কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম কত দিন লাগে? A to Z জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি কি কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম সম্পর্কে জানতে চান? আপনারা
যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে কীভাবে আপনি সম্পন্ন ভাবে
ভিসা প্রসেসিং করবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়তে পারেন তাহলে কানাডার যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
বিশ্বের অন্যতম ও সমৃদ্ধশালী দেশ হচ্ছে কানাডা। এই কানাডায় প্রতিনিয়ত প্রচুর
মানুষ ভ্রমণের জন্য যেয়ে থাকেন। সকল মানুষের কাছে কানাডা খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ।
শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যতগুলো দেশ রয়েছে সেই দেশের মানুষগুলো ভ্রমণ করার
জন্য কানাডায় যায়। কিন্তু আপনি যদি কানাডায় ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে একটি ভিজিট ভিসা পেতে হবে। আর এই জন্য আপনি নিশ্চয়ই কানাডা ভিজিট
ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনাকে আরও একটি বিষয় জানা
জরুরি সেটি হলো কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম কত দিন এই বিষয়ে। তাই আসুন আর
দেরি না করে এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আরও অনেক কানাডার A to Z আলোচনা করেছি
সেগুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
কানাডা ভিজিট ভিসায় গিয়ে কাজ করা যায়?
প্রিয় ভিজিটর আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটি বিষয়ে জানিয়ে দেব যা আপনার জন্য
হয়তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সময়ে অনেকেই বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য
প্রস্তুতি নেন কিন্তু বাইরের দেশে আপনি যদি ভিজিট ভিসায় যান তাহলে কাজ করতে
পারবেন কিনা সেই সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।
অনেক ভাই ও বোনেরা রয়েছে যারা কানাডায় ভিজিট ভিসায় চেয়ে থাকেন। কিন্তু কানাডা
ভিজিট ভিসায় গিয়ে কাজ করা যায় কিনা, ভিজিট ভিসায় কানাডায় এসে আমি কি আমার
পরিবারকে কানাডায় নিয়ে আসতে পারব? কতদিন লাগবে এসব করতে? ভিজিট ভিসায় কানাডায়
যেয়ে কি স্থায়ী ভাবে লিগ্যাল হওয়া যাবে? A to Z জানিয়ে দেবো।
তাই যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই লেখাটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই লেখাটি পড়লে আপনিভিজিট ভিসায় যারা কানাডায় আগ্রহী সে
সকল মানুষেরা মোটামুটি ভালো একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে
জেনে নিন।
প্রিয় পাঠক অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ভিজিট ভিসায় কানাডায় আসার পরে কি হবে?
প্রথমত আপনাদেরকে এই বিষয়টি আগে জানিয়ে দেই। প্রথমত আপনি যদি ভিজিট ভিসায়
টুরিস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে কানাডায় প্রবেশ করেন তাহলে সেই স্ট্যাটাসে আপনার কোন
রকমের কাজের অনুমোদন নেই।
এখন আপনি যদি কানাডায় স্থায়ী ভাবে থেকে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দুটি
বিষয়ে জেনে তারপর সামনে এগোতে হবে। তাহলে আশা করি ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।
প্রথমতঃ আপনার যে ভিজিট ভিসা রয়েছে সেটাকে সরাসরি ওয়ার্ক পারমিটে
ডাইভার্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার ভিজিট ভিসাকে ওয়ার্ক পারমিটে ডাইভার্ট করলে
আপনি থাকার সুযোগ ও পাবেন এবং কাজেরও সুযোগ পাবেন।
এছাড়াও আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ৩ থেকে ৪ বছর পর স্থায়ী একটি
রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে যাবেন। আর এই সুযোগে আপনি আপনার পরিবারকে ৪ থেকে ৫ বছরের
জন্য কানাডায় নিয়ে আসতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ভিজিট ভিসা থেকে ওয়ার্ক পারমিটে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা কোন কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট দিতে হবে। আর এই জন্যই
বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলো কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে সেই
প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করতে হয়।
যে কোম্পানি অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেকর্ড অনেক বেশি ভালো শুধুমাত্র তারাই এই
কাজ করে থাকে। তবে আমার কাছে যে বিষয়টি মনে হয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় নয়।
তবে কিছু জেনারেল মানুষের কথা মতে, বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিজিট ভিসা পাওয়া যতটা
কঠিন কানাডায় এসে সেই ভিজিট ভিসা থেকে ওয়ার্ক পারমিট এ যাওয়াটা তার থেকেও অনেক
বেশি কঠিন।
তবে এই কানাডায় যাওয়ার পর যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি কোন
ভালো কাজ জানেন তাহলে অবশ্যই আপনার চাহিদা অনেক বেশি থাকবে। আর এর জন্যই আপনার
প্রয়োজন অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট।
দ্বিতীয়তঃ ভিজিট ভিসায় এসে কানারে থেকে যাওয়া এবং কাজ করে জীবিকার
নির্বাহের সহজ পথ হলো এসাইলাম ক্লেইম করা। যদি আপনি কানাডায় এসে একজন ভালো
আইনজীবী ধরে দেশে যাওয়ার পর জীবননাশের হুমকি আছে।
তাহলে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে আপনি সরাসরি (Canada Immigration Refugee and
Citizenship Board) কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন রিফিউজি এন্ড সিটিজেনশীপ বোর্ডে একটি
এসাইলাম ক্লেইম করতে পারেন। এরপরে এই এসাইলামটি সরাসরি কোর্টে যাবেন এবং একজন
জাজের মাধ্যমে বিচারিক হবেন।
এরপরে একটি সঠিক সমাধান করার জন্য নথিভুক্ত করা হবে। এরপর আপনি এসাইলাম ক্লেইমের
৩০ দিন পরে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর আপনি চাইলে আপনার
জীবিকা নির্ভর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে খেতে পারবেন।
তবে কানাডিয়ান সরকার প্রত্যেকটা রিফিউজিকে কানাডায় বসবাস করার জন্য কিছু ওয়েল
ফেয়ার গ্র্যান্ড করে থাকে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তিকে কানাডিয়ান সরকার প্রতি মাসে
খাওয়া-দাওয়া খরচ বাবদ ৭০০ থেকে ৮০০ ডলারের মত ওয়েলফেয়ার দিয়ে থাকে।
যাতে করে তারা কানাডায় ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু অনেকে আবার প্রশ্ন
করেন এসাইলাম-ক্লেমারের পারমিশন পাওয়ার পরে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি
পেয়ে গেলাম? এর উত্তরে বলব না। কারণ আপনার মাত্র এসাইলাম ক্লেইমার ফাইলটি
শুধুমাত্র একটি দরখাস্ত দাখিল হয়েছে।
এরপরে রিফিউজি বোর্ডের একজন ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার সম্পূর্ণ বিষয়গুলো হস্তগত
করে দেখবে। আর এর জন্য সময় লাগবে ১ থেকে ৩ বছর। এর মধ্যে যদি আপনার এস এল এম টি
সঠিক কিনা সেটা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিয়ে এসাইলামটি কোর্টে হিয়ারিং করবে। এরপরে
আপনাকে ভালো একটি আইনজীবী নিয়ে কোর্ট হিয়ারিং এ উপস্থিত হতে হবে।
এরপর যদি কোর্টের যার মনে করেন আপনি দেশে ফিরে গেলে জীবননাশের সম্ভাবনা আছে তাহলে
আপনাকে এই সালামটি গ্রান্ড করে দিবে। আর ঠিক সেই দিনের পর থেকে আপনি স্থায়ীভাবে
কানাডায় বসবাস করার জন্য অনুমতি পেয়ে যাবেন।
আর আপনি যদি স্থায়ীভাবে কানাডায় অনুমতি পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই কাজকর্ম করে
জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। কানাডা ভিজিট ভিসায় গিয়ে কাজ করা যায় কিনা? এই
বিষয়ে যাদের মনে প্রশ্ন ছিল তারা আশা করি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম
যদি আপনি কানাডায় ভ্রমণ বিষয় যেটা চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি পাসপোর্ট
তৈরি করে নিতে হবে। কারণ যদি আপনার পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনি কোনভাবেই
কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে আপনার যদি আগের কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে
তাহলে অবশ্যই সেখানে সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
এরপর আপনার সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডিয়ান এমবাসিতে যেতে
হবে। সেখানে গিয়ে আপনার কাগজপত্র সম্পূর্ণ সঠিকভাবে দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য
আবেদন করতে হবে। যদি আপনার কাগজপত্রে কোনো রকম ত্রুটি পায় তাহলে সেটা কখনোই আবেদন
গ্রহণ করবে না। যদি আপনার আবেদনের কাগজপত্র সম্পূর্ণ সঠিক থাকে তাহলে ৩০ দিনের
মধ্যেই কানাডা ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?
যদি আপনি কানাডায় ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশ
কয়েকটি যোগ্যতা প্রয়োজন পড়বে। যেমন- আপনার দেশ ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এর পাশাপাশি আপনাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রমাণ করতে হবে। আর এর জন্যই আপনাকে ব্যাংক
একাউন্টে প্রতিনিয়ত লেনদেন করতে হবে।
আপনি যদি ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
থাকা যাবে না। এই যোগ্যতা যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি কানাডা ভ্রমণ
ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার সময় অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র দিয়ে
আবেদন করবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
আপনি যদি ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সকল বৈধ কাগজপত্র
প্রয়োজন পড়বে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি নিচের অংশে কি কি কাগজপত্র
প্রয়োজন পড়বে তা জানিয়ে দিয়েছি। নিচের অংশটুকু থেকে জেনে নিন।
- কানাডায় ভিসা আবেদনের জন্য আপনার পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি প্রয়োজন।
- এরপর আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
- ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- কানাডায় ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম প্রয়োজন পড়বে।
- আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে।
- আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়বে।
- ব্যাংকের সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে।
- করোনা ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড দেখাতে হবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত যে ডকুমেন্টগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে নিয়ে নিকটস্থ
কানাডা ভিসা এজেন্সিতে যোগাযোগ করবেন। যদি আপনার এর বাইরেও অন্য কোনো কাগজপত্র
লাগে তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।
কানাডা ভিজিট ভিসা খরচ কত?
আপনি যদি কানাডায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কানাডার ভিজিট ভিসা খরচ কত হতে
পারে সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি খরচ না জানেন তাহলে কোনোভাবেই
আইডিয়া পাবেন না। যদি আপনি কানাডায় ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় ভ্রমণ করতে অনেক বেশি খরচ হয়। বর্তমান সময়ে
বাংলাদেশ থেকে আপনারা যারা কানাডায় ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের
সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এর চাইতেও আরো বেশি হতে পারে তাই
আরো কিছু টাকা আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে রাখা ভালো।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন সেই নিয়ম জেনে নিন
কানাডা ভ্রমণ ভিসার জন্য আপনাকে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন
করার জন্য সরকারি কানাডিয়ান ওয়েবসাইট canada.ca প্রবেশ করতে হবে। এরপরে আপনার
যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পরে Pay your fees বাটনে ক্লিক করে আবেদন ফ্রি
পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে নিকটস্থ কানাডা ভিসা অফিসে যেও আবেদন করতে পারবেন। প্রথমত
হয়তো আপনাদের অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য একটু কঠিন হতে পারে সেজন্য
ইউটিউবে এ সম্পর্কে ভিডিও দেখে নিতে পারেন। আশা করি তারপরে আপনার কাছে খুব সহজ
মনে হবে।
কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম ২০২৪
বর্তমান সময় ডিজিটাল যুগ। আর এই যুগে আপনি ঘরে বসেই কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য খুব
সহজেই ফরম পূরণ করতে পারবেন। অনেকে রয়েছে যারা আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য নিকটস্থ
ভিসা অফিসে যেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা যদি ঘরে বসে ভিসা আবেদন ফরম করতে পারেন
তাহলে আর কি লাগে তাই না। কানাডিয়ান ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম পেতে নিচের লিংকে
ক্লিক করুন।
কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম
আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং
টাইম সম্পর্কে। আপনার হয়তো অনেকেই রয়েছেন যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না।
প্রিয় ভিজিটর আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এই বিষয়টি এই আর্টিকেলে আলোচনা
করেছি।
তাই চিন্তার কোন কারণ নেই আপনাদের সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানিয়ে দেবো। তাই
আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
ভিসা প্রসেসিং করতে এক এক দেশ থেকে এক এক টাইম লাগতে পারে। কেননা সব দেশেরই ভিজিট
ভিসা রয়েছে। এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য খুব কম মানুষ যেয়ে
থাকেন। আর ওই সকল দেশগুলোতে আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে ১৫ দিন বা এর
চাইলেও কম টাইম লাগতে পারে।
এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভিসা এজেন্সিদের ওপরে। কারণ একই দিনে হাজার হাজার মানুষ
ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার আবেদন পত্র সিরিয়াল অনুযায়ী
আপনি ভিজিট ভিসা পাবেন। সঠিকভাবে বলা যাবে না ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম কতদিন
লাগতে পারে। বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে সেই ধাপ অনুযায়ী ভিসা বানাতে হয়।
তাই এটি অনেক সময়ের ব্যাপার। সাধারণত আপনি ভিসা আবেদন করার সময় বুঝতে পারবেন যে
কতদিন লাগতে পারে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে? দেখুন আপনি যখন ভিসা
প্রসেসিং এর জন্য আবেদন করবেন তখন যদি কোন সিজন বা ইভেন্ট না থাকে তাহলে আশা করা
যায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যাবে।
যদি কানাডায় কোন ইভেন্ট বা প্রোগ্রাম থাকে, আর ওই টাইমে ভিজিট ভিসা প্রসেসিংয়ের
জন্য আবেদন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ২ মাস সময় পর্যন্ত লাগতে পারে। আর যদি
কানাডায় কোনোরকম প্রোগ্রাম না থাকে তাহলে কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম ৩০
দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।
কানাডা ভিজিট ভিসা সম্পূর্ণ হতে কত দিন টাইম লাগে
কানাডা ভিজিট ভিসা সম্পন্ন হতে কত দিন টাইম লাগে এই বিষয়ে যদি আপনার ধারনা না
থাকে তাহলে আজকের এই অংশটুকু থেকে সঠিকভাবে ধারণা নিতে পারেন। ভিজিট ভিসা আবেদন
করার পরপরই অনলাইনে আপনার ভিসার উপর কাজ শুরু হয়। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য
যাচাই-বাছাই করার পরে ভিসা প্রসেসিং করা হয়।
সাধারণত একটি ভিসা প্রসেসিং করতে ৩ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে
ভিসা প্রসেসিং হতে আবার ৩০ দিন সময়ও লাগতে পারে। যদি ওই সময় অনেক ভিসার আবেদন
করে তাহলে অবশ্যই আপনার সিরিয়াল অনুযায়ী আপনাকে দেওয়া হবে আর সেজন্য আপনার ৬০
দিন অর্থাৎ ২ মাস সময় লাগতে পারে।
এরপরে ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর সেটি বের হতে আরো ২ সপ্তাহ টাইম
লাগতে পারে। এই নিয়ে ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ হতে ৩০ দিন থেকে ৭৫ দিন সময় লাগতে
পারে। তবে এই টাইমগুলো আপনার আবেদনের ধরন এজেন্সি ও সিজনের ওপর নির্ভর করে।
যদি আপনি কোন ইভেন্টের সময় আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার দেরিতে ভিসা প্রসেসিং
হবে। এছাড়াও যদি আপনার আবেদনের সময় কোন তথ্য ভুল হয় তাহলেও সময় লাগতে পারে।
তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে সঠিকভাবে আবেদন করবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদন করতে কত দিন লাগে
যদি আপনি কানাডায় ভ্রমণ ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সকল তথ্য
দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য
আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই কিছু সময় লাগবে। কেননা এজেন্সিতে আপনার মত শত শত মানুষ
ভিসার জন্য আবেদন করতে যায়।
সেখানে শুধুমাত্র আপনার না হাজার হাজার মানুষের আবেদন করে। আর সেই কারণেই সময়
লাগতে পারে। এমনও হতে পারে এজেন্সি সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ করতে করতে আপনার
কাগজপত্র ও অফলাইন ফরম জমা দেওয়ার একদিন পরেও অনলাইনে আবেদন করতে পারে। তবে
বেশিরভাগই ৫ থেকে ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন হয়ে যায়।
শেষ কথা | কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম
কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম সম্পর্কে নির্দিষ্ট কত দিন লাগতে পারে সেটা
কখনোই সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ একটা এজেন্সির কাছে শত শত মানুষের ভিসা
প্রসেসিং আবেদনের জন্য যেয়ে থাকেন। সেই সিরিয়াল অনুযায়ী আপনার ভিসা প্রসেসিং
টাইম লাগবে। তবে সাধারণত যদি কোন কাগজপত্রে ভুল ত্রুটি না থাকে তাহলে ১ মাসের
মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি কাগজপত্র সঠিকভাবে দিতে
পারেন তাহলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
আপনি যদি এই লেখাটি পড়ে একটু উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের পোস্টের বিষয়ে একটি
কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর এই রকম আরো ভিসা ক্যাটেগরীর পোস্ট সম্পর্কে জানতে
চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষে বলতে চাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার
জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url