গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন জেনে নিন
গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই শুষ্ক ত্বক ঠিক করার জন্য কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। তার কি করে গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে হবে সেটা সম্পর্কে আজকে আমি একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে শুষ্ক ত্বকের যত্নে এলোভেরা, শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াস,গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন, শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো, প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ক্রিম, শুষ্ক ত্বকের ফেসপ্যাক, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
গরমে অনেক মানুষের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। সঠিকভাবে ত্বকের যত্নের অভাবে এই সমস্যা হয়ে থাকে। কিভাবে যত্ন নিবেন সেই সম্পর্কে হইত আপনার জানা নেই। তাই আজকে এই আর্টিকেলে গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই যদি আপনার শুষ্ক ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সেই সমস্যা সমাধান আলোচনা করি।
শুষ্ক ত্বকের ফেসপ্যাক
শুষ্ক ত্বকের ফেসপ্যাক কিভাবে করবেন এটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কিছু উপায় রয়েছে যে উপায়গুলো আপনি বাড়িতে বসে থেকেই আপনার শুষ্ক ত্বক ফেসপ্যাক করতে পারেন। সুস্থ ত্বকের জন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য ত্বকের বিভিন্ন ধরন বুঝতে আপনাকে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে। যদি আপনার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে চামড়া ফাটা, সোরিয়াসিস এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের ফেসপ্যাক লাগানোর আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে শুষ্ক ত্বক কিভাবে হয়ে থাকে। খেয়াল করলে দেখবেন যে আপনার ত্বক খসখসে, অমসৃণ, রুক্ষ এগুলো শুষ্ক ত্বকের লক্ষণ। মাঝেমধ্যে আপনার ত্বকে চুলকানি হতে পারে এছাড়াও আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক ত্বক দেখা দিতে পারে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে আর্দ্রতা। সেজন্য আপনাকে ডিপ হাইড্রেশন হয় এমন ময়শ্চারাইজ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
যাতে করে আপনার মুখ অনেক সুন্দর ও মসৃণ থাকে। এটি দিনে সর্বোচ্চ ১ বার ব্যবহার করবেন। এর বেশি ব্যবহার করবেন না। এতে করে সমস্যা হতে পারে। পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিবেন। এরপর আপনার ত্বকে যে ফেসওয়াসটি ব্যবহার করবেন অবশ্যই সেটা মোশ্চারাইজারযুক্ত হতে হবে। সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। আপনার ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে আপনার ত্বক অনেক কোমল ও সুন্দর থাকবে।
কিছু ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানানোর উপায় রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নিন।
ডিমের কুসুমঃ ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাট যা আপনার শুষ্ক ত্বক অনেক সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার ত্বকের অনেক পুষ্টি যোগায়। এটি ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আপনাকে একটি ডিমের কুসুম নিতে হবে। এরপর এক চামচ মধু খুব সুন্দর করে সে ডিমের কুসুমের মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই মিশ্রনটি আপনি সুন্দর করে মুখে লাগিয়ে নিবেন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট এটি শুকানোর জন্য রাখবেন। তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে আপনার ত্বক শুষ্ক হাত থেকে মুক্তি পাবে।
শসাঃ শরীরকে শীতল ও সতেজ করতে এই শসা অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন চুলকানি সমস্যা জ্বালাপোড়া এগুলো দূর করতে এই শসা খুবই কার্যকরী। সেজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে অর্ধেক শসা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ করা শসা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর সেই শসা বের করে মুখে লাগিয়ে রাখবেন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ব্যবহার করবেন সপ্তাহে ২ বার তাহলে আপনার শুষ্ক ত্বক অনেকটাই কমে যাবে।
কলাঃ কলা শুষ্ক ত্বক দূর করতেও বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও মধু ও অলিভ অয়েলের সঙ্গে কলা মিশ্রণ করে মুখে লাগিয়ে রাখলে শুষ্ক ত্বক খুব দ্রুত ভালো হয়ে ওঠে। এটি ব্যবহার করার নিয়ম ১ থেকে ২টি পাকা কলা নিবেন। তারপর ১ চামচ মধু ও ১ চামচ অলিভ অয়েল সেই কলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তারপর এটি সুন্দর করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন।
চন্দনঃ ত্বকের বিভিন্ন জ্বালাপোড়া চটচটে ভাব, ছোপ ছোপ দাগ এগুলো হয়ে থাকে আর এইগুলো দূর করতে এই চন্দন খুবই কার্যকারী একটি উপাদান এক টেবিল চামচ চন্দনের গোড়ার সঙ্গে যদি আপনি এক থেকে চার চামচ নারকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন তারপর এটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখবেন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার জ্বালা চটচটে ভাব চকচক দাগ এগুলো নিমিষেই দূর হয়ে যাবে এই ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে তিন তিনবার লাগাতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
কমলার রস কমলার রস রয়েছে ভিটামিন সি জাতক সুন্দর করতে সাহায্য করে তাই এক চামচ কমলার রসের সাথে এক চামচ সুন্দর করে মিশে মুখে লাগাতে হবে তারপর 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা করে সেই ফেস প্যাকটি খুব ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ক্রিম
বাইরে গেলে সূর্যের আলোর ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি ত্বককে অনেক বেশি কালো করে দেয়। এছাড়াও নারীরা রান্না করতে গেলেও সেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধু যে এই সমস্যা গরমে হয়ে থাকে সেটা কিন্তু নয়। এই সমস্যাটা সারা বছরে হয়ে থাকে। তাই এটি থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অনেক সুন্দর ও মসৃণ থাকবে। তবে চলুন আর দেরি না করে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
আমন্ডো ওয়েলঃ অনেক মানুষ রয়েছে যারা এই আমন্ড অয়ো ত্বকে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। এটি রোদে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বক অনেক সুরক্ষিত থাকবে।
শেয়ার বাটারঃ যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। তাহলে এই শেয়ার প্রাকৃতিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে অনেক সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শেয়ার বাটার কড়া রোদের জন্য একটি পারফেক্ট সানস্ক্রিন।
যারা ছোট-বড় রয়েছে তারা সবাই বাইরে যাওয়ার আগে অথবা রান্না করার ১০ থেকে ২০ মিনিট আগে সুন্দর করে ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এতে করে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক অনেক সুরক্ষিত থাকবে।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে এলোভেরা
শুষ্ক ত্বকের যত্নে এলোভেরা অত্যন্ত উপকারী। এই অ্যালোভেরার জেল আপনার শুষ্ক ত্বক যত্নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার ত্বকে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করলে সে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা অনেক সুন্দর ও মসৃণ হয়ে উঠে। শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকারী একটি উপাদান। আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে এলোভেরা জেল অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার মশ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এই অ্যালোভেরা অনেক বেশি কাজে দেয়। তবে যাবতীয় ব্রণ, কাটাছেঁড়া, পোড়া ভাব দূর করতেও ভীষণ কার্যকরী। এছাড়াও ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও এই অ্যালোভেরা অনেক বেশি সাহায্য করে। এই অ্যালোভেরার জেলের গুনাগুন অতুলনীয়। যদি আপনার ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার শুষ্ক ত্বক অনেক কোমল ও মোলায়েম হয়ে উঠবে। আশা করি ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।
গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন জেনে নিন
এই গরমে ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই পারেন না। কারণ বিভিন্ন কাজকর্মের মধ্যে থাকার কারণে সারাদিন পর বিকেলে একটু ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম করেন। তবে গরমের সময় ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে গরমে ত্বকের সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে পরিবেশের আর্দ্রতা। গরমের সময় যে আর্দ্রতা থাকে সেটি ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। বিশেষ করে গরমে অনেক বেশি পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আর ঠিক এই কারণেই তাদের ক্ষতি হয়।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও হারিয়ে যায়। এই পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে একজন মানুষ কেমন পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন। যারা প্রচুর পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করেন। তাদের এই পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে তারা কতটুকু পানি পান করে এটি একটি মূল বিষয়। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করার কারণে ত্বক শুষ্ক ও ত্বকের ক্ষতি হয়। এছাড়াও আবহাওয়ার জন্য এই সমস্যা হয়ে থাকে।
গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে হলে আপনাকে কয়েকটি উপায় রয়েছে সে উপায়গুলো জানতে হবে। যদি জানতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের অনেক যত্ন নিতে পারবেন। যদি আপনার পানিশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে আপনার চোখের চারপাশে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনাকে সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। চলুন তাহলে গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
- এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর পানি দিয়ে আপনার মুখমন্ডল খুব সুন্দর করে ধুয়ে নেবেন। এতে করে অনেক আরাম পাবেন।
- যদি পারেন তাহলে ত্বক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও ক্লিনজার অথবা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব ভালো হয়।
- গরমের সময় অতিরিক্ত মেকআপ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ অতিরিক্ত মেকাপের ফলে আপনার ত্বকের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি পারেন তাহলে ওয়াটার বেজড মেকআপ অথবা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে অনেকটা রেহাই পাবে।
- গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষারজাতীয় যেগুলো সাবান রয়েছে সেই সাবানগুলো ব্যবহার করবেন না। যদি করেন তাহলে আপনার ত্বকে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি আবহাওয়া প্রচন্ড গরম থাকে তাহলে ৩০ মিনিট বিশ্রাম অথবা এক ঘন্টা না ঘুমালে শরীরের অনেক প্রভাব পড়বে। এতে করে ত্বকের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। যদি পারেন তাহলে প্রতিদিন রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
- আপনার যদি মানসিক চাপ থেকে থাকে। তাহলে সম্পূর্ণভাবে সেই চাপ থেকে বের হয়ে আসেন। কারণ কোন ব্যক্তি যদি টেনশন ফ্রি থাকে তাহলে তার ত্বকের কোষগুলো অনেক রিলাক্স থাকে। আর তখন ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।
- সর্বশেষ যেটি করতে হবে সেটা হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হবে। ত্বকের যত্নে সঠিক ভাবে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার খাদ্যর তালিকায় সুষম খাবার রাখবেন। এটি খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একেবারে অতিরিক্ত পানি পান না করাই ভালো। কারণ অতিরিক্ত পানি পান করলে সমস্যা হতে পারে। তাই এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর পরিমাণ মতো পানি পান করবেন। এতে করে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে এবং শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করি গরমের শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন সেটি এতক্ষণে হয়তো জানতে পেরেছেন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো এই সম্পর্কে। অনেকেই অনেক ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য যে ক্রিমটি ভালো সেটি এমন একটি ক্রিম যা তবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এই ক্রিমটিতে এমন কিছু উপাদান থাকা প্রয়োজন যাতে করে ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আজকে শুষ্ক ত্বকের জন্য কিছু ভালো ক্রিম নিয়ে এসেছে চলুন তাহলে জেনে নিন।
উপরে যে ক্রিমের নাম গুলো দেয়া হয়েছে সেই ক্রিমগুলো আপনার ত্বকের ধরন এবং চাহিদার উপর নির্ভর করবে। এই পাঁচটি ক্রিমের মধ্যে আপনি যে কোন একটি ক্রিম বেছে নিতে পারেন। এই ক্রিমগুলো আপনার শুষ্ক ত্বক থেকে খুব দ্রুত ভালো করার জন্য খুবই ভালো। এটি শুধু ব্যবহার করলেই হবে না আপনাকে নিয়মিত ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এর পাশাপাশি সঠিক স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আপনার ত্বক অনেক কোমল ও সুন্দর থাকবে। আশা করি শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো সেটা জানতে পেরেছেন।
শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াস
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন এই সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াস এই বিষয়ে। সাধারণত মুখে তেলতেলে ভাব ও ব্রণ হলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। তবে এগুলো দূর করতে সঠিক ফেসওয়াশ বেছে নেওয়াটা একটু ঝামেলা হয়ে যায়। তাই আপনার বাড়তি তেল এবং ময়লা পরিষ্কার করবে এমন একটি ফেসওয়াশ অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও যে ফেসওয়াসটি ব্যবহার করবেন সেটি এমন একটি ফেসওয়াশ হতে হবে। যাতে করে আপনার ত্বক বেশি শুকনো না লাগে আবার ত্বক যেন টান না ধরে। তাই যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের জন্য সেরা ফেসিয়ালটি হচ্ছে পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ-অয়েল ক্লিয়ার গ্লো (Pierce Ultra Mild Facewash-Oil Clear Glow) এটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এই ফেসওয়াশ সাবানমুক্ত। এই ফেসওয়াসের কিছু ফর্মুলা রয়েছে যেমন লেবু ফুল অথবা লেমন ফ্লেভারের নির্যাস এই ফেসওয়াসটি আপনার ত্বকের রোম ছিদ্র পর্যন্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফেসওয়াশটি আপনার ত্বক অনেক নরম এবং মিশ্রণ রাখে।
অনেক সময় ধুলো ময়লা রোদ চওড়া এগুলো ত্বকে লেগে থাকে। তাই এই ফেসওয়াসটি এগুলো দূর করে আপনার ত্বককে রাখে অনেক সুন্দর। পাশাপাশি আপনার ত্বককে অনেক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। তাই যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা এই ফেসওয়াসটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ত্বকের অনেক উপকার পাবেন। আশা করি শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url