সবচেয়ে ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো বিস্তারিত জেনে নিন
ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো এই সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেক শিক্ষার্থীরা রয়েছে যারা ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতে
চান কিন্তু কোন সাবজেক্ট ভালো হবে সেটা জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে
ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো সে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দিবো।
তাই যে সকল শিক্ষার্থীরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ডিগ্রি সাবজেক্ট
কয়টি, বিএ আর বিএসএস এর মধ্যে পার্থক্য, বিএ বিএসএস কোনটা ভালো, মানবিক থেকে কোন
বিষয়ে ডিগ্রি করা ভাল, এই সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
কোন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবনে তিন বছর অথবা চার বছরের একটি পূর্ব নির্দিষ্ট
শিক্ষাব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেই
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দেশন হিসেবে উপাধি প্রদান করে থাকেন। সেই
উপাধিকে বলা হয় স্নাতক অথবা সাধারণ ডিগ্রী। কিন্তু অন্যদিকে স্নাতক উপাধি
অর্জনের ক্ষেত্রে সাধারণ ডিগ্রী পাস কোর্স এর চাইতে অনেক বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন
হয়ে থাকে। যার কারণে এই সময় এসে অনেক শিক্ষার্থীরা কনফিউশন হয়ে যায়। আসলে
তারা সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে তারা তিন বছর মেয়াদী ডিগ্রী পাস করছে
ভর্তি হবেন নাকি চার বছরের অনার্স সম্মান সম্পূর্ণ করবে।
তাই সকল ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে আপনি যদি চার
বছরের অনার্স করেন তাহলে অবশ্যই তিন বছরের মেয়াদী ডিগ্রী পাস কোর্স থেকে অনেক
বেশি এগিয়ে থাকবেন। এখানে আপনার চাকরির ক্ষেত্রেও অনেক বেশি অগ্রাধিকার পেয়ে
থাকবেন। তবে এখানে ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো সেটা
নিয়ে অনেকে চিন্তা ভাবনায় থাকেন। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই এই আর্টিকেলে এই
বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি
পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
মানবিক থেকে কোন বিষয়ে ডিগ্রি করা ভাল
মানবিক বিভাগ থেকে কোন বিষয়ে ডিগ্রি করা ভালো, এই বিষয়ে জানতে হলে সবার প্রথমে
আপনাকে মানবিক শাখার বিষয়গুলো জানতে হবে এবং সেই বিষয়গুলো পড়লে ক্যারিয়ার
কেমন হবে সেটা জানতে হবে। বিশেষ করে মানবিক থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা,
বাংলা, ইংরেজি, লোকপ্রশাসন ও অর্থনীতি এই বিষয়গুলো নিয়ে ডিগ্রি করলে অনেক বেশি
ভালো হবে। এখানে আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ কেরিয়ারের লক্ষ্যগুলো জানা
খুবই জরুরি। মানবিক বিভাগ থেকে অনেক ধরনের ডিগ্রি করা যায় এবং প্রতিটির নিজস্ব
সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।
মানবিক শাখা থেকে যে বিষয়ে পড়াশোনা করলে আপনার ক্যারিয়ার ভালো হবে তা
হলোঃ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানঃ মানবিক শাখার ভালো একটি সাবজেক্ট হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর আপনি যদি অনার্স করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের চাকরির
সুবিধা পাবেন। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আপনি পি.এইচ.ডি (PHD) ডিগ্রী কমপ্লিট করতে
পারবেন। বর্তমান সময়ে মানবিক শাখার সাবজেক্টগুলোর মধ্যে এই সাবজেক্টকে অনেক বেশি
পছন্দ করেন ছাত্ররা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে আপনি অনার্স কমপ্লিট করলে
এখানে একটি বড় সুবিধা পাবেন সেটা হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া। এই
রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে প্রশাসন ক্যাডারের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় অনেক
বেশি।
এই সাবজেক্টি নিয়ে পড়লে আপনি সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সহ আরো বিভিন্ন
ধরনের প্রতিষ্ঠানে অথবা কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ সুবিধা পাবেন। এছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের এনজিও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট চাকরি, বেসরকারি ব্যাংক সহ
বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনারা চাইলে এই সাবজেক্ট
নিয়ে অনার্স করতে পারেন। এটি মানবিক শাখার মধ্যে একটি ভালো সাবজেক্ট।
সাংবাদিকতাঃ মানবিক শাখার মধ্যে সাংবাদিকতা একটি ভালো সাবজেক্ট। আপনি
চাইলে এই সাবজেক্ট নিয়েও অনায়াসে অনার্স কমপ্লিট করতে পারেন। সাংবাদিকতা
সাবজেক্ট নিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। সবচেয়ে বড় যে সুযোগ
সুবিধা আপনাদের জন্য রয়েছে সেটি হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া। এখানে আপনি এই
সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স কমপ্লিট করে পি.এইচ.ডি (PHD) সম্পূর্ণ করার সুযোগ
রয়েছে।
এছাড়াও এর চাকরির বাজারও অনেক বেশি। এখন বর্তমানে সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক
ডিগ্রি অর্জন করে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ সুবিধা রয়েছে। দেশের অনেক
বড় বড় সাংবাদিকরা রয়েছে যারা সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তাই আপনিও চাইলে এই বিষয়টি পড়ে অনেক বড় সাংবাদিক হতে পারেন।
এছাড়া এখানে সংবাদ সম্পাদনা সহ বিভিন্ন সম্পাদনা ও অনুবাদের জন্য সাংবাদিকতার
শিক্ষার্থীদের চাহিদা রয়েছে। প্রকাশনা ও প্রুফ রিডার হিসেবেও কাজের সুযোগ থাকে।
যদি আপনি মানবিক থেকে অন্যান্য সাবজেক্ট নিয়ে ৮টি চাকরিতে এপ্লাই করতে পারেন।
তাহলে সাংবাদিকতা সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে আপনি ৯টি চাকরিতে এপ্লাই করার সুযোগ
পাবেন। তাই আপনি চাইলে এই বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়তে
পারেন।
বাংলাঃ মানবিক শাখার আরো একটি জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে বাংলা। এই বিষয়ে
স্নাতক ডিগ্রি করে আপনারা বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ
সুবিধা রয়েছে। যেমন এনজিও, ব্যাংক, বীমা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ ইত্যাদি। একজন
শিক্ষার্থী যদি বাংলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তাহলে শিক্ষা ক্যাডার এবং
অন্যান্য ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়াও সকল সরকারি চাকরিতে বাংলা বিষয়ের
শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে এবং এমন অনেকেই রয়েছে যারা সরকারি দপ্তরগুলোতে কাজ
করার সুযোগ পাবেন। আপনি মানবিক শাখার হয়ে থাকলে বাংলা বিভাগে অনার্স করতে পারেন।
ইংরেজিঃ মানবিক শাখার সবচেয়ে সেরা বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়
হচ্ছে ইংরেজি। এই বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলে বাংলাদেশের যেকোনোা
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি
পাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও আপনি বিদেশে চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও
সেখানেও আপনি বেশ ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা
থাকলে।
বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি যত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইভেট শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই সকল জায়গায় উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও আপনি যদি ব্যাংকে চাকরি করতে চান তাহলে এখানেও উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়ার
সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই ইংরেজি বিষয়ে অনার্স করলে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা রয়েছে
সেটি হচ্ছে বিসিএস দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কারণ বিসিএস পরীক্ষায় অন্য ছাত্রদের তুলনায় ইংরেজি বিষয়ের ছাত্ররাই অনেক বেশি
এগিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি ইংরেজি বিষয়ে ভালো একটি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে
পারেন তাহলে ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান আপনাকে চাকরির অফার করে থাকবেন। সাধারণত বিসিএস
ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত যে সকল চাকরি রয়েছে সেগুলোতেও চাকরির সুযোগ সুবিধা
রয়েছে। তাই আপনার যদি ইংরেজি পড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে আর দেরি না করে অনার্স শুরু
করুন এবং নিজের ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
লোকপ্রশাসনঃ মানবিক শাখার সেরা সাবজেক্ট গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সাবজেক্ট
হচ্ছে লোক প্রশাসন। এই বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি করলে আপনি বিভিন্ন সরকারি এবং
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি পাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এছাড়া আপনি চাইলে
এই বিষয়ে অনার্স সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশের নিযুক্ত বিভিন্ন মাল্টি ইন্টারন্যাশনাল
কোম্পানি, এনজিও, বিদেশি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন সহ দেশের
আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার চাকরির সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া এর আরেকটি ভালো দিক রয়েছে সেটি হচ্ছে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হওয়া। এই
বিষয়ে পড়াশুনা করা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় অনেক বেশি। তাই আপনার
যদি লোক প্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এই বিষয়ে
পড়তে পারেন। এতে করে আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরির সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
অর্থনীতিঃ অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এটি
আপনাকে বিশ্বকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এবং আপনার কর্মজীবনের জন্য অনেক
দরজা খুলে দেবে। অর্থনীতি বিষয়টি আপনাকে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বাজারের
চাহিদা, সরকারের নীতি এবং অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে
সাহায্য করবে। অর্থনীতি রিসার্চ ওরিয়েন্টেড সাবজেক্ট হওয়ায় এটি পাশ করার পর
সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থাকে রিসার্চ অর্গানাইজেশানে।
এছাড়াও বিআইডিএস, সিপিডি ও সানেম ইত্যাদি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছরে
হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থীরা অর্থনীতিবিদ তাদের ক্যারিয়ার শুরু করার সুযোগ পেয়ে
থাকেন। এছাড়াও আপনি চাইলে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি করে বিসিএস এর সাধারণ
ক্যাডারে আবেদন ও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে
ফিন্যান্স এডভাইজার, এনজিও, ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক, কন্সাল্টেন্সি ফার্ম,সহ
ইত্যাদিতে অর্থনীতি নিয়ে ডিগ্রি করে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।
বিএ বিএসএস কোনটা ভালো
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্সের কথা বললে আমি বলব বিএসএস অবশ্যই ভালো হবে। কারণ
বিএ তে শুধুমাত্র ইংলিশ ছাড়া তেমন কোন ভালো সাবজেক্ট দেখি না। যা আপনার
ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই বিএসএস ডিগ্রিতে আপনি অনেক ভালো ভালো
সাবজেক্ট পাবেন। যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, সমাজকর্ম,
ইংরেজি, অর্থনীতি, যা আপনাকে অনেক সরকারি চাকুরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে
রাখবে। এছাড়াও আপনি বেসরকারি যেগুলো প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতেও চাকরি করার সুযোগ
সুবিধা পাবেন।
আপনার জন্য ভালো হবে আপনি ডিগ্রির দিকদর্শন সিলেবাসটা কোনো লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ
করে নিন। তারপর সম্পূর্ণ সিলেবাস দেখে ডিগ্রির নিয়ম কি সিলেবাসে দেখে সিদ্ধান্ত
নিন। লাইব্রেরিতে বি.এ / বিএসএস দিকদর্শন ডিগ্রির সিলেবাস না থাকলে কোন
লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে জিজ্ঞেস করলে বলে দেবে। রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ইস্যাু না
হওয়া আগ পর্যন্ত কলেজের অফিসে যোগাযোগ করে সাবজেক্ট চেন্স করতে পারবেন।
বিএ আর বিএসএস এর মধ্যে পার্থক্য
১। BA = Bachelor of Arts.
এটি একটি সম্মামানসূচক ডিগ্রি। এটি একটি ৩ বছর মেয়াদি কোর্স। এইচএসসি (HSC)
পরীক্ষার পর মানবিক বিভাগ থেকে ডিগ্রি কোর্সটাই (BA) বিএ।
BA তে বিভাগ গুলো থাকে, বাংলা, ইংরেজি, ইসলামী স্টাডিজ, ইতিহাস ইসলামের ইতিহাস
ও সংস্কৃতি ইত্যাদি।
২। BSS = Bachelor of social science.
এটি একটি সম্মামানসূচক ডিগ্রি। এটিও একটি ৩/৪ বছর মেয়াদি কোর্স। এইচএসসি পরীক্ষার
পর সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ডিগ্রি কোর্সটাই বিএসএস।
অন্যদিকে BSS বিভাগ গুলো থাকে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম,
অর্থনীতি ইত্যাদি।
এদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য ছাড়া কোন পার্থক্য নেই দুটোই অনার্স অনুষদ। আশা
করি আপনারা বিএ আর বিএসএস এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।
ডিগ্রি সাবজেক্ট কয়টি
সাধারণত একজন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করার পরে সে
চায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে। কিন্তু ডিগ্রি সাবজেক্ট কয়টি এইটা সম্পর্কে অনেক
শিক্ষার্থীরা রয়েছে জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এ বিষয়টি
সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। উচ্চশিক্ষা অর্জন করা যেমন জরুরী
ঠিক তেমনি ডিগ্রি সাবজেক্ট কয়টি রয়েছে সে বিষয়গুলো জানাও খুবই জরুরী।
কেননা একজন শিক্ষার্থী যদি সকল সাবজেক্ট গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে সে কি
বিষয় নিয়ে পড়বে সেটা নির্ধারণ করতে পারবে না। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী
বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়া, ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ব্যাচেলার
ডিগ্রি দুইভাবে বন্টন করা হয়ে থাকে। কোন শিক্ষার্থী যদি মাধ্যমিক এবং উচ্চ
মাধ্যমিক বিজ্ঞান ধারায় পড়াশোনা করে তাহলে তাকে বলা হয় ব্যাচেলর অফ
সায়েন্স।
আবার কোন শিক্ষার্থী যদি মানবিক বিভাগ থেকে পড়াশোনা করতে চাই তাহলে তাকে বলা হয়
ব্যাচেলর অফ আর্টস। প্রকৃতপক্ষে অনার্স কোর্স ৪ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে এবং ডিগ্রী
পাস কোর্স ৩ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। সুতরাং আজকের আলোচ্য বিষয়ে ডিগ্রী সাবজেক্ট
কয়টি এবং ডিগ্রি কোন সাবজেক্ট ভালো এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের
ধারণা থাকা প্রয়োজন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন ডিগ্রী সাবজেক্ট
সাধারণত কতগুলো বিদ্যমান রয়েছে।
নিচে পয়েন্ট আকারে সে সাবজেক্টগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ব্যাচেলর অব আর্টস বিএ (পাস)
- ব্যাচেলার অব সাইন্স বিএসসি (পাস)
- ব্যাচেলর অব বিজনেস স্টাডিজ বিবিএস (পাস)
- ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক
- ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস)
- ব্যাচেলর অব মিউজিক বি মিউজিক (পাস)
- ব্যাচেলর অব স্পোর্টস বি স্পোর্টস (পাস)
- ব্যাচেলর অফ এডুকেশন
- আইন স্নাতক (এলএলবি)
- ব্যাচেলর অফ মেডিসিন
- ভেটেরিনারি সায়েন্স ব্যাচেলর (বিভিএসসি)
- বিশেষায়িত গার্হস্থ্য অর্থনীতি (পাস)
- স্থাপত্যের স্নাতক (বিএআরচ)
- ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সাইন্স বিএসএস (পাস)
উপরে উল্লেখিত যে ডিগ্রি সাবজেক্ট গুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে গ্রুপ
অনুযায়ী বিষয় পছন্দ করতে হয়। অর্থাৎ যে সকল শিক্ষার্থীরা মানবিক শাখা থেকে
পড়াশোনা করেছে তাদের জন্য “ব্যাচেলর অব আর্টস” এর যে বিষয়গুলো রয়েছে সেখান
থেকে অনেক ভালো ভালো সাবজেক্ট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি নিয়ে পড়াশোনা করতে
পারে।
আবার যে সকল শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছে তারা “ব্যাচেলর অফ
সাইন্স” এর যেগুলো সাবজেক্ট রয়েছে সেখান থেকে তাদের ইচ্ছামত যেকোনো একটা
সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। তবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যে সাবজেক্ট নেন না
কেন যদি আপনার ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে অল্প সময় লাগতে পারে। নয়তো আপনার পাঁচ বছর
পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তাই সেদিকে অবশ্যই ভেবেচিন্তে আপনি সাবজেক্ট
নির্ধারণ করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো
ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া একটু কঠিন, কারণ সবচেয়ে
ভালো সাবজেক্ট আপনার নিজের আগ্রহ, দক্ষতা এবং ভবিষ্যতে কী করতে চান তার উপর
নির্ভর করে। তবে, কিছু বিষয় সাধারণত বেশি চাহিদা থাকে এবং ভালো কর্মসংস্থানের
সুযোগ থাকে। বিশেষ করে ডিগ্রি সাবজেক্ট কয়টি এ বিষয়ে জানা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি
ডিগ্রি কোন সাবজেক্ট ভালো সে সম্পর্কে জানাও অনেক জরুরী।
বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ এবং বাণিজ্য শিক্ষার্থীরা তাদের
ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্ট পছন্দ করে থাকেন। যেমন বিজ্ঞান
বিভাগ থেকে ছাত্রছাত্রীরা যদি রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান অথবা পদার্থ বিজ্ঞান
কিংবা গণিতে স্নাতক সম্মান অর্জন করেন তাহলে তাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক
বেশি প্রাধান্য পাওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে
হয়। আর সেই ফলাফলের ভিত্তিতে অনার্স অথবা ডিগ্রি কোর্সে ভালো একটি সাবজেক্টের
আবেদন করতে পারে। ঠিক তেমনি অন্যদিকে বাণিজ্যর শিক্ষার্থীরা যদি বিবিএ অর্থাৎ
“ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” এর অন্তর্ভুক্ত “ব্যাচেলর অফ আর্টস ইন
বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” এবং “ব্যাচেলর অফ সাইন্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন”
নিয়ে ভালো স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারে তাহলে সেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি
অথবা বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি করতে পারবে।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ডিগ্রী কোন সাবজেক্ট ভালো হবে? এই শিক্ষার্থীদের
প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব যখন আপনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভালো
রেজাল্ট করতে পারবেন ঠিক তখনই আপনি ভালো কোন কলেজে ভালো সাবজেক্ট পছন্দ করে ভর্তি
হতে পারবেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট থাকার শর্তেও ভালো সাবজেক্ট
অনেকেরই আসে না।
তাই যখন আপনারা সাবজেক্ট পছন্দ করবেন ঠিক তখনই ভালো ভালো সাবজেক্ট সবার প্রথমে
দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আসুন এবার জেনে নিন মানবিক থেকে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী
অর্জন করা ভালো। সাধারণত মানবিক শাখা থেকে স্নাতক ডিগ্রির মেয়াদ চার বছর হয়ে
থাকে এবং ডিগ্রী পাস কোর্স হয়ে থাকে তিন বছরের। ডিগ্রীতে সবচেয়ে ভালো সাবজেক্ট
হচ্ছে ইংরেজি।
আপনি ইংরেজিতে ডিগ্রী অর্জন করলে চাকরির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। তবে
সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময়। তখন অন্য যে
সাবজেক্টগুলো রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় ইংরেজি বিষয়কে।
আপনার যদি ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা থাকে তাহলে অনেক ভালো ইন্টারন্যাশনাল
কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে পারবেন। আশা করি সবচেয়ে ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ কথা | সবচেয়ে ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো
(আসসালামু আলাইকুম) প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি সবচেয়ে
ডিগ্রিতে কোন সাবজেক্ট ভালো সম্পর্কে সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে
অবশ্যই আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে। তাই আর দেরি না করে
আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ)
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url