ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। ডিজিটাল মার্কেটিং -এর কাজ অনেক রয়েছে। কিন্তু কোন কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি সেই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আপনারা যারা জানেন না তাদের কাছে আমার অনুরোধ রইলো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে, ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর, ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।

ভূমিকা

ডিজিটাল মার্কেটিং এখন আর শুধু একটি পেশা নয়, এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় দক্ষতা যা প্রতিটি ব্যবসার জন্যই প্রয়োজন। দিন দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেটা জানতে আজকের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। কেননা এখন বর্তমানে কোন কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি সেটা অনেকেই জানেন না। তাই যারা জানেন না তারা অবশ্যই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনার সঠিকভাবে জেনে যাবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।  

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে

বর্তমানে বিশ্বের যতগুলো কোম্পানির রয়েছে তাদের সবার কোম্পানি বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রোডাক্ট সঠিকভাবে প্রচার করার জন্য এবং বৃদ্ধি করার জন্য কোম্পানির মালিক একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেট হায়ার করে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভ্যালু মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি থাকবে এইটাই স্বাভাবিক। 

এখানে একজন ডিজিটাল এক্সপার্ট মার্কেটারের বিভিন্ন ধরনের কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব। যেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি একজন ডিজিটাল এক্সপার্ট মার্কেটার হতে পারেন তাহলে অনেক ক্লাইন্টেরা আপনার কাছ থেকে কাজ করে নেবেন এবং ফাইভ স্টার রিভিউ দেবেন। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন না ফাইভ স্টার রিভিউ কতটা মার্কেটপ্লেসে মূল্যবান। 
প্রত্যেকটা ফ্রিল্যান্সারের জানা প্রয়োজন গুড রিভিউ অর্থাৎ ফাইভ স্টার রিভিউ কতটা ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অনেক কাজ রয়েছে সেগুলোর মান কমে যায় আবার অনেক কাজ রয়েছে সময়ের সাথে সাথে কাজের বৃদ্ধি টাও বেড়ে যায় তাই আপনাকে সবসময় নিজেকে আপডেট করতে হবে এবং জানতে হবে কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর এক্সপার্ট হলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়। 

যদি আপনিআগের পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমান সময় ডিজিটাল যুগ এসময় যতটা আপডেট হতে পারবেন ঠিক ততটাই কাজে দেবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর যুগে এসেও নিজেকে একজন এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করার জন্য শুধু যে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। 

আপনি চাইলে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিজের সঠিক জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন ধরনের কাজের সফলতা নিয়ে আসতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচ্য বিষয় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ অনেক বেশি রয়েছে এখানে এক্সপার্ট হতে হলে বিভিন্ন ধরনের রিচার্জ করতে হবে। 

এই কাজে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস ব্যবহার করতে হবে এছাড়াও এখানে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করার জন্য সঠিক গাইডলাইন প্রয়োজন পড়বে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর

ডিজিটাল মার্কেটিং এখন আর শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি বিশাল শিল্প। এই শিল্পটি বিভিন্ন ছোট ছোট সেক্টরে বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি সেক্টরের নিজস্ব গুরুত্ব এবং কাজের ধরন রয়েছে। এখানে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট হতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এছাড়া আপনি চাইলে আরো বিভিন্ন ধরনের সেক্টরের কাজ করে নিজের সফলতা অর্জন করতে পারেন। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর নিয়ে বলা হয়েছে সেহেতু আসুন এই সেক্টরগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

আমরা আমাদের আর্টিকেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জগতের ধাপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দায়বদ্ধ। কেননা এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্রচারের জন্য একজন এসইও এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি একজন SEO এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে আপনার অনেক চাহিদা থাকবে। 
আপনি চাইলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে কাজ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে আপনি চাইলে SEO করে একটি ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের উপরের দিকে আনার চেষ্টা করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের কিওয়ার্ড লিখে মানুষ সার্চ করলে সে কিওয়ার্ড গুগলে প্রথম পেজে দেখানোই SEO এক্সপার্টের কাজ।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট মার্কেটিং এমন একটি সেক্টর যেটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর দ্বারা প্রচার করা হয়। এখানে বিভিন্ন টেকনিকের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করা হয় এবং কাস্টমারদের প্রোডাক্ট এর ওপর চাহিদা নিয়ে আসে। এখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে আপনার কাস্টমারকে বিভিন্ন পণ্যের উপর আকৃষ্ট করতে পারেন এবং সেই কন্টেন্ট দেখে আপনার যে কাস্টমাররা রয়েছে তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে থাকে। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং করে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য অনেক বেশি চাহিদা পণ্য করে তুলতে পারবেন। এই কন্টেন্টগুলো সাধারণত ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, পডকাস্ট, ইবুক ইত্যাদি হতে পারে। এই কন্টেন্ট মার্কেটিং করে আপনার বিভিন্ন ধরনের পণ্য অনেক বেশি সেল করা সম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এর মধ্যে আরেকটি সেক্টর রয়েছে সেটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমানে এখন বিশ্বের সকল মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। তবে শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রায় ৭ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে যেখানে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক টার্গেট নির্ধারণ করা সম্ভব। আপনি চাইলে এখানে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার কোম্পানির নাম দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে হিউজ সেল নিয়ে আসতে পারবেন। 

সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেই হিসেবে আপনি আপনার টার্গেট নির্ধারণ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে প্রোডাক্টের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন, তাহলে অনেক ইউজাররা আপনার বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সেখান থেকে কিনে থাকবে। 
এছাড়াও এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে। যদিকোন প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে চান তাহলে অ্যাড ক্যাম্পেইন সেটআপ করতে পারেন। এটি করলে আপনি যেই প্রোডাক্টগুলো বিক্রয় করতে চান, সেই প্রোডাক্টগুলো যারা নিতে চায় শুধু তাদের কাছে এই এড গুলো চলে যাবে আর সেই বিজ্ঞাপন দেখে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে থাকবে। আর এই ভাবেই আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে সফলতা পাবেন।

ইমেইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটিং হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। এই ইমেইল মার্কেটিং করে আপনি ঘন্টায় অনেক ডলার ইনকাম করতে পারবেন। অনেক কোম্পানির রয়েছে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কিভাবে মার্কেটিং করবে সে বিষয়গুলো জানে না এবং সেই প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারের কাছে কিভাবে আকৃষ্ট করতে হবে সেটাও জানে না তাই কোম্পানির কৃতপক্ষে এ বিষয়গুলো বের করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। 

ঠিক এই কারণেই কোম্পানির একজন ইমেইল মার্কেটের হায়ার করে। আপনি যদি একজন হতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনেক কাস্টমারের ইমেইল তালিকা তৈরি করতে পারেন। তাদের প্রোডাক্ট অনুযায়ী সে সকল কাস্টমারদের নাম ফোন নম্বর ইমেইল এড্রেস সহ বিভিন্ন ধরনেরগুগল এক্সেল সিটে তৈরি করে কোম্পানিকে প্রদান করা হয়। আর এই কাজের জন্য কোম্পানিরা সে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দিয়ে থাকে। 
আশা করি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এ আরো অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখে ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট অটোমেশন ই-কমার্স মার্কেটিং, ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই সেক্টরগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে দক্ষতা অর্জন করে মার্কেটপ্লেস অথবা মার্কেটপ্লেসের বাইরে বিভিন্নভাবে অর্ডার নিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত

একজন ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত এটা অনেকেই জানেন না তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দে চেষ্টা করব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়বেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মাসিক আয় কত টাকা সেটা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর। যেমন আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরন ভালো হয় তাহলে সাধারণভাবে আপনি অনেক টাকা মাসে তুলতে পারবেন। সাধারণভাবে, এখানে কিছু সম্ভাব্য আয়ের স্তর দেওয়া হলোঃ

ফ্রিল্যান্সার হিসাবেঃ যদি আপনি ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার হন, তবে আপনার আয় বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজের পরিমাণ এবং প্রকরণের উপর নির্ভর করবে। শুরুতে, মাসিক আয় ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা হতে পারে। অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নের সাথে সাথে আয় ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিঃ যদি আপনি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে কাজ করেন, তবে আপনার আয় আরো বেশি হতে পারে। শুরুতে, মাসিক আয় ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা হতে পারে, এবং অভিজ্ঞতা এবং দায়িত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে আয় ২,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

বিজনেস হোস্টিংঃ যদি আপনার নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি থাকে, তাহলে আয় অনেক বেশি হতে পারে। এটি আপনার ক্লায়েন্টদের সংখ্যা এবং প্রকৃত কাজের পরিমাণের উপর নির্ভর করবে। এখানে আয়ের পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কতদিন সময় লাগবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। সাধারণভাবে আপনি কি রকম কোর্স করতে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে। যদি আপনি বেসিক কোর্স করতে চান তাহলে কম সময় লাগবে। আর যদি আপনি এডভান্স, ফুল টাইম অথবা পার্ট টাইম কিংবা অনলাইন বা অফলাইন এগুলো করতে চান তাহলে তাহলে নির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে সেই সময়ের উপর কোর্স করতে হবে। 
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনি কত সময় দিয়ে শিখতে পারবেন সেটার উপরও নির্ভর করে। আবার কতগুলো টপিক ডিজিটাল মার্কেটিং এর শেখানো হবে তার ওপর নির্ভর করে। যদি আপনি বেসিক ডিজিটাল কোর্স সম্পূর্ণ করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে। আর যদি আপনি এডভান্স কোর্স করতে চান তাহলে সেখানে আপনার ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা বিভিন্ন সিস্টেমে কাজ শিখে থাকেন। আপনি বেসিক কোর্স করবেন না এডভান্স কোর্স করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবসা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র একটি ট্রেন্ড নয়, বরং ব্যবসা সফল করার একটি অপরিহার্য অংশ। আসুন জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে আপনি বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের পৌঁছাতে পারেন, যা প্রচলিত মার্কেটিং চ্যানেলগুলোর তুলনায় অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আপনি নির্দিষ্ট লক্ষ্য গ্রাহক গোষ্ঠী নির্ধারণ করে তাদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, বয়স, লিঙ্গ, আগ্রহ, অবস্থান ইত্যাদি ভিত্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর তুলনায় কম খরচে কার্যকরী হয়। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং তুলনামূলকভাবে সস্তা।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের ফলাফল সহজেই ট্র্যাক এবং পরিমাপ করা যায়। আপনি দেখতে পারেন কতজন মানুষ আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছে, কতজন ক্লিক করেছে, এবং কতজন ক্রয় করেছে।
  • আপনি গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং তাদের মতামত, প্রশ্ন ও পরামর্শ দ্রুত গ্রহণ করতে পারেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি বিভিন্ন চ্যানেল যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, এবং ভিডিও মার্কেটিং ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে পারেন।
  • আপনি আপনার ব্যবসার জন্য স্বনির্ধারিত কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের ফলাফল রিয়েল-টাইমে দেখা যায়, যা আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলিতে আপনি কাস্টমাইজড ভূমিকা তৈরি করতে পারেন যেমন পেইড এডস, SEO, ইমেইল কেম্পেইন ইত্যাদি, যা আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব, যা গ্রাহক সন্তুষ্টি ও আনুগত্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এইসব সুবিধা ডিজিটাল মার্কেটিংকে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী টুল করে তোলে, বিশেষ করে বর্তমান ডিজিটাল যুগে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে অনেক নতুন বিগেনার জানতে ইচ্ছুক। অনেকেরই মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল এর অংশটুকু ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কেননা এখানে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো শিখতে পারলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব এ বিষয়গুলো হয়তো আপনারা অন্য কোন আর্টিকেলে পাবেন না তাই আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন। পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কয়েকটি সেক্টর নিয়ে। 
তবে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে কাজের চাহিদা বেশি SEO এক্সপার্টদের। ধরুন আপনি একজন কোম্পানির মালিক আপনার কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্টগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিক্রয় করবেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ জ্ঞান না থাকার কারণে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার হায়ার করবেন। যাকে আপনি হায়ার করবেন সে একজন ডিজিটাল SEO এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার।

এর প্রোডাক্ট বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করবে যার মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলো অনেক বেশি বিক্রয় হওয়া শুরু করবে। সুতরাং প্রোডাক্ট মার্কেটে প্রচার অথবা বিক্রি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ডিজিটাল এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার প্রয়োজন। যদি কোম্পানির মালিক অর্গানিকভাবে তাদের প্রোডাক্টের জন্য কাস্টমার চায়, তাহলে সে জন্য একজন এক্সপার্ট SEO ফ্রিলেন্সার হায়ার করতে হবে। 

একজন এসইওঅভিজ্ঞ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি ম্যানুয়ালি ওয়ান পেজ SEO অফ SEO এবং সঠিক কিওয়ার্ড রিচার্জের মাধ্যমে কোম্পানির বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুগলে রেঙ্কে তুলতে পারবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যদি আপনার ওয়েবসাইট টপ রেঙ্কে অবস্থান করে, তাহলে আপনার কোম্পানির প্রচারণা আগের তুলনায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এসেও এক্সপার্ট কাজের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। 

তাই আপনারা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান তারা সবার আগে SEO অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ একজন ফ্রিল্যান্সার হন। এতে করে আপনার বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ কথা | ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

সর্বশেষে আপনাদের একটি কথা বলতে চাই, আপনারা যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাই আপনি যদি এই আর্টিকেল পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হয়। আপনার যদি কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন মনে হয় তাহলে অবশ্যই সেটা কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে সঠিকভাবে আর্টিকেল তুলে ধরার চেষ্টা করব। এতক্ষণ এই ওয়েবসাইটে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪