বাংলাদেশ থেকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের এই ব্লগ পোস্টে স্বাগতম। আপনারা যারা কানাডায় স্টাডি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের এই লেখাটির মাধ্যমে আজকে আপনারা জানতে পারবেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা জানেন না তাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে জেনে নিন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন
আপনারা যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি, কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

ভূমিকা 

মানসম্পন্ন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডা। শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে চাকরি বা নাগরিক বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এই কানাডায়। শিক্ষার্থীরা নিজের ইচ্ছামত নিরাপত্তা ভাবে চলাফেরা করতে পারে এই কানাডায়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্টরা কিভাবে কানাডায় যে পড়াশোনা করবে এই সকল বিষয়গুলো অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা এবং কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা আশা করি এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান? কিন্তু আপনার একাডেমিক ক্যারিয়ারে একটি বা একাধিক স্টাডি গ্যাপ রয়েছে? চিন্তা করবেন না, এই নিবন্ধে আমরা কানাডা স্টাডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে স্টাডি গ্যাপের প্রভাব এবং এর সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আসুন আজ দেরি না করে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ সমাধান করবেন কিভাবে জেনে নিন।

স্টাডি গ্যাপ বলবে বুঝানো হয়েছে আপনি যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কানাডা পড়াশোনা করার জন্য যে আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে আপনাকে তথ্য দিতে হবে। সেখানে যদি আপনার পড়াশোনার কোন গ্যাপ থাকে তাহলে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। 
তাই আবেদন করার আগে এই বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার যদিও কোন ভাবে স্টাডি গ্যাপ হয়ে যায় তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের অংশটুকুর নিয়ম অনুযায়ী ব্যাখ্যা করলে আশা করি কোনরকম সমস্যা হবে না। তাই চলুন আপনি কিভাবে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় স্টাডি গ্যাপ ব্যাখ্যা করবেন সেটা জেনে নিন।

স্টাডি গ্যাপ থাকলেও আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। আপনাকে শুধুমাত্র আপনার স্টাডি গ্যাপের যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আপনার স্টাডি গ্যাপ ব্যাখ্যা করতে পারেনঃ

স্বাস্থ্য সমস্যাঃ যদি আপনার কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি পড়াশোনা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাহলে আপনাকে ডাক্তারের নোট জমা দিতে হবে।

পারিবারিক দায়িত্বঃ যদি আপনার পরিবারের কোন সদস্যের দেখাশোনা করার জন্য আপনাকে পড়াশোনা বন্ধ রাখতে হয়েছিল, তাহলে আপনাকে পরিবারের সদস্যের চিকিৎসার রশিদ বা অন্য কোন প্রমাণ জমা দিতে হবে।

আর্থিক সমস্যাঃ যদি আপনার আর্থিক সমস্যার কারণে আপনি পড়াশোনা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাহলে আপনাকে আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ জমা দিতে হবে।

ব্যক্তিগত কারণঃ যদি আপনার ব্যক্তিগত কারণে আপনাকে পড়াশোনা বন্ধ রাখতে হয়েছিল, তাহলে আপনাকে একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

স্টাডি গ্যাপ কাটিয়ে ওঠার উপায়

যদি আপনি স্টাডি গ্যাপ কাটিয়ে উঠতে চান তাহলে আপনাকে কোন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করে নিজের সময়কে সার্থকভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং আপনার রেজমেতেও একটি ঐতিহাসিক দিক যোগ করতে হবে এতে করে আপনার স্টাডি গ্যাপ কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও আপনি চাইলে কোনো শর্ট কোর্স করে আপনি নিজেকে আপডেট রাখতে পারেন এবং আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।

মনে রাখবেনঃ স্টাডি গ্যাপের জন্য আপনাকে সবসময় একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আপনার ব্যাখ্যা যত স্পষ্ট এবং বিস্তারিত হবে, তত ভালো। আপনার স্টাডি গ্যাপের সময় আপনি কি কি করেছেন, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন এবং আপনার স্টাডি গ্যাপের কারণে আপনার কানাডায় পড়াশোনা করার আগ্রহ কমেনি, তা প্রমাণ করুন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা কানাডায় যে পড়াশোনা করতে চান। কিন্তু কানাডায় যেতে কত টাকা লাগে বা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত এই সম্পর্কে অনেক স্টুডেন্টদেরই ধারণা নেই। প্রিয় স্টুডেন্টরা আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমি এই ব্লগে আপনাদের এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেব। শুধু আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই হবে।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসায় আলাদা আলাদা খরচ হয়। কিন্তু আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা। তবে এই টাকা থেকে হয়তো আরেকটু বাড়তেও পারে আবার একটু কমতেও পারে।
আবার আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন খরচ হবে ৮ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আর আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৩থেকে ৪ লাখ টাকা।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা

কানাডা একটি জনপ্রিয় শিক্ষার গন্তব্য, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু, যেকোনো সিদ্ধান্তের মতো, কানাডায় পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই ভালভাবে বিবেচনা করা জরুরি। আজকে আমি প্রিয় স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা কি কি রয়েছে সেটা সুন্দর করে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা কানাডায় যে পড়াশোনা করতে চান তারা অবশ্যই এই সুবিধা ও অসুবিধা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

১-সুবিধাঃ

উচ্চমানের শিক্ষাঃ কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এখানে আপনি যদি পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলি উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি হয়ে থাকে।

বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতিঃ কানাডা একটি বহুকোটি টাকার দেশ। এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকজন বাস করে, যা আপনাকে নতুন লোকজনের সাথে পরিচিত হওয়ার এবং নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়।

পরিষ্কার পরিবেশঃ কানাডা একটি পরিষ্কার এবং সুন্দর দেশ। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। যদি আপনি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে আমার মনে হয় না আপনি আবার এত সুন্দর শহর রেখে বাংলাদেশে ফিরবেন।

পরিশ্রমের সুযোগঃ কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সীমিত সময়ের জন্য অফ-ক্যাম্পাস জব করতে পারে। এটি আপনাকে আপনার পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য সাহায্য করতে পারে এবং আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে।

নিরাপত্তাঃ কানাডা বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচিত। এই কানাডায় আপনি পড়াশোনা করতে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনরকম চিন্তা করতে হবে না। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তার মান অত্যন্ত উন্নত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

স্থায়ী বসবাসের সুযোগঃ পড়াশোনা এবং কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারবে। তাই আপনি যদি কানাডায় যে পড়াশুনা করে ভালো কোন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে কানাডায় আপনি স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি আপনার একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে আমি মনে করি।

২-অসুবিধাঃ 

উচ্চ খরচঃ কানাডায় পড়াশোনা করতে গেলে আপনার উচ্চ পরিমাণে খরচ হবে। কানাডায় সবাই যেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না। কানাডায় পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এবং জীবনযাপনের খরচ অনেক বেশি হতে পারে। তবে কিছু স্কলারশিপ পাওয়া গেলেও সেগুলো প্রতিযোগিতামূলক।

ঠান্ডা আবহাওয়াঃ কানাডার অনেক অংশে শীতকালে খুব ঠান্ডা হয়। যদি আপনি গরম জলবায়ুতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এটি আপনার জন্য একটি সমস্যা হতে পারে।

ভাষার বাধাঃ যদি আপনি ইংরেজি বা ফরাসি ভাষায় দক্ষ না হন, তাহলে আপনাকে ভাষা শিখতে হবে। কারণ কানাডায় ভাষা না শিখে গেলে আপনি অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সবার আগে ভাষাটা শিখা খুবই জরুরী।

হোমসিকনেসঃ নিজের দেশ থেকে দূরে থাকার কারণে আপনি হোমসিকনেস অনুভব করতে পারেন। তাই আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি কোথাও যেয়ে অনেক বেশি ইমোশনাল ফিল করেন তাহলে বাইরে না যেয়ে নিজের দেশে পড়াশোনা করাই ভালো।

কাজের অনুমতিঃ আপনার কাজের অনুমতি সীমিত হতে পারে এবং আপনাকে ক্যাম্পাসের বাইরে পূর্ণ সময়ের কাজ করতে দেওয়া হবে না।

ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতাঃ একজন শিক্ষার্থীর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাগজপত্র জমা দিতে হয় এবং প্রসেসিং টাইম দীর্ঘ হতে পারে।

চাকরি বাজারের প্রতিযোগিতাঃ যদিও পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট আছে, কিন্তু চাকরি বাজারে ভালো পদে কাজ পেতে প্রচুর প্রতিযোগিতা প্রয়োজন হয়। তাই আপনাকে বাইরের দেশে পড়াশোনা করে প্রচুর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করে চাকরি নিতে হবে।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাকে নিজের জন্য এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা উচিতঃ

  • আমি কেন কানাডায় পড়াশোনা করতে চাই?
  • আমার বাজেট কত?
  • আমি কোন কোর্স করতে চাই?
  • আমি ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকতে পারব কি?
  • আমি নতুন একটি সংস্কৃতিতে মানিয়ে নিতে পারব কি?
  • এই প্রশ্নগুলির উত্তর আপনাকে কানাডায় পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেনঃ যদি আপনি কানাডায় পড়াশোনা করার চিন্তা করেন, তাহলে ভিসা প্রক্রিয়া, খরচ, এবং অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। কানাডায় পড়াশোনা একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হতে পারে, তবে এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালভাবে চিন্তা করুন এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা কানাডায় যে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলেই কানাডায় যে পড়াশোনা করতে পারবেন না এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

যদি আপনি কানাডায় যেয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার স্টুডেন্ট ভিসা অর্জন করতে হবে। কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা অর্জন করার জন্য আপনাকে সবার আগে (Ielts) স্কোর অন্যতম। তাই চলুন সবার আগে কানাডা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
যদি আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার এজন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার (Ielts) স্কোর ন্যূনতম ৬.৫ পয়েন্ট লাগবে এবং আপনি যদি কানাডায় চাকরি করার উদ্দেশ্যে যান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন (Ielts) স্কোর ৬ পয়েন্ট লাগবে। কিন্তু আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় কানাডায় যেটা চান তাহলে আপনার কোনো (Ielts) স্কোর প্রয়োজন পড়বে না। এটা ছাড়াই আপনি কানাডায় ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

এখন হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে Ielts ছাড়া কি কানাডা যাওয়া যায়? এর উত্তর হলো না। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার (Ielts) স্কোর থাকতে হবে। এছাড়া আপনি কখনোই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা কি কি প্রয়োজন।

  • আপনার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • আপনি যদি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে যান তাহলে আপনার আইএলটিএস (Ielts) স্কোর নূন্যতম ৬.৫ লাগবে। এছাড়া আপনি আবেদন করতে পারবেন না।
  • কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য আপনার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার আসল সনদপত্র লাগবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
  • কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশংসা পত্র থাকতে হবে।
  • আপনার কানাডায় পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় যে খরচ হবে সেটার একটি প্রমান স্বরূপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
  • সর্বশেষ কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয় আপনি ভর্তি হবেন তার অনুমোদন পত্র লাগবে।
উপরে উল্লেখিত যে কয়েকটি কাগজপত্রর কথা বলা হয়েছে মূলত এগুলোই আপনার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন পড়বে। এই কাগজগুলো দিয়ে আপনি সরাসরি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার এর বাইরে কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তাহলে সরাসরি আপনাকে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিবে। আশা করি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সেটা জানতে পেরেছেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

প্রিয় বন্ধুরা কানাডায় পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন? কিন্তু ভিসা প্রক্রিয়াটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি হলো এমন একটি সংস্থা যা আপনাকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সাহায্য করে। তারা আপনার আবেদনপত্র তৈরি করবে, আপনার ডকুমেন্টগুলি পরীক্ষা করবে এবং আপনাকে ভিসা ইন্টারভিউতে প্রস্তুত করবে। যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে বাংলাদেশে বিশ্বস্ত অনেক এজেন্ট রয়েছে যারা আপনাকে কানাডা ভিসা আবেদন প্রসেসিং থেকে শুরু করে, যাওয়া এবং কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে সাহায্য করবে। 

এছাড়াও আপনার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটাও সমাধান করার জন্য চেষ্টা করবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি কয়েকটি বিশ্বস্ত বাংলাদেশকে কানাডা যাওয়ার এজেন্সি গুলোর নাম ও ওয়েবসাইট নিচে উল্লেখ করব। আশা করি আপনারা এই এজেন্সি গুলো থেকে আবেদন করলে কোনরকম সমস্যা হবে না। তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

১) কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি (VFS Global)

ওয়েবসাইটঃ https://visa.vfsglobal.com/bgd/bn/can/

২) কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি (Airways BD

ওয়েবসাইটঃ https://airwaysbd.com/canada-visa-from-bangladesh/

৩) কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি (Obokash)

ওয়েবসাইটঃ https://www.obokash.com/canada-visa

৪) কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি (SA Associates)

ওয়েবসাইটঃ https://saavisa.com/

উপরে উল্লেখিত যে এজেন্সি ও ওয়েবসাইট গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আপনার ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলো থেকেও কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট গুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনি বিভিন্ন ইনফরমেশন জানতে পারবেন। যদি আপনি কানাডা ভিসা প্রসেসিং করেন তাহলে আপনাকে ফ্রি দিতে হবে ১৫০০ টাকা। আশা করি সঠিকভাবে এ বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

আপনি যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। কারণ কানাডিয়ান যে সরকার রয়েছে তিনি বলেছেন যে আপনি যদি কানাডায় থাকার সময় নিজের এবং আপনার পরিবারের সদস্য যারা রয়েছে তাদের সমর্থন করতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য আপনাকে ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।

আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য যান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে। কারণ কানাডায় আপনি গেলে সেখানে বাসা ভাড়া খাওয়া খরচ যাবতীয় যে খরচ রয়েছে সেই হিসাব করে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। যদি আপনি এই সকল বহন করার মত টাকা দেখাতে না পারেন তাহলে হয়তো স্টুডেন্ট ভিসা রিজেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আর আপনি যদি স্কলারশিপে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকেসর্বনিম্ন তিন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। সুতরাং আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে অবশ্যই আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো দেখাতে হবে। তা না হলে আপনার স্টুডেন্ট ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাহলে আশা করি আপনারানিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কি কি প্রয়োজন পড়ে।

লেখকদের শেষ কথা | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

বাইরের দেশগুলোতে পড়াশোনা করতে সকল স্টুডেন্টরাই চাই। কিন্তু সকল স্টুডেন্টের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। কারণ কিছু কিছু স্টুডেন্ট আর্থিক অবস্থার কারণে পড়াশোনা করতে বাইরে ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে যেতে পারে না। আবার কিছু কিছু স্টুডেন্ট রয়েছে যাদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্য পূরণ করে। তবে আপনি চাইলে আইএলটিএস করার মাধ্যমে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। কিছু টাকা ব্যয় করে আপনার সারা জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।

আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা এবং কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন। এমন আরো তথ্য পেতে www.emamdigitalbd.com ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪