বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনার এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা অনেকেই পানি খেয়ে থাকি কারণ পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু বাসি মুখে পানি খেলে কি কি উপকার হবে এই সম্পর্কে অনেকেই জানি না। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত, পানি খাওয়ার অপকারিতা, পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, রাতে বেশি পানি খেলে কি হয়, ইসলামে পানি খাওয়ার নিয়ম, রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
পৃথিবীতে যতগুলো মানুষ জীবজন্তু পাখি সবাই পানি খেয়ে বেঁচে থাকে। কারণ পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা যাবে না এইটা আমরা সবাই জানি। যেকোনো খাবার খায় না কেন পানি বাধ্যতামূলক খেতেই হবে। আমরা সবাই জানি পানি ছাড়া আমাদের বাঁচা অসম্ভব। তাই পানি সবসময়ই পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে। কারণ শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কি জানি বাসি মুখে পানি খেলে কি কি উপকার হবে? হয়তো অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমি আর্টিকেলে বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও ইসলামে পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক এই সমস্ত বিষয়গুলো।
রাতে বেশি পানি খেলে কি হয়
ঘুমের সময় আমাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝরিয়ে পানি হারাই। তবে পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর রাত ভর আদ্রও থাকে। এছাড়াও পানি ত্বকের কোষগুলোকে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে যা ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারের আগে পানি পান করলে ক্ষুধা কমে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে পর্যাপ্ত পানি পান করে ঘুমালে সকালে উঠে আপনার মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
তাই আপনার শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীর ভালো রাখার জন্য সারাদিনে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা খুবই জরুরী। পানির অপর নাম জীবন তাই আপনাকে বেঁচে থাকতে হলে পানি পান করতেই হবে। তবে অনেকের মনে একটা সন্দেহ থেকেই যায় যে রাতে বেশি পানি খেলে কি হয়? আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে এবার জেনে নিন সেই সমস্যাগুলো।
- আপনি যদি অতিরিক্ত পানি পান করেন তাহলে রাতে বারবার টয়লেটে যেতে হবে। এর ফলে আপনার ঘুম নষ্ট হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম হবে না।
- রাতে বেশি পানি পান করলে কিডনির উপর চাপ বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে আপনার কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা একটি ভয়াবহ রোগ।
- রাতে বেশি পরিমাণে পানি পান করলে আপনার পা ফোলা ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
- আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত পানি খান তাহলে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন রাতে বেশি পানি খেলে কি হয়।
তাই আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। আর বিশেষ করে ঘুমানোর এক থেকে দুই ঘন্টা আগে পানি পান করবেন। ঘুমাতে যাওয়ার সময় পানি পান করলে সমস্যা দেখা দেবে। তাই ওপরে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেটা পড়ে জেনে নিন।
রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? অনেক মানুষের সকালে উঠে হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে হালকা কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়। এছাড়াও এই গরম পানি শুধু যে স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারিতা তা নয় এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
বিশেষ করে আপনার হজমের উন্নতি করতে সাহায্য করবে। কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা রাতে ঘুমানোর আগে গরম পানি পান করা থেকে বিরত থাকেন। কারণ তারা মনে করেন যে রাতে পানি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অথবা বারবার বাথরুমে যাওয়া লাগতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। তবে নিচে কিছু বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে সেগুলো একবার জেনে নিন।
হজমের উন্নতি ঘটায়ঃ আপনি যদি রাতে হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন তাহলে আপনার দ্রুত হজম হবে। কারণ আমাদের শরীরে দিনের থেকে রাতে পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই রাতে গরম পানি পান করলে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে রাতে গরম পানি খেতে পারেন। কারণ গরম পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানি পান করে ওজন কমানোর জন্য। তাই আপনি যদি দ্বিগুণ ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম পানি পান করুন। তবে এগুলো করার আগে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর করবেন। কারণ সব কিছুরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।
বিষন্নতা থেকে মুক্তিঃ স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কারণ পানি আমাদের শরীর সুন্দর ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তবে, পানির অভাবে বিষন্নতার সমস্যা হতে পারে। তাই রাতে গরম পানি খেলে আপনি বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাবেন এবং মেজাজ ও ভালো থাকবে।
শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়ঃ আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। যার ফলে বেশি বেশি ঘাম হবে। ঠিক এই ঘামের কারণে আপনার রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকেই ঘুমের সময় পানি পান করে ঘুমায় না। এরকম পরিস্থিতিতে সকালে ঘুম থেকে উঠে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে অনেকেই বলেন যে বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু কি কি উপকারিতা রয়েছে জানতে হবে তো তাই না? চলুন তাহলে কি কি উপকারিতা রয়েছে জেনে নিন।
আপনি যদি সকালে উঠে বাসে মুখে পানি পান করেন তাহলে আপনার মুখের জীবাণু দূর হয়। এছাড়াও বাসি পেটে পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি প্রতিদিন এই অভ্যাস তৈরি করেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার। এছাড়াও ঘনঘন সর্দি বা কাশি হয় না। তবে বাসি পেটে পানি খাওয়ার আরও একটি উপকারিতা রয়েছে সেটা হচ্ছে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু রয়েছে।
ইসলামে পানি খাওয়ার নিয়ম
ইসলামে পানি খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সুন্নত রয়েছে যা মেনে চললে আল্লাহ্ তায়ালা আপনার ওপর অনেক খুশি হবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
সুন্নতগুলো হলোঃ
ডান হাতে পানি পান করাঃ হাদিসে রয়েছে, নবী (সাঃ) ডান হাত ব্যবহার করে সকল কাজ করতেন এবং ডান হাত দিয়ে পানি পান করতেন। তাই আমাদের ডান হাত দিয়ে পানি পান করতে হবে।
বসে পানি পান করাঃ বসে পানি পান করা সুন্নত। তাই আপনি যদি একজন মুসলিম হন তাহলে দাঁড়িয়ে পানি না খেয়ে বসে খাবেন তাহলে আমাদের নবী অনেক খুশি হবেন।
তিনবার নিঃশ্বাস নিয়ে পানি পান করাঃ পানি পান করার সময় তিনবার নিঃশ্বাস নিয়ে পানি পান করুন। অল্প অল্প করে পান করা সুন্নত।
"বিসমিল্লাহ" দিয়ে শুরু করা এবং "আলহামদুলিল্লাহ" দিয়ে শেষ করাঃ পানি পান করার আগে আমাদের প্রথমে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে পানি পান করতে হবে এবং পানি পান করা শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। এটি একটি সুন্নত।
পানি পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে ডান পাশের জনকে প্রথমে দেওয়া সুন্নত। এমনকি কোনো বাক্তি যদি পানি খেতে চাই তাহলে ডান হাত দিয়ে সেই বাক্তিকে পানি দেওয়া সুন্নত। যদি সম্ভব হয় তাহলে যমযমের পানি পান করতে পারেন। কারণ এই পানি অনেক পবিত্র পানি এটি খাওয়া অত্যন্ত সুন্নত।
পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি দৈনন্দিন জীবনে পর্যাপ্ত পানি পান করলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে। প্রতিদিন আপনাকে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। কারণ শরীরে যত বেশি পানি দিবেন ততই উপকার পাবেন। আপনার শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি যে কোন খাবারই খান না কেন আপনার পানির প্রয়োজন পড়বেই। কেননা পানির অপর নাম জীবন।
আপনি যদি পানি না খান তাহলে আপনার মৃত্যু অনিবার্য। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আপনি যখন শারীরিক ব্যায়াম করবেন তখন আপনার প্রচুর পরিমাণে ঘাম শরীর থেকে বের হয়ে যাবে তখন আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কেননা পর্যাপ্ত পানি পান না করলে আপনার পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
তবে যদি অতিরিক্ত পানি পান করা হয় তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পেটে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে, ক্লান্ত বোধ হতে পারে, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, মাথা ব্যাথা করতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, এই সমস্যাগুলো পানি শূন্যতার কারণে হয়ে থাকে। তাই আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
এতে করে আপনি অনেক সুস্থ থাকবেন। এছাড়াও আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করেন তাহলে আপনার কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করার কারণে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পানি খাওয়ার অপকারিতা
আপনারা সকলেই জানেন যে কোন জিনিসের যদি উপকারিতা থাকে ঠিক তেমনি আবার অপকারিতাও থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে পানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ অতিরিক্ত পানি খেলে আপনার কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যাদের লিভার অথবা হার্টের সমস্যা কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা বুঝে শুনে পানি খাবেন। কারণ অতিরিক্ত পানি খেলে এই সমস্যাগুলো আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত পানি পান না করে, পর্যাপ্ত পানি পান করে নিজের শরীর সুস্থ রাখুন।
প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত
আজকে আমরা আলোচনা করব প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে? অনেক মানুষ রয়েছে যারা পানি পান করে কিন্তু কত লিটার খেতে হবে সেটা জানেন না। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। আর আপনি যদি সঠিকভাবে পানি না পান করেন তাহলে আপনার শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের অংশে কত লিটার পানি আমাদের খাওয়া উচিত সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
সাধারণত একজন মানুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের আরেকটু বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। কারণ নিয়মিত ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যায় তখন পানি শূন্যতা দেখা দেয়। ঠিক সেই কারণেই তাদেরকে একটু বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত পানি পান করা শরীরের জন্য একদম ক্ষতিকর।
তাই অতিরিক্ত পানি না খেয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করবেন। কিশোর কিশোরীদের প্রতিদিন ২ থেকে ২.৫ লিটার পানি পান করা উচিত। এছাড়াও শাক সবজি ফল এগুলো খেতে পারেন এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। দিনের বেলায় নিয়মিত পানি পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। আশা করি প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা পেয়েছেন।
শেষ কথা | বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং ইসলামে পানি খাওয়ার নিয়ম এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url