বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট [A to Z গাইডলাইন]

প্রিয় পাঠক আপনি কি বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট সম্পর্কে জানতে চান? আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখানে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ভিসা সম্পর্কে সঠিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনারা একদম নতুন তাঁরা অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট [A to Z গাইডলাইন]
আপনারা যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে, সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে, সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে, সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত, সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম, সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার নিয়ম, সিঙ্গাপুর স্কিল ট্রেনিং খরচ কত, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। 

ভূমিকা

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। এই সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সহ আরো অন্যান্য দেশের মানুষেরা বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির মাধ্যমে যেয়ে থাকেন। এদের মধ্যে কেউ কাজের উদ্দেশ্যে, কেউ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, কেউবা পড়াশোনা কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। তবে যারা নতুন তাদের প্রথম বার যেতে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট, সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং ও চেক, সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কতএগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা লাগে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা রয়েছে। এদেশে গিয়ে আপনি খুব ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন এবং জীবনযাপন, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা সহ ইত্যাদি সুব্যবস্থা রয়েছে। তাই অনেকের কাছে এই সিঙ্গাপুর স্বপ্নের একটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে এই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য একজন বাংলাদেশী নাগরিকের কি কি প্রয়োজন তার সম্পূর্ণ এই আর্টিকেলে তুলে ধরেছে। তাই আপনাদের অবশ্যই এগুলো জেনে রাখা উচিত।

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যেকোনো কাজেই হোক না কেন সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন করতে পারে সেটা অনেকেই জানেন না। তাই সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে জেনে নেওয়া উচিত সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে। বিশেষ করে ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে। 

এমন অনেক ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। যেমনঃ টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, মেডিকেল ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ ইত্যাদি। এই ভিসা গুলোতে যাওয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে সেটা না জেনে কখনোই সিঙ্গাপুর যাওয়া উচিত নয়। 
এগুলো আপনার সব সময় কাজে দিবে। যদি আপনি একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এজেন্সির কাছে যান তাহলে ভালোভাবে জানতে পারবেন আসলে কোন ধরনের ভিসায় সিঙ্গাপুর গেলে কি কি ডকুমেন্টস লাগে। তবে আজকে আমি আপনাদেরকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিষয় বলবো যেগুলো আপনার প্রায় সব ধরনের ভিসাতেই প্রয়োজন পড়বে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

সিঙ্গাপুর যেতে আপনার কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  • ভ্রমণের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর ভিসা আবেদন ফরম ও ভিসা আবেদন ফি প্রয়োজন পড়বে।
  • আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি বা জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়বে।
  • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন পড়বে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়বে।
  • আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, জমির দলিল ইত্যাদি)
  • আবেদনকারী কাজের উদ্দেশ্যে গেলে চুক্তিপত্র প্রয়োজন পড়বে।
  • কাজের অনুমতি পত্র বা ইনভাইটেশন লেটার
  • ভ্রমণ বীমা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্য বর্ণনা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর আসবাবনের প্রমাণ দিতে হবে।
উপরে উল্লেখিত যে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে এগুলো প্রায় সব ধরনের ভিসাতেই প্রয়োজন পড়ে। আর এইগুলো কাগজ যদি আপনার ঠিক থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারেন। এছাড়া আপনার যদি আবেদন করার সময় আরো কোন কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে তাহলে যেখানে আবেদন করবেন তারাই আপনাকে বলে দেবে।

সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

প্রিয় ভিজিটর আপনার হয়তো অনেকেই রয়েছেন যারা সিঙ্গাপুর যেতে চান। কিন্তু সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে না জেনে কখনোই সামনে পা বাড়ানো উচিত নয়। কারণ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই আপনাকে সবার আগে জানতে হবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে। 
কিন্তু সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ লাগতে পারে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি সিঙ্গাপুরে কোন ভিসার উপর ভিত্তি করে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে দুইটি মাধ্যমে যাওয়া যায় ১) স্কেল করার মাধ্যমে ২) আন স্কেল এর মাধ্যমে

স্কেল করার মাধ্যমেঃ আপনারা যদি স্কেল করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশী টাকায় খরচ হবে ৯ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। আর এই টাকা খরচ করে আপনি সিঙ্গাপুরে ১৮ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন। কিন্তু এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে সেটা হচ্ছে স্কেল করতে আবার কত টাকা খরচ হতে পারে?

দেখুন আপনি যদি স্কেল করেন তাহলে সাধারণত ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা প্রয়োজন পড়বে। আর (IP) আইপি করতে গেলে আপনার খরচ পড়বে ২ লাখ থেকে তিন লাখ টাকা। এই সব মিলিয়ে স্কেল করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে আপনার খরচ পড়বে ৯ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।

তবে আপনাকে এর বাইরেও কিছু টাকা আলাদা ভাবে রেখে দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত টাকা রেখে দিলে আপনার অবশ্যই পরবর্তীতে কাজে আসবে। তাই ৯-১০ লাখ টাকার পাশাপাশি আপনি আলাদাভাবে কিছু অতিরিক্ত টাকা আপনার কাছে রেখে দিবেন। 

আন স্কেল এর মাধ্যমেঃ আর আপনি যদি আন স্কেল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে আপনার বাংলাদেশি টাকায় খরচ পড়বে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা। এখন কথা হচ্ছে এই টাকা খরচ করে কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকা যাবে? আপনি এই টাকা খরচ করে সর্বোচ্চ ২ বছরের মত সিঙ্গাপুরে থাকতে পারবেন। 

সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কর্মী প্রেরনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে অনেক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। তাই যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দালালের মাধ্যমে অনেক টাকা খরচ করে তারপরে সিঙ্গাপুর পৌঁছায়। 
কিন্তু আপনার যদি সঠিক যোগ্যতা থাকে তাহলে কখনোই দালালের কাছে যেতে হবে না। আর আপনি যদি দালালের কাছে যান তাহলে আপনার টাকার সম্পূর্ণ আপনাকেই নিতে হবে। তাই দালালের প্রতারণা হাত থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই অংশটুকু আপনার জন্যই। আপনারা যারা এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা অবশ্যই যাওয়ার আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। 

কারণ আপনি যে জায়গায় যাবেন সেখানে কত সময় লাগতে পারে সেটা অবশ্যই ভ্রমণকারীর জানতে হবে। তাই আসুন আজকে আমি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই দেরি না করে জেনে নিন।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে কত সময় লাগতে পারে সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের দূরত্ব এবং আপনি কোন বিমানে যাবেন তার গতির উপর। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য অনেক বিমান রয়েছে। তবে, ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর সবচেয়ে দ্রুততম সময় যে ফ্লাইটটি অবতরণ করে সেটি হলো বাংলাদেশ বিমান।

এছাড়া আরো অনেক বিমান এয়ারলাইন্স রয়েছে যেমনঃ

  • সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
  • থাই এয়ারওয়েজ
  • মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স
  • এয়ার এশিয়া
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হতে সিঙ্গাপুর কত কিলোমিটার আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নিচে ম্যাপের মাধ্যমে দেখানো হলোঃ
আশা করি আপনারা গুগল ম্যাপ দেখে নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কত কিলোমিটার। তাই আশা করি আপনারা বিষয়টি জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

সিঙ্গাপুর সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশে এমন অনেক এজেন্ট রয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকারের ওয়েবসাইটে গেলে আপনি সম্পূর্ণ তালিকা দেখতে পারবেন। তবে প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই এজেন্ট থেকে সব সময় সাবধানে থাকবেন। কারণ অনেক মানুষ রয়েছে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে ও বিদেশের মাটিতে প্রচারিত হয়ে থাকে। 
  
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি নিচে কিছু সাধারণভাবে পরিচিত এজেন্টদের নাম উল্লেখ করবো। তবে এজেন্সি দিয়ে কাজ করার আগে অবশ্যই আপনি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিবেন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা নিবেন। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করবেন। 
এতে করে আপনার কোন রকম প্রতারণা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা কোনো এজেন্ট বেছে নেওয়ার আগে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আসুন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের তালিকা


ক্রমিক নম্বর

এজেন্সির নাম

ঠিকানা

যোগাযোগ নাম্বার

১।

ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড

মতিঝিল, ঢাকা

টেলিফোনঃ 9550916, 9556129, 9561471, 9562397 

২।

ডিসকভারি টুরস অ্যান্ড লজিস্টিক

হাউজ # ১১, রোড # ১৭,  ব্লক # ডি,

বনানী, ঢাকা- ১২১৩

ফোনঃ 01678000266 01678000264

৩।

লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস 

রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার ( তৃতীয় তলা) ১১৪, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলা মোটর, ঢাকা ১০০০

ফোনঃ01678000266 01678000264

ফোনঃ 01678000266, 01678000264

৪।

ভ্যালেন্সিয়া এয়ার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস

মতিঝিল, গুলশান

টেলিফোনঃ 7113703,7118695

টেলিফোনঃ 8837344

৫।

পার্কওয়ে হসপিটালস

সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড

গুলশান

টেলিফোনঃ 9850422 হেল্প লাইন 01736000000

৬।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কর্পোরেশন

গুলশান, ঢাকা

টেলিফোনঃ 9862788, 9850940, 9855647

৭।

ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড

গুলশান

টেলিফোনঃ 9894028, 9896909

৮।

নভোএয়ার লিমিটেড

বনানী, ঢাকা

টেলিফোনঃ 55042385 হটলাইনঃ 01978443717

৯।

Visa Processing BD

House: 419, Floor: 4TH, Road: 30

New DOHS Mohakhali

Dhaka- 1206, Bangladesh


টেলিফোনঃ 01999909020

ফোনঃ 01999909010


১০।

সিল্কওয়েজ কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড

গুলশান

টেলিফোনঃ 988821120

১২।

ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড

গুলশান,

টেলিফোনঃ9894028, 9896909

১৩।

সাইমন ওভারসিজ

গুলশান

টেলিফোনঃ 9882273-74, 9881408,9885307-08

১৪।

ইউনিয়ন টুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেড

গুলশান,ঢাকা

টেলিফোনঃ 985456677

১৫

ShareTrip 

3rd Floor, House 1,

Road 17, Block C, Banani,

Dhaka 1213, Bangladesh


BM Height 5th Floor,

318 Sheikh Mujib Road.

Chattogram 4100, Bangladesh

ফোনঃ 0 9617 617617


প্রিয় বন্ধুরা এই উপরে উল্লেখিত যে তালিকাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা (Ministry of Foreign Affairs, Singapore) ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। এটি একটি সিঙ্গাপুর ওয়েবসাইট যেখানে এই তথ্যগুলো দেওয়া রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানে গিয়েও সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের তালিকা জেনে নিতে পারেন। আশা করি বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সঠিকভাবে জানিয়ে দেব। কারণ বাংলাদেশের এমন অনেক নাগরিক রয়েছে যারা সিঙ্গাপুরে কাজ করতে ইচ্ছুক। 

কিন্তু সিঙ্গাপুরে এখন সর্বনিম্ন বেতন কত সেই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনারা এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আশা করি জেনে যাবেন।
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই, কারণ সেখানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো ন্যূনতম মজুরি আইন নেই। তবে বিভিন্ন সেক্টরে ভিন্ন ভিন্ন ন্যূনতম বেতন কাঠামো প্রচলিত রয়েছে, বিশেষত বিদেশি কর্মীদের জন্য। যেমন এখানে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিঙ্গাপুর প্রবাসীর মাসিক গড় বেতন বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩০ হাজার এবং অভিজ্ঞতা বিহীন প্রবাসী কর্মীদের বেতন বাংলাদেশী টাকায় ২৫ হাজার টাকা। 

এছাড়াও একজন সিঙ্গাপুর ড্রাইভার এর সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। অপরের দিকে একজন ডেলিভারি বয়, ক্লিনার, ওয়ার্কারের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম

প্রিয় ভিজিটর আপনারা যদি সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আশা করি এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন। কারণ আপনারা যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে কিভাবে আপনারা ভিসা প্রসেসিং করবেন? তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং আবেদন করার জন্য আপনাকে সরাসরি Immigration & Checkpoints Authority (ICA) এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। এই কাজটি আপনি অফলাইনেও করতে পারবেন। 

এখন অনেকে মনে মনে ভাববেন কিভাবে? আপনি চাইলে অফলাইনে আপনার নিকটস্থ সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং অফিসে যে যোগাযোগ করে আবেদনটি সঠিকভাবে জমা দিতে পারবেন। আপনার জমাকৃত আবেদনটি কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ সঠিক থাকে তাহলে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং হতে সাধারণত ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। 

যদি আপনার ভিসার অনুমোদন হয়ে যায় তাহলে সেখানে আপনার পাসপোর্টের একটি স্ট্যাম্প দিয়ে দেওয়া হবে। আরেকটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার ভিসার আবেদন ফ্রি পরিবর্তিত হবে। 

সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার নিয়ম

আপনার যদি ভিসা অনুমোদন হয়ে যায় তাহলে আপনি সেটি অনলাইনে চেক করে নিতে পারবেন। এখন আপনি চাইলে তাদের অফিসে না যে ঘরে বসেই অল্প সময়ে সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন পড়বে আবেদনকারীর পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন তারিখ।

এই ২টি ইনফরমেশন আপনার কাছে থাকলে আপনি সরাসরি (www.mom.gov.sg/check-wp) এই লিংক ওপেন করে খুব সহজে অল্পসময়ে সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করে নিতে পারেন। উপরে উল্লেখিত লিংক ওপেন করে প্রথমে আপনাকে Check work pass and application status লেখার উপরে ক্লিক করতে হবে। এরপরে নতুন একটি পেজ আপনার সামনে আসবে সেখানে আপনার ভাষা নির্বাচন করে ক্লিক করুন।
তারপরে আপনার সামনে আরো একটি নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে আপনার Start বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সামনে আরেকটি নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে আপনার Date of birth দিতে হবে এবং Select one এ আপনাকে Passport number সিলেক্ট করে Submit বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত সিঙ্গাপুর ভিসার স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। 

আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে ছবি আকারে দিয়েছি দেখে নিনঃ

প্রথম ধাপঃ  


দ্বিতীয় ধাপঃ


তৃতীয় ধাপঃ 


চতুর্থ ধাপঃ


উপরে উল্লেখিত ছবিতে যে প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পরে শেষে এসে Submit বাটনে ক্লিক করলে আপনি কাঙ্খিত সিঙ্গাপুর ভিসার স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।

সিঙ্গাপুর স্কিল ট্রেনিং খরচ কত

আপনি যদি স্কিল ট্রেনিং করতে চান তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকেও করতে পারবেন কিংবা আপনি চাইলে সিঙ্গাপুরে গিয়েও করতে পারবেন। যদি আপনি বাংলাদেশে স্কিল ট্রেনিং করেন তাহলে অনেক টাকা খরচ হবে। আর আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যেয়ে স্কিল ট্রেনিং করেন তাহলে অনেক টাকা কম পড়বে। তাই আপনি কোনটা করবেন সেটা আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। 

তবে মনে রাখবেন কোম্পানি আপনাকে কখনোই স্কিল শেখাবে না। বাইরের দেশে গিয়ে আপনাকে নিজে নিজে প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করে স্কিল ট্রেনিং শিখতে হবে। কারণ কোম্পানিগুলো সাধারণত অদক্ষ কর্মী নিয়ে থাকেন। কারণ তাদের কম বেতন দেওয়ার জন্য। আর এই সকল কোম্পানি আপনাকে কখনোই স্কিল শেখাবে না। বিষয়টি ভালোভাবে মনে রাখবেন।
তাই আপনারা চাইলে প্রতি সপ্তাহের ছুটির ফাঁকে ফাঁকে স্টিল ট্রেনিং শিখতে পারেন। প্রথমবার স্কিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারলে আপনাকে প্রায় ১১০০ ডলার খরচ করতে হবে। আর যদি আপনি প্রথমবার পরীক্ষায় পাশ করতে না পারেন দ্বিতীয়বারে আপনার প্রায় ১৭০০ ডলার খরচ করতে হবে। অদক্ষ কর্মীর চেয়ে দক্ষতা কর্মীদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

তাই আপনি যত বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে বর্তমান সময়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে স্কিল ট্রেনিং করাটা খুবই কঠিন হয়ে গেছে। কারণ আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেই মালিকের পারমিশন ছাড়া এটি করা যাচ্ছে না। তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে শুনে যাওয়া উচিত।

লেখকের শেষ কথা | বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট [A to Z গাইডলাইন]  

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট এবং সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের পোস্টের বিষয়ে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে পোষ্টটি শেয়ার করবেন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষে বলতে চাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪