বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই আমাশয়ের সমস্যাটি হয়ে থাকে। কিন্তু এইটা ভালো
করার উপায় অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার
চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বাচ্চাদের আমাশার
সিরাপ, বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে
যাবেন।
ভূমিকা
অনেক বাচ্চাদেরই আমাশয় রোগটি হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যাটি দূর করার জন্য বিভিন্ন
চিকিৎসা করে থাকেন। তবে আজকে আমি এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম এবং
বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই
আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে এই
বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারেন। এই বিষয়টি সম্পর্কে জানলে আশা করি
অনেক উপকৃত হবেন। তাই আর দেরি না করে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়ে। অনেক মায়েরা রয়েছে যারা
সন্তানের আমাশয় হলে বিভিন্ন ওষুধ, খাবার খাওয়াতে থাকে। তবে আমি আজকের এই
অংশটুকুতে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে খুব সহজেই বাচ্চার
আমাশয় আপনি দ্রুত ঠিক করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এই বিষয়টি
সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
আমাশয় একচুয়ালি একটি ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ অর্থাৎ কোনো বাজে ব্যাকটেরিয়া যখন
ঢুকে যায় শরীরে তখনই তার আমাশয়টা হবে জানটা না যাওয়া পর্যন্ত কিন্তু তার এই
সমস্যাটা থাকবে এবং আমাশয় হলে বাচ্চা কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাশয়
টয়লেট একটু একটু করে হয় একবার কিন্তু হয় না এবং একটু বেদনাদায়ক হয়। যখন এটা হবে
ধরে নিতে হবে আপনার বাচ্চা হয়তো হাত মুখে দিচ্ছে, আপনার কাপড় মুখে দিচ্ছে বা
নিচে থেকে কোন একটা কিছু মুখে দিচ্ছে বাচ্চা।
সেখানে জার্ম ছিল সে জার্মটা থেকে এটা হয়েছে অথবা যেই পেয়ালাতে করে আপনি
খাওয়াচ্ছেন কোনো না কোনো কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া থাকতেই পারে। কারণ আমাদের
ইনভারমেন্ট পলিউশন অনেক বেশি এবং এটা খুবই ন্যাচারাল যখন আমাশয় হবে বাচ্চার
ফ্লুইড যেন ঠিক থাকে এটা খেয়াল করতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্যালাইনটা আপনি সব সময়
চালু রাখতে পারেন। স্যালাইন যদি বাচ্চা না খায় তাহলে ভাতের মাড়, ডালের পানি,
ডাবের পানি এইগুলো খাওয়াতে পারেন।
একদম ঘরে তৈরি করা স্যালাইন একটু আপনি যদি মিনারেল ওয়াটারের সাথে একটু সল্ট একটু
গুড় দিয়ে দেন তাতেই কিন্তু ঘরে তৈরি স্যালাইন হয়ে যায়। এটা ২ থেকে ৩ চামচ করে
করে যদি বাচ্চাকে প্রতিবার টয়লেটের পরে দেন তাহলে কিন্তু তার ফ্লুটেড এর সমতরটা
থাকে। একেবারেই যদি বাচ্চা কিছু খেতে না চাই তাহলে স্যুপ, ভাতের মাড়, ডালের পানি,
ডাবের পানি এইগুলো খাওয়াতে পারেন তাহলে কিন্তু তার ক্যালোরির চাহিদা পূরণ হবে।
এছাড়াও যখন তার ফ্লুইডটা ঠিক থাকবে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স থাকবে অটোমেটিক্যালি
সে তখন সলিড খাবার খাবে। এই সময় সলিড খাবারের মধ্যে জাউ ভাত, ম্যাশ পটেটো,
অ্যাপেল এবং ব্যানানা দিতে পারেন। পাশাপাশি আপনি ডিমের সাদা অংশটা আপনার বাচ্চাকে
দিতে পারেন। আর অন্য যে ভেজিটেবল যেমন লাউ, পটল, জিঙ্গা, চিচিঙ্গা এই জাতীয়
সবজিগুলো আপনি দিতে পারেন। একটু লিফি জাতীয় ভেজিটেবিল যেমন শাক, ডাটা এগুলো আমাশয়
হলে তখন কম দিবেন। দুধ বা দুধ জাতীয় খাবারটাকে একটু বন্ধ রাখবেন আমাশয়ই সময়।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়
ছোট বাচ্চারা মায়ের দুধ পান করে তাই মায়ের যদি খাবারের কোন সমস্যা থাকে তাহলে
সেটা সরাসরি বাচ্চার উপরে যেয়ে প্রভাব পড়বে। তাই বাচ্চার আমাশয় হলে মায়ের যে
সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সে সকল খাবারগুলো আজকে আমরা এই আর্টিকেলের
অংশটুকুতে তুলে ধরেছি। আজকে আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই চলুন আর দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে
জেনে নিন।
মসলাযুক্ত খাবারঃ আপনি যদি আপনার বাচ্চার আমাশয় সমস্যাটি দূর করতে চান
তাহলে আপনাকে ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ আপনি
যদি মসলাযুক্ত বা ঝাল যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার বাচ্চা দুধ পান করলে আমাশয়
সমস্যাটি হতে পারে। তাই ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন।
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ বাচ্চার যদি আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে ফাস্টফুড
জাতীয় খাবারগুলো খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এই খাবারগুলো
আমাশয় বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এইগুলো খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন।
দুগ্ধজাত খাবারঃ কিছু বাচ্চাদের আমাশয়ের সময় দুধ, দই, পনিরের মতো
দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। আর এর ফলে আমাশয় সমস্যাটি হয়ে থাকে। তাই
এগুলো খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
চর্বিযুক্ত খাবারঃ ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, রেড মিটের মতো চর্বিযুক্ত খাবার
হজম করা কঠিন তাই এই খাবারগুলো পেটে অস্বস্তি বাড়াতে পারে ফলে আমাশয়ের মত
সমস্যা হতে পারে।
বাসি খাবার পরিত্যাগ করুনঃ বাসি যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাবার এড়িয়ে
চলার চেষ্টা করুন। কারণ এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে
পারে আর এর ফলে আমাশয় পর্যন্ত হতে পারে।
মনে রাখবেনঃ
- আপনার বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে তরল জিনিসগুলো পান করতে উৎসাহিত করুন।
- আপনার বাচ্চার যদি অনেক বেশি ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, জ্বর থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।
- এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং কোনও চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার বাচ্চাদের জন্য সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম
আজকে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম। যে সকল বাচ্চাদের আমশয় হয়ে
থাকে সে সকল বাচ্চাদের যে ওষুধগুলো খাওয়ালে খুব দ্রুত আমশয় থেকে আরাম পায় সে
ওষুধগুলো আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই
আমাশয় ওষুধের নাম জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। চলুন তাহলে
আর দেরি না করে ওষুধগুলোর নাম জেনে নিন।
যদি আপনার বাচ্চার আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে ফিলমেট ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ঔষধটি
খাওয়াতে পারেন। এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার আমাশয়ের মত সমস্যাগুলো
খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনার বাচ্চার আমাশয়ের জন্য সিপ্রোসিন ২৫০
মি.গ্রা. ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে যার মধ্যে একটি হচ্ছে আমাশয়।
এছাড়াও আমাশয় আক্রান্ত শিশুদের ঔষধ নাম আরও রয়েছে যেমনঃ
- লোপারামাইড
- মেট্রোনিডাজল
- সেক্নিডাজল
বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আজকে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের আমাশা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা বিষয়ে আপনারা যারা
এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে
পারেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
- গাজরের রস
- লেবুর রস
- কামলা লেবুর রস
- কাঁচা ডালিমের রস
- আদার রস
- বেলের শরবত
এইগুলো খাওয়ার ফলে আপনার শিশুর আমশয় এর মত সমস্যাগুলো খুব দ্রুত দূর হয়ে
যাবে তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যখন আমাশয় হবে ঠিক তখন এই খাবারগুলো
নিয়মিত খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
বাচ্চাদের আমাশার সিরাপ
বাচ্চাদের আমাশয় হলে মূলত কয়েকটি সিরাপ ব্যবহার করা হয় যে সিরাপগুলো নাম
আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা আমশায়ের
সিরাপগুলোর নাম জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে
পারেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
- জিংক সিরাপ
- ফিলমেট
- মেট্রো
উপরে উল্লেখিত যে কয়েকটি সিরাপের নাম দেয়া হয়েছে এগুলো মূলত বাচ্চাদের
আমাশয় হলে এই সিরাপগুলো খাওয়ানো হয়। তাই যারা এই সিরাপগুলোর নাম জানেন না
আশা করি তারা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে পেরেছেন। তবে সবচেয়ে
ভালো হয় আপনি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন কারণ বাচ্চার যে সমস্যা হয়েছে
সেটা চেক করে তার ওপর নির্ভর করে ওষুধ দিয়ে থাকেন।
শেষ কথা | বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম এবং
বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে
সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url