সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা [A to Z গাইডলাইন]
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এই সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের এই লেখাটির মাধ্যমে আজকে আপনারা জানতে
পারবেন, সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি প্রসেস অবলম্বন করতে হবে তার
[A to Z গাইডলাইন]। তাই তাই আসুন এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।
আপনারা যদি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে পারেন তাহলে, সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা,
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা কত টাকা, সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত, সিঙ্গাপুর আন স্কিল
বেতন কত, সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসার সুবিধা সহ সকল বিষয়ে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শহর হচ্ছে
সিঙ্গাপুর। এই শহরটি হচ্ছে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র যেখানে উদ্যমী নগর সংস্কৃতি
রয়েছে যা এখানে আসা মানুষদের কাছে সুযোগগুলো এক্সেস করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ
প্রদান করে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের প্রায় মানুষ এই সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা,
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা সহ নানা ধরনের ভিসাতে ঘুরতে আসে। এই শহরটি
খুবই আকর্ষণীয় একটি শহর। এই শহরে উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া এখানে
সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু যারা নতুন অবস্থায়
রয়েছে এবং সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা অনেকেই কিভাবে ভিসা
তৈরি করবে সেই প্রসেসিং গুলো জানে না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ভিসা সংক্রান্ত
যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন
না, তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সিঙ্গাপুর আন স্কিল বেতন কত
অনেকে রয়েছে যারা সিঙ্গাপুরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু যারা নতুন
অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের অবশ্যই
সিঙ্গাপুর আন স্কিল বেতন কত এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ আপনি যদি
বাংলাদেশ থেকে কোনরকম স্কিল ছাড়া সিঙ্গাপুরে যে কাজ করতে চান তাহলে অনেক কম
বেতনে চাকরি করতে পারবেন।
আর আপনি যদি কোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করেন আর তারপর সিঙ্গাপুরে যান
তাহলে অবশ্যই আপনার ভালো বেতনে চাকরি পাবেন। বর্তমান সময়ে একজন দক্ষত সিঙ্গাপুর
প্রবাসীর মাসিক গড় বেতন প্রায় ৩০ হাজার এবং অদক্ষ প্রবাসী কর্মীদের বেতন ২৫
হাজার টাকা।
এই তথ্যটি বণিক বার্তা অনলাইন পোর্টাল থেকে সরাসরি জানতে পেরেছি। তবে সাধারণত
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়া বেশিরভাগ নাগরিকদেরই মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৪০
হাজার টাকার আশেপাশে দিয়ে থাকে।
সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসার সুবিধা
সিঙ্গাপুরের এস পাস ভিসা মধ্যম স্তরের দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প।
এই ভিসাটি সিঙ্গাপুরে কাজ করার এবং বসবাস করার অনুমতি দেয় এবং এর সাথে আরও অনেক
সুবিধা যুক্ত থাকে। আসুন এস পাস ভিসার কিছু মূল সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
নেওয়া যাকঃ
কাজের অনুমতিঃ S Pass হোল্ডাররা সিঙ্গাপুরে কাজ করার অনুমতি পান এবং তারা
সেখানকার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।
দীর্ঘমেয়াদী ভিসাঃ S Pass সাধারণত প্রথমবারের জন্য ২ বছর পর্যন্ত বৈধ
থাকে এবং পরে এটি নবায়ন করা যায়।
উচ্চ বেতনঃ এস পাস হোল্ডাররা সাধারণত উচ্চ বেতন পান, যা সিঙ্গাপুরের উচ্চ
জীবনযাত্রার মানের সাথে মেলে।
বোনাস ও অন্যান্য ভাতাঃ অনেক কোম্পানি এস পাস হোল্ডারদের বোনাস, মেডিকেল
বেনিফিট এবং অন্যান্য ভাতা প্রদান করে।
নিয়োগকর্তার সুবিধাঃ কোম্পানিগুলো S Pass হোল্ডারদের নিয়োগ দেওয়ার
মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হয় এবং তারা অধিক দক্ষ শ্রমিক পায়।
পরিবার আনার সুবিধাঃ এস পাস (এসপি) - মধ্য - স্তরের দক্ষ কর্মী এবং
প্রযুক্তিবিদদের জন্য কমপক্ষে মাসিক বেতন SGD 2,300 বা তার বেশি হয়ে থাকে, অর্থাৎ
বাংলাদেশি টাকায় ১২১,৫৯১.২৩ টাকা। তবে, তারা Dependent's Pass এর মাধ্যমে তাদের
স্ত্রী/স্বামী এবং সন্তানদের সিঙ্গাপুরে নিয়ে আসতে পারেন।
উচ্চ জীবনযাত্রার মানঃ সিঙ্গাপুর একটি আধুনিক এবং নিরাপদ শহর, যা
উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।
ভ্রমণের সুবিধাঃ সিঙ্গাপুর একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে অবস্থিত এবং এখান
থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে ভ্রমণ করা সহজ।
কর্মজীবন বিকাশের সুযোগঃ সিঙ্গাপুরে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, যা
কর্মজীবন বিকাশের জন্য বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করে।
দক্ষতা উন্নয়নঃ সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের এবং এখানে
থাকাকালীন আপনি আপনার দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন।
স্থায়ী বাসিন্দা (PR) হওয়ার সম্ভাবনাঃ S Pass হোল্ডাররা কিছু সময় পর
স্থায়ী বাসিন্দার জন্য আবেদন করতে পারেন, যা তাদের সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস
ও কাজ করার সুযোগ দেয়।
উপরে উল্লেখিত যেসুবিধা গুলো দেখতে পাচ্ছেন এটা শুধু একজন দক্ষ ব্যক্তির জন্য।
সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসার সুবিধা নিয়ে যারা সিঙ্গাপুরে যেতে চান। তারা অবশ্যই কোন
একটি বিষয়ের উপর ভালোভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। এরপরে সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসার
জন্য আবেদন করবেন তাহলে আশা করি আপনি এই সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন।
সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত
সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ আপনার পেশা, দক্ষতা
এবং অভিজ্ঞতা বেতনের উপর সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, আইটি, ফিনান্স
বা মেডিকেল সেক্টরে কাজ করলে সাধারণত বেশি বেতন পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এই
সেক্টর গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি সেক্টর থেকে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে
পারেন।
তাহলে অবশ্যই প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন
কোম্পানির আকার, শিল্প এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। বিশেষ
করে সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক কোম্পানি বা স্টার্টআপ যেগুলো রয়েছে যারা সাধারণত বেশি
বেতন দিয়ে থাকে।
যদি আপনার কোন একটি কাজের উপর সম্পন্ন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সেই কাজের
অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে, তত
বেশি সিঙ্গাপুরে বেতন পাবেন। যদি আপনার উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি এই
সেক্টরগুলোতে বেশি বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই
কোন এক বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যাবেন। এতে করে আপনার বেশি ইনকাম
পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এর বাইরেও কিছু কিছু ভিসা রয়েছে যেই ভিসার মাধ্যমে আপনি
সিঙ্গাপুরে এসে প্রতিমাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
যদি আপনার ভিসার ধরন ঠিক থাকে বা আপনার ভিসা যদি এস পাস হয়ে থাকে তাহলে ওয়ার্ক
পারমিট হোল্ডারদের চেয়ে বেশি বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশা করি সিঙ্গাপুর
কাজের বেতন কত এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো এমন একটি ভিসা যা কোনো ব্যক্তিকে সিঙ্গাপুরে
গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানিতে কাজ করার অনুমতি দেয়। এই ভিসা সাধারণত সেইসব
ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া হয় যাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সিঙ্গাপুরের কর্মসংস্থান
বাজারে প্রয়োজনীয়। সিঙ্গাপুরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া খুবই
জনপ্রিয় একটি উপায়।
এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণত অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রদান করা হয়, বিশেষ করে
যারা উৎপাদন, সামুদ্রিক শিপইয়ার্ড, নির্মাণ, এবং পরিষেবা খাতে কাজ করতে ইচ্ছুক।
তবে এই সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক ভিসা পারমিট কিভাবে আবেদন প্রক্রিয়া করতে হয় এবং কি
কি যোগ্যতা এবং খরচ কত এ সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে
নিন।
কারণ যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের এ
বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরী। আর এগুলো না জানলে আপনি কখনোই সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক
পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। চলুন তাহলে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা এবং খরচ জেনে নেওয়া যাক।
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা এবং খরচ জেনে
নিনঃ
১) বয়স
- মালয়েশিয়ান নাগরিকদের বয়স ১৮ থেকে ৫৮ বছর মধ্যে হতে হবে।
- বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর মধ্যে হতে হবে।
২) শিক্ষাগত যোগ্যতা
- নির্দিষ্ট চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৩) স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- প্রার্থীদের সিঙ্গাপুরে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সক্ষম হতে হবে। নিয়োগকর্তা তাদের জন্য মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা করবে।
৪) চাকরির প্রস্তাব
- সিঙ্গাপুরে অনুমোদিত একটি কোম্পানির কাছ থেকে যারা সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাদের একটি বৈধ চাকরির প্রস্তাব থাকতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
১) ওয়ার্ক পারমিট আবেদন
- আবেদনকারী সিঙ্গাপুর কোম্পানির মাইগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
২) অনুমোদন প্রাপ্তি
- ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার অনুমতি পেয়ে গেলে একটি In Principal Approval লেটার ইস্যু করা হবে।
৩) সিঙ্গাপুরে আগমন
- ইন প্রিন্সিপাল এপ্রুভাল (In Principal Approval) লেটার নিয়ে আপনি সিঙ্গাপুরে আসতে হবে।
- সিঙ্গাপুরে আসার পর আপনার বায়োমেট্রিক্স তথ্য (আঙুলের ছাপ এবং ছবি) প্রদান করতে হবে।
৫) ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ
- সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে সবকিছুই জানলাম। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আবেদনের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে? প্রিয় পাঠক চিন্তার কোন কারণ নেই এখন নিচে
খরচ সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। তাই আসুন কত টাকা আবেদন করার জন্য খরচ হতে পারে
জেনে নিন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের খরচঃ
- সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন ফি প্রায় ২৫০০ টাকা।
- ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু ফি প্রায় ২৫০০ টাকা।
- মেডিকেল পরীক্ষার খরচ আবেদনকারীর নিজের খরচে করতে হবে, যা সাধারণত বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
মনে রাখবেনঃ সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন
করার আগে অবশ্যই যিনি আবেদন করবেন তার সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত
রাখতে হবে এবং সিঙ্গাপুর মাইগ্রেশন কর্তৃপক্ষের শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। তাহলে
আশা করি আপনারা সকলেই জানতে পেরেছেন কিভাবে আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য
আবেদন করবেন।
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
সিঙ্গাপুর এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র
রয়েছে যা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে টুরিস্ট
ভিসায় যেয়ে থাকেন। এই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের জন্য একটি টুরিস্ট ভিসা রয়েছে সেটা কি
জানেন? কেউ জানেন কেউবা জানেন না। তবে সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগতে পারে
এইটা অনেক বাংলাদেশী নাগরিক জানেন না।
তাই যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমি এই বিষয়টি আলোচনা করছি। প্রিয়
ভিজিটর বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির ওপর ভিত্তি করে সিঙ্গাপুর টুরিস্ট
ভিসা তৈরি হয়। সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ সাধারণত নির্ভর করে আপনি কোথা
থেকে আবেদন করছেন এবং ভিসা প্রসেসিং ফি কতটা হয় তার উপর।
ভিসা ফি ছাড়াও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় এজেন্ট বা ভিসা সেন্টারদের চার্জও থাকতে
পারে। তবে একটি সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে সাধারণত সর্বনিম্ন প্রায় ২
লক্ষ টাকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আশা করি সিঙ্গাপুর
টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগতে পারে সেটা আপনারা জানতে পেরেছেন।
সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা
আজ থেকে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের লোকদের হোটেল ভিসা দেওয়া
হতো না। কারণ ওই সময় এই নিয়ম চালু ছিল না। বর্তমান সময়ে এখন হোটেলে কাজের জন্য
নিয়োগ দেয়া হচ্ছে নতুন শ্রমিক। তাই আপনি যদি সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা পেতে চান
তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে এবং ইংরেজি
ভাষার উপর আপনার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
যদি আপনি এই দুটি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনি খুব সহজেই
সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা পেয়ে যাবেন। সিঙ্গাপুরে হোটেল ভিসার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের
কাজ রয়েছে যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী, কেয়ারটেকার, খাওয়ার সার্ভ করা,
রাঁধুনি সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যদি আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে
অবশ্যই সিঙ্গাপুরে হোটেল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা কত টাকা এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি
আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের পোস্টের বিষয়ে একটি কমেন্ট
করে জানিয়ে দিবেন।
আর অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে পোষ্টটি শেয়ার করবেন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে
আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষে বলতে চাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url