মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিস্তারিত জেনে নিন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই রয়েছে যারা মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায়। কিন্তু কীভাবে মোবাইল দিয়ে শিখবে সেই বিষয়ে অনেকেই তেমন
কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে আমি এই বিষয়ে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা, মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ, ফ্রিল্যান্সিং শেখার
ওয়েবসাইট, একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল
মার্কেটিং, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছেন।
তাই আপনি যদি তাদের মত মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে
এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকে আমি এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা শিখা যায় এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে
কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এ
বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তার অবশ্যই এই আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার
অনুরোধ রইলো। আশা করি এ বিষয়গুলো জানলে আপনিও তাদের মত ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে এ সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে
নিন।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতকে অনেকেই চাকরির মত করে নিয়েছেন। অনেক
চাকরিজীবী রয়েছে যারা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে অগ্রগতি শুরু করেছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ভাগ রয়েছে আপনি কোন বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করতে
চান সেটি আগে নির্বাচন করুন। বর্তমানে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের
মধ্যে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং অনেকেই করছেন। কিন্তু একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং
কিভাবে শিখবো এটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।
প্রিয় বন্ধুরা চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে
কিভাবে আপনি একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা
করব। তাই আপনারা যারা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তারা এই আর্টিকেলের
অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং
শিখতে হলে আপনাকে কতগুলো ধাপ অনুসরণ করতে হবে সে বিষয়ে জেনে নিন।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
একাউন্টিং এর যে মূল বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো আগে জানতে হবে যেমনঃ আর্থিক বিবৃতি
প্রস্তুতি, বুককিপিং, কর, এবং ব্যবসায়িক অর্থনীতি। এই চারটি সম্পর্কে ভালো
আপনাকে খুব ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তারপর বিভিন্ন সফটওয়্যার এর ব্যবহার
শিখতে হবে।
কিছু জনপ্রিয় একাউন্টিং সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো হচ্ছে Wave, Zoho Books,
QuickBooks, Xero. এ সফটওয়্যার গুলো আপনাকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখতে হবে।
এরপর আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। কিছু জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer.com এর মত
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। তারপর সেখানে
আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার একটি সুন্দর পোর্টফলিও তৈরি করুন।
আপনি যে কাজ করতে পছন্দ করেন সে কাজের নমুনা সংগ্রহ করে একটি আকর্ষণীয়
পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। যাতে করে বিভিন্ন ধরনের ক্লাইন্ট এসে আপনাকে নক দেন।
এখানে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্র্যাকটিস করতে হবে। কারণ আপনি যে কাজই করেন
না কেন বেশি বেশি প্র্যাকটিস করলে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি হবে।
এতে করে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো অনেক বেড়ে যাবে। বর্তমান সময়ে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক কম্পিটিশন করে টিকে থাকতে হয়। তাই আপনি যত
বেশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা হতে পারবেন তত বেশি আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়াও আপনাকে ক্লায়েন্টের প্রয়োজনে অনুসারে একটি আকর্ষণীয় প্রস্তাব পাঠাতে
হবে যাতে করে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে তার কাজ আপনি করতে পারবেন।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা
না হলে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। আপনার দক্ষতা ধরে রাখার
জন্য নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে থাকুন। পাশাপাশি একাউন্টিং এর যে নিয়ম রয়েছে সেটা
সম্পর্কে নিয়মিত জানার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে একজন একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সার
হিসেবে ব্র্যান্ড তৈরি করুন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো আপনি কোন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস অন্য গ্রাহকের নিকট
পৌঁছানাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা
যায় আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেটাই জানব। আগের দিনে মানুষ মার্কেট করত
কিংবা মার্কেটিং পোস্ট করতো কিংবা বিভিন্ন ব্যানার ছাপিয়ে মার্কেটিং করত কিন্তু
এখন সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ইউটিউব এগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল
মার্কেটিং করা হয়।
এটাকেই বলা হয় মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার একটি নতুন প্রক্রিয়া।
মোবাইল ফোন দিয়ে মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠান বা
অন্যান্য যারা মোবাইল ইউজার রয়েছে তাদের কাছে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন খুব দ্রুত
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলে যায়। যার কারণে মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেকেই
অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট পূরণ করতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সঠিক সময়ে
সঠিক কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেওয়া।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কাস্টমাররাই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে
থাকেন। তাদের কাছে মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের
মার্কেটিং পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেকগুলো ক্যাটাগরি বা
ধাপ রয়েছে। আপনি মোবাইল দিয়েও মার্কেটিং করতে পারেন কিংবা একটি কম্পিউটার অথবা
ল্যাপটপ দিয়েও মার্কেটিং করতে পারবেন।
শুধু মোবাইল দিয়ে যে ডিজিটাল মার্কেটিং সেটা নয়। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন সেক্টরে মোবাইল
ফোন দিয়েও বিভিন্ন ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। যেমন লিড জেনারেশন, ডাটা
এন্ট্রি এমনকি টুকটাক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজও ভালো মোবাইল ফোন দিয়ে করা যায়।
আপনার যদি ইচ্ছা থাকে এবং কাজ করার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ডিজিটাল
মার্কেটিং সেক্টরে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। কিছু সেক্টর নিচে দেয়া হল চলুন
সেগুলো দেখে নিন।
সেক্টরগুলো হলোঃ
- ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
উপরে উল্লেখিত যে সেক্টরগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আপনি ভালো একটি মোবাইল ফোন
দিয়েও সেই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে এই
সেক্টরগুলোর মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ তার ওপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে
আপনি খুব সহজেই মোবাইল ফোন দিয়ে এই সেক্টরগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে
পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট
অনেকেই ফিন্যান্সিং শিখতে চাই কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকার কারণে অনেকেই
ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে না। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুটি উপায়ে কাজ শেখা যায় একটি
হচ্ছে অনলাইনে বিনামূল্যে, আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে
কোর্স করে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় রয়েছে অনলাইনে আপনি টাকার বিনিময়েও
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা
আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অনেকেই রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন। কিন্তু কি কাজ করবেন বা
কিভাবে কাজ করলে আপনি সফল হবেন তা নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। প্রিয়
বন্ধুরা চিন্তা করার কোন কারণ নেই এই সকল সমস্যার সমাধান এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে
আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি এইগুলো বিষয়ে চিন্তা করার আগে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে
হবে মন স্থির করে নিতে হবে।
এরপর আপনি কোন ধরনের (গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং)
কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা আগে নির্বাচন করুন। তারপর যেকোনো আপনার পছন্দমত নির্বাচন
করে সে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কাজ শুরু করুন। আপনি যদি বিনামূল্যে কাজ শিখতে চান
তাহলে অনলাইনে প্রশ্ন করুন যে কারো সাহায্য ছাড়া নিজের মতো করে কাজ শিখতে পারবেন
কি না।
যদি আপনি না পারেন তাহলে আশেপাশে আপনার পছন্দমত যে প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো সেখানে
ভর্তি হয়ে কোর্স করে আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। বর্তমান সময়ে
অনলাইনে খুজলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আপনি যে
বিষয়ে কাজ শিখতে আগ্রহী সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা নেয়ার জন্য আপনি ইউটিউবে
কিংবা গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ইউটিউব কিংবা গুগলে সার্চ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
প্রথম ১ সপ্তাহ আপনি বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য গুগলে কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে
যাবেন এবং বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য চেষ্টা করবেন। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,
ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু থেকে শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
প্রাথমিক পর্যায়ে কোর্সগুলো করার চেষ্টা করতে হবে।
যদি আপনি এখান থেকে কিছুটা কাজ করে বুঝতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে মধ্যম পর্যায়ে
যেয়েও কোর্সগুলো করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট অনলাইনেই সার্চ করলে
পেয়ে যাবেন। যদি আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে
যান তাহলে সেই ওয়েবসাইট বুক গুলো বুকমার্ক করে রেখে দিবেন। এই জন্য আপনাকে ৫
থেকে ১০টি ওয়েবসাইট অনলাইনে সার্চ করে খুঁজে বের করতে হবে।
যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। ওয়েবসাইটের
পাশাপাশি আপনি ৫ থেকে ১০টি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করে রাখতে পারেন। যেখানে
আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছে বলে আপনি মনে করছেন। ইউটিউবের
পাশাপাশি আপনি ফেসবুকেও ২ থেকে ৫টি গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকতে পারেন। যেখানে আপনার
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায় সে বিষয়ে অনেকেই
জানতে চায়। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
কিভাবে শিখবো সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি
সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা অবশ্যই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন
তাহলে আর দেরি না করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সে বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
অনেকেরই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। কিন্তু তারা কি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবে না?
হ্যাঁ অবশ্যই পারবে। একটি মোবাইল ফোন থাকলেই সেই মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
শিখা যায়। যদি আপনার ইচ্ছা শক্তি এবং ধৈর্য ও সময় থাকে তাহলে আপনি প্রাথমিকভাবে
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য
আগ্রহী।
কিন্তু তারা মনে মনে ভাবেন মোবাইল দিয়ে হয়তো ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়।
কিন্তু আসলে মোবাইল দিয়েও প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে প্রফেশনাল
ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়স লাগেনা যে কেউ মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবে।
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে সঠিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আপনি
যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এমন একটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে
যেটা আপনার টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন
ধাপ রয়েছে। আপনি যদি সঠিক ধাপ অনুসরণ করে মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে
পারেন।
তাহলে অনেক ভালোভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর সাইড
রয়েছে যেগুলোর সাথে অবশ্যই আপনাকে পরিচিত হতে হবে। যেমন (Upwork, Fiverr,
Freelancer.com). এই জনপ্রিয় সাইটে আপনাকে আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে।
যাতে করে ক্লাইন্ট আপনার পোর্টফলিও দেখে আপনাকে কাজ দেয়।
এছাড়াও আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে তুলে ধরতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন
এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে। কিছু কাজের জন্য আপনার অতিরিক্ত
অ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে হতে পারে।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন তাহলে অনেক উপায় রয়েছে যে
উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বেশ কিছু জনপ্রিয় উপায়
রয়েছে যেগুলো থেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায়ঃ
- কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম (Content Writing)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট করে আয় (Virtual Assistant)
- ইউটিউব থেকে ইনকাম (YouTube)
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম (Graphics Design)
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে আয় (Social Media Management)
- প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপস (Productivity apps)
- ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম (Web Design)
- মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম (Blogging)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় (Affiliate Marketing)
- CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় (CPA Marketing)
উল্লেখিত যে উপায়গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো মোবাইল দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং
শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো
স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন বাধ্যতামূলক। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত উপায়
গুলো অবলম্বন করে মোবাইল দিয়ে অনেকেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।
আরো পড়ুনঃ বাবুল গেম খেলে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে
তাই আপনি যদি তাদের মত ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পছন্দমত যে কোন একটি
উপায় অবলম্বন করে কাজ শুরু করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
বর্তমান সময়ে অনেকেই ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফাইবার থেকে কাজ করে ইনকাম করছেন। তাই
আপনি যদি তাদের মত ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই পারবেন। কারণ ফাইবার এমন একটি
জায়গা যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ যে কাজ করে ইনকাম করছেন। অনেকেই রয়েছে যারা
মোবাইল দিয়ে ফাইবার থেকে কাজ করে ইনকাম করতে চায়।
কিন্তু কিভাবে ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই
আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে কিভাবে অর্থ
উপার্জন করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি
সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন
তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
আজকাল অনলাইনে সবকিছুই ঘটছে। আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে ঘরে বসে মোবাইল ফোন দিয়ে
অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। শুধু ইন্টারনেট
কানেকশন থাকতে হবে। অনেক লোক বা সংস্থার রয়েছে যারা তাদের কাজ করার জন্য
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের লোক খুঁজছে। তা যেকোনো ধরনের ওয়েব ডিজাইন, লোগো
ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটো এডিটিং বা ভিডিও এডিটিং কিংবা বিষয়বস্তুই হোক না
কেন।
কিন্তু এ ধরনের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা লোক ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।
অন্যদিকে আবার ক্লাইন্ট খুঁজে পাও অনেক কঠিন হয় পরে। যার কারণে ফাইবার এমন একটি
প্ল্যাটফর্ম যেখানে দুটোকে এক জায়গায় সংযুক্ত করা যায়। আপনি যদি চান তাহলে
ফাইবার থেকে আপনি একজন পেশাদারের পরিষেবা ভাড়া নিতে পারবেন বা আপনি যদি কোন
বিষয়ের উপর পেশাদার হন তাহলে অন্যদের কাছে আপনার পরিষেবা দিতে পারবেন।
ফাইবারে সবচেয়ে ভালো যে ব্যাপার সেটি হচ্ছে আপনি ফাইভারে যা ইচ্ছা তাই করতে
পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে লোগো ডিজাইন, ফটো এডিটিং করে মোবাইল দিয়ে ফাইবার
থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার মোবাইল ফোন ভালো হয় তাহলে মোবাইল দিয়ে
ফাইবারে কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফাইবার হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম এবং জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। যেখানে
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স পরিষেবাগুলো অনুসন্ধান করতে আসে।
তাই আপনার যদি একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট থাকে এবং সুন্দর একটি পোর্টফোলিও থাকে
তাহলে সেখান থেকে আপনি ক্লাইন্ট পেতে পারেন। বর্তমান সময়ে ফাইবারে অনেক
কম্পিটিশন করে কাজ নিতে হয় তাই আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই
সেক্টরে এসে আপনার কোন লাভই হবে না।
তাই অবশ্যই বুঝে শুনে এই সেক্টরে আসবেন। আপনি যদি ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং
পরিষেবাগুলোতে অফার করেন তাহলে সেখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে
এখানে এসে দ্রুত ইনকাম করার চিন্তাভাবনা নিয়ে আসলে হবে না। ফাইবারে এসে ধৈর্য
পরিশ্রম ও সময় দিতে হবে। তাহলে এখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন।
এছাড়াও ফাইবারে আরো বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে কাজ করে ইনকাম করা যায়। আপনি
যদি একজন ভালো লেখক হন এবং বিভিন্ন ধরনের নিউজ কিংবা ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন
তাহলে ফাইবার থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এগুলোর বিষয়েও
দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি যদি 1000 শব্দের ব্লগ পোস্ট লিখে দেন তার বিনিময়ে আপনি
কম করে হলেও ৫ ডলার অর্থাৎ বাংলা টাকায় ৫০০ টাকা পাবেন।
তাছাড়া আপনার লেখার দক্ষতা যদি আরো ভালো হয় তাহলে আপনি আরো বেশি চার্জ করতে
পারবেন। তবে অবশ্যই এখানে কনটেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আশা করি মোবাইল
দিয়ে ফাইবারে কাজ করে কিভাবে ইনকাম করবেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য এই আর্টিকেলের
অংশটুকুর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা
আজকে আমরা আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা এ সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে
টাকা ইনকাম করছেন। কিছু কিছু লোকেরা রয়েছে যারা মনে মনে ভাবেন যে আসলেই কি
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
করা সম্ভব।
আপনি প্রাথমিকভাবে মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। তবে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
প্রয়োজন পড়বে। মোবাইল দিয়ে কাজ করার বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যেমন আপনি যেকোনো
সময় যেকোনো জায়গায় যে নিজের ইচ্ছা স্বাধীন মত কাজ করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারেন, যেমনঃ ব্লগ
পোস্ট, নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি লেখা। এছাড়াও
লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স, প্রেজেন্টেশন, সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট, ইমেল মার্কেটিং, SEO, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার যা যা লাগবেঃ
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কাজের
জন্য প্রয়োজনে এপ্লিকেশন এবং সফটওয়্যার চালাতে সক্ষম এমন একটি মোবাইল ফোন
ব্যবহার করুন। এছাড়াও আপনাকে অবশ্যই একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে যাতে করে
আপনি ক্লাইন্টের সাথে খুব ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আপনার কাজ সম্পূর্ণ
করতে পারেন। তবে আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় দক্ষতা
অর্জন করতে হবে।
আপনি যে কাজ করতে পছন্দ করেন সে কাজগুলো অনলাইন কোর্স, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল কিংবা
ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে
রাখবেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনলাইন প্লাটফর্মে যে কোন কাজই করেন না কেন সে
বিষয়ের উপর অবশ্যই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এতক্ষণে
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা।
শেষ কথা | মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে
শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম
হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার
বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার
করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url