ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় জেনে নিন
ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় এই সম্পর্কে আপনার যদি জানা
না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে চায়। কিন্তু কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানি
না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করবো।
আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে,
ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র কীভাবে করবেন, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা
লাগে, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে একটি ব্যাংক একাউন্ট একজন মানুষের থাকা খুবই জরুরী। কারণ এই ব্যাংক
একাউন্টে আপনি যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন। এছাড়াও এই ব্যাংক একাউন্টে আপনি
বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যার কারণে এই ব্যাংক একাউন্ট আপনার জন্য
অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থান হবে। বিশেষ করে যাদের অনেক বেশি টাকা রয়েছে তাদের টাকা
নিরাপদের জন্য সবচেয়ে ভালো স্থান হচ্ছে ব্যাংক। একাউন্ট খোলার জন্য অনেকেই
দ্বিধাবোধ করেন। কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি
প্রয়োজন, ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় সহ ইত্যাদি বিষয়ে সঠিকভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই
আর দেরি না করে যারা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে অনেক বেশি ভয় করেন তারা অবশ্যই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি খুব সহজেই একটি
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশে যে সকল ব্যাংক অনলাইনে একাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে
একটি হচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক। আপনি যদি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ন্যাশনাল ব্যাংক
একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।
আজকে আমরা ন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব।
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ন্যাশনাল ব্যাংকে ধরা যায়। এই ব্যাংকের
যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ। তারা তাদের কাস্টমারদের বিভিন্ন সুযোগ
সুবিধা দিয়ে থাকে। যার কারণে এই ব্যাংক একাউন্ট অনেক গ্রাহক খুলে উপভোগ করছেন।
যদি আপনিও চান তাহলে তাদের মত খুব সহজেই ন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঝটপট খুলে
নিতে পারবেন।
এছাড়াও এর আরো একটি বড় সুবিধার রয়েছে সেটি হচ্ছে কাস্টমার ঘরে বসেই অনলাইনে
ব্যাংক একাউন্ট করতে পারবেন। যদি আপনারা অনলাইনে না পারেন তাহলে অফলাইনে কিভাবে
ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় সে নিয়ম সম্পর্কেও জানিয়ে দেয়া হবে। আসুন তাহলে আর
দেরি না করে জেনে নিন।
ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে যা করতে হবেঃ
- আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যেমনঃ পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ইউটিলিটি বিলের কপি, ভোটার আইডি কার্ড, ইত্যাদি দরকার হবে।
- এরপর এগুলো সংগ্রহ করার পর আপনি আপনার নিকটস্থ যে জায়গায় ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানে দ্রুত চলে যাবেন।
- এরপর ব্যাংক আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে।
- এরপর আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করতে হবে। যেমন- ব্যাংককে সহযোগিতা করা, তারপর কাগজপত্র সহ প্রাইমারি ডিপোজট সম্পন্ন করা। এখানে আপনার অফলাইনে খোলার প্রসেস দেখানো হয়েছে।
- একাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- গ্রাহককে একাউন্ট খোলার ফর্মে তার স্বাক্ষর দিতে হবে।
- গ্রাহকের এনআইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অন্য কোনো পরিচয় পত্র প্রয়োজন পড়বে।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে।
- নমিনির এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন এবং তার এক কপি ছবি দরকার হবে।
- এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি।
- সোর্স অফ ইনকামের একটি প্রুফ ডকুমেন্ট দরকার হবে।
- প্রাইমারি ডিপোজিট হিসেবে আপনাকে ৫০০ টাকা একাউন্টে জমা করতে হবে।
উপরে যে বিষয়ের উপর বলা হলো সেগুলো ন্যাশনাল যে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে সেটা খোলার নিয়ম
সম্পর্কে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এগুলোর মধ্যে কোন কিছু বাদ থাকলে
আপনার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব নয়। তাই আগে অবশ্যই জানবেন তারপরে
অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। আপনি যদি অফলাইনে অ্যাকাউন্ট না খুলে অনলাইনে ন্যাশনাল
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানাবেন। আপনাকে সে
প্রসেস গুলো দেখিয়ে দেওয়া হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এ
বিষয়টি নিয়ে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চায় কিন্তু কত
টাকা প্রয়োজন একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে
আমি এ বিষয়টি সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আসুন তাহলে আর দেরি না করে
জেনে নিন।
এখানে আমরা শুধু সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব কিভাবে খোলা যায় সেই তথ্য তুলে ধরবো।
বিদেশী খেতে এইচএসবিসিতে (HSBC) সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে প্রয়োজন হয় ১০ লাখ টাকা ও
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড (Standard Chartered) ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা। আর
কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনে (Commercial Bank of Ceylon) সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে ১০
হাজার টাকা প্রয়োজন হয়।
আর বাংলাদেশের দি সিটি ব্যাংকে (The City Bank) সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে ১০ হাজার
টাকা প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংকে রাজধানী শাখায় খুলতে ৫০ হাজার টাকা
ও বাইরের শাখায় হিসাব খুলবে ৫০০০ টাকা প্রয়োজন হয়। কইভাবে অন্য যে ব্যাংকগুলো
রয়েছে সেগুলোতেও আপনি চাইলে একাউন্ট খুলতে পারবেন। যেমন- এবি ব্যাংকের (AB Bank)
সঞ্চয় হিসাব খুলতে প্রয়োজন হয় ১০ হাজার টাকা।
ইস্টার্ন (Eastern Bank), আইএফআইসি (IFIC) ও ওয়ান ব্যাংকে সঞ্চয় হিসাব খুলতে
প্রয়োজন হয় ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও আরও নতুন যে ব্যাংকগুলো রয়েছে যেমন-
মিডল্যান্ড ব্যাংক এখানে হিসাব খুলতে প্রয়োজন হয় ২ হাজার টাকা। এছাড়া এর বাইরে
আরও যতগুলো ব্যাংক রয়েছে সেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয় হিসাব খোলা
যায়।
এছাড়াও চাকরিজীবীদের বেতনের জন্য অনেক ব্যাংকগুলো ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা
দিয়ে হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে থাকেন। তবে বেসরকারি যে ব্যাংকগুলো রয়েছে তারা
জানাই যে হিসাব খোলার সময় যে টাকা প্রয়োজন হয় পরবর্তীতে সেই টাকা তুলে নেওয়া
যায়। তবে ব্যাংকে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা অবশ্যই জমা রাখতে হবে।
এসব হিসেবের বাইরে অন্যান্য যে ব্যাংকগুলো রয়েছে সেখানে ১০ থেকে ১০০ টাকা জমা
দিয়ে ছাত্র, কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা সহ আরো অনেকেরই হিসাব খোলার সুযোগ রয়েছে। তবে
যেগুলো খুদে শিক্ষার্থী তাদের জন্য সব ব্যাংকেই হিসাব খোলার সুযোগ রয়েছে। আশা
করি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে সঠিক ভাবে জানতে পেরেছেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র কীভাবে করবেন?
ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য যেভাবে আপনি আবেদনপত্র লিখবেন তা আজকে এই আর্টিকেলের
অংশটুকুতে দেওয়া হবে। আপনার অনেকেই জানেন না কিভাবে আবেদনপত্র জমা দিলে ব্যাংক
একাউন্ট খোলা যাবে। আসুন তাহলে আর ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র কিভাবে লিখতে
হয় জেনে নিন।
তারিখঃ
বরাবর,
ব্যাংকের শাখার নামঃ
ব্যাংকের শাখার ঠিকানাঃ
বিষয়ঃ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন।
জনাব,
আমি বিনীতভাবে আপনার কাছে অনুরোধ করছি যে (এখানে নিজের নাম দিন), আপনার ব্যাংকে
আমার একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়। যাতে করে আমি আপনার ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা ও
সেবা নিতে পারি। আমি আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন পত্রের সাথে
আমার প্রয়োজনীয় যে তথ্যগুলো রয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করেছি।
অতএব, যত দ্রুত সম্ভব আমার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আমি
আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ থাকবো।
(ধন্যবাদ)
বিনীত
নিজের নামঃ
মোবাইল নাম্বারঃ
আপনার স্বাক্ষরঃ
আপনার স্থায়ী ঠিকানাঃ
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- বাংলাদেশের নাগরিকগণ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইলে তাদের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি হতে হবে।
- আপনার এন.আই.ডি ( NID Card) কার্ড লাগবে। (বাধ্যতামূলক)
- সদ্য তোলা ৫ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- নমিনীর এন.আই.ডি ( NID Card) ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে অবশ্যক।
- আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর কমপক্ষে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে।
** যদি আপনার বয়স 18 বছরের কম থাকে তাহলে অবশ্যই জন্মদিন অথবা মা/বাবার
এনআইডি কার্ড লাগবে বাধ্যতামূলক।
** এছাড়াও আপনি যদি বিদেশী অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট ও
নিজ দেশের অনাপত্তিপত্র লাগবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায়
সাধারণত ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় এইটা নির্ভর করবে
আপনার বেশ কিছু বিষয়ের উপর। আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট করলে, আপনার যদি চেক বইয়ের
প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব আপনার নামে তৈরিকৃত
চেক বই দেওয়ার চেষ্টা করবে। অন্যদিকে অনেক মানুষ রয়েছে যারা চেক বই সংগ্রহ করে
না।
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের যতগুলো ব্যাংক রয়েছে অথবা বিদেশি যতগুলো ব্যাংক রয়েছে
সকল ব্যাংকের অ্যাপ রয়েছে। যে অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ধরনের টাকা লেনদেন
করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন কারণবশত অনেক সময়ই চেক বইয়ের প্রয়োজন হয়। যার জন্য
আমরা ইমার্জেন্সি ভাবে ব্যাংক একাউন্টের চেক বই পাওয়ার জন্য
কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করি। সাধারণত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ০৭ কর্ম দিবসের
মধ্যেই চেক বই তৈরি করে দিয়ে দেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য ব্যাংক রয়েছে যেমন ডাচ-বাংলা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক,
ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক,
প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আল আরাফা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সহ আরো অনেক
জনপ্রিয় ব্যাংক রয়েছে। এ সকল ব্যাংকের চেক বই দেয়া হয় গ্রাহকের ইচ্ছা
অনুযায়ী। সাধারণত বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন কার্য দিবসে মধ্যেই গ্রাহককে চেক বই
প্রদান করে থাকে।
সাধারণত ব্যক্তিদের একাউন্টের জন্যঃ
- এমআইসিআর (MICR) কোড সম্বলিত চেক বই দেওয়া হয় ৩ কার্যদিবসের মধ্যে।
- আর অন্যদিকে সাধারণ চেক বই দেওয়া হয় ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে।
প্রতিষ্ঠানের একাউন্টের জন্যঃ
- এমআইসিআর (MICR) কোড সম্বলিত চেক বই দেওয়া হয় ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে।
- আর অন্যদিকে সাধারণ চেক বই দেওয়া হয় ১০ কার্যদিবসের মধ্যে।
কিছু ক্ষেত্রে, চেক বই পেতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে, যেমনঃ
- যদি আপনার বিশেষ কোন চাহিদা থাকে যেমন অতিরিক্ত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সহ চেকবই তাহলে আপনার আরো অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
- এছাড়া আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে আবেদন পত্র রয়েছে সেটি যদি ভুল থাকে তাহলে আরো অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
- যদি আপনার ব্যাংকের সাথে কোন রকম অসমাপ্ত লেনদেন থাকে তাহলে আরো অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
- আপনার চেক বই কত দ্রুত পাবেন তা নিশ্চিত করতেঃ
- আপনার একাউন্ট খোলার আবেদনপত্র অবশ্যই সাবধানে পূরণ করুন এবং আপনার প্রয়োজন যে কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো সমস্ত সঠিকভাবে জমা দিন।
- আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করছেন সে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং জিজ্ঞাসা করুন আপনার চেক বই কত দ্রুত প্রস্তুত হবে।
অনেক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চেক বইয়ের জন্য
আবেদন করার সুযোগ দিয়ে থাকেন তাই এই সুযোগ-সুবিধা যদি থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবহার
করবেন। এতে করে আপনার চেক বই পেতে অনেক সহজ হবে। আশা করি ব্যাংক একাউন্ট
খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
আরও তথ্যের জন্য নিচে দেখুনঃ
আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করেছেন সে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।
এছাড়া আপনি চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট (https://www.bb.org.bd/) দেখুন
এবং বিস্তারিত তথ্য জানুন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনেকেই রয়েছে যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান কিন্তু ব্যাংক
একাউন্ট খোলার ইচ্ছা ও প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
খোলার নিয়ম না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেই করতে হয় তাই তাদের জন্যই
আজকের এই ব্লগ।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট একজন মানুষের থাকা খুবই জরুরী। কারণ নিত্যদিনের যে
প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা অথবা যেকোনো বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা খুবই
ভালো। তাই এরকম সুবিধা পাওয়া শর্তেও আপনারা অনেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে
পারেন না অথবা দ্বিধাবোধ করেন না। আপনার যদি একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকে
তাহলে আপনি অবশ্যই অন্যদের চেয়ে অনেকখানি পিছিয়ে আছেন। কাজেই ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট না থাকলে যত দ্রুত সম্ভব একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে না খুবই
জরুরি।
অনেকেরই এরকম ধারণা করে যে অ্যাকাউন্ট খোলার মত ঝামেলা মনে হয় দ্বিতীয়টি নেই।
তবে এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আগ্রহী নয়। সত্যি কথা
বলতে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে মোটেও তেমন একটা ঝামেলার কাজ না। যতটা আপনারা
ভাবছেন ততটাও না। তবে এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের যদি না জানা থাকে তাহলে অবশ্যই
এ ধারণাটাই সবার ঝামেলারই মনে হবে। তাই কিভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এটা
আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে আপনাকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে আপনি সরকারি না বেসরকারি ব্যাংকে
একাউন্ট খুলবেন। যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সঠিকভাবে জানা থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনি যে কোন সরকারি বা বেসরকারি মিলিয়ে ৪৭টি ব্যাংক রয়েছে
যেগুলোতে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই জানা
জরুরী।
যেগুলো ব্যাংকে আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন না সেগুলো হচ্ছে কোঅপারেটিভ ব্যাংক,
গ্রামীণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক সহ ইত্যাদি। তবে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেগুলোতে আপনি খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকের যে নিয়ম-নীতি রয়েছে
সেগুলো পূরণ করতে হবে। চলুন জেনে নিন কি কি নিয়ম রয়েছে।
একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকে যেতে হবে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট
ফ্রম নিতে হবে। এরপর সেখানে আপনি বলে নিবেন আপনি কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে
চান সেভিং একাউন্ট না কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। সেই হিসেবে ফর্ম নিয়ে তারপর আপনাকে
এনআইডি কার্ড দিতে হবে। এরপর পাসপোর্ট সাইজের ৫ কপি ছবি দিতে হবে। এরপর নমিনীর
যে এন আই ডি কার্ড রয়েছে সেটি দিতে হবে ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে
অবশ্যক। এরপরে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ব্যাংক ডিপোজিট করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত যে বিষয়গুলো দেওয়া হয়েছে এ সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি পূরণ করলে
আপনার নতুন একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন কোন
ভুয়া তথ্য ব্যাংকে জমা দিবেন না এতে করে আপনি পরবর্তীতে বিপদে পড়বেন। আশা করি
এই তথ্যগুলো আপনার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজে লাগবে।
লেখকের শেষ কথা | ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায়
(আসসালামু আলাইকুম) প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায় এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে
পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই
আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে। তাই আর দেরি না করে আপনার
বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url