লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনার এই
বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা
অনেকেই লাউ খেয়ে থাকি। কিন্তু লাউ খেলে যে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা হবে সেটা
সম্পর্কে জানিনা। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে লাউ এর জুস কিভাবে
বানায়, লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে, গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা, লাউ এর
রসের উপকারিতা, লাউ খাওয়ার অপকারিতা, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
আমরা অনেকেই লাউ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি আবার অনেকেই করি না। তবে এই লাউ দামে
সস্তা হলেও খেতে অনেক সুস্বাদু। এছাড়াও এই লাউয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এর
অনেক পুষ্টিগুণ। এটি খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়াও এই লাউ
শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি এই লাউ খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এছাড়াও লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে এই বিষয়েও আলোচনা করব। তাই আপনি যদি সমস্ত
বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। তাই চলুন আর দেরি
না করে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা
আজকে আমরা আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই
গর্ভাবস্থায় লাউ খেয়ে থাকেন কিন্তু এর যে উপকারিতা রয়েছে সেটা সম্পর্কে অনেকেই
জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তাই আপনি যদি এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
বিশেষ করে গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। গর্ভবস্থায় যেহেতু গর্ভবতীরা ডিহাইড্রেশনের ভুগে
থাকে তাই লাউ খেলে এই পানির চাহিদা পূরণ হবে। গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়েরা ডায়রিয়া
জনিত বিভিন্ন সমস্যার থাকেন তাই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিবে। লাউ যদি সেবন করা
যায় তাহলে ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়তা করবে এছাড়াও অন্যান্য
শারীরিক সমস্যা থেকেও গর্ভবতীকে দূরে রাখবে।
গর্ভকালীন সময়ে অনেক মা প্রস্রাবের ইনফেকশনের ভোগে থাকেন লাউ খেলে কিডনির
কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
একেবারে হয় না বললেই চলে। গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগে
থাকেন। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য অশ্ব বা পালস এমনকি পেটফাঁপা জনিত রোগগুলো থেকে দূরে
রাখে বা নিরাময় করে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতীরা পটাশিয়ামের অভাবে ভুগে
থাকেন।
গর্ভাবস্থায় পটাশিয়াম খাদ্য তালিকায় রাখার খুবই জরুরী। তাই খাবারের তালিকায়
লাউ রাখাটা জরুরী। কারণ লাউতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণের
পটাশিয়াম থাকায় লাউ উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। প্রতি ১০০
গ্রাম লাউয়ে প্রায় ৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ
কার্যকর। এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায়
হার্টের রোগে ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে এটা বেশ উপকার দিবে।
তাছাড়া জন্ডিস ও কিডনির সমস্যায় খেতে পারেন এই লাউ। আপনি যদি গর্ভাবস্থায়
অতিরিক্ত ওজন গেইন করে ফেলেন সেক্ষেত্রেও লাউ খেলে কিছুটা ওজন কমাতে সাহায্য
করবে। তাছাড়া যে সকল নারীরা আগে থেকে ডায়াবেটিসে ভোগের গর্ভবতী হয়েছেন বা
গর্ভবস্থায় ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে তারা লাউের বিচি খেতে পারেন এটা
খুবই উপকারী।
এছাড়াও খাবার হজম হতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, এমনকি এলসিডিটির সমস্যা অনেকটা
কমাতে লাউ খেতে পারেন। প্রস্রাবের ইনফেকশন বা ঘনঘন প্রস্রাব হলেও আপনি এ লাউ সেবন
করবেন। আশা করি গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক উপকৃত
হয়েছেন।
লাউ এর রসের উপকারিতা
আজকে আমরা আলোচনা করবো লাউ এর রসের উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই সবজি হিসেবে
লাউ চিনে থাকি। এই লাউ অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই খেতে পছন্দ করেন
না। কিন্তু এই লাউ এর রসের উপকারিতা যে রয়েছে সেটা শুনলে আপনারা চোখ কপালে উঠে
যাবে। আপনারা যদি প্রতিদিন লাউ এর রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন
সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লাউয়ের রস কিংবা সেদ্ধ লাউ খেতে পারেন তাহলে
আপনার রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং আপনার পেট ঠান্ডা রাখতে
সাহায্য করবে। তবে এই লাউ শুধু শরীরের জন্য নয় এটা ত্বকের সমস্যাও দূর করতে
সাহায্য করে। তাই আপনি যদি এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন
তাহলে লাউ এর রসের উপকারিতা সম্পর্কে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে
আর দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
ব্রণ কমায়ঃ আপনি যদি প্রতিদিন লাউ এর রস কিংবা লাউ রান্না করে খেতে
পারেন তাহলে আপনার রক্ত পরিষ্কার থাকবে এবং মুখের র্যাশ ও ব্রণের সমস্যা দূর
হবে।
ত্বক টান টান রাখেঃ অনেক সময় দেখা যায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির
প্রভাবে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। অল্পতেই বয়সের ছাপ দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা দূর
করতে চাইলে লাউ খেতে পারেন। তাই আপনি যদি প্রতিদিন লাউ খেতে পারেন তাহলে আপনার
ত্বক অনেক সুন্দর থাকবে।
বলিরেখা কমায়ঃ অনেকেরই ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে সমাধান
পেতে লাউ খেতে পারেন। কারণ লাউয়ে রয়েছে ভিটামিন সি ও জিংক এ দুটি আপনার
ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই নিয়মিত লাউয়ের
রস খেতে পারেন।
জিল্লা ফেরায়ঃ লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা শরীর ভালো
রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এই পুষ্টিগুণগুলো শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
এছাড়াও শরীরের ভেতর থেকে ভালো রেখে ত্বকের স্বাভাবিক জেলা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে
সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন লাউ এর রসের উপকারিতা কতটুকু
রয়েছে।
লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আমরা আলোচনা করবো লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই এই
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তাই আমি আজকে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করবো। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে
পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে বুঝে শুনে খাবার খেতে হবে। এমন খাবার খেতে হবে যা খেলে
শরীর সুস্থ থাকবে। আজকের এই আর্টিকেলে এমনই একটি খাবার সম্পর্কে জানাবো যা খেলে
তীব্র গরমেও আপনার পেট ও শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন। বন্ধুরা এই
গরমে লাউ খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরমের জন্য এটি আদর্শ খাবার সুস্বাদু ও
পুষ্টিকর এই সবজি। ঝোল, নিরামিষ, ভাজি ভর্তা কিংবা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়।
আর গরমে এই সবজি খেলে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায় প্রতি ১০০ গ্রাম লাউে রয়েছে
কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি ৬
গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম
এবং নিকোটিন অ্যাসিড ০.২ মিলিগ্রাম। এছাড়াও লাউে রয়েছে খনিজ ও লবণ ভিটামিন
বি-১, ভিটামিন বি-২ আয়রন সহ আরো বিভিন্ন উপাদান। কম ক্যালরি সম্পূর্ণ লাউে ৯৬
শতাংশই পানি।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটেরি ফাইবার তাই লাউ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
একারণে লাউ ওজন কমাতে সহায়ক। এই সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও নিরাপদ। ৯৬ শতাংশ
পানি থাকার কারণে গরমে এই সবজিটি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। লাউ এর প্রচুর পরিমাণে
দ্রবণীয় ও অদ্রবনীয় ডায়েটারি ফাইবার আছে। দ্রবনীয় ডায়েটারি ফাইবার খাবার হজম
করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে।
এছাড়া নিয়মিত লাউ খেলে বুক জ্বালা করা, এসিডিটি, পেটফাঁপা, অজিন্ন ও
কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর হয়। লাউয়ে অদ্রবণীয় ডায়েটারি ফাইবার থাকায় এটি খেলে
পাইলসের সমস্যা দূর হয়। লাউয়ের মূল উপাদান হলো পানি তাই লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা
থাকে এবং রাতে ভালো ঘুম হয়। গরমের দিনে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে যে পানি ও খনিজ
ও লবণ বের হয়ে যায় তার অনেকটাই পূরণ করতে পারে লাউ লাউ। লাউের প্রাকৃতিক
প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ফাইবার সহ অনেক উপাদান রয়েছে তাই ত্বক সুস্থ ও মসৃণ
রাখতে সাহায্য করে লাউ।
এছাড়াও ত্বকের তৈলাক্তে সমস্যা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই লাউ। এমনকি
লাউ খেলে মুখের ব্রণের প্রবণতাও কমে। জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের অসুখে
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে প্রচুর পরিমাণে লাউয়ের তরকারি খেতে পারেন। এতে
শরীরের পানি শূন্যতা দূর হবে। নিয়মিত লাউ খেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা হলদে
হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। লাউ এর মত লাউ শাকিয়ে রয়েছে নানা
উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।
এই শাক ফলিক এসিড সমৃদ্ধ। ফলিক এসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের
বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এতে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশু জন্ম হতে
পারে। লাউ শাকে থাকা ভিটামিন সি ঠান্ডা জ্বর সর্দি ও যেকোনো ধরনের সংক্রমণ
প্রতিরোধে সাহায্য করে। উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় এটি অস্টিওপোরোসিস ও
অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। সুতরাং এই গরমে বিভিন্ন অসুখ
থেকে বাঁচতে এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য লাউ ও লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ খাওয়ার অপকারিতা
আপনারা সকলেই জানেন সব কিছুর যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনই অপকারিতাও রয়েছে।
তাই লাউ খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন
হয়তো লাউ খাওয়ার উপকারিতা কিন্তু কয়জন জানেন লাউ খাওয়ার অপকারিতা? হয়তো
অনেকেই জানেন না। তাই যারা অনেক বেশি লাউ খেতে পছন্দ করেন তারা তো অবশ্যই এই লাউ
খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলের অংশ থেকে
জেনে নিন।
- যে সকল ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা লাউ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ লাউ খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা আরো অনেক বেড়ে যেতে পারে।
- এছাড়াও যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা লাউ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এটা খুবই জরুরী।
লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে?
আজকে আমরা আলোচনা করব লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে এই বিষয়ে? অনেকেই এই
বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রাখার জন্য বিভিন্ন কথা বলে থাকেন। কিন্তু
এই লাউ খেলে কি আসলেই ঠান্ডা লাগে কিনা এটা তো জানার প্রয়োজন তাই না। তাই
আজকে আমি এই আর্টিকেল থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা
দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে চান
তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে অংশ থেকে
জেনে নিন।
লাউ খেলে ঠান্ডা লাগার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ঠান্ডা লাগার জন্য সাধারণত
ভাইরাস দায়ী। লাউতে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার সহ প্রচুর পুষ্টি
রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে, ঠান্ডা
আবহাওয়ায় ঠান্ডা লাউ খেলে গলা ব্যথা বা কাশি হতে পারে। কারণ ঠান্ডা
খাবার গলায় ঠান্ডা অনুভূতি তৈরি করতে পারে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়ায়
একটু হালকা গরম করে খেলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
আমরা সকলেই জানি লাউ একটি ঠান্ডা জাতীয় খাবার। এটি খেলে পেট ঠান্ডা থাকে,
হজমের সমস্যা হয় না। এছাড়াও এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই অনেকেই এই
লাউ খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে গ্রামঞ্চলে এই লাউ অনেক উৎপাদন হয়। এগুলো
বাজারে বিক্রয় করার ফলে বিভিন্ন মানুষ কিনে খেতে পারেন। তবে এই লাউ দামে
সস্তা হলেও খেতে অনেক সুস্বাদু।
এছাড়াও এই লাউ খেতে সুস্বাদু বটে কিন্তু এই লাউ পুষ্টিগুণে
অনেক ভরপুর। তাই এই লাউ খেতে পারলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা খুব দ্রুত
দূর হয়ে যাবে। আশা করি লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পাশাপাশি লাউ খেলে
কি ঠান্ডা লাগে? এই বিষয়ে জেনে আপনি হইত অনেক উপকৃত হয়েছেন।
লাউ এর জুস কিভাবে বানায়?
আপনি যখন লাউ এর জুস বানাবেন তখন আপনাকে যেটা করতে হবে প্রথমে দুটো ছোট আকারের লাউ নিতে হবে। এরপর লাউ দুটো অল্প করে খোসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে মিক্সচার গ্রাইন্ডার দিতে হবে। যদি কচি লাউ হয় তাহলে খোসা ছাড়ানোর দরকার নেই। মিক্সার গ্রাইন্ডারে লাউয়ের টুকরোগুলো দেবার পর এর মধ্যে ৪ থেকে ৫টা তুলসী পাতা ও একটু আদা। এছাড়াও এর মধ্যে ছোট চামচের এক চামচ পরিমাণ গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নিবেন।তারপর হাফ গ্লাস পরিমাণ পানি দিবেন। লাউয়ের জুস বানানোর সময় একটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে লাউটা যেন তিতো না হয়। তাই লাউটা যখন আপনি কাটবেন তখনই একটু টুকরো কেটে মুখে দিয়ে দেখে নেবেন লাউটা যেন তিতো না হয়। এরপর মিক্সার গ্রাইন্ডার দিয়ে ভালো করে গ্রাইন করে নিবেন। এরপরে এই পেস্টটা ছাকনিতে ঢেলে ভালো করে রসটা ছেঁকে নিবেন। এরপর এর মধ্যে লেবুর রস মিশ্রণ করে নিবেন।
লাউের জুস খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা আছে। প্রথমতই লাউয়ের জুস যদি আপনি প্রত্যেকদিন সকালে নিয়মিত পান করেন তাহলে এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য খুব বেশি উপকারী লাউের জুস। তাছাড়াও এটা ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো। এটি সুগার, প্রেসার এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুব ভালো।
যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, যাদের খাবার ঠিক মতো হজম হয় না তাদের জন্য খুব উপকারী। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এই লাউের জুসটা পান করা উচিত। এটা খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা পরে তারপর আপনি খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও এই লাউের জুসের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এক চামচ মধু দিয়ে এরপর এটাকে নাড়াচাড়া করে নিয়ে তারপর খাবেন। লাউয়ের রস শরীরকে শীতল রাখে এর মধ্যে ৯২ শতাংশ পানি আছে সেকারণে শরীরে পানির চাহিদাটা মেটায়।
এটি আপনার শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার কে বাড়িয়ে দেয়। কারণ এটি ডি টক্স জুস এটা শরীর থেকে সমস্ত রকম টক্সিন টাকে বার করে দেয় এর ফলে শরীর থাকে তরতাজা। লাউের উপকারিতা ক্ষমতা প্রচুর। এই লাউের প্রচুর গুণাগুণ আছে। যতই বলবো সেটাই কম বলা হয়ে যাবে। আমি নিজে এই লাউের জুস খেয়ে প্রচুর উপকার পেয়েছি। তাই আমি চাইছি আপনারাও এই লাউের জুস খেয়ে দেখুন এবং এর উপকারিতা পান।
শেষ কথা | লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে? এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url