ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি? এই সম্পর্কে আপনার
যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই রয়েছে
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য
কোনটা সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম সেই বিষয়ে অনেকেই তেমন কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে
আমি এই বিষয়ে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বাংলাদেশে
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত?, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাপ,
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট
ভালো কোনটি, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। যারা
ফ্রিল্যান্সিং করে তারা অনেকেই জানেন না যে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার
সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি? তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা
পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি? এবং বাংলাদেশে
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা
এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা
করি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি
না করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা তোলার বিভিন্ন উপায় আছে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা তোলার
পদ্ধতি নির্ভর করে আপনি কোন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করছেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট
কীভাবে পেমেন্ট করে তার উপর। আজকে আমি এই এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিল্যান্সিং
এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়? সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে বিস্তারিত জেনে
নিতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি দেওয়া হলো। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে
নিন।
১. স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
Payoneer: বর্তমান সময়ে Payoneer একটি জনপ্রিয় একাউন্ট। যার মাধ্যমে
আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করা টাকা আপনার স্থানীয় ব্যাংকে ট্রান্সফার
করে নিতে পারবেন। তবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের কাজের টাকা বিভিন্ন উপায়ে দিয়ে
থাকেন। তাই আপনার যদি এই অ্যাকাউন্ট বাদে অন্য কোন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই
একাউন্ট থেকেও আপনি খুব সহজে টাকা ব্যাংকে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
Wise: এছাড়া আপনি চাইলে Wise এর মাধ্যমে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং থেকে
আয় করা টাকা আপনার স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। তবে
একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন যদি এই অ্যাকাউন্টটি না থাকে তাহলে অন্য কোন
একাউন্ট থেকেও আপনি টাকা ট্রান্সফার করে দিতে পারবেন।
Skrill: Skrill - এটিও একটি অ্যাকাউন্ট। যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং
করে আয় করা টাকা খুব সহজেই Skrill একাউন্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
এরপর সেই টাকাগুলো আপনার স্থানীয় যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানে আপনি
ট্রান্সফার করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এটিও অনেক জনপ্রিয় একটি একাউন্ট। আপনি
চাইলে এটিও ব্যবহার করে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
২. ডেবিট কার্ড
Upwork: আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে আপ ওয়ার্ক এর মাধ্যমে আপনি একটি ডেবিট
কার্ড পেতে পারেন। এই ডেবিট কার্ডটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ইচ্ছামত যেকোনো এটিএম
থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এই মাধ্যমটি অনেকেই জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য। তাই আপনি যদি খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে চান
তাহলে এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।
Payoneer: এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে Payoneer এর মাধ্যমে একটি ডেবিট
কার্ড পেতে পারেন। এই কার্ডটি ব্যবহার করে আপনি যে কোন এটিএম বুথ থেকে আপনার
ফ্রিল্যান্সিংয়ের আয় করা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
ওয়্যার (Wire) ট্রান্সফারঃ কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি সরাসরি ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক
একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন। এটিও অন্যান্য মাধ্যমের মত অনেক সুবিধা জনক। তাই
আপনি চাইলে ওয়্যার ট্রান্সফার করে আপনার একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
- যদি আপনি টাকা উত্তোলন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পূর্বে থাকা নিয়মকানুন জেনে তারপর উত্তোলন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন থাকে সেগুলো পড়ুন তারপর টাকা উত্তোলন করুন।
- টাকা উত্তোলনের জন্য যে প্রযোজ্য ফি রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। কারণ আপনি যদি টাকা উত্তোলন করেন এবং ফি সম্পর্কে না জানেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখ হতে পারে।
- আপনার যে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে সেটির সঠিক তথ্য প্রদান করুন এতে করে আপনার অনেক সুবিধা টাকা উত্তোলন করার জন্য।
- আপনার যদি টাকা উত্তোলন করার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কাস্টমার সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবেন।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা তোলা একটি সহজ প্রক্রিয়া। আপনি যদি উপরে দেওয়া
উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার
ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করা টাকা সেই ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে
উত্তোলন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট ভালো কোনটি
বর্তমান সময়ে অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যাংক
একাউন্ট ভালো কোনটি? আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই
আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক
রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়মকানুন রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের
জন্য অর্থাৎ মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য সবচেয়ে ভালো যে
ব্যাংকগুলো রয়েছে সেগুলো এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করব।
সকলেই চায় যে একটি ভালো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তৈরি করতে। কারণ ভালো ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট থাকলে অনেক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই একটি বিষয় নিয়ে খুব
চিন্তার মধ্যে থাকেন। কিছু কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে ডলারের রেট কম পাওয়া
যায়। তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি যদি
ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবহার করেন।
এক্ষেত্রে বলবো যে আপনি যদি এই ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করেন তাহলে আপনার অবশ্যই ৪
থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে। আর আরেকটি বিষয় হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক আপনাকে
কোনো রকম উপার্জিত টাকার উপর রেমিটেন্স দেয় না। অর্থাৎ যে টাকা উপার্জন করবেন
তার সাথে কিছু বোনাস আপনাকে দিবে না। কিন্তু আপনি তো অবশ্যই অর্থের ওপর বোনাস
নিতে চান। যদি আপনি বোনাস নিতে চান তাহলে অন্য যে ব্যাংকের নামগুলো বলব সেই
ব্যাংকগুলো অবশ্যই আপনার কাছে ভালো মনে হবে।
বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক এই ২ ব্যাংক আপনার উপার্জিত
অর্থের উপর রেমিটেন্স দিয়ে থাকেন। আপনি যদি এই দুই ব্যাংকের মধ্যে যেকোনো একটি
ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন তাহলে আপনি অবশ্যই রেমিটেন্স বোনাস পাবেন।
অর্থাৎ আপনার যে ডলার থাকবে সেই ডলারের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক করে একটা
রেমিটেন্স পারসেন্টেন্স দেয়া হবে যেটা অবশ্যই অনেক ভালো।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাপ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে এখন অন্যতম
ফ্রিল্যান্সিং। তরুণ তরুণীদের অনেক বড় একটি অংশ এই ফ্রিল্যান্সিং। ঘরে বসে একটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়। কিন্তু সঠিক দিক
নির্দেশনার না থাকার কারণে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এসেও উপরে উঠতে পারে না।
এখন যতদিন যাচ্ছে ঠিক ততদিনই হোম অফিসের চাহিদাও বাড়ছে।
এই অবস্থায় ঘরে বসে কাজ করতে হলে অবশ্যই কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ প্রয়োজন পড়ে। তাই
সেই চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারে কয়েকটি অ্যাপ। চলুন তাহলে জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং বা হোম অফিসের জন্য সেরা কয়েকটি অ্যাপ সম্পর্কে। যেগুলো আপনার
কর্মক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য
করবে।
প্রুফহাবঃ আপনি যদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো খুজে পেতে চান তাহলে
প্রুফহাব ব্যবহার করতে পারেন। প্রজেক্ট কিংবা প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন
প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যেমন- ফাইল, টাস্ক, রিসোর্স সহ আরো অনেক কিছু জন্য
প্রুফহাব অনেক সহায়ক।
ক্লকিফাইঃ আপনার কোন কাজ আপনি কতক্ষণ ধরে করছেন কিংবা কতদিন ধরে করছেন তার
যদি হিসাব আপনার কাছে রাখা অনেক কঠিন মনে হয় তাহলে আপনি ক্লকিফাই ব্যবহার করতে
পারেন। এটি আপনার সময়ের ওপর নজর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। ক্লকিফাই একটি
বিনামূল্যের টাইম-ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন।
যা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সময়ের উপর অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি খুবই
ভালো একটি অ্যাপ। আপনাদের যাদের অনেক সময় ধরে রাখতে সমস্যা হয় তারা এই অ্যাপটি
নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন।
টুডুইস্টঃ আপনার বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার করার জন্য এই টুডুইস্ট
অ্যাপটি খুবই চমৎকার একটি অ্যাপ আপনার জন্য হতে পারে। এটির সাহায্যে আপনি বিভিন্ন
ইনফরমেশন খুব সহজেই তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার প্রতিটি কাজের
নির্দিষ্ট সময়সীমা বা তারিখ যোগ করে রাখতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই
টুডুইস্ট অ্যাপটি কতটুকু আপনার উপকারে আসতে পারে।
ফ্রিডমঃ অনেক সময় দেখা যায় অনলাইনে কোন কাজ করতে গেলে হঠাৎ করে বিভিন্ন
সাইট যেমন Facebook, Instagram, YouTube এই প্লাটফর্ম গুলো হারিয়ে যায়। এছাড়াও
বিভিন্ন অ্যাপ আপনাকে কাজের সময় অনেক বিরক্তবোধ করায় তাই আপনি যদি কোন অ্যাপকে
ব্লক করতে চান তাহলে ফ্রিডম ইন্সটল করে ব্লক করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট,
নির্দিষ্ট ব্লগ, ফুড ডেলিভারি সাইট, ইত্যাদি ব্লক করতে পারবেন। তাই আপনার কাজ
করার সময় বিভিন্ন সাইট কি রকম বিরক্ত করে তার উপর নির্ভর করে এই ফ্রিডম অ্যাপটি
ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও আরো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে যে অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে
আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন যেমন- মিরো, মুডফিট, এনটাস্ক, ডুডল, ওয়ার্ল্ড টাইম
বাডি, এভারনোট ও প্রোটনভিপিএন। এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে
পারবেন। তাই আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে অবশ্যই একজন ফ্রিল্যান্সারদের
জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাপ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
আজকে আমি টি আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে
জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?এই সম্পর্কে আলোচনা করব। এমন অনেক রয়েছে যারা নতুন
ফ্রিল্যান্সিং করছে তারা অবশ্যই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায় যে
ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
তাই আজকে আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই
আপনারা যারা এ বিষয়ে সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে
জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ বাবুল গেম খেলে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে
আপনি আপনার পরিশ্রমের উপার্জিত টাকাগুলো কিভাবে তুলবেন এটা অবশ্যই আপনাকে জানতে
হবে। বর্তমান সময়ে অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু আপনাকে
অবশ্যই বৈধ মাধ্যমগুলো দিয়ে টাকা উত্তোলন করলে সেটা অনেক ভালো। বর্তমানে
Payoneer একটি জনপ্রিয় একাউন্ট। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে
আয় করা টাকা আপনার স্থানীয় ব্যাংকে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
এটি একটি আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মাধ্যম। এটি একটি সহজ এবং সুবিধা
জনক মাধ্যম। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সাররা আরো বিভিন্ন জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো দিয়ে
টাকা উত্তোলন করতে পারে যেমন- PayPal, Amazon pay, Skrill, ও WebMoney সহ আরো
অনেক পেমেন্ট প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে অনেকেই টাকা পাঠাতে পারে আবার উত্তোলন
করতে পারে।
Payoneer এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ফেরত ছাড়া আরো বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশের টাকা
গ্রহণ করতে পারবে এবং প্রেরণ করতে পারবে যেমন PayPal এবং Skrill. তবে, Payoneer
এর তুলনায় PayPal এবং Skrill এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন বাংলাদেশ অফিশিয়াল
ভাবে এর কোন অনুমোদিত নেই যার কারণে বিভিন্ন সময় ফ্রিল্যান্সারদের এই মাধ্যম
গুলো ব্যবহার করতে অনেক সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
তবে সমস্যা হলেও এ মাধ্যম গুলো খুবই ভালো একটি মাধ্যম যার কারণে সকলেই পেপাল
কিংবা Skrill মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে। এগুলো ছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং টাকা পাওয়ার মাধ্যমগুলোর একটি দেয়া হলো যেমনঃ-
- PayPal
- Skrill
- Payoneer
- WebMoney
- Wise
- Bank deposit
এই পেমেন্ট মেথড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় PayPal এবং Payoneer. মাধ্যম থেকে
আপনি খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ২
মেথড খুবই ভালো। এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার স্থানীয় ব্যাংকে
ট্রান্সফার করে আপনার উপার্জিত অর্থ সহজেই উত্তোলন করতে পারবেন। আশা
করি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি? সেই
বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত?
অনেকেই জানতে চায় যে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত? এই বিষয়ে। তাই আপনারা
যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে যেতে পারেন।
এখানে কিছু বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা
এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত এ
বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারেন এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে। চলুন তাহলে এর
দেরি না করে জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন কারণ কোন সরকারি সংস্থা
নিয়মিতভাবে তাদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। তবে, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য
অনুযায়ী, আনুমানিক ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং করে।
কিছু বিষয় মনে রাখা উচিতঃ
- এই সংখ্যাটি কেবলমাত্র আনুমানিক। তবে, বাস্তব সংখ্যা আরও বেশি বা কম হতে পারে।
- সকল ফ্রিল্যান্সারই পূর্ণ সময় কাজ করে না। অনেকেই তাদের নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে।
তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর
কারণ হলো ইন্টারনেটের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন এবং
বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ বৃদ্ধি। ফ্রিল্যান্সিং
বাংলাদেশের অনেক মানুষের জন্য আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে এবং দেশের
অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার
সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি? এবং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত? এই
সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই
আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না
করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url