বা গ্রুপে কাজ করলে ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে।
- এরপর সেই গ্রুপে যে সকল মেম্বাররা থাকবে তাদের মাঝে আপনাকে অন্য কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যর লিংক সেই গ্রুপে শেয়ার করে সেই লিংক থেকে কেউ কোন পণ্য কিনলে সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই কমিশন পাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
- যদি আপনার চ্যানেল বা গ্রুপে অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বার হয়ে যায় তখন আপনি বড় বড় কোম্পানির সাথে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে আপনি বিপুল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন প্রথম অবস্থায় টেলিগ্রাম চ্যানেলে
সাবস্ক্রাইবার কম থাকলেও পরবর্তীতে একটু পরিশ্রম করলে ভালো সাবস্ক্রাইবার করে
বিভিন্ন প্রমোশনাল অফার বা স্পন্সরশিপে কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন। টেলিগ্রামে
বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় (Digital product sales)
- অনলাইন কোর্স বিক্রি (Sell online courses)
- অনলাইন সেবা প্রদান (Online service delivery)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- ইউটিউব অ্যাপ থেকে আয় (Youtube App)
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps যদি খুঁজে থাকেন তাহলে ইউটিউব আপনার জন্য সেরা একটি আয়
করার প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। যদি আপনি ইউটিউবে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন মানসম্মত ভালো
ভালো ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং সেই ভিডিওগুলোতে যদি ভালো ভিউ আসে তাহলে আপনি
সেই ভিডিওগুলো থেকে হাজার হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত অনেক বাংলাদেশী ইউটিউবাররা প্রথমে ইউটিউবিং শুরু করে অল্প টাকা ইনকাম
হলেও পরবর্তীতে এখন লাখ টাকায় পরিণত হয়েছে। তাই আপনি যদি তাদের মত করে ইউটিউবিং
শুরু করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনিও দিনে ৫০০ টাকা থেকেও অনেক বেশি ইনকাম করতে
পারবেন। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই আয়
করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন সৃজনশীলতা, ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনা।
প্রথম অবস্থায় ইউটিউবিং কিভাবে শুরু করবেন?
ইউটিউব মনিটাইজেশন -- ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হলো ভিডিও
মনিটাইজেশন। ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম অর্জন করার পর ইউটিউব
পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ পাবেন, যা
থেকে আয় করতে পারবেন।
স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল -- যদি আপনার চ্যানেলে অনেক সাবস্ক্রাইবার
এবং ভিউ থাকে, তবে ব্র্যান্ডগুলো আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের পণ্য প্রচারের
জন্য আপনাকে অর্থ দিতে পারে। এটি একটি সরাসরি উপায় যেখানে আপনার প্রভাব এবং
কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং -- ইউটিউব ভিডিওতে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ বা ব্যবহার
সংক্রান্ত ভিডিও তৈরি করে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। যখন দর্শকরা সেই
লিংক থেকে পণ্য কিনবে, তখন আপনি কমিশন পাবেন।
চ্যানেল মেম্বারশিপ ও মার্চেন্ডাইজ বিক্রয় -- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের
মেম্বারশিপ চালু করে এবং নিজের পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এতে আপনার
অনুসারীরা আপনাকে সরাসরি সমর্থন করতে পারবে।
ইউটিউব অ্যাপ থেকে আয় শুরু করতে হলে নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি এবং দর্শকদের আকর্ষণ
করার ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম, সময় ও ধৈর্য দিয়ে
কাজ করলে অবশ্যই প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপওয়ার্ক অ্যাপ থেকে ইনকাম (Upwork App)
আপওয়ার্ক হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি
ঘরে বসে বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারেন। আপওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া
যায়, যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল
মার্কেটিং, ডেটা এন্ট্রি এবং আরও অনেক কিছু। এখানে নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয়
ফ্রিল্যান্সারই কাজের সুযোগ পান।
- তবে আপনি যদি Upwork-এ কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে Upwork profile তৈরি করে নিতে হবে।
- এরপর প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং পূর্ববর্তী কাজের উদাহরণ দিন, যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোফাইল দেখেই কাজের জন্য আপনাকে নির্বাচন করতে আগ্রহী হয়।
- এরপর আপওয়ার্কে বিভিন্ন প্রজেক্টের সাথে বিড করতে হবে। যখন কোনো কাজের জন্য আপনি আবেদন করবেন, তখন একটি কার্যকরী প্রস্তাব তৈরি করে ক্লায়েন্টকে বোঝান। যাতে করে আবেদন ফরম দেখে ক্লাইন্ট প্রজেক্ট দেয়ার জন্য আগ্রহ হয়।
- অপরকে রেটিং এবং রিভিউ অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাকে ভালোভাবে কয়েকটি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করে ক্লাইন্টদের কাছ থেকে ভালো রেটিং এবং রিভিউ নিতে হবে। যদি আপনি তাদের কাছ থেকে এগুলো নেন তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এইভাবে প্রথম থেকে আস্তে আস্তে অপরকে দক্ষতা অর্জন করলে পরবর্তীতে অনেক বেশি আয় করার সুযোগ পাওয়া যাবে। শুরুতে কম ইনকাম হলেও পরবর্তীতে লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে আয় করা সম্ভব হবে।
- তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন, আপওয়ার্ক থেকে ইনকাম শুরু করতে ধৈর্য, দক্ষতা এবং নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে ভালো মানের কাজ করতে পারেন, তাহলে আপওয়ার্ক থেকে একটি স্থায়ী এবং লাভজনক আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবেন।
সাধারণত Upwork-এ যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হলোঃ
- ডেটা এন্ট্রি
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- পোস্টার ডিজাইন
- আর্টিকেল রাইটিং
- লোগো ডিজাইন
- মার্কেটিং এবং SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- লোগো ডিজাইন
- ভিডিও প্রোডাকশন ইত্যাদি।
লিঙ্কডইন অ্যাপ থেকে ইনকাম (Linkedin App)
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps- এর মধ্য মধ্যে লিঙ্কডইন মোবাইল অ্যাপ হতে পারে
জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। বর্তমান সময়ে ফেসবুক টেলিগ্রাম এগুলোর মতই খুবই জনপ্রিয়
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হল Linkedin. এই অ্যাপটি এতটাই জনপ্রিয় যে এখানে
বিভিন্ন ধরনের ইনকাম বিষয়ে অনেকেই চর্চা ও আলোচনা করে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ১৫টি
এছাড়াও এই লিঙ্কডইন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে অনেকেই প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করছেন।
আপনি চাইলে এখানে বিভিন্ন ধরনের সেক্টরগুলো পাবেন যেগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই
দক্ষতা অর্জন করে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
লিঙ্কডইন অ্যাপে ইনকাম করার জন্য যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
- স্টোরি রাইটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ডিজাইনার ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত যে সেন্টারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে
অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া কখনই দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়।
তাই পরিশ্রম করুন এবং দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করুন।
সোয়াগবাক্স অ্যাপ থেকে ইনকাম (Swagbucks App)
সোয়াগবাক্স হলো একটি অনলাইনে ইনকাম করার মোবাইল অ্যাপ। মূলত এই অ্যাপটি ব্যবহার
করে বাংলাদেশে অনেকেই খুব সহজে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ৫০০ টাকা
ইনকাম করছেন। সোয়াগবাক্স অ্যাপের কাজ হল বিভিন্ন ভিডিও দেখা, এড দেখা, গেম খেলা,
অ্যাপ ইন্সটল, সহ নানা ধরনের গেম রয়েছে এই অ্যাপে।
এই গেমগুলো আপনি চাইলে ঘরে বসেই খেলে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই গেমটি
খেলার জন্য বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে বেসিক ধারণা অবশ্যই জানা
প্রয়োজন। youtube এ সোয়াগবাক্স অ্যাপ লিখে সার্চ করলে আপনি শতশত ভিডিও পেয়ে
যাবেন যেগুলো থেকে আপনি বেসিক ধারণা নিতে পারবেন।
বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট রয়েছে তাদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে এই অ্যাপটি
খুবই কার্যকারী। সোয়াগবাক্স অ্যাপ লিখে গুগলে সার্চ করলে সরাসরি পেয়ে যাবেন।
সেখান থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে খেলা শুরু করে
দিন।
এই অ্যাপে কাজ করে আপনি কিছু পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন সেগুলো আপনি টাকায়
রূপান্তর করে বিকাশ অথবা নগদে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ৫ ডলার
হলেই আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন তার আগে পারবেন না। আপনারা এখান থেকে ডাউনলোড
করতে চাইলে Swagbucks App লিংকে
ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম (Fiverr)
ফাইভার (Fiverr) একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি
আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই
প্ল্যাটফর্মটি নতুন এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযুক্ত, কারণ এখানে শুরু
করার প্রক্রিয়া সহজ এবং বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়।
ফাইভারে কাজ করার উপায়ঃ
গিগ তৈরি করা -- ফাইভারে অর্থ উপার্জনের প্রথম ধাপ হলো একটি আকর্ষণীয়
"গিগ" তৈরি করা। গিগ হলো আপনার সেবার বিবরণ, যেখানে আপনি কী ধরনের কাজ করবেন তা
উল্লেখ করবেন।
বিভিন্ন কাজের ধরন -- ফাইভারে আপনি ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডেটা এন্ট্রি,
ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ
করতে পারেন।
ক্লায়েন্টের অর্ডার নেওয়া -- আপনার গিগ আকর্ষণীয় হলে ক্লায়েন্টরা
আপনাকে কাজের জন্য অর্ডার দেবে। প্রতিটি সফল কাজের পর আপনি অর্থ পাবেন।
আয়ের সুযোগ -- ফাইভারে কাজ শুরু করার জন্য কোনো বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন
নেই। আপনি ৫ ডলার থেকে শুরু করে হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন, যা আপনার
কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।
ইয়াসেন্স অ্যাপ থেকে ইনকাম (Ysense App)
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps মূলত Ysense App. এই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অনেক মানুষ
প্রতিদিন বিভিন্ন টাক্স পূরণ করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকেন। যেমনঃ অনলাইন
গেম খেলা, অনলাইন স্যার্ভে পূরণ করা, বিভিন্ন টাস্ক পূরণ করা, ছবি মূল্যায়ন
ইত্যাদি।
আপনি চাইলে ঘরে বসে একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই অ্যাপ থেকে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। এখানে আপনাকে আহামরি কোন পরিশ্রম করতে হবে না। শুধু youtube এ এই
অ্যাপটি লিখে সার্চ করে বেসিক কিছু ধারণা নিয়ে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি
ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে ইনকাম শুরু করে দিন।
ওয়ার্কআপ জব অ্যাপ থেকে ইনকাম (Workup job App)
যদি আপনি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অনলাইনে একটি
জনপ্রিয় অ্যাপ হলো Workup job App. এই অ্যাপটি থেকে আপনি চাইলে প্রতিদিন ৫০০
টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো এই অ্যাপটিতে আমিও কাজ
করেছি।
এখানে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে Workup job লিখে ক্রম ব্রাউজারে সার্চ করলে
১/২/৩ নাম্বারে দেখতে পাবেন। সরাসরি সেখানে ক্লিক করে নতুন অবস্থায় রেজিস্টার
বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার সামনে
এরকম একটা পেজ আসবে সেখানে আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, এবং
i’m not a robot এর ওপর টিক দিয়ে সর্বশেষে
i agree to workupjobs ওপরে ক্লিক দিয়ে Create Account এর ওপর
ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ
দিয়ে থাকবে যেমনঃ
- ইউটিউবে ভিডিও দেখা
- জিমেইল তৈরি করা
- ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করা
- Facebook পেজ ফলো করা
- অ্যাড ক্লিক করা বা আর্টিকেল পড়া
- ওয়েবসাইট ভিজিট করা ইত্যাদি।
সেগুলোতে কাজ করে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি কাজের মূল্য সর্বনিম্ন ২
টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই টাকাগুলো আপনি খুব সহজেই
বিকাশ/রকেত/নগদ যেকোনো অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
টফি অ্যাপ থেকে ইনকাম (Toffee App)
যদি আপনারা ফেসবুকে কিংবা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা অনেক জটিল মনে
করেন তাহলে আপনাদের সুবিধার জন্য হতে পারে টফি অ্যাপ (Toffee App). এই অ্যাপটিও
ইউটিউবের মতোই বিভিন্ন মানসম্মত ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি চাইলে
ট্রফি অ্যাপ এর জন্য ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো নিয়মিত পাবলিশ করার
মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
Toffee apps থেকে আয় করা টাকা বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং
রকেট, নগদ অথবা বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন করতে পারবেন। দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার
জন্য এটিও আপনার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
রকমারি অ্যাপ থেকে ইনকাম (Rokomari App)
রকমারি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন বইয়ের দোকান। শুধু বই কেনা-বেচা নয়,
রকমারি আপনাকে আয় করার সুযোগও করে দেয়। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করব যে কীভাবে আপনি রকমারি অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
রকমারি থেকে ইনকাম করার উপায়ঃ
১) রকমারি অ্যাফিলিয়েট
- কীভাবে কাজ করেঃ আপনি রকমারির যেকোনো পণ্যের লিঙ্ক কপি করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। কেউ যদি আপনার দেওয়া লিঙ্ক দিয়ে পণ্য ক্রয় করে, তাহলে আপনি সেই বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
- কেন এটি ভালোঃ এটি করতে খুব কম সময় লাগে এবং আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারেন।
২) বই রিভিউ
- কীভাবে কাজ করেঃ আপনি রকমারি থেকে কেনা বইয়ের রিভিউ লিখে তাদের ওয়েবসাইটে বা আপনার ব্লগে পোস্ট করতে পারেন। আপনার রিভিউ ভালো হলে, রকমারি আপনাকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করতে পারে।
- কেন এটি ভালোঃ এটি আপনাকে একজন বইয়ের ভক্ত হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ দেয় এবং একই সাথে আয়ও করতে পারেন।
৩) বই লেখা ও প্রকাশ
- কীভাবে কাজ করেঃ আপনি যদি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে আপনি নিজের বই লিখে রকমারির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। বই বিক্রয় হলে আপনি রয়্যালটি পাবেন।
- কেন এটি ভালোঃ এটি আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করার এবং একজন লেখক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দেয়।
রকমারি আপনাকে বাড়িতে বসেই আয় করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। আপনি যদি বই
পড়তে ভালোবাসেন এবং অন্যদের সাথে আপনার জ্ঞান শেয়ার করতে চান, তাহলে রকমারি
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
অ্যালামি অ্যাপ থেকে ইনকাম (Alamy app)
আপনি কি আপনার ফোটোগ্রাফি দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে চান? অ্যালামি হল এমন
একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ছবি বিক্রয় করে টাকা আয় করতে পারেন। এই
আর্টিকেলে আমরা অ্যালামি অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং কীভাবে আপনি এই
প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশাবলী দেব।
অ্যালামি থেকে কীভাবে ইনকাম করা যায়?
- প্রথমে আপনাকে অ্যালামিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
- এরপর আপনার সেরা মানের ছবিগুলি অ্যালামিতে আপলোড করুন। ছবিগুলি উচ্চ রেজোলিউশনের হওয়া জরুরি।
- এরপর প্রতিটি ছবির জন্য একটি বিস্তারিত ক্যাপশন এবং প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড দিন। এটি আপনার ছবিগুলিকে অনুসন্ধানে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
- এরপর, আপনার ছবিগুলি সঠিক ক্যাটাগরিতে রাখুন।
- তারপর, আপনি কোন ধরনের লাইসেন্সে আপনার ছবি বিক্রি করতে চান তা নির্বাচন করুন।
- সর্বশেষে আপনার ছবিগুলির জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করুন।
লেখকের শেষ কথা | দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps
প্রিয় পাঠক বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনে আয় করা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন অ্যাপের
মাধ্যমে। দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো থেকে
আপনি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারবেন। মনে রাখবেন,
কোনো অ্যাপই আপনাকে রাতারাতি ধনী করে তুলতে পারবে না। ধৈর্য্য, পরিশ্রম এবং সঠিক
কৌশলের মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url