ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো? এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। কিন্তু কোথায় শিখবে সেই সম্পর্কে অনেকেই তেমন কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই কিন্তু কিভাবে শিখবে, কোথায় শিখবে সে বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা না জানার কারণে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেনা। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ফেক আইটি সেন্টারগুলোতে যে ঠকে যায় যার কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিন।     

ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এমন এক পর্যায়ে যেখানে মানুষ ঘরে বসে নিজের স্বাধীন মত কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি আউটসাইড কাজের জন্য বিভিন্ন কাজ খুজে থাকেন। কিন্তু যদি বর্তমান এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত হয় এবং পরিশ্রম ও সময় দিয়ে কাজ করে যেতে পারে তাহলে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবে।

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায় এই বিষয়ে সঠিক একটি ধারণা যার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চাই কিন্তু কিভাবে করবে সে বিষয়ে জানেন না। তাই এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করছেন। আপনিও যদি চান তাহলে অন্যদের মতো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন মানুষের ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি সেক্টর বলা যায় ফ্রিল্যান্সিংকে। এই ফ্রিল্যান্সিং করে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ ডলার উপার্জন করছেন। 

এটি বর্তমানে অনেকটা জনপ্রিয় বললেই চলে। যতদিন যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে মানুষ আরো বেশি লেগে পড়ছে। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা প্রতিভা থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। খুব দ্রুত যদি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সেরা। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে অবশ্যই আপনাকে হাতে এক বছর সময় নিয়ে আসতে হবে। 

কেননা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সহজ কিন্তু সময় দিয়ে এবং কাজের দক্ষতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং কাজে সুযোগ দিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচুর পরিমাণে প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 
যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও CPA মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, ইমেল মার্কেটিং, ইত্যাদি। এইগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু এর মধ্যে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। 

তাই আপনার হাতে সর্বনিম্ন এক বছর সময় নিয়ে তারপর ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসতে হবে। তাহলে আপনি সফল একটি ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন এবং পরবর্তীতে খুব ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে আপনি নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারেন। এটি একটি স্বাধীন কাজ যেখানে আপনি নিজের সময়সূচী নির্ধারণ করতে পারেন এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে। 

আপনার দক্ষতা ও আগ্রহ নির্ধারণ করুনঃ প্রথমে, আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনার কোন দক্ষতাগুলি আছে এবং সেগুলির জন্য বাজারে কতটা চাহিদা আছে। আপনি কি লেখার দক্ষতায় পারদর্শী? নাকি আপনি কি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ? অথবা আপনি কি ওয়েব ডেভেলপমেন্টে পারদর্শী? আপনার দক্ষতা ও আগ্রহ নির্ধারণ করার পরে, আপনি সেই অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারবেন।

একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করুনঃ একবার আপনি আপনার দক্ষতা ও আগ্রহ নির্ধারণ করে নিলে, আপনাকে একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এটি একটি ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও হতে পারে যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনাগুলি প্রদর্শন করবেন। আপনি Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলিতেও প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।
কাজ খুঁজুনঃ আপনার প্রোফাইল তৈরি করার পরে, আপনি কাজ খুঁজতে শুরু করতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, সার্চ ইঞ্জিন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কাজ খুঁজে পেতে পারেন। আপনার নেটওয়ার্কের মধ্যেও আপনার পরিচিত কারো কাছে কাজ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

প্রস্তাব জমা দিনঃ যখন আপনি এমন একটি কাজ খুঁজে পান যা আপনার আগ্রহের সাথে মেলে, তখন আপনাকে প্রস্তাব জমা দিতে হবে। আপনার প্রস্তাবে অবশ্যই আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে এবং কেন আপনি সেই কাজের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করুনঃ আপনার প্রস্তাব যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে আপনাকে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং কাজের বিবরণগুলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। নিশ্চিত করুন যে আপনি কাজের সময়সীমা, বাজেট এবং প্রত্যাশাগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন।
কাজ সম্পূর্ণ করুনঃ একবার আপনি যদি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে সে কাজ করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তখন আপনাকে পিছনে আর ফিরে তাকাতে হবে না তারপর থেকে আপনার বিভিন্ন ক্লাইন্ট এসে যোগাযোগ করে কাজ দিয়ে যাবে। সেই কাজ করে আপনি খুব ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে

অনেকেই ভেবে থাকেন যে একজন ফ্রিল্যান্সিং হতে হলে হাজার হাজার টাকার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি চাইলে ফ্রিতে কাজ শিখতে পারেন আবার টাকা দিয়েও কোনো ভালো আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও কাজ শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে এবং অফলাইনে কাজ শেখায়। 

আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফলাইনে কিংবা অনলাইনে যেকোনো একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে কাজ শিখতে পারবেন। আপনি অনলাইনে কোর্স করবেন না অফলাইনে কোর্স করবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে অনেকেই নিজের চাকরির পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। 
এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব ভালো সময় দিলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে আশা করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে আপনার যদি ধারণা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থাকে যেগুলো থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। এখানে যে প্ল্যাটফর্ম গুলোর নাম দেওয়া হলো এগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দমত যে কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ শিখলে খুব ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ফ্রিতে অনলাইন কোর্স করতে চান তাহলে ইউটিউব (YouTube) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে ফ্রিতে শিখতে পারবেন। 

এছাড়া আপনি যদি অফলাইনে কোর্স করতে চান তাহলে ওপরে যে প্লাটফর্ম গুলোর নাম দেওয়া হলো সেখান থেকে আপনার পছন্দমত যে কাজ করতে আগ্রহী সে কাজের উপর একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। 

ইউটিউবে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে সবকিছু শিখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন এছাড়াও পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তবে YouTube এ আপনি কাজ করলে আপনাকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার কেউ থাকবে না। এখানে আপনাকে নিজেই সবকিছু দেখে বিস্তারিত জেনে বুঝে নিজের নিয়মে কাজ শিখতে হবে। যেটা নতুনদের কাছে খুবই কষ্টকর হয়ে থাকে। 
তাই আপনি যদি কোন আইটি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখান থেকে আপনি কোর্স ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। অনলাইনে কোর্স করলে ২ হাজার টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে এবং আইটি প্রতিষ্ঠানে কোর্স করলে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। 

তবে এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ প্রয়োজন পড়বে এবং ইন্টারনেট কানেকশন বাধ্যতামূলক। তাই আপনি কত টাকা খরচ করে কাজ শিখতে পারবেন সেটা আগে ঠিক করুন তারপর আপনার আগ্রহের কাজ শিখুন। 

যদি দ্রুত শেখার প্রয়োজন পড়ে তাহলে কোনো ভালো আইডি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কাজ শিখুন। সবচেয়ে মূল যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে ধৈর্য। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। আশা করি বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন

অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে চাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে কি কি প্রয়োজন পড়বে সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন পড়বে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি জগত যেখানে চাকরি ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করে। তাই আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন এ বিষয়ে জানতে হবে।  চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। 

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আপনার যা যা প্রয়োজনঃ

দক্ষতাঃ কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্যবহার, ইংরেজি ভাষা, যোগাযোগ দক্ষতা এই সমস্ত কিছুর উপর প্রাথমিক দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে। তারপর আপনার যে ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে সেটার উপর নির্ভর করবে। যেমনঃ আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি।

জ্ঞানঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেকেই ইচ্ছা করে কিন্তু জ্ঞান না থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এসে তেমন একটা ডেভলপ করতে পারে না। তাই আপনাকে প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে কাজ করে, কোথায় কাজ খুঁজে পাবেন, ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ, মূল নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার অবশ্যই সাধারণ জ্ঞান থাকবে হবে। এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনি যে ধরণের কাজ করতে চান সে বিষয়েও বিস্তারিত জ্ঞান থাকা জরুরি।

সরঞ্জামঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ প্রয়োজন পড়বে। তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আপনি অনলাইনে কাজ করার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে প্রয়োজনীয় কাজে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের জন্য একটি ওয়েবসাইট কিংবা পোর্টফোলিও তৈরি করুন। যাতে করে আপনার কাজ পেতে অনেক সুবিধা হয়। পাশাপাশি Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তাহলে আপনি খুব দ্রুত কাজ পাবেন। 
আপনি যদি আপনার কাজ উপভোগ করেন তবে আপনি আরো বেশি সফল হবেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে এবং ধীরে ধীরে বড় প্রকল্পগুলিতে যেতে হবে। যদি আপনি চান যে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রচার করবেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। 

তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। তাই আপনাকে সর্বদা নতুন দক্ষতা শিখতে এবং আপনার জ্ঞান প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হবে। তাহলে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো 

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো? এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। কারণ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নাম করে কিছু অসাধু ব্যক্তি আইটি সেন্টার খুলে বসে রয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নাম করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা ইনকাম করা। বর্তমান সময়ে হাজার হাজার ওয়েবসাইট গুগলে রয়েছে যারা কিনা বলে থাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ টাকা আয় করুন। 

কিন্তু আপনি যদি যাচাই-বাছাই না করে আইটি সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে যান তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে অবশ্যই আপনার মাথাটা ঠিক রাখতে হবে। আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ শিখে সফলতা পাবেন সে বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করতে হবে। 
তার জন্য গুগল ইউটিউব রয়েছে সেগুলো থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজের সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখার প্রতিষ্ঠান কোনটা ভালো হবে এ বিষয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। তাই আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনি যে আইটিতে ভর্তি হোন না কেন সে আইটির বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে।

প্রথমতঃ দেখতে হবে সেই ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা কতটুকু সাকসেস হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ যিনি ফ্রিল্যান্সিং শেখায় তার প্রতি মাসে আয় কত টাকা?
তৃতীয়তঃ সেই প্রতিষ্ঠানে কতগুলো ব্যাচ কমপ্লিট করেছে সেটা দেখতে হবে।

এই সমস্ত কিছু জেনে তারপরে আপনার যদি মনে হয় যে এই আইটি আপনার জন্য বেস্ট তাহলে সেখানে আপনি ভর্তি হতে পারেন। কিছু কিছু আইটি সেন্টার রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর আগে ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। তবে এইগুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।

আপনি যদি সফল ফ্রিলেন্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউব গুগল সার্চ করে খুঁজে খুঁজে আপনাকে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে হবে এবং তার ওপরে মাস্টার হতে হবে। যাতে করে আপনি সে বিষয়টি কখনো না ভুলে যান। ইউটিউব গুগল থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তাই আপনার যদি ইচ্ছা শক্তি থাকে তাহলে আপনি YouTube, google থেকে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে খুঁজে পরিশ্রম করে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। 
বর্তমান সময়ে ইউটিউব গুগলে সবকিছুই পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে এই সেক্টরে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন। অনেকেই মন্তব্য করেন যে ইউটিউব থেকে কিংবা গুগল থেকে কোন কিছু শেখা যায় না। কিন্তু আমি বলব যে আপনারা হয়তো ভুল ধারণাই এতদিন করে যাচ্ছেন।

কারণ বর্তমান সময়ে ইউটিউব গুগল থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তাই আপনি যদি চান যে ভালো কিছু করব তাহলে অবশ্যই পারবেন। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা দিকনির্দেশনা না দেখা দিলে কাজে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই তাদের বলব আপনি অবশ্যই সবকিছু ঘাঁটাঘাঁটি করে সঠিক আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন।

যদি আপনি ভালো কোন আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবেন। কখনো কারো কথা শুনে কোনো আইটি সেন্টারে ভর্তি হবেন না। আপনি যে আইটিতেই ভর্তি হোন না কেন সে আইটি সেন্টার বিষয়ে আপনাকে সমস্ত তথ্য জানতে হবে তারপরে ভর্তি হতে হবে।
তাই আপনারা যে কোন কাজ করার আগে অবশ্যই জেনে শুনে বিভিন্ন বিষয়ে ইউটিউব google এ রিসার্চ করে দেখে তারপরে ভর্তি হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো? এই প্রশ্ন যাদের মধ্যে ছিল তারা আশা করি এতক্ষণে সঠিক তথ্য এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে পেয়ে গেছে। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে। তাই আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান কিন্তু কিভাবে শিখবেন সেটা জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিন।

বর্তমানে আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে দিনে দিনে মোবাইলের সংখ্যা আরো অনেক বেশি বেড়ে উঠছে। শুধু একটি স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাটা অতটাও সহজ নয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে স্মার্টফোন লাগবে পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো লাগবে সেটি হচ্ছে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার। সাথে ইন্টারনেট কানেকশন। 
তবে স্মার্টফোন দিয়েও কিছু কিছু কাজ করা যায় যেখান থেকেও আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি সঠিক স্মার্টফোন নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে কোনভাবেই ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম সঠিক স্মার্টফোন নির্বাচন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম অনেক ফাস্ট ফোন প্রয়োজন পড়বে। 

সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ram ভালো এরকম ডিভাইসের ফোন নিতে হবে। এছাড়াও বড় স্কিন, যথেষ্ট স্টোরেজ এবং শক্তিশালী প্রসেসর ওয়ালা একটি স্মার্টফোন লাগবে। তাহলে আপনার খুব দ্রুত কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ডিভাইসের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়। তাই আপনার অবশ্যই কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ প্রয়োজন। 

একটি স্মার্টফোন দিয়ে কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় অনুসারে স্মার্টফোনের অফিস সেট আপ তৈরি করতে হবে এবং ভালো মানের ডেক্সটপের সাথে মিল রেখে একটি ভালো মানের ব্লুটুথ কিবোর্ড নিতে হবে। এছাড়াও আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুবিধার্থে একটি স্ট্যান্ড নিতে হবে যেখানে আপনি কাজ করে সুবিধা পাবেন। আশা করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা | ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪