ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার ঠোঁট ফেটে যায় কিন্তু ঠোঁট ফাটে কেন সেটা
আমাদের জানা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটা সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ঠোঁট ফাটে কোন
ভিটামিনের অভাবে সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা
রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
শরীরে বিভিন্ন কারণে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে ও শুকিয়ে যেতে পারে। এইটা বিশেষ
করে শীতের সময় বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু শীতের সময় এইটা সকালে বেশি হলে
ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে ধারণা করা হয়। সেজন্য এগুলোর সঠিক দিকনির্দেশনা জানা
আপনার অবশ্যই প্রয়োজন। তাই আজকে আমি আপনাদের সামনে ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া
উপায় সম্পর্কে ও ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে। এগুলো সমস্ত কিছু
বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে। আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন
তাহলে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে
পড়ুন।
গরমে ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায়
শীতকালে সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঠোঁট ফেটে যায় এটা স্বাভাবিক। তবে গ্রীষ্মকালে
প্রচন্ড গরমের সময়ও ঠোঁট ফেটে যাওয়ার কারণ নিয়ে অনেক মানুষ অনেক চিন্তার
মধ্যে থাকেন। কিছু কিছু মানুষের শুধু ঠোট ফাটে না তার সাথে সাথে ঠোঁটের চামড়া
উঠতে শুরু করে। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক গরমে ঠোট ফাটা দূর করার
উপায়সমূহ।
এই ঠোট ফেটে যায় মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে। এই গ্রীষ্মকালে ত্বক ও ঠোঁট
হয়ে যায় রুক্ষ ও শুষ্ক সেজন্য এই সমস্যাটা তৈরি হয়। গরমে শরীরে পানির পরিমাণ
কম থাকার কারণে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। ফলে ঠোঁটের জলীয় ভাব ক্রমশ হ্রাস পায়।
ঠোটের চামড়া অনেক পাতলা হওয়ার কারণে অল্পতেই রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তবে গরমে
ঠোঁট সুন্দর করে যত্ন করে রাখতে হবে তাহলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা হবে না।
গরমকালে ঠোঁটের যত্নে যা করবেন।
জিব্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না ঠোঁট যদি শুকিয়ে যায় তাহলে জিব্বা
দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে করে ঠোট ফাটবে বেশি। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ভেসলিন অথবা
মেরিল এগুলো ব্যবহার করবেন। তাহলে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাবেন।
যা খাবেন এই গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে রসালো
ফল খাবেন। এতে করে আপনার ঠোট অনেক সুন্দর থাকবে। বাজারে বিভিন্ন রকমের রসালো ফল
পাওয়া যায় সেগুলো কিনে খাবেন।
লিপবাম এই প্রচন্ড গরমে অনেক বেশি রোদের তাপমাত্রা হয়ে থাকে। এই
রোদের হাত থেকে ঠোঁট রক্ষা করতে লিভবাম লাগান। লিভবোমে যেগুলো থাকতে হবে যেমন
শেয়ার বাটার রয়েছে কিনা দেখবেন বা বিজওয়াক্স আছে এমন লিভবাম কিনুন। এগুলো
আপনার ঠোঁট অনেক সুন্দর ও নরম রাখবে।
যে খাবার খাবেন না এই গরমে মসলাদার অথবা টক জাতীয় কোন খাবার খাবেন
না।
টুপি অথবা ছাতা ব্যবহার করুন বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে ছাতা বা টুপি
রাখুন। এই টুপি পড়ে কোথাও গেলে আপনার সূর্যের তেজস্ক্রিয় রোদ থেকে মুক্তি
পাবেন এবং ত্বক সুন্দর থাকবে। আর ছাতা নিলে আরো ভালো হয় সূর্যের সরাসরি আলোর
হাত থেকে রক্ষা করবে।
হিউমিডিফায়ার সব সময় এসিতে থাকলে ঠোঁট অনেক শুকিয়ে যায়। এতে
করে ঠোঁট ফাটা সম্ভাবনা বেশি হয়ে যায়। হাত পায়ের মতো মুখ টানটান হয়ে যায়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার ত্বক
শুষ্ক থেকে আটকাবে এবং সুন্দর রাখবে।
উপরে আমরা আলোচনা করেছি যে গরমের ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে। এই সমস্যা
সমাধান যতোটুক সম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাদের কাছে তুলে ধরার। এইগুলো দেখে এবং
পড়ে যদি আপনি সঠিক নিয়মে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি
পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
পূর্বে আমরা জেনেছি যে গরমে ঠোঁট ফোটা দূর করার উপায় এখন আমরা জেনে নিব যে
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ গুলো শুধু বিভিন্ন সমস্যার জন্য শুকিয়ে যেতে পারে
এই ঠোঁট বেশি বাতাসের ফলে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে শরীরের ভিতরে কোন রোগ থাকলে
ঠোঁট এমনিতেই শুকিয়ে যাবে এইটা প্রধান সমস্যা আমরা নিচে আলোচনা করেছি আসুন
তাহলে জেনে নিন ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণগুলো।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে সমস্যাগুলির শরীরে বাসা বাঁধে তার মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিস শুধু বয়স্কদের হয় তেমন না। কম বয়সেও
এই সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ এইটা অনেক মানুষেরই
হয়ে থাকে। অল্প বয়সেদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন কিছু
কারণে এই ডায়াবেটিসের হার বেড়েই চলেছে। এই ডায়াবেটিসের হাত ধরে হৃদরোগ
সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার কারণে দৃষ্টিশক্তি ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা
দেয়।
মানুষের শরীরের ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা এটা প্রাথমিক অবস্থায় বুঝা না গেলেও
পরবর্তী অবস্থায় সেটা বোঝা যায়। ডায়াবেটিস আপনি যত তাড়াতাড়ি সনাক্ত করতে
পারবেন ততই ভালো। দেরি হলে এর মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। এর ফলে আপনি অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়বেন। ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটা সবসময় বাইরে
থেকে বোঝা যায় না। তবে কিছু লক্ষণ যদি আপনি খেয়াল করেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
শীতকালে আদ্রতার অভাবে এমনিতেই ঠোঁট ফেটে যায়। এইটা হচ্ছে ডায়াবেটিসের
অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। কারণ সারাদিন ঠোট রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে থাকে। কোন কিছু
ঠোঁটে ব্যবহার করার পর একটু থাকার পরে আবার সেই একই অবস্থায় ফিরে আসে। তবে
ডায়াবেটিসের কারণে এইটা বেশিরভাগ বোঝা যায় সকালের দিকে। তখন ঠোঁট ভালোভাবে
শুকিয়ে যায়। এমন যদি প্রায় হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
যেসব কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়
পূর্বে জেনেছি যে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণগুলো। এখন আমরা জেনে নিব যে যেসব
কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয় আসলে আমাদের দেশে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ঠোঁট শুষ্ক
হয়ে যায় কোন কারন খুঁজে পায় না কি কারণে শুষ্ক হয়। তাই আজকে আমি এই
সমস্যার সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলের মধ্যে। আসুন তাহলে
জেনে নিন যেসব কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়।
দেহের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের তুলনায় ঠোট অনেক নরম ও পাতলা হয়ে থাকে। এই
ঠোঁটের কোনো রকম তেলগ্রন্থি না থাকার কারণে সহজেই শুকিয়ে যেতে পারে। কিছু কিছু
কারণে ও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। যেমন আবহাওয়ার জন্য, শীতল বায়ুর জন্য, শুষ্ক
বায়ুর জন্য , ইনডোর হিটিংয়ের জন্য, আরো বিভিন্ন উপাদান যেমন লিপস্টিকের
রাসায়নিক সমূহ, এইগুলো ওষুধের কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ঠোঁট
ফেটে যায় এবং দেখতে অনেক অসুন্দর লাগে।
ভুল টুথপেস্ট ব্যবহারে নিয়মিত দাঁত ব্রাশের ফলে মুখের ক্যাভিটি
প্রতিরোধ করে এবং মুখের স্বাস্থ্য জন্য এটা অনেক প্রয়োজনীয়। কিন্তু ভুল
টুথপেস্ট যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এতে
করে আপনার সমস্যা বাড়তে পারে। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার ভুল টুথপেস্ট এর
কারণে মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আপনার অন্য যেগুলো ব্র্যান্ডের রয়েছে সেগুলো
ব্যবহার করবেন। তাহলে এতে করে আর ঠোঁট শুষ্ক হবে না।
লিপস্টিক ব্যবহারে আপনি নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহার করেন এতে করে
আপনার ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। দুশ্চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি নিয়মিত
লিপস্টিক ব্যবহার করবেন কিন্তু লিপস্টিক দেয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই
ময়েশ্চারাইজিং লিপবাম ব্যবহার করতে হবে। তাহলে কোনো সমস্যা হবে না আশা
করি।
ওষুধ সেবনে অসতর্কতা অনেক বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যে মুখ শুষ্ক করে
দিতে পারে। এইদিকে শুধু মুখ নয় ঠোঁট ও শুষ্ক করে দিতে পারে এবং ঠোঁট ফেটে যেতে
পারে।
ঠোঁট শুষ্ক করতে পারে এমন ওষুধের কিছু নাম দেয়া হলো।
- অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট
- অ্যান্টিহিস্টামিন
- অ্যান্টি-অ্যানজাইটি
- মাসল রিলাক্স্যান্ট
- ব্যথার ওষুধ
মুখের শ্বাসকার্যের অভ্যাস ঠোঁট শুষ্ক হয় হাইড্রোজেনের অভাবে। যদি
আপনি নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাসকার্য চালান তাহলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হতে
পারে। কারণ আপনার নিঃশ্বাস নাক দিয়ে বের না করে মুখ দিয়ে বের করলে ঠোঁটের
সংস্পর্শ হয়ে থাকে। এর ফলে ঠোঁট ঘন ঘন শুষ্ক হয়ে যায়। যদি আপনার এই ধরনের
সমস্যা হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নিতে পারেন।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
শীতের শুরুতে এই ঠোঁট ফাটার সমস্যা অনেক দেখা যায়। এ সমস্যার কারণে সুন্দর্য
নষ্ট হয় তা নয়। এই ঠোঁট ফেটে গেলে অস্থিরতা লাগে। তাই এই ঠোঁট ফাটা
প্রতিরোধ করা খুব জরুরী। ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য খুব বেশি উপকারের প্রয়োজন
নেই আর তেমন কোন খরচও হবে না। ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো
আমাদের অজানা। ঘরে থেকেই আমরা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে খুব সহজে ঠোঁটের যত্ন নিতে
পারবো। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন ঠোঁটের ক্ষতি
হতে পারে। কেন ক্ষতি হতে পারে জানেন? সূর্যের যে রোদ সেটা এসে আপনার ঠোটে
সরাসরি লাগে তখন ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার আগে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন বলতে আপনার মুখ ঢাকতে মাক্স ব্যবহার
করুন। এতে করে আপনার ঠোঁট অনেক সুরক্ষিত থাকবে।
এক্সফলিয়েট করুন প্রতিদিন নরম টুথব্রাশ অথবা পাতলা কাপড়ের
টুকরা নিয়ে ঠোটের উপর আলতোভাবে ঘষে নিবেন। খেয়াল করবেন যেন বেশি জোরে ঘোষা
না লাগে। তাহলে এতে করে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। আলতো করে ঘষার চেষ্টা করুন
তাহলে ঠোঁটের উপরের মৃত যে চামড়া গুলো রয়েছে সেগুলো উঠে যাবে। অন্তত
সপ্তাহে দুইবার এইভাবে ঠোঁট এক্সফলিয়েট করুন।
ঠোঁটের স্ক্রাবার, ক্রিম ব্যবহার করুন মুখে মাখার স্ক্রাবার বা
ক্রিম এইগুলো ঠোঁটে ব্যবহার করবেন না। তাহলে আপনার ঠোঁট ফেটে যেতে পারে এবং
অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। আপনার ঠোঁটের জন্য আলাদাভাবে স্ক্রাবার বা ক্রিম
কিনতে পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করবেন। ওইগুলো ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁট
সুন্দর এবং নরম থাকবে। আপনি বডি লোশন বা মশ্চারাইজ ঠোঁটে একদমই দিবেন না এটা
দেয়া থেকে বিরত থাকবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন ঠোঁটে কোন তৈলগ্রন্থী থাকে না।
সেজন্য ঠোঁট খুব সহজেই শুকিয়ে যায়। এই সমস্যাটা তে প্রচুর পরিমাণে পানি পান
করতে হবে। এতে করে ঠোঁট অনেক সুন্দর থাকবে। বিশেষ করে শীতের সময় অনেকেই
রয়েছে পানি পানের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয়। এইটা করা যাবে না।
কারণ এটা করলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যাবে। আপনি ঘন ঘন জিব্বা
দিয়ে ঠোট চাটার অভ্যাস করবেন না। এটা খুব বাজে ধরনের অভ্যাস এটা থেকে বিরত
থাকবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন তাহলে আপনার ঠোঁট অনেক
সুন্দর ও নরম থাকবে।
উপরে আমরা আলোচনা করেছি যে ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা
এইটা পড়ে অনেক ধারণা পাবেন। কারণ এইখানে আমি ঠোঁটের বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি যে আপনাদের সমস্যার সমাধান
গুলো খুঁজে বের করে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করার।
এই ঠোঁটফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেক মানুষই অজানা থাকে। ঠোঁট
ফাটে বিভিন্ন সমস্যার কারণে। এই সমস্যা থাকে মুক্তি পাবার উপায় অবশ্যই জানা
প্রয়োজন। সেজন্য আজকে আমাদের এ আর্টিকেলে সে বিষয়ে সুন্দর একটি ধারণা
দেয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
উপরে আমরা জেনেছি যে ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। এখন
জানবো ঠোঁট ফাটে কেন এইগুলো বিষয়ে। ভিটামিন বা ক্ষনিকের অভাবে ঠোঁট ফাটার
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীতে নারী পুরুষ উভয়ের এই সমস্যা হয়ে থাকে। কোন
ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটে এগুলো সবার জানা থাকে না। সেজন্য আজকে আমি এই
আর্টিকেলে আপনাদের সামনে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে কোন ভিটামিনের অভাবে
ঠোঁট ফাটে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ঠোঁট ফাটে মূলত ভিটামিন বি এর অভাবে। ভিটামিন বি এর
যদি ঘাটতি পরে তাহলে ঠোঁট ফেটে যায়। শরীরে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যার
ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। বিভিন্ন রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বেধে থাকে এইগুলো রোগ
ঠোঁট শুষ্ক করে দেয়। এই ভিটামিন বি এর পাশাপাশি আরো অন্য ভিটামিনের
অভাবে ঠোঁট ফাটে সেগুলো হল।
- ভিটামিন বি ২
- ভিটামিন বি ৬
- ভিটামিন বি ৯
- ভিটামিন বি ১২
এইগুলো ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফেটে যায়। তাই ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করতে
এইগুলো ভিটামিন আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ
করলে আপনার ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে ভিটামিন
বি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খাবেন। তাহলে ঠোঁট ফাটার কোন সমস্যাই থাকবে না।
আশা করি জানতে পেরেছেন ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে।
লেখকের মন্তব্য
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url