শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার প্রায় শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু এই
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। সেজন্য
আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট
বোঝার উপায় সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা
প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
আমাদের শ্বাসকষ্ট বিভিন্ন কারণে হতে পারে। শ্বাসকষ্ট কখন হবে বলা যাবে না। তবে
এইটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থেকে ছোট বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সকল
সমস্যার সমাধান আজকে আমি এই আর্টিকেলে নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা জানবো যে শ্বাসকষ্ট
থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন
তাহলে দেরি না করে জেনে নিন সেই সকল মুক্তির উপায় গুলো।
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না
কিছু কিছু রোগ রয়েছে যা খাবারের সাথে সম্পর্কিত। সেই সমস্ত নির্বাচিত খাবার গুলো
খেলে রোগটি বেড়ে যায়। সে খাবার গুলো অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলা উচিত। গ্যাস হলে
শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কারণ গ্যাসের সাথে শ্বাসকষ্টের সমস্যা
সম্পর্কিত। এমন কোন খাবার খাবেন না যে সে খাবারের কোন গ্যাস হতে পারে।
বেশি সমস্যা দেখা দেয় ছোলার ডাল, ঘুগনি, কড়াইশুঁটি, কচুরি, রাজমা-চাউল এসব
শ্বাসকষ্ট রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত। দুধ দিয়ে বানানোর চা ও কফি শ্বাসকষ্টের
অন্যতম কারণ হতে পারে। নিচে কিছু সংক্ষিপ্ত করে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া
যাবেনা সেটা আলোচনা করা হলো।
পেটে গ্যাস উৎপন্ন করে এমন খাদ্যঃ আপনার পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করতে
পারে এমন কোন খাদ্য আপনার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই খাদ্য খেলে আপনার শ্বাসকষ্টের
সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের খাদ্য এড়ে চলা উচিত। তাই যদি পারেন তাহলে
পিয়াজ বাঁধাকপি রসুন কার্বনেটেড ড্রিংকস ভাজাপোড়া ইত্যাদি খাবারগুলো খাওয়া
থেকে এড়িয়ে চলুন।
প্রিজারেটিভ দেওয়া খাদাঃ যে খাদ্যগুলোতে প্রিজারেটিভ দেওয়া রয়েছে
সেগুলো খাদ্য এড়িয়ে চলা ভালো। বিশেষ করে সালফেট যুক্ত খাদ্য খাওয়া যাবে না। কারণ
এটা খেলে গলায় অ্যালকোহল ঢালার মত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য এটা খাওয়া থেকে
অবশ্যই বিরত থাকবেন। আচার, লেবুর রস এগুলোতে ইচ্ছা মতো সালফেট মিশানো হয়, এর
কারণে শ্বাসকষ্টের রোগীদের সালফেট যুক্ত খাবার খেলে সমস্যা হয়। তাই এগুলো খাওয়া
থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফাইড। যা শ্বাসকষ্টের
রোগীদের জন্য খাওয়া নিষেধ। এটা ডাক্তার নিষিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে শীতকালে যদি
আপনি ঠান্ডা চিংড়ি খেয়ে ফেলেন তাহলে শ্বাসকষ্টের আক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে
যাবে।
ডিমঃ ডিম হচ্ছে স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। আপনার যদি
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে ডিম একটু কম খাবেন। কারণ ডিম খেলে শ্বাসকষ্ট হতে
পারে। ডিমের রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন। আর এই প্রোটিন আপনার এলার্জির
উদ্রেক করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এড়িয়ে চলা টায় উত্তম।
চিনা বাদামঃ চিনা বাদাম হচ্ছে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার চিনা বাদামে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, শ্বাসকষ্ট রোগের জন্য এই চিনা বাদাম
খুবই ক্ষতিকর। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে এই চিনা
বাদাম।
দুধঃ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন যা শরীরের
বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকারী। কিন্তু
দুধে থাকা যে প্রোটিন সেই প্রোটিন শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
যখন আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি পরিমাণে হবে তখন দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
সয়াবিনঃ সয়াবিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর এ প্রোটিন
শ্বাসকষ্টে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট রোগীদের অন্যান্য রোগীদের থাকে
বেশি সচেতন থাকা উচিত। কারণ শ্বাসকষ্ট রোগীদের সকল ধরনের খাবারে প্রায় সমস্যা
হয়ে থাকে। এসব রোগীদের ঠান্ডা ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ঠান্ডা ও
ধুলোবালিতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এমনকি আপনার বাড়ির পোষা কোন প্রাণীর কারণেও
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। তাই যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তাহলে ওইসব
প্রাণীর কাছ থেকে দূরে থাকবেন।
ফাস্টফুডঃ ফাস্টফুড খাওয়া থেকে অবশ্যই আপনি বিরত থাকবেন। কারণ
ফাস্টফুড দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ওজন বাড়াতে এই ফাস্টফুড সাহায্য
করে। আবার ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতির কারণ এই ফাস্টফুড। গবেষণা করে ব্রিটিশ
মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে ফাস্টফুড জাতীয় কোনো খাবার গ্রহণ করলে
শিশুদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা প্রবণতা ২৮ শতাংশ বেড়ে যায়। যার ফলে শিশুদের
প্রচন্ড পরিমাণে শ্বাসকষ্ট ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ফাস্টফুড উচ্চমাত্রার কারণে
মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বেশি কমিয়ে দেয়। ফলে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা
অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই এগুলো খাবার থেকে আপনাকে অবশ্যই দূরে
থাকা উচিত।
চা ও কফিঃ চা ও কফি খেলে অল্প পরিমাণ খাবেন। অতিরিক্ত
মাত্রায় খেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে। চা ও কফিতে স্যালিসাইলেট জাতীয় উপাদান
রয়েছে। যার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে অনেক রোগের উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এটি কোনো রোগ
নয়। ঘন ঘন শ্বাস উঠানামা করে দম বন্ধ হয়ে যায় এগুলো কারণে আমরা বলে থাকি
শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে শ্বাসকষ্ট কিন্তু নিজে কোনো রোগ নয়। শ্বাসকষ্ট হলে
প্রথমে আমাদের মাথায় আসে যে হৃদরোগ আর ফুসফুসের নানা ধরনের জটিলতা কথা। এইসব
কথা মনে পড়লেই মনে হয় যে শ্বাসকষ্ট হয়েছে। কারণ এসব রোগীরা অনেক ভয়ানক হয়।
এসব রোগী দেখলে অনেক মানুষ ভয়ও করে।
এছাড়াও যদি আপনার প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডা কাশি হয় তাহলে এই শ্বাসকষ্টের
সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের যাতায়াত করতে হয়। এই দূষিত
বায়ুতে শ্বাস নিতে নিতে আমাদের শরীরের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে
অ্যাজমার মত জটিল একটি অসুখে আক্রান্ত হয় অনেক মানুষ। তবে এইসব রোগীর খুব
দ্রুত চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
তাই এরকম সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
যে বিষয়গুলো রয়েছে সেই বিষয়গুলো আপনাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তাছাড়া হঠাৎ
করে যদি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে
বাড়িতেই কিছু সঠিক নিয়ম মানলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হলে যে করনীয়ঃ
- যদি হঠাৎ করে যদি শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে বালিশ দিয়ে মাথার দিকটা সুন্দর করে উঁচু করে রাখতে হবে। তারপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। তখন হালকা ভাবে হাটু ভাঁজ করা যেতে পারে।
- রোগীর জন্য বসার ব্যবস্থা করবেন। রোগীকে সোজা হয়ে বসতে সাহায্য করবেন। এতে করে শ্বাস নিতে অনেক সহজ হবে এবং আরাম পাবে।
- রোগীকে অবশ্যই ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করাবেন। এতে করে অনেক স্বস্তি বোধ করবে এবং রোগী ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারবে।
- চেয়ারে বসিয়ে রাখতে পারেন এবং টেবিলের উপর বালিশ রেখে মাথা নিচু করে শুয়ে থাকতে পারেন। তাহলে ভালো অনুভব করবে।
- শরীর দেয়ালে হেলান দিয়ে দুই পা বিছানায় ছাড়িয়ে দিয়ে বসে থাকতে পারেন। এতে করে শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যাবে।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। একে আমরা এক কথায় বাংলাতে
বলে থাকি অ্যাজমা। একজন ব্যক্তির বিভিন্ন কারণে এই শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
সাধারণত শ্বাস পথে বায়ু চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হলে এর শ্বাসকষ্ট হয়। একজন
ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হতে পারে ঠান্ডা ও সর্দি কাশির কারণে। শ্বাসকষ্ট হলে কি
ওষুধ খেতে হবে এ বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই। যা আজকে আলোচনা করব। চলুন তাহলে
ওষুধগুলি জেনে নিন।
- ডেক্সোভেন--২০০।
- মোনাস--টেন।
- স্যালমোনিল--ইনহেলার।
- ডক্সিভা--২০০।
শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট ওষুধের নামঃ
- ডেক্সোভেন--২০০।
- স্যালমোলিন--ইনহেলার।
- বেক্সিট্রল--ইনহেলার।
- ভিটারেস্প এম ১০--M G ট্যাবলেট।
- ফেনাডিন--১২০ ট্যাবলেট।
- ডক্সিভা--২০০ ট্যাবলেট।
- ব্রডিল--৪।
কাশি ও শ্বাসকষ্টের ওষুধের নামঃ
- ফেনাডিন--১২০।
- মোনাস--১০।
- বেক্সিট্রল--ইনহেলার।
- ব্রডিল--৪/২।
শ্বাসকষ্টের জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধের নামঃ
- ব্রায়োনিয়া।
- অ্যাকোনাইট।
- নেট্রাম সালফিউরিকাম।
- আইপেকাক।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে
শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হবে এই সম্পর্কে। তবে এই সমস্যা অনেকেরই হয়ে
থাকে। আজকে এই আলোচনায় তুলে ধরেছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের নাম। তবে এগুলো
ওষুধ সেবন করার আগে আপনি অবশ্যই দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সকল
ওষুধ সেবন করবেন।
আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। অতএব এই পোস্টটি আপনার কাছে যদি উপকৃত
মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর এই
আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোনো লেখা ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার
দৃষ্টিতে দেখবেন। (ধন্যবাদ)
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
আপনাদের যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট রোগী রয়েছেন তারা প্রায় সময়ে শ্বাসকষ্ট
থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান। শ্বাসকষ্ট যেহেতু অনেক
যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা সেজন্য শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় গুলো
সম্পর্কে অবশ্যই রোগীর জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের সম্পূর্ণ জীবনটাই
শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। এই শ্বাসকষ্ট সমস্যা হলে অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এখন পর্যন্ত যারা ভালোভাবে জানেন না তারা
অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।
মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়াঃ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে অধিকাংশ
মানুষই মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস আদান-প্রদান করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে
শ্বাস প্রশ্বাসের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার এই
প্রবণতাকে কমাতে সাহায্য করে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া। মুখ দিয়ে যদি আপনি
নিঃশ্বাস নেন তাহলে অনেক প্রবণতা কমে আসবে। এতে করে শ্বাসকষ্টের অসুবিধাটা
একটু হলেও মুক্তি পাবেন।
ব্ল্যাক কফি পান করাঃ ব্ল্যাক কফি শরীরের ফুসফুসের কার্যকারিতা
খুব ভালো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে এটা
ভালো সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উপাদান যা
শ্বাসনালি গুলোকে শিথিল করে দিতে সক্ষম হয় এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য
করে। তাই আপনার যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ব্ল্যাক কফি পান
করতে পারেন। তাহলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আদাঃ শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য অন্যতম একটি কার্যকরী উপাদান
হচ্ছে আদা। আদাতে রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা অন্যান্য প্রদাহ দূর
করতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি ফুসফুসের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য
করে।
ঠান্ডা আবহাওয়া আসলে সচেতন থাকুনঃ ঠান্ডা বাতাস নাকের মধ্য
দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা
দিতে পারে। সেজন্য ঠান্ডা আবহাওয়া আসলে অবশ্যই আপনার নাক সুন্দর করে
ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট বেশি বৃদ্ধি হয় ঠান্ডা আবহাওয়াতে।
তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই সতর্কতা মেনে চলবেন। বাইরে
বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে বের হবেন। এতে করে শ্বাসকষ্টের
সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।
বাচ্চার শ্বাসকষ্ট বোঝার উপায়
বাচ্চা শ্বাসকষ্ট এটি একটি কমন রোগ। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে জন্মের আগে
অথবা জন্মের পরে শিশু এক পর্যায়ে কোনো না কোনোভাবেই শ্বাসকষ্টে ভোগে।
বাচ্চার শ্বাসকষ্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানা নেই। তাই আজকে আমরা
একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। একটা শিশুর বুকের যে খাচাটা রয়েছে
সেটা খুব দ্রুত উঠানামা করে। তার শ্বাসের গতি প্রচন্ড বেড়ে যায়।
অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে খুব বেশি শ্বাস নেয়ার ফলে হাত নীল
হয়ে যায় এবং ফটো নীল হয়ে যায়। এগুলো দ্বারা বুঝে নিতে
হবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হয়েছে। শিশুদের শ্বাসকষ্ট হুট করেই শুরু
হয়ে যেতে পারে বলা যাবে না কখন হবে। কোনো কোনো সময় ধীরে ধীরে বাড়তে পারে
কিন্তু সঠিকভাবে বলা যাবে না যে কখন হবে। তবে কিছু কিছু ইঙ্গিতের মাধ্যমে
বোঝা যায় বাচ্চা শ্বাসকষ্ট। আশা করি বাচ্চা শ্বাসকষ্ট বোঝার উপায়
সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দিতে পেরেছি।
শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে
শ্বাসকষ্ট হলে মানুষের অনেক কষ্ট হয়। নিঃশ্বাস নিতে মানুষের অনেক সমস্যা
হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে অনেক ছটফট করে ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারে না।
শ্বাসকষ্ট যেকোনো সময় হতে পারে। এই কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলেছেন যে
শ্বাসকষ্ট রোগীদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। বাইরে কোথাও গেলে অবশ্যই মার্কস
ব্যবহার করে যেতে হবে। দূষিত কোন বায়ুর আশেপাশে যাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ।
কারণ দূষিত বায়ুর আশেপাশে গেলে নিঃশ্বাসে সেই দূষিত বায়ু প্রবেশ করবে।
এতে করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। তাই এগুলো থেকে এড়িয়ে চলা
উচিত। পূর্বে আমরা জেনেছি যে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। এখন
আমরা জেনে নিব শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে, আসুন তাহলে খাবারগুলো জেনে
নিন।
তরমুজঃ তরমুজের মধ্যে রয়েছে এন্টি--অক্সিডেন্ট যা শরীরকে
ঠান্ডা রাখে। এই তরমুজে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও সার্বিকভাবে
শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো খাবার। এই খাবার খেলে শরীর সুস্থ
থাকবে।
লেবুঃ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই লেবু অনেক উপকারী। এই
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। অনেক ক্ষেত্রে এই লেবু শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা
বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এই লেবু খেলে অনেক উপকার পাবেন।
ব্রুকলিঃ শরীরে নানা অসুখ সেরে তুলতে এই ব্রুকলি বেশ সাহায্য
করে। নিয়মিত ব্রুকলি খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন অসুখ ভালো হয়ে যায়।
এই ব্রুকলিতে রয়েছে খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। আর এইগুলো
উপাদান ফুসফুসের সমস্যা দূর করতে অনেক সহায়তা করে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট
রোগীরা গাজর, শসা আরো ইত্যাদি জাতীয় সবজি খেতে পারেন। তবে আপনার যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তাহলে খুব দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ নিবেন। এতে করে আপনি অনেক সুস্থ থাকবেন।
লেখকের মন্তব্য
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url