হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম - হাত পা ঘামার স্প্রে

গরমের দিনে ঘাম হবে এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কেবল কেবল অস্বস্তিকরই না বরং শারীরিক জটিলতার ইঙ্গিত। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আশা করি এই আর্টিকেল আপনারা পড়লে আপনাদের হাত পা ঘামার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে, হাত পা ঘামার স্প্রে, হাত পা ঘামে কোন ভিটামিনের অভাবে, হাত ঘামা রোগের নাম জেনে নিন, ছোট বাচ্চাদের হাত পা ঘামে কেন, হাত পা ঘামার লোশন, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। 

ভূমিকা

অনেক মানুষ রয়েছে যাদের হাতের তালু অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে যায়। অতিরিক্ত হাতের ঘাম হওয়ার কারণে পরীক্ষার হলে লিখতে গিয়েও খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায় বা ছিড়ে যায়। কলম পিছলে যাওয়ার কারণে ও লিখতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। বারবার অতিরিক্ত ঘাম মুছতে হয়। এছাড়াও অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গিয়েও অনেকেরই হাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এছাড়াও অনেকের আবার পায়ের তালু অনেক বেশি ঘেমে যায়। পা ঘামার কারণে অনেকের পছন্দ সেই জুতা পরতেও পারেন না। মজা করলেও সেটা সম্পূর্ণ অতিরিক্ত ঘামের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করতে গেলেও অতিরিক্ত পায়ে ঘামের কারণে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়। এই সকল সমস্যা নিয়ে একজন মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যেই থাকে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম এবং হাত পা ঘামার স্প্রে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আশা করি আপনাদের যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

হাত পা ঘামার লোশন

গরমকালে হাত-পা ঘামবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এটা যদি আপনার অতিরিক্ত হয়ে ওঠে কিংবা দৈনন্দিন কাজকর্মের বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এটা মোটেও ভালো ইঙ্গিত নয়। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত হাত ঘেমে যাওয়ার কারণে ল্যাপটপ মোবাইল বা অন্য কোন বস্তু বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। বিশেষ করে মানুষের বেশি সমস্যা হয় সেন্সর মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়ে। 

যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা প্রায় হতেই থাকে তাহলে একটু খেয়াল করে অবশ্যই এর সঠিক সমাধান জেনে নাও উচিত। আজকে আমি এই আর্টিকেলে হাত পা ঘামার লোশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের যাদের অতিরিক্ত হাত-পা ঘেমে যায় তারা আশা করি এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
আপনার যদি অতিরিক্ত হাত-পা ঘেমে যাই তাহলে এটি আপনার স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে হাত পা ঘেমে থাকে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, জ্বর, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। অনেক সময় শরীরের ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে হাত পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার অনেক সময় মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা বা জেনেটিক কারণেও মানুষের হাত পা ঘামার সমস্যা অতিরিক্ত হয়ে উঠতে পারে।

তবে হাত পা ঘামার সঠিক কারণ না বের করা পর্যন্ত চিকিৎসা করা উচিত নয় বলে মনে করেন ডাক্তাররা। এ সমস্যাটি খুবই ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজে বের করতে হবে তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এই সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে এই হাত পা ঘামার যে লোশন রয়েছে সেটা ডাক্তার ব্যবহার করতে বলে সেটা হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত এক ধরনের বিশেষ লোশন।

এই লোশন আপনি প্রতিদিন হাত ও পায়ে ব্যবহার করলে আশা করি আপনার হাত-পা ঘামা অনেকটা কমে যাবে। তবে এছাড়াও বিশেষ ধরনের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার হাত-পা কমে যাবে সেটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত পা সেকে নিলে। যদি আপনার এই পদ্ধতি অবলম্বন করার পরে হাত-পা না ঘামা কমে তাহলে পরবর্তীতে আপনি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যাবে। তাহলে আশা করি এতক্ষণ আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন হাত পা ঘামার লোশন সম্পর্কে। 

ছোট বাচ্চাদের হাত পা ঘামে কেন

বর্তমানে ছোট বাচ্চাদের হাত পা ঘামা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেল। ছোট বাচ্চাদের হাত পা ঘেমে গেলে অনেকেই এই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকে। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখবেন এটা আসলে স্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে প্রতিটা বাচ্চা আলাদাভাবে বেড়ে ওঠে তাই প্রতিটা বাচ্চার আলাদা আলাদা সমস্যার কারণে হাত পা ঘেমে যেতে পারে। 

তবে প্রিয় বন্ধুরা এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদেরকে এই সমস্যার সমাধান দেয়ার জন্যই আজকে আমি এসেছি। একটু খেয়াল করলে দেখবেন যেগুলো বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ মাস তাদের হাত পা কারণ হতে পারে মায়ের বুকের দুধ পান করার কারণে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় ছোট বাচ্চারা মায়ের বুকের দুধ পান করলে হাত পা সহ শরীর সম্পূর্ণ ঘেমে যায়। 
মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা আপডাউন করে। যার কারণে বাচ্চাদের হাত-পা ঘেমে যায়। তাই এটা নিয়ে কখনো চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাদের নরম জামা কাপড় পরিধান করানোর। এতে করে বাচ্চা অনেক সুস্থ ও হাত পা ঘামা থেকে মুক্তি পাবে। তাছাড়া পাশাপাশি বাচ্চাদের হাত-পা অথবা শরীর ঘেমে গেলে যত দ্রুত সম্ভব নরম শুকনা কাপড় দিয়ে ঘাম মুছে দেওয়ার। 

আর যতটা সম্ভব আপনার বাচ্চাকে ফ্যানের নিচে হালকা বাতাসে রাখবেন। এতে করে ছোট বাচ্চাদের হাত পা ঘামা থেকে মুক্তি পাবে। আশা করি ছোট বাচ্চাদের হাত-পা ঘামে কেন এবং হাত-পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

হাত ঘামা রোগের নাম জেনে নিন 

গরমের সময় হাত ঘেমে যাওয়ার সমস্যাটি স্বাভাবিক। তবে এই হাতঘামা সমস্যাটি যদি সারা বছর হয় তাহলে অবশ্যই এর কোনো সমস্যা রয়েছে। অনেকের এসিতে থাকলেও এ সমস্যা দেখা দেয়। তাই যাদের হাত ঘামার সমস্যাটি দেখা দেয় তারা যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 

তবে কি কি কারণে হাত ঘেমে যেতে পারে বা হাত ঘামা রোগের নাম কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেলে জানিয়ে দেব। তাই আপনারা যারা এই সমস্যাটি নিয়ে ভুগছেন তাদের জন্য নিচে পয়েন্ট আকারে রোগ গুলো উল্লেখ করা হলো।

ডায়াবেটিসঃ প্রতিটা ঘরে ঘরে এখন ডায়াবেটিসের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। যদি রক্তের শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে হাতের তালু ঘেমে যায়। তাই আপনার যদি দীর্ঘদিন হাতের তালু ঘাম থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেয়ে রক্ত পরীক্ষা করে নিন। হয়তো নিজের অজান্তেই আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।

হৃদরোগঃ আপনার হাত ঘামার লক্ষণ হতে পারে হৃদরোগের ইঙ্গিত। তবে এক্ষেত্রে সারা বছর হাত ঘামে না। যদি আপনার বিগত কয়েক মাস অথবা কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যাটি দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলবেন। তাহলে আপনার সমস্যাটি থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।

থাইরয়েডঃ বর্তমান সময়ে এই সমস্যাটি অনেক মানুষের অনেক বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষ করে আপনার যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে আপনার হাতের তালু ঘেমে যেতে পারে। তাই আপনি থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন কিনা সেটা জানতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা করুন।
উপরে উল্লেখিত যে রোগের লক্ষণগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হাতের তালু ঘামলে হতে পারে। তাই আপনারা যারা হাতের তালু ঘামার ইঙ্গিত বুঝতে পারবেন ঠিক তখনই যত দ্রুত সম্ভব অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আশা করি হাত ঘামা রোগের নাম সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

হাত পা ঘামে কোন ভিটামিনের অভাবে

সাধারণত অনেকের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে হাত-পা ঘামে কোন ভিটামিনের অভাবে? অনেকেই এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য আজকে আমি আপনাদের সঠিকভাবে এ বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অনেকে মনে করেন হাত-পা ঘামে কোন হয়তো ভিটামিনের অভাবে। 

কিন্তু এটি আসলেও কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা ঘামে না। এই সমস্যার পেছনে অন্যান্য অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমনঃ হাইপারহাইড্রোসিস, চিন্তা বা উদ্বেগ, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা রমোনজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে।

ভিটামিনের অভাব সাধারণত অন্য ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে, যেমনঃ

ভিটামিন ডিঃ হাড়ের দুর্বলতা, দাঁতের সমস্যা

ভিটামিন বি১২ঃ রক্তাল্পতা, স্নায়ুর সমস্যা

আয়রনঃ রক্তাল্পতা, দুর্বলতা

যদি আপনি নিয়মিত হাত পা ঘামার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন। আশা করি হাত পা ঘামে কোন ভিটামিনের অভাবে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।

বিঃদ্রঃ: এই তথ্য কেবল সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম

অতিরিক্ত হাত পা ঘামা একটি বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা। এই সমস্যায় ভুগছেন হাজারো মানুষ। তবে অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। 

কিন্তু তার পরেও হাত পা ঘামা দূর করতে না পারার কারণে অনেকেই খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাই আজকে আমি হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি এই ঔষধ গুলো আপনারা ব্যবহার করলে খুব দ্রুত হাত পা ঘামা থেকে মুক্তি পাবেন। তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন। 
বর্তমান সময়ে হাত-পা ঘামার সমস্যাটি কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে। হাতের বা পায়ের তাল অথবা শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার। মৃদু থেকে শুরু করে ফোঁটা-ফোঁটা পানির মত শুরু থেকে অথবা হাত-পা থেকে ঘাম পড়তে পারে। বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত ঘাম মানুষের হয়ে থাকে। কারো হরমোন জনিত সমস্যার কারণে, কারো আবার মানসিক চাপের কারণে। 

শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ার কারণ সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞানীদেরও জানা নেই। তাই সমস্যাটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে ইডিওপ্যাথিক হাইপারহাইড্রোসিস (Idiopathic Hyperhidrosis)। তবে এই ঘাম দূর করার কয়েক রকমের সমাধান প্রচলিত রয়েছে। আপনারা যদি এই সমাধান জানতে পারেন আশা করি হাত পা ঘামা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন।

সমাধান-১ঃ যদি আপনি প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা হাত পা অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট নামে এক রকমের মলম রয়েছে সেটা লাগিয়ে পলিথিন শীট অথবা এরকম ধরনের পাতলা আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখেন তাহলে আশা করি আপনার অতিরিক্ত ঘাম দূর হয়ে যাবে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন হাতের তালুতে এরকম ভাবে মলম লাগিয়ে ঢেকে রাখা একটু সমস্যা হয়ে যায়। 

তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকে সফলতা পেয়েছে আবার অনেকেই সফলতা পাইনি। অনেকেরই এইভাবে কাজ হয়েছে আবার অনেকেরই কাজ হয় নাই। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে।

সমাধান-২ঃ একটা মানুষের মেরুদন্ডের কাছে endoscopic thoracic sympathectomy (ETS) নামে এক ধরনের অপারেশন করলে সেখানে স্নায়ুপ বিশেষের একটি অংশ রয়েছে সেটা কেটে ফেলা যায়। যার ফলে হাতে ঘাম হওয়ার স্নায়ুগুলো মস্তিষ্ক থেকে সঙ্কেত না পাবার কারণেএকটা মানুষের পরবর্তীতে আর ঘাম তৈরি হয় না। 

আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন এটি একটি ব্যয়বহুল ও জটিল অপারেশন। তাই এটি অনেকেই করতে ইচ্ছা প্রকাশ করবে না। যদি এই অপারেশন একটু এদিক-ওদিক হয় তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য যে স্নায়ক রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অনুভূতির দুর্বলতা চলে আসতে পারে। 
যদিও এটা হাতের ঘাম বন্ধ হয় কিন্তু শরীরের অন্যান্য স্থানে আরো ঘাম বেড়ে যেতে পারে। তাই এই পদ্ধতি গুলো তেমন একটা জনপ্রিয় হয়নি। তাই আপনার হাত-পা ঘামার সম্পূর্ণ চিকিৎসা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সম্পূর্ণ করুন।

সমাধান-৩ঃ তিন নম্বর সমাধানে আপনাদেরকে যেটা বলব সেক্ষেত্রে একটি ইনজেকশন এর নাম। সেই ইনজেকশনের নাম হলো বোটক্স (Botox) ইনজেকশন কিন্তু এই ইনজেকশনটি অনেকের কাছে Botulinum Toxin নামে পরিচিত। এই ইনজেকশনটি একটি মারাত্মক বিশ থেকে তৈরি যার এক মাইক্রগ্রাম খেলে একজন মানুষের শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। 

তবে এই বিষকে অনেক পাতলা করে বোটক্স (Botox) ইনজেকশনতৈরি করা হয়। এই ইনজেকশনটি শরীরে স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদান কাজকে একদম অকেজো করে দেয়। একজন মানুষের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার জন্যএকবারে হাতের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার ভিতরে ১০ থেকে ১৫ টি ইনজেকশন দিতে হয়। তবে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এটা আপনার স্থায়ী সমাধান নয়। 

একবার যদি আপনি ইনজেকশন দেন তাহলে আপনার তিন থেকে নয় মাসের জন্য ঘাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু এর পরবর্তীতে আপনাকে আবার ইনজেকশন দিতে হবে। এইভাবে আপনাকে সারা জীবন ইঞ্জেকশন নিতে হবে। যদি এই ক্ষেত্রে ইনজেকশনটি একটু এদিক এদিক হয়ে যায় তাহলে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। 

তাই এটি আপনাদের না করায় উচিত। বিশেষ করে এর খরচও অনেক। তাই এ সমস্যা দূর করার জন্য এটি আপনার স্থায়ী সমাধান নয়। আপনার হাত পা ঘামার জন্য বিশেষজ্ঞ চর্মরোগ ডাক্তারের কাছে যে সমাধান নিতে পারেন এটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় বলে আমি মনে করি।

সমাধান-৪ঃ যদি আপনার অতিরিক্ত হাত পা ঘেমে যায় তাহলে আপনি আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। এই যন্ত্রটি আপনার হাতে অথবা পায়ের তালুর ভেতর দিয়ে মৃদু একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিচালিত করবে। ১৯৩০ এর দশকে প্রথম হাত পা ঘামা নিঃসরণের জন্য এই যন্ত্রটি ব্যবহার নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। 

পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এই পদ্ধতি অনেক বেশি উন্নত হয়। তবে এটিও আপনার সঠিক সমাধান নয়। কারণ আপনার যদি একবার ভালো হয় তাহলে পরে ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ পর আবার ঘাম শুরু হয়। তখন আপনার আবার চিকিৎসা নিয়ে আবারো ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ ভালো থাকতে পারবেন। 
 
তবে এই পদ্ধতির একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হচ্ছে এর কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই রোগীরা ঘরে বসেই খুব সহজেই এই চিকিৎসা নিতে পারবেন। কিছুদিন পরপর যদি কয়েকদিন করে এই চিকিৎসা রোগীরা নেই তাহলে আশা করি সব সময়ের জন্য রোগীরা ভালো থাকতে পারবে। 

তবে এই চিকিৎসার সঠিক বিশ্লেষণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করে উঠতে পারেনি। তাই সব রোগীদের ক্ষেত্রে যে এই পদ্ধতি কাজ করবে তা নয়। পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধেদেখা গেছে যে প্রায় ৮৫% রোগীর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনেক ভালো কাজ করছে এবং ১৫% রোগীর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে নাই। 

তবে আমাদের বাংলাদেশ এর থেকে অনেক বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের রোগীরা প্রায় ৯৮% ভালো ফলাফল পেয়েছেন। তাই উপরে যে চারটি সমাধান আমরা বিশ্লেষণ করেছি তার মধ্যে আমার ধারণা আয়ন্টোফোরেসিসই হতে পারে অতিরিক্ত হাত-পা ঘামের সবচেয়ে ভাল সমাধান। আশা করি হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জেনে নিবো হাত পা ঘামার স্প্রে সম্পর্কে।  

হাত পা ঘামার স্প্রে

হাত পা ঘামার সমস্যা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর। এই সমস্যা দূর করতে অনেকেই স্প্রের দিকে ঝুঁকেন। তবে, সব স্প্রে একই রকম কাজ করে না এবং সবার জন্য একই স্প্রে উপযুক্ত হয় না। তাই আজকে আমি এমন উপযুক্ত দুটি হাত পা ঘামার স্প্রে সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনার জন্য আশা করি অনেক কার্যকর হবে। তাই আসুন জেনে নিন।

কি ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে?

সাধারণত হাত-পা ঘামার সমস্যার জন্য দুই ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা হয়ঃ

  • অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রে
  • মেডিকেটেড স্প্রে
অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রেঃ এই ধরনের স্প্রে ঘাম গ্রন্থির কাজ কমিয়ে দেয় এবং ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এগুলোতে সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে, যা ঘামের ছিদ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।

মেডিকেটেড স্প্রেঃ এই ধরনের স্প্রেতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ থাকতে পারে, যেমন স্যালিসিলিক এসিড, ক্যাফেইন ইত্যাদি। এই ওষুধগুলো ঘাম গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘাম কমাতে সাহায্য করে।

কোন স্প্রে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তা নির্ধারণ করার জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার চামড়ার ধরন এবং ঘামার সমস্যার তীব্রতা অনুযায়ী উপযুক্ত স্প্রে নির্ধারণ করে দেবেন।

স্প্রে ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরিঃ

চামড়ার সংবেদনশীলতাঃ যদি আপনার চামড়া খুব সংবেদনশীল হয়, তাহলে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অ্যালার্জিঃ যদি আপনার কোনো ওষুধের প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে স্প্রের উপাদানগুলো ভালো করে পড়ে নিন।

নির্দেশাবলী মেনে চলাঃ স্প্রে ব্যবহারের সময় সর্বদা নির্দেশাবলী মেনে চলুন।

অতিরিক্ত ব্যবহার না করাঃ স্প্রে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চামড়ায় জ্বালাপোড়া বা অন্য কোনো সমস্যা হতে পারে।

লেখকের শেষ কথা | হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম

(আসসালামু আলাইকুম) প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি হাত পা ঘামার ঔষধ এর নাম এবং হাত পা ঘামার স্প্রে সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে।

তাই আর দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪