লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। কম বেশি সকল বাসা বাড়িতে লাইটের পোকার জ্বালা সহ্য করতে
হয়। কিন্তু আর কতোদিন? অনেকেই রয়েছে লাইটের পোকা কীভাবে তাড়াবে সেই উপায় সম্পর্কে
জানেন না। তাই আজকে আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।
তাই অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর
উপায়, ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর দোয়া, চেলা পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় ,
পোকামাকড় তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায়, এই সকল বিষয়ে
সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
অনেক বাসাবাড়িতে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিভিন্ন লাইটে জ্বালা থাকলে পোকা
অনেক বিরক্ত করে এছাড়াও সেই পোকাগুলো ঘরের মধ্যে বাইরে সব জায়গায় বিরক্ত করে
কিন্তু এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। কিন্তু কোন
রকম লাইটের পোকা তাড়াতে পারছেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে লাইটের পোকা
তাড়ানোর উপায় এবং চেলা পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই বিষয়গুলো আপনি জানলে খুব সহজেই পদ্ধতি গুলো
অবলম্বন করে পোকা তাড়াতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে
সঠিকভাবে জেনে নিন।
পোকামাকড় তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই রয়েছেন যারা পোকামাকর তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
জানতে চান। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে
জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার অনেকেই রয়েছেন যারা পোকামাকড় দূর করার জন্য
অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তবে আজকে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়া বলে দিব যা আপনি
ঘরোয়া ভাবে পোকামাকড় দূর করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এই বিশেষ
প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি পোকামাকড়ের দেখা মিলে কারণ ওই সময় আবহাওয়া
অনেক উষ্ণ এবং আর্দ্র হয়ে থাকে। যার কারণে ওই সময় পোকামাকড়ের প্রজননের জন্য
আদর্শ সময়। অনেকেই রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য।
তবে সেইসব প্রক্রিয়ার বদলে প্রাকৃতিক উপায়ে পোকামাকড় দূর করাটাই উত্তম। কারণ
এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। চলুন জেনে নিন পোকামাকড় দূর করার পাঁচটি
প্রাকৃতিক উপায়।
সাইট্রাস ফলের ব্যবহারঃ কমলা এবং লেবুর মত সাইট্রাস ফলের গন্ধ পোকামাকড়
দূর করতে বেশ ভালো কাজ করে। কমলা কিংবা লেবুর রস দিয়ে পোকামাকড় দূর করতে চাইলে
প্রথমে লেবু বা কমলার রস ছেঁকে নিতে হবে। এরপর সেই রস পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে
একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিতে হবে। তারপর যেখানে পোকামাকড়ের বেশি আনাগোনা সেখানে
স্প্রে করতে হবে। এতে করে আপনি পোকামাকড় থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
রসুনঃ আপনি চাইলে রসুন ব্যবহার করেও আপনার বাড়ির পোকামাকড় দূর করতে
পারেন। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে রসুনের কয়েকটি কোয়া সুন্দর করে থেঁতো করে নিতে
হবে। এরপর অল্প কিছু পরিষ্কার পানি দিয়ে একসঙ্গে মিশ্রণ করে প্রাকৃতিক স্প্রে
তৈরি করুন। রসুনের যে তীব্র গন্ধ রয়েছে সেটা পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য বেশ ভালো
কাজ করে। তাই আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করে আপনার বাড়ির আনাগোনায় স্প্রে করে
পোকামাকড় দূর করতে পারেন।
দারুচিনিঃ এছাড়াও রসুনের পাশাপাশি দারুচিনিও বেশ ভালো কার্যকর পোকামাকড়
দূর করার জন্য। আপনার বাড়ির যেসব জায়গায় পোকামাকড় অনেক বেশি আসে তার চারপাশে
দারুচিনির গুঁড়া ছিটিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার বাড়ির পোকামাকড় আপনার
ধারের কাছেও আসতে পারবে না। কারণ দারুচিনির তীব্র যে গন্ধ রয়েছে সেটা পিঁপড়া হোক
কিংবা অন্য কোন পোকামাকড় হোক সেটা সহ্য করতে পারে না। এভাবে আপনি ঘরোয়াভাবে
প্রাকৃতিক উপায়ে পোকামাকড় দূর করতে পারবেন খুব সহজেই।
এসেন্সিয়াল অয়েলঃ ল্যাভেন্ডার, টি ট্রি অয়েল এবং পেপারমিন্ট মত কিছু
এসেন্সিয়াল অয়েল রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় প্রতিরোধ করতে কাজ করতে পারে।
একটি স্প্রে বোতলে পানি দিয়ে তাতে কয়েক ফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল যোগ করতে হবে।
এরপর ভালো করে মিশ্রণ করে নেয়ার পরে আপনার বাড়ির জানালা, দরজা, এবং আপনার
বাড়ির চারপাশে স্প্রে করুন। এতে করে পোকামাকড় দূরে চলে যাবে।
ভিনেগারঃ পোকামাকড় দূর করার জন্য ভিনেগার একটি কার্যকরী উপায়। এই
ভিনেগার দিয়ে আপনি চাইলে আপনার বাড়ির পোকামাকড় দূর করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে
আপনাকে সমপরিমাণ ভিনেগার এবং অল্প কিছু পানি নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে
হবে। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার বাড়ির যেসব জায়গায় পোকামাকড়ের আনাগোনা রয়েছে
সেখানে প্রাকৃতিক স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করুন। ভিনেগারের যে তীব্র গন্ধ রয়েছে
সেটা পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। তাই যেখানে আপনি স্প্রে করবেন তার আশেপাশে কোন
পোকামাকড় আশা করি আসবে না। এটা আপনি বেশিরভাগ স্থানে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে
করে কোন সমস্যা নেই।
বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায়
বাথরুমে পোকা দেখা গেলে খুবই বিরক্ত লাগে। কারণ এমনিতেই বাথরুমে গেলে কেমন জানি
লাগে তারপরে পোকা দেখলে অবশ্যই বিরক্ত কর হবেই এটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তা করার
কোনো কারণ নেই আজকে আমি এই পোস্টে বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করতে চলেছি। তাই আজকে আমি কয়েকটি সহজ উপায় বলে দেব যেগুলো আপনি অবলম্বন করলে
বাথরুম থেকে পোকা গুলো দূর করতে পারবেন।
বিশেষ করে বাথরুমে পোকা থাকার কারণ হচ্ছে বাথরুম অপরিষ্কার থাকা। যদি অপরিষ্কার
বাথরুম থাকে তাহলে সেখানে পোকামাকড়ের বংশবিস্তারের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হয়ে
থাকে। তাই সর্বপ্রথম বাথরুম পরিষ্কার রাখুন। এছাড়াও কোন জিনিস খেতে খেতে বাথরুমে
প্রবেশ করলে সে জিনিস যদি বাথরুমের কোন জায়গায় পড়ে থাকে তাহলে সেখানে পোকা
আকর্ষণ করে। তাই বাথরুমে কোন রকমের খাবার বা জিনিস ফেলা যাবে না।
প্রতিদিন বাথরুম ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে সিঙ্ক, টয়লেট এবং শাওয়ারের
চারপাশে ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। খেয়াল করে দেখবেন যে কোনরকম সাবানের ফেনা
বা জমে থাকা পানি যেন না থাকে সমস্ত কিছু পরিষ্কার করে ফেলুন। বাথরুম ব্যবহারের
পরে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করান।
এছাড়া আপনি চাইলে লেবুর খোসা বাথরুমের কোন এক অংশে রাখতে পারেন। কারণ এটি পোকা
তাড়ানোর একটি ভালো উপায়। তেজপাতা পোকার জন্য অপ্রিয়। তাই আপনি চাইলে কয়েকটি
তেজপাতা বাথরুমে রেখে দিতে পারেন। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের পোকা মারার স্প্রে
পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার করার সময় অবশ্যই নির্দেশনা গুলি ভালোভাবে পড়ে নিবেন
এরপর ব্যবহার করবেন।
উপরে যে উপায়গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আপনি যদি নিয়মিত অনুসরণ করতে পারেন তাহলে
বাথরুমের পোকা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। তবে এইসব উপায় যদি অনুসরণ করার পর সমস্যা
আরো বেড়ে যায় তাহলে কোন পেশাদারের সাহায্য নিতে পারেন। আশা করি এই তথ্যগুলো
আপনার অনেক কাজে আসবে।
চেলা পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
এই চেলা পোকা খুবই বিরক্তকর এবং গা শিরশির করা একটি পোকা। এটি বিভিন্ন জায়গায়
দেখা যায় মাটিতে বা ছাদ বাগানে। তবে এই পোকাটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দমনের
পাশাপাশি একে বেশ কার্যকরীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দমন করা যায়। তবে এই বিষয়টি
অনেকেরই অজানা। চেলা পোকা দূর করার জন্য নিম পাতা ও হলুদ গুঁড়া নিয়মিত ব্যবহার
করতে পারেন। এতে করে আপনার ছাদ বাগানে কিংবা ঘরে যেখানেই থাকুক না কেন ধীরে ধীরে
কমে যাবে।
এই পোকাটি অনেক বিষাক্তকর হয়ে থাকে। চেলা পোকাটি কামড় দিলে সেই জায়গাটা অনেক
লাল হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে এবং ওই ব্যক্তির জ্বর, এলার্জি, বমি বমি
ভাব, চুলকানি সহ ইত্যাদি সমস্যা সম্মুখীন হয়। তাই সব সময় আমরা চেষ্টা করব
নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করার। যাতে করে চেলাপোকার কোন বংশবৃদ্ধি না হয়। বিশেষ করে
রান্নাঘর, ডাইনিং রুম এবং যেখানে যেখানে খাবার রাখা হয় সেখানে প্রতিদিন পরিষ্কার
করা। কোন জায়গা অপরিষ্কার রাখা উচিত নয়। এতে করে চেলাপোকা বৃদ্ধি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
চ্যালা পোকা আর্দ্র পরিবেশে বাস করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই আপনার ঘরের
আর্দ্রতা ৫০% এর নিচে রাখার চেষ্টা করবেন। চ্যালা পোকা খাবারের প্রতি অনেক বেশি
আকৃষ্ট হয়। তাই খাবার খাওয়া শেষে খাবারের জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
আপনি চাইলে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় প্রতিরোধ করা ওষুধ পাওয়া যায়। আপনি
চাইলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে
হবে। আশা করি চেলা পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে
পেরেছেন।
লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়
বর্ষাকালে বাড়ে পোকামাকড়ের উৎপাত। ওই সময় মশা, মাছি থেকে শুরু করে বিভিন্ন
ধরনের পোকামাকড় অনেক বেশি জ্বালায়। মাঝে মধ্যে অনেক অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সকলেই।
বিশেষ করে প্রতিটা বাসা বাড়িতে লাইট জ্বললেই ঘরে ঢুকে আসে ঝাকঝাক পোকা। কিন্তু
এই পোকা দূর করার বিভিন্ন ধরনের উপায় অনেক মানুষ অবলম্বন করেন কিন্তু কোন
ক্ষেত্রেই কাজে আসে না। তবে আজকে কিছু উপায় বলবো যে উপায়গুলো অবলম্বন করলে
আপনি খুব সহজেই লাইটের পোকা খুব দ্রুত দূর করতে পারবেন।
বেকিং সোডা এবং লেবু স্প্রে ব্যবহার করুনঃ আপনি যদি লাইটের পোকা তাড়াতে
চান তাহলে ব্রেকিং সোডা এবং লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন এটি বেশ কার্যকরী। ১
কাপ পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং ২টি মাঝারি সাইজের লেবু নিন। তারপর সেই
লেবুর সম্পূর্ণ রস থেকে নিন। এরপর সুন্দর করে মিশ্রণ করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে
ঘরের আনাচে-কানাচে এবং লাইটের আশেপাশে সব জায়গায় স্প্রে করুন। এতে করে আপনার
লাইটের পোকা এবং ঘরের বিভিন্ন জায়গার পোকা দূর হয়ে যাবে।
পোকা তাড়াবে গোলমরিচঃ আপনি যদি লাইটের পোকা দূর করতে চান তাহলে গোলমরিচ
গুঁড়ো ও পানি একসঙ্গে মিশ্রণ করে স্প্রে করতে পারেন। এতে করে আপনার বাড়ির সব
জায়গার পোকা সহ লাইটের পোকা দূর হয়ে যাবে।
নিমপাতাঃ আপনি যদি পোকামাকড় দূর করতে চান তাহলে নিম পাতা ব্যবহার করতে
পারেন। কারণ পোকামাকড় নিম পাতার গন্ধ একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই রাতে বাল্ব
জ্বালালেই যদি পোকামাকড় অনেক উৎপাত বাড়ে তাহলে বাল্বের পাশেই নিমের ডাল ঝুলে
রাখতে পারেন। এতে করে পোকামাকড় বাল্বের আশেপাশে আসতে পারবে না।
এসেন্সিয়াল ওয়েল বা সুগন্ধি তেলঃ আপনি যদি ঘরের এবং ঘরের লাইটের
পোকামাকড় দূর করতে চান তাহলে সুগন্ধি তেল ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে
আপনাকে যেটা করতে হবে ঘর মুছা পানিতে কয়েক ফোটা সুগন্ধি তেল দিয়ে ঘর মুছলে
সেখানে কোন পোকামাকড় আসতে পারে না।
পানি ও ট্রি তেলঃ ১ কাপ পানির সঙ্গে ২ চামচ ট্রি তেল মিশ্রণ করে একটি
স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর লাইটের চারপাশে ও ঘরের নানাকোণে স্প্রে করুন। এতে
করে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে। আশা করি লাইটের পোকা তাড়ানোর
উপায় সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে পারেছেন।
ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর দোয়া
আমরা কমবেশি সকলেই বিভিন্ন পোকামাকড় দেখে অনেক ভয় করি। কারণ বিষাক্ত প্রাণীর
কামড় খেলে অনেকেরই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে
বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই অসাল্লাম
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুর মতোই সাপ, বিচ্ছু ও হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে
বাঁচার দোয়া শিখিয়েছেন। তাই আপনি যদি এই দোয়াটি নিয়মিত সকাল ও বিকাল পড়তে
পারেন আল্লাহ তা'আলা যাবতীয় হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ ও পোকামাকড় থেকে হেফাজত
করবেন। আসুন তাহলে সেই দোয়াটি কি জেনে নিন।
দোয়াঃ (আউজু বিকালি-মাতিল্লাহিত তাম্মাতি-মিন শাররি মা খলাক)
বাংলা অর্থঃ আমি আল্লাহর-পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা-প্রত্যেক শয়তান,
বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।
ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর উপায়
আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি গাছ-গাছালি বেশি থাকে তাহলে আপনার ঘরে সাপ ঢুকে
যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব অনেক বেশি
বেড়ে যায় যার কারণে বাড়ির আনাচে-কানাচে, খাটের তলায়, গাড়ির মধ্যে, রান্না
ঘরে, জুতোর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে সাপ বসে থাকে তা বোঝায় মুশকিল।
অনেকেই সাপ মারতে চান না তারা যত দ্রুত সেখান থেকে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা করে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কীটনাশক, কার্বলিক এসিড ব্যবহার করেও সাপের হাত থেকেও
নিস্তার মেলেনা অনেক ক্ষেত্রেই। তাহলে উপায় কি? আসুন আজকের এই আর্টিকেলের
অংশটুকু থেকে জেনে নিন সাপ না মেরে ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর উপায়।
সাপ তাড়ানোর উপায়ঃ
- যদি আপনার হাতের কাছে কার্বলিক এসিড না থাকে তাহলে আপনি যেটি করতে পারেন সালফারের গুঁড়ো সেই সকল জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারেন যেখানে আপনার সাপের আনাগোনা অনেক বেশি। এতে করে সাপ দ্রুত চলে যাবে।
- আপনি যদি চান তাহলে অন্ধকারে হাততালি কিংবা পায়ের আওয়াজ দিয়েও সাপের আনাগোনা কমতে পারে।
- আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি অনেক বেশি সাপের আনাগোনা হয় তাহলে কার্বলিক এসিড ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে করে সাপের আনাগোনা অনেক কমে যেতে পারে।
- আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি অনেক পানি জমে থাকে তাহলে সেখানে সামান্য পরিমাণে ভিনেগার ছড়িয়ে দিতে পারেন।
- যদি আপনি কার্বলিক এসিড না পান তাহলে সেক্ষেত্রে যেটি করবেন ন্যাপথলিন গুড়ো করে নিবেন। এরপর যেখানে সাপের আনাগোনা বেশি সেখানে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি আরও পদ্ধতিতে সাপ দূর করতে পারেন। যেমন ব্লিসিং পাউডার বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে করে সাপসহ আরো অন্যান্য পোকামাকড় থেকে মুক্তি পাবেন।
- এছাড়াও আপনি চাইলে রসুনের কুয়া থেঁতো করে এর সঙ্গে যে কোন তেল অথবা (বিশেষ করে সর্ষের তেল) মিশ্রণ করে একদিন রেখে পরের দিন সেই মিশ্রণটি ঘরের চারিপাশে স্প্রে করে দিতে পারেন। এতে করে সাপ প্রবেশ করবে না।
লেখকের শেষ কথা | লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়
এবং চেলা পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করলে আপনার বন্ধুরা সহ আরও অনেকেই জানতে পারবে। তাই আর দেরি না করে আপনার
বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url