গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেক গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে
সেটা সম্পর্কে হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে
ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে কলার মোচা খেলে কি
হয়, কলার মোচার অপকারিতা, কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কলার
মোচা খাওয়ার উপকারিতা, কলার মোচার পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ, কোন কলার মোচা খাওয়া
যায়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন মায়েদের বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। কারণ
তখন তারা গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য খুবই চিন্তা করেন যে কোন খাবার খেলে ভালো
খাবার কোন খাবার খেলে ক্ষতি। তাই সমস্ত বিষয়গুলো মেনে গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন
মায়েরা অনেক প্রতিযোগিতার মতো করে থাকতে হয়। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ
ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হয়। তবে কলার মোচার মধ্যেও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা খেতে পারলে অনেক উপকার পাবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা এবং কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা এই
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি না টেনে সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে অনেক
উপকার মিলবে।
কোন কলার মোচা খাওয়া যায়
অনেকেই কলার মোচা চিনে থাকেন না তাই আজকের এই আর্টিকেলে কোন কলার মোচা খাওয়া
যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যদি আপনি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন চলুন তাহলে আর দেরি না করে কোন করার মোচা
খাওয়া যায় জেনে নিন।
গ্রাম অঞ্চলে কলার মোচাকে কলার থোড় বলা হয়। যেকোনো কলার মোচাই খাওয়া যায়।
তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে কচি মোচা। কারণ কচি মোচা নরম সুস্বাদু এবং রান্না করা
খুব সহজ হয়। এই কলার মোচা বিভিন্ন কলাবাগানে পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি যেকোনো
গ্রামে এই কলার মোচা খুজ করলে পেয়ে যাবেন। এটি ভাজি করে অথবা ভর্তা করে খাওয়া
যায়। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু।
কলার মোচার পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ
বাংলাদেশের মধ্যে বারোমাসি সবজিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কলার মোচা। এটি সাধারণত
গ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায় এর রং গাঢ় লাল হয়ে থাকে। এছাড়াও এর আরো বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। কলার মোচর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়।
তবে কলার মোচার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে যে পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে বিভিন্ন
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। মোচা খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে এটি দেখতেও
অনেক সুন্দর এর পুষ্টিগুণ অতুলনীয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম মোচার মধ্যে থাকে ১.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৪২ গ্রাম, ৩২ গ্রাম
ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ১.৩ গ্রাম, আঁশ ,৪২০ গ্রাম ভিটামিন সি, ৫.১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট, ১৮৫ গ্রাম পটাশিয়াম, ০.৫ গ্রামীণ সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টিগুনে
ভরপুর। তাহলে বুঝতেই পারছেন কলার মোচার পুষ্টিগুণ কতটুকু রয়েছে। এছাড়াও এর
বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজম
শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলার মোচায় থাকা ভিটামিন
সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই কলার মোচায় যে ঔষধি
গুনাগুন রয়েছে তা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই
পারছেন কলার মোচায় পুষ্টিগুণ ও ওষুধিগুণ কতটুকু রয়েছে। আশা করি এই অংশটুকু
পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন মায়েরা সন্তানের জন্য অনেক চিন্তার মধ্যে থাকেন। কারণ
কি খেলে বাচ্চার ক্ষতি হবে কি খেলে বাচ্চার ভালো হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে খুবই
চিন্তার মধ্যে থাকেন। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়।
তবে এই সময় কলার মোচা খাওয়া হওয়া যেতে পারে। কারণ কলার মোচাই অনেক পুষ্টি
রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ই অনেক পুষ্টি পেয়ে
থাকে।
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এই সময় বিভিন্ন
পুষ্টিগুণ খাবার খাওয়া গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন। তবে পুষ্টিগুণ খাবার খাওয়ার
পাশাপাশি কলার মোচা খাওয়া যেতে পারে। কলার মোচা যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এতে
রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। এই পুষ্টিগুণ গুলো বাচ্চার গায়ের রং পরিষ্কার করতে
সাহায্য করে। এছাড়াও কলার মোচা খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের দেহ গঠনে এবং বুদ্ধি
বিকাশে সহায়তা করে।
তাই যদি আপনি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে কলার মোচা প্রতিনিয়ত পরিমাণ মতো
খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। অনেক গর্ভবতী মায়েরা বাচ্চার গায়ের রং
নিয়ে চিন্তার মধ্যে থাকেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কলার মোচাতে এমন
কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা বাচ্চার গায়ের রং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন পরিমাণ মতো কলার মোচা খেতে পারেন। আশা করি
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা
পেয়েছেন।
কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কলার মোচার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে এই সকল
উপকারিতা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই
কলার মোচা সুন্দর করে ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো
ছোট শিশু ও বয়স্ক মানুষের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। ফল
হিসেবে কলা যেমন উপকারী ঠিক তেমনি কলার মোচাও অনেক উপকারী। এতে নানান পুষ্টিগুণ
রয়েছে।
পুষ্টি উপাদানঃ কলার মোচায় বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন ভিটামিন
বি-৬, ভিটামিন সি, আঁশ ইত্যাদি। এছাড়াও এই কলার মোচাতে থাকে শক্তিশালী
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও প্রোটিন সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
মন ভালো রাখেঃ কলার মোচা খাওয়ার ফলে মন মেজাজ সবকিছু অনেক ভালো থাকে।
কারণ এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা উদ্বেগ ও হতাশ কমিয়ে মন ভালো রাখতে সাহায্য
করে।
ত্বকের জন্য ভালোঃ কলার মোচায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে
সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ যে সকল মানুষের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে
তারা প্রতিনিয়ত কলার মোচা খেতে পারেন। কারণ এতে করে আপনার ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কেননা এতে রয়েছে ফেনলিক অ্যাসিড (Phenolic acid) এবং
বায়োঅ্যাক্টিভ (Bioactive) যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে।
রজঃচক্র স্বাভাবিক রাখাঃ কলার ফুল অথবা কলার মোচা রজঃকালীন ব্যথা
কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যেমন
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, পেট ফোলাভাব, সহ ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করে।
দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ কমায়ঃ কলার মোচায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ রোগ কমাতে সাহায্য করে।
এই কলার মোচা রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে
নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
কলার মোচার অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা উপরে কলার মোচার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা কলার
মোচার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কলার মোচার যেমন উপকারিতা
রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিন।
- কলার মোচা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার পেট ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যারা কলার মোচা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন তারা অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ মতো খেয়ে সুস্থ থাকুন।
- যে সকল ব্যক্তির শরীরে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা কলার মোচ া খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন কেননা কলার মোচা কিছু কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা তৈরি করে। তাই এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আশা করি কলার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
কলার মোচা খেলে কি হয়
কলার মোচা খেলে কি হয় জানেন কি? হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আজকের এই অংশে
এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না
করে কলার মোচা খেলে কি হয় জেনে নিন।
কলার মোচা খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-৬। এছাড়াও এই
কলার মোচায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কার্বোহাইডেট, ফাইবার, পটাশিয়াম
সহ আরো ইত্যাদি পুষ্টিগুণ। তাই কলার মোচা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে বলে
আশা করা যায়। এছাড়াও কলার মোচা চুল পড়া, হার্টের কার্যক্ষমতা সহ আরো
অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
গর্ভকালীন সময়ে এই কলার মোচা খাওয়া যেতে পারে। কারণ এতে যে পুষ্টিগুণ
রয়েছে সেটি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ভালো। তাই এটি গর্ভাবস্থায় নিঃসন্দেহে
খেতে পারেন। এই কলার মোচা ত্বক সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলো রয়েছে সকল সমস্যা
দূর করতে সাহায্য করে। যেমন শরীরে এনার্জি নিয়ে আসে, রোগ বালাই দূর করে ও
কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কলার
মোচা খেলে কি হয়।
তাই প্রতিদিন করার মোচা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে করে আপনার শরীরের
অনেক উপকার মিলবে। এছাড়াও এই কলার মোচা ভাজি অথবা ভর্তা করে খাওয়া যায়।
যদি পারেন তাহলে কলার মোচার জুস বানিয়েও খেতে পারেন। এতে করে বেশ উপকার
পাবেন। অনেকেই মনে করেন যে গর্ভকালীন সময়ে কলার মোচা খাওয়ার ফলে গর্ভে
থাকা সন্তানের সমস্যা হতে পারে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
গর্ভকালীন সময়ে কলার মোচা খাওয়া খুবই ভালো। গর্ভাবস্থায় কলা মোচা খেলে
গর্ভবতী মায়েদের দুর্বল শরীর ঠিক করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই কলার মোচা নিয়মিত খেতে পারেন।
এতে করে কোন সমস্যা নেই। বিশেষ করে অনেক উপকার রয়েছে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন কলার মোচা খেলে কি হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি গর্ভাবস্থায় কলার মোচা
খাওয়ার উপকারিতা এবং কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে
ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে
পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url