ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনার এই বিষয়টি
সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেরই ফ্রিজ
রয়েছে। কিন্তু ফ্রিজের নরমালে বরফ জমে কেন সেটা অনেকেই জানে না। তাই আজকে আমি এই
সম্পর্কে সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা
কত থাকে, ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখব, ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকে, যমুনা ফ্রিজের
পাওয়ার কত রাখা উচিত, ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা
পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
প্রায় কম বেশি সকলের বাড়ি বাড়ি ফ্রিজ রয়েছে। তবে ফ্রিজ চালানোর সঠিক নিয়ম না
জানলে ফ্রিজের পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে এটাই স্বাভাবিক। যে
সমস্যার কারণে ফ্রিজ নষ্ট হয়েও যেতে পারে। তাই আপনাকে ফ্রিজ কেনার আগে কিংবা
ফ্রিজ নেয়ার পরে হলেও ফ্রিজে খাবার রাখার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তাই আজকে আমি এই
আর্টিকেলে আলোচনা করব ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ ও সমাধান এবং ফ্রিজের পাওয়ার
কত রাখব এই বিষয়টি সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে
জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে জেনে নিন। চলুন তাহলে আর দেরি না
করে জেনে নিন।
ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম
আজকে আমরা আলোচনা করব ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছে
যারা নতুন ফ্রিজ কিনার পর সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম না জানার কারণে ফ্রিজের
সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনারা কিভাবে ওয়ালটন ফ্রিজ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন সে
নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। আসুন তাহলে আর দেরি না করে এই বিষয়টি
সম্পর্কে জেনে নিন।
ওয়ালটন ফ্রিজ নতুন কিনে এনে ঘরে আনার পর সাথে সাথে চালু করবেন না। কারণ,
পরিবহনের সময় ফ্রিজের গ্যাস ঝাঁকুনিতে সংকুচিত হতে পারে। তাই ঘরে এনে কয়েক
ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে গ্যাস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তারপর চালু করুন।
এছাড়াও ফ্রিজের জন্য ভালো মানের একটি আলাদা বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করুন। যাতে করে
ফ্রিজ ভালো থাকে। মাল্টিপ্লাগ ব্যবহারে ফ্রিজের মোটরের উপর চাপ পড়তে পারে এবং
বিদ্যুৎ খরচও বেশি হতে পারে।
যদি বিদ্যুৎ লাইনে ভোল্টেজের কম বেশি হয় তাহলে ফ্রিজের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে
পারে। তাই বিদ্যুৎ লাইনে ভোল্টেজ কম বেশি হলে সেটা ঠিক করে তারপর ফ্রিজ অন করা
ভালো। ফ্রিজের দরজা বেশিক্ষণ খোলা রাখলে ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ খরচ
বেশি হয়। তাই দরকার হলে দ্রুত জিনিসপত্র নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিন। ফ্রিজের
ভেতর-বাইর নিয়মিত পরিষ্কার করুন। তাতে ফ্রিজে দুর্গন্ধ হবে না এবং বিদ্যুৎ খরচও
কম হবে।
ফ্রিজে অতিরিক্ত জিনিসপত্র ভরে ফ্রিজের ভেতরের বাতাস চলাচল বন্ধ করে দিলে ফ্রিজ
ঠান্ডা করতে বেশি সময় লাগবে এবং বিদ্যুৎ খরচও বেশি হবে। এরপর গরম খাবার ফ্রিজে
রাখলে ফ্রিজের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং অন্যান্য খাবার নষ্ট হতে পারে। তাই
খাবার ঠান্ডা করে তারপর ফ্রিজে রাখুন। এতে করে ফ্রিজের কোনো সমস্যা হবে না।
এইভাবে যদি আপনি ওয়ালটন সহ যেকোনো ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ফ্রিজ
দীর্ঘদিন যাবে এবং ভালো থাকবে।
যমুনা ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত
অনেকেই রয়েছে যারা যমুনা ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত এই সম্পর্কে জানতে চান।
তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু
থেকে জেনে নিবেন। আশা করি যমুনা ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত সেটা আপনি সঠিকভাবে
জেনে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
যমুনা ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর,
যেমনঃ
আবহাওয়াঃ গরমের সময় ফ্রিজের পাওয়ার বেশি রাখতে হবে, কারণ বাইরের
তাপমাত্রা বেশি থাকে। শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকে, তাই পাওয়ার কম রাখা যাবে।
ফ্রিজে রাখা খাবারের পরিমাণঃ ফ্রিজে যদি অনেক খাবার থাকে, তাহলে পাওয়ার
বেশি রাখতে হবে। কম খাবার থাকলে পাওয়ার কম রাখা যাবে।
ফ্রিজের ধরণঃ নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের তুলনায় ফ্রস্টেড ফ্রিজে বেশি ঠান্ডা
লাগে, তাই ফ্রস্টেড ফ্রিজের পাওয়ার বেশি রাখতে হবে।
সাধারণভাবে, যমুনা ফ্রিজের পাওয়ার ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে রাখা যেতে পারে।
ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকে
অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্রিজে বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করেন এবং তাপমাত্রা দিয়ে
থাকেন। কিন্তু ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকলে ভালো সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে
আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে
আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই
আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন।
ফ্রিজের তাপমাত্রা দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) তাপমাত্রাঃ এটি হল ফ্রিজের মূল অংশ যেখানে সাধারণ
খাবার রাখা হয়। রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৯ ডিগ্রি
ফরেনহাইট) এর নিচে রাখা উচিত।
ফ্রিজার তাপমাত্রাঃ এটি হল ফ্রিজের একটি ছোট অংশ যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে
খাবার সংরক্ষণ করা হয়। ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (০ ডিগ্রি
ফরেনহাইট) এর নিচে রাখা উচিত।
ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ
আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করব ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ
সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছে যারা নরমালে বিভিন্ন জিনিস রাখেন। যে জিনিসগুলো ফ্রিজে
রাখছেন সেগুলো সঠিক নিয়মে ফ্রিজের না রাখতে জানলে ফ্রিজের নরমালে বরফ জমে যাবে।
তাই আপনি যখন ফ্রিজ ব্যবহার করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই ফ্রিজের সঠিক ব্যবহারের
নিয়ম জানতে হবে।
তাই আজকে আমি আর্টিকেল এর অংশটুকুতে ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ সম্পর্কে সঠিক
একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না
তারা অবশ্যই এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
আপনি যদি ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা এবং বন্ধ করলে বাইরে গরম বাতাস ভেতরে ঢুকে বরফ
জমার কারণ হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনীয়
ছাড়া ফ্রিজ খোলা না হয়। এছাড়াও ফ্রিজের তাপমাত্রা বেশি রাখলে ভেতরের আর্দ্রতা
বেড়ে বরফ জমতে পারে। তাই আপনাকে সঠিক তাপমাত্রা ফ্রিজে দিয়ে রাখতে হবে। আপনি
যদি খাবার ঢেকে না রাখেন বা ভেজা জিনিসপত্র ফ্রিজে রাখেন তাহলে ফ্রিজের ভেতরে
আর্দ্রতা বেড়ে বরফ জমতে পারে।
সুতরাং জিনিসপত্র ফ্রিজে রাখার সময় অবশ্যই ভালোভাবে দেখে শুনে রাখা উচিত। যে কোন
খাবার রাখলে ঢাকনা দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে রাখলে ফ্রিজের ভেতরে বরফ জমতে পারে না।
নিয়মিত ফ্রিজের ডিফ্রস্ট না করলে বরফের স্তর বেড়ে যায় এবং ফ্রিজের কার্যকারিতা
কমে যায়। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত ফ্রিজের ডিফ্রস্ট করতে হবে। ফ্রিজের দরজার
রাবারে ফাঁক থাকলে বাইরের বাতাস ভেতরে ঢুকে বরফ জমার কারণ হতে পারে।
তাই ফ্রিজের দরজার রাবার পরীক্ষা করে দেখুন কোন ফাঁক আছে কিনা। ফ্রিজের কোন
ত্রুটি থাকলেও অতিরিক্ত বরফ জমতে পারে। সুতরাং ফ্রিজে কোন ত্রুটি থাকলে একজন
মিস্ত্রিকে ডেকে দেখানো প্রয়োজন। ফ্রিজে নিয়মিত নজর রাখলে এবং উপরে বলা
সমাধানগুলো অনুসরণ করলে অতিরিক্ত বরফ জমার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আশা করি
ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ ও সমাধান সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখব
কমবেশি সকলের বাসায় এখন বর্তমান ফ্রিজ রয়েছে। তবে ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা ভালো
সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ফ্রিজের পাওয়ার কত
রাখব এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। ফ্রিজের পাওয়ার কত
রাখা উচিত তার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। তাই আপনারা যারা জানেন না তারা
অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
যখন আবহাওয়া গরম থাকবে তখন ফ্রিজের পাওয়ার বেশি রাখতে হবে কারণ বাইরে তাপমাত্রা
বেশি থাকে। আর শীতের সময় তাপমাত্রা এমনিতেই অনেক কম থাকে তাই ফ্রিজের পাওয়ার
তখন কম রাখলেও তেমন কোন সমস্যা হয় না। যদি ফ্রিজে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার থাকে
তাহলে পাওয়ার বেশি রাখতে হবে।
আর যদি কম খাবার থাকে তাহলে অবশ্যই কম পাওয়ার রাখা যাবে। সাধারণভাবে বাংলাদেশের
আবহাওয়ায় যমুনা বা ওয়ালটন ফ্রিজের পাওয়ার ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে রাখা যেতে পারে।
আশা করি ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখব আমরা সেটা সঠিকভাবে জানতে পারেছি।
ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকে
অনেকেই রয়েছে যারা ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘদিন পর্যন্ত খাবার সংরক্ষণ রাখেন। তবে সঠিক
তাপমাত্রা না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই ফ্রিজের সঠিক
তাপমাত্রা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ডিপ
ফ্রিজের তাপমাত্রা কত থাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা
করব। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই আর্টিকেলের
অংশটুকু ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আশা করি এই বিষয়টি জানলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার সংরক্ষণ করা হয়। তাই আপনাকে ফ্রিজের তাপমাত্রা
কম রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে খাবার নষ্ট না হয়। ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা
নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বিভিন্ন মডেলের ভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে। কিছু ডিপ
ফ্রিজে ২টি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে, (১) ফ্রিজারের জন্য এবং (২)ডিপ ফ্রিজারের
জন্য। সাধারণত ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (০ ডিগ্রি
ফারেনহাইট) এর নিচে রাখা উচিত।
শেষ কথা | ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ফ্রিজের নরমালে বরফ জমার কারণ এবং
ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখব এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে
পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url