কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে বিস্তারিত জেনে নিন
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের
এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। বর্তমান সময়ে অনেকেরই চুল পাকে। তবে কোন ভিটামিনের
অভাবে কালো চুল পেকে যায় সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই বিষয়ে সঠিকভাবে
জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে চুল কালো করার তেলের
নাম, কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার উপায়, চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি, কি
খেলে সাদা চুল কালো হয়?, বাচ্চাদের চুল পাকে কেন, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে
যাবেন।
ভূমিকা
কম বয়স হোক কিংবা বেশি বয়স হোক অনেকেরই বর্তমান সময়ে চুল পেকে যায়। এ সমস্যার
কারণে অনেকেই নিজের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। চুল কালো রাখতে কে না চাই। সকলেই চুল
কালো রাখতে পছন্দ করে। তবে বিভিন্ন জেনেটিক কিংবা বংশগত কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে
চুল পেকে যায়। আবার কোন কোন সময় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়।
তাই আজকে আমি কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে এবং কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার
উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে
জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আসুন তাহলে আর
দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য মনোযোগ সহকারে জেনে নিন।
কি খেলে সাদা চুল কালো হয়?
মানুষের বয়স কম হোক কিংবা বেশি হোক সাদা চুলের সমস্যা মানুষের মনে অনেক বেশি
প্রভাব ফেলে। যার কারণে সাদা চুল মানুষের অস্বস্তি বোধ লাগে। কে না চায় চুল কালো
রাখতে অনেকেই চায়। তবে কিছু কিছু মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কারণে চুল সাদা হয়ে
যায়। কম বয়সে অনেক মানুষের চুল পাকার সমস্যা রয়েছে। আধুনিক জীবনযাত্রায়
অতিরিক্ত মানসিক চাঁপের কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়।
এছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান করলেও চুল পাকার সম্ভাবনা থাকে। শরীরে ভিটামিন বি এর
অভাব হলেও মানুষের মাথার চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের
ঘাটতি হলেও মাথার চুল সাদা হয়ে যায়। তবে, কিছু কিছু মানুষ সাদা চুল কালো করার
জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক রং ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার কারণে চুলের
ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে যেগুলো খেলে সাদা চুল
কালো হয়। তো চলুন আজকে জেনে নিন কি খেলে সাদা চুল কালো হয়?
গুড় ও মেথিঃ যদি আপনি মাথার সাদা চুল কালো করতে চান তাহলে প্রতিদিন
সকালবেলা গুড় ও মেথি খেতে পারেন। এটি আপনার চুলের সমস্যা সমাধানের বিশেষ সমাধান।
পাকা চুলের সমাধান মিলতে পারে এই গুড় ওব মেথি খেলে। তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস
থাকে তাহলে গুড় খাবেন না।
কালো তিলঃ সাদা চুল কালো রাখতে তিল বেশ উপকারী। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন
এক চামচ কালো তিল খেতে পারলে চুলের অনেক বেশি উপকার মিলবে। তাই আপনারা যারা চুলের
সমস্যা নিয়ে পড়ে আছেন তারা কালো তিল খেতে পারেন।
বাদামঃ বাদাম খেলেও আপনার চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ
বাদামে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যা আপনার চুলের জন্য বেশ উপকারী।
গাজরঃ এছাড়াও চুল কালো করার জন্য গাজর খেতে পারেন। কারণ গাজরে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পটাশিয়াম যা চুলের সুন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অনেক বেশি
সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন হাফ গ্লাস গাজরের রস খেলে পাকা চুলের সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে পারেন।
কচি গম পাতার জুসঃ কচি গম পাতার জুস সাদা চুল কালো করার জন্য বিশেষ
উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। এছাড়াও পাশাপাশি আয়রন
ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। তাই প্রতিদিন আপনি যদি ১০০
গ্রাম কচি গম পাতার জুস খেতে পারেন তাহলে আপনার চুল পাকা কমবে এবং পাশাপাশি সাদা
চুল কালো করে তুলতে সাহায্য করবে।
ছোলাঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং পাশাপাশি চুল কালো রাখতে ছোলা খেতে পারেন।
ছোলার রয়েছে ভিটামিন বি ১২ ও ফলিক অ্যাসিড এটি সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলে অনেক
বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
বাচ্চাদের চুল পাকে কেন
আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে বাচ্চাদের চুল পাকে কেন?
অনেক বাচ্চাদের চুল পাকার সমস্যা রয়েছে যা একটি অস্বস্তিকর বিষয়। অনেকেই
বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে এই চুল পাকার কারণে। এটি কেন হয় সেটা অনেকেই জানে
না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে বাচ্চাদের চুল পাকে কেন এ বিষয়টি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা
অবশ্যই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- বাচ্চাদের চুল পাকার বংশগত কারণটি অন্যতম। পরিবারের রক্তের সম্পর্ক কিংবা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কারো অকালে চুল পেকে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে এমনটা হতে পারে।
- এছাড়াও হরমোনের সমস্যার কারণেও বাচ্চাদের চুল পেকে যেতে পারে। দুটি সমস্যা রয়েছে একটি হাইপোথাইরয়েডিজম আরেকটি হাইপারথাইরয়েডিজম। এ দুটি সমস্যার কারণে অকালে চুল পেকে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন সময় রক্তের থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ অনেক কম থাকলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং এ হরমোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম।
- ভিটামিনের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ভিটামিন ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিনের অভাব থাকলে অনেকেরই অকালে চুল পেকে যেতে পারে।
- এছাড়াও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে চুল পেকে যেতে পারে। অনেকেই রয়েছে যারা চুল পেকে গেলে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক রং ব্যবহার করে চুল কালো করার জন্য। কিন্তু এটি করা একদমই উচিত নয়। এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর।
- বিভিন্ন সময় ভেজাল খাবার খাওয়ার ফলে এবং পরিবেশ দূষণের কারণে চুল পেকে যেতে পারে।
- এছাড়াও ফাস্ট ফুড, উচ্চমাত্রায় প্রোটিন খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত কমল পানীয় ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হলে চুল পেকে যেতে পারে। এছাড়াও বয়স অনুযায়ী ওজন অতিরিক্ত হলে চুল পেকে যেতে পারে।
চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি
আজকে আমি এয়ার টিকেটের অংশটুকুতে আলোচনা করব চুল পাকা বন্ধের ওষুধ হোমিওপ্যাথি
সম্পর্কে অনেকেই রয়েছে যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। অল্প
বয়সে চুল পেকে গেলে কি সমস্যা হয় একমাত্র যার অল্প বয়সে চুল পাকে সেই বোঝে তাই
এই সমস্যা থেকে দূর করতে হোমিওপ্যাথি ওষুধ হতে পারে চুল পাকা বন্ধের একটি বিশেষ
ঔষধ চলুন তাহলে জেনে নিন চুল পাকা বন্ধের ওষুধ হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে।
- লাইকোপোডিয়াম ক্লাভাটাম (Lycopodium Clavatum200)
- ন্যাট্রাম মুরীয়াশিকাম (Natrum Muriaticum200)
- পিলোকার্পাস (যাবোরান্ডি) Pilocurpus 1000 (Jaborandi)
- সিলিনিয়া ২০০(Shelinia200)
- ফসফরিক এসিড (Fosforic Acid 6c)
- ফসফরাস২০০(Fosforus)
লাইকোপোডিয়াম ক্লাভাটাম (Lycopodium Clavatum200): হোমিওপ্যাথি ওষুধের
মধ্যে এই ওষুধটি হচ্ছে পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকার এটি পুরুষের মাথার চুল
পাকা চুলের ধূসর দাগ চুলের খুশকি হওয়া চুল পড়ে যাওয়া তীব্র চুলকানি ও
জ্বালাপোড়া সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় তাই
আপনার যদি এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন।
ন্যাট্রাম মুরীয়াশিকাম (Natrum Muriaticum200): এই ওষুধটি পাকা চুল এবং
চুল পড়া রোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা অনেক
বেশি উপযোগী কারণ মেয়েদের চুলে ধূস র অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং আয়রনের ঘাটতি
ভিটামিন বি ১২ এবং ডি থ্রি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়
তবে এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য এই ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এছাড়াও
এই ওষুধটি মাথাব্যথা রোধ সহ স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করে তাই আপনারা এ
ওষুধটি ব্যবহার করে এ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেন।
পিলোকার্পাস (যাবোরান্ডি) Pilocurpus 1000 (Jaborandi): এই ওষুধটি মানুষের
মাথার সাদা চুল কালো করতে সাহায্য করে এটি মাথার তালুর অত্যাধিক শুষ্ক রোড করতে
সাহায্য করে তাই আপনি যদি চান তাহলে এই ওষুধটি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। তবে
এই সকল ওষুধগুলো খাওয়া অথবা ব্যবহার করার পূর্বে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে তারপরে খেতে হবে কিংবা ব্যবহার করতে হবে।
সিলিনিয়া ২০০(Shelinia200): এটি হচ্ছে চুল পাকা রোধ করার জন্য অনেক বেশি
সাহায্য করে অনেকেরেই অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হয় এবং টাক পড়ে যায় তবে এই
সমস্যা দূর করার জন্য সেলিনা দারুন কাজ করে। মাথার টক চুলকানি কাটা ও প্রচন্ড গরম
ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে সেলিনা ঔষধ।
ফসফরিক এসিড (Fosforic Acid 6c): পাকা চুল পুনরায় কালো করার জন্য ফসফরিক
এসিড অনেক বেশি কার্যকর। বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ দুঃখ টেনশন ইত্যাদির কারণে চুল
পেকে যেতে পারে তবে এই সমস্যা গুলো দূর করার জন্য ফলিক এসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
ফসফরাস২০০(Fosforus): ফসফরাস হচ্ছে আকালের চুল পাকা ও অকালের চুল পড়ে
গিয়ে টাক পড়ে যাওয়া রোদে অনেক বেশি সাহায্য করে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ। এছাড়াও
তীব্র চুলকানি মাথার লাল চুল এগুলো রোধ করতেও অনেক বেশি কার্যকর এই ফসফরাস
হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে
অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে অনেকেরই খারাপ লাগে। চুল পেকে যাওয়া মানুষের জীবন
চক্রের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর ভিন্নতার কারণে
বিভিন্ন বয়সে চুলপাকা শুরু হয়। যেমনঃ- ককেশীয়দের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ বছর
বয়সেই চুল পাকা শুরু হয়। আবার অন্যদিকে ভারতীয় বংশভূতদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর
চুল পাকা শুরু হয়। তবে এর আগে যদি চুল পাকে তাহলে তাকে অকালপক্ব চুল বলা হয়।
- চুল পাকার সঙ্গে জেনেটিক কিংবা বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে অনেকেরই বংশগত কারণে চুল অল্প বয়সেই পাকতে শুরু হয়।
- চুল পাকার আরো একটি সমস্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে রোগজনিত সমস্যা। যদি কোন রোগ থাকে তাহলে চুল পাকতে শুরু করে। যেমনঃ- থাইরয়েডের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জনিত রোগ, এলার্জি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।
- তবে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে? শরীরে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন ডি-৩, বায়োটিন, আয়রন ও কপারের ঘাটতির কারণে অল্প বয়সেই চুল পাকতে শুরু করে।
- এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার ফলে ও মানসিক চাপের কারণে চুল পাকা শুরু হয়। তাই অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নেওয়াটাই ভালো। আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে সে বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার উপায়
অনেকে রয়েছে যারা কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার উপায় খুঁজে থাকেন। তাই আজকে
আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে কিভাবে আপনি কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করবেন সে
বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক
পাকা চুল কালো করার কিছু কার্যকরী উপায়-
- আমলকি
- লেবুর রস এবং আমলকির পেস্ট
- পেঁয়াজের পেষ্ট
- নারকেলের তেল এবং লেবুর রস
- গাজরের রস
আমলকিঃ প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে একটি পরিষ্কার পাত্রে নারকেল তেল নিতে
হবে। এরপর সেই তেলের সঙ্গে শুকনো আমলকি কিংবা আমলকির গুঁড়ো দিয়ে গরম করে নিতে
হবে। এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই তেলটি চুলে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে সারারাত
দিয়ে রাখতে হবে।
এটি সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে
এক টেবিল চামচ আমলকির পেস্ট এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি পেস্ট তৈরি করে
নিবেন। এরপর এই পেস্টটুকু চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিবেন। এভাবে সারারাত রেখে
পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
নারকেল তেল এবং লেবুর রসঃ প্রথমে নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রণ
করুন। এরপর সেই মিশ্রণ করা তেল হাতের তালুতে নিয়ে চুলের গোড়া পর্যন্ত ভালো করে
ম্যাসাজ করুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন ব্যবহার
করলে আরো বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। নারকেল তেল ও লেবুর রস সাদা চুল কালো করতে অনেক
বেশি কার্যকর।
লেবুর রস এবং আমলকির পেস্টঃ প্রথমে আপনাকে আমলকি হালকা করে থেঁতলে করে
বেটে নিতে হবে। এরপর কিছুটা লেবুর রস মিশ্রণ করতে হবে। তারপর একসঙ্গে সেগুলো
মিশ্রণ করে হাতের তালুতে নিয়ে চুলের গোড়া পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে
হবে। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি
আরো বেশি ভালো ফল পেতে চান তাহলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজের পেস্টঃ আদিম কাল থেকে চুল মজবুত করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার হয়ে
আসছে। চুল কালো করতে এই পেঁয়াজের রস অনেক বেশি উপকারী। তাই প্রথমে পেঁয়াজ বেটে
নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর চুলের গোড়ায় খুব ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে।
এরপর পেস্ট শুকনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটি আপনি সপ্তাহে একদিন কিংবা দুইদিন
ব্যবহার করতে পারেন। তবে দ্রুত ফলাফলের জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
গাজরের রসঃ খাদ্যতালিকায় নিয়মিত গাজরের রস রাখতে পারেন। এটি আপনার
চুলের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে আপনার চুল পাকার
সম্ভাবনা অনেকটা কমে আসবে। এটি সরাসরি চুলে লাগানোর চেয়ে মুখে খাওয়ায় সবচেয়ে
বেশি কার্যকরী।
চুল কালো করার তেলের নাম
অনেক মানুষ রয়েছে যারা চুল কালো করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক রং চুলে ব্যবহার
করেন। কিন্তু এটি আসলে চুলে ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি অনেক ক্ষতিকর। তাই আজকে
আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে চুল কালো করার তেলের নাম বলবো যে তেলগুলো আপনি
ব্যবহার করলে আপনার চুল আশা করি কুচকুচে কালো হবে। আসুন তাহলে আর দেরি না করে
জেনে নিন।
চুল কালো করার তেলের নামঃ
- কারিপাতার তেল (Curry Leaves)
- কালো জিরের তেল (Black Seed Oil)
- নারকেল তেল ও জবা ফুল (Coconut Oil and Hibiscus)
- আমলকি গুঁড়ো ও নারকেল তেল(Amla And Coconut Oil)
- তিলের তেল (sesame oil)
উপরে উল্লেখিত যে তেল গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে সেগুলো চুল কালো করার তেল এর নাম। এই তেলগুলোর মধ্যে আপনি যে কোন একটিতে ব্যবহার করে আপনার চুল সাদা থেকে
কালো করতে পারবেন। এছাড়াও এই তেলগুলো শুধু চুল কালোই করে না পাশাপাশি চুলের
পুষ্টি যোগাতেও সাহায্য করে।
শেষ কথা | কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে
এবং কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার উপায় সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা
দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url