২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে জেনে নিন
২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে
আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। এই সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। সেজন্য আমি আজকে
একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ২০২৪ সালের রোজার ঈদ
কত তারিখে সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা
প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
রমজান মাস হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত মাস। এই মাসে আল্লাহতায়ালা আমাদের
জীবনের গুনাহ মাফ করে দেন। এই রমজান মাসে রোজা হচ্ছে ফরজ ইবাদত। আমরা এই রমজান
মাসে ভোরবেলায় খাবার খেয়ে সারাদিন না খেয়ে আল্লাহর এবাদত করি শুধু আল্লাহ ওকে
সন্তুষ্ট করার জন্য। ২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে অনেক মানুষের
জানা নাও থাকতে পারে। সেজন্য আজকে রমজান মাসের সমস্ত বিষয় সম্পর্কে একটি সঠিক
ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নিন সকল বিষয়সমূহ।
২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার
২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে অনেক মানুষ জানার আগ্রহ করেছে।
এখনকার মানুষ ক্যালেন্ডার দেখে না তারা মোবাইলের মাধ্যমে সবকিছু বিভিন্ন
ওয়েবসাইটে দেখে থাকে। আমরা যে কোন ওয়েবসাইট থেকে এই রমজান মাসের তারিখ সম্পর্কে
জানতে পারি। যেহেতু এইটা আরবি মাস গুলোর চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল করে। এই
রমজানের তারিখ গুলো কিছুদিন কম বেশি হতে পারে। মুসলমান ভাইদের কাছে এই রমজান মাস
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
এই রমজান মাসের জন্য মুসলিম ভাইয়েরা সারা বছর অনেক আশা নিয়ে থাকে এই একটা মাসের
জন্য। সাধারণত এই বিষয়টি আমাদের মুসলিম ভাইদের মধ্যে জানার কথা। বিশেষ করে যারা
ঈমানদার মুমিন ভাইয়েরা রয়েছে তারা এই মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। এই
মাস যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহ তায়ালার কাছে সেটা ঈমানদার মুমিন ভাইয়েরা
জানে। আল্লাহ তায়ালার কাছে বারোটা মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সবচেয়ে বেশি
গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে রমজান মাস।
আপনাদের কাছে আজকে আমি এই রমজান মাসের ক্যালেন্ডার তুলে ধরবো। তবে এইটা শতভাগ
সঠিক না হতেও পারে কারণ এইটা কম বেশি হতে পারে। এখনো অনেক কয়দিন বাকি রয়েছে এর
মধ্যে আমরা জানি যে হিজরী মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তাই চাঁদ দেখা গেলেই
রমজান মাস শুরু হয়ে যাবে। বিভিন্ন ক্যালেন্ডার এর মতামত দেখে ২০২৪ সালের রোজা
শুরু হবে ১২ মার্চ থেকে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ২০২৪ সালের রমজান মাসের
ক্যালেন্ডার সম্পর্কে।
রোজা -- তারিখ -- দিন/বার -- সেহরীর শেষ সময় -- ফজরের ওয়াক্ত শুরু --
ইফতারের সময়ঃ
প্রথম রোজা -- ১২ই মার্চ -- মঙ্গলবার -- ভোর -- ৪:৫২ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৫৮ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:০৮ মিনিট।
দ্বিতীয় রোজা -- ১৩ই মার্চ -- বুধবার -- ভোর -- ৪:৫১ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৫৭ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:০৯ মিনিট।
তৃতীয় রোজা -- ১৪ই মার্চ -- বৃহস্পতিবার -- ভোর -- ৪:৫০ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৫৬ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১০ মিনিট।
চতুর্থ রোজা -- ১৫ই মার্চ -- শুক্রবার -- ভোর -- ৪:৪৯ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৫৫ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১০ মিনিট
পঞ্চম রোজা -- ১৬ই মার্চ -- শনিবার -- ভোর -- ৪:৪৮ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৫৪ মিনিট-- সন্ধ্যা -- ৬:১১ মিনিট।
ষষ্ঠ রোজা -- ১৭ই মার্চ -- রবিবার -- ভোর -- ৪:৪৭ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত শুরু
-- ৪:৫৩ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১১ মিনিট।
সপ্তম রোজা -- ১৮ই মার্চ -- সোমবার -- ভোর -- ৪:৪৬ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৫২ মিনিট-- সন্ধ্যা -- ৬:১১ মিনিট।
নবম রোজা -- ২০শে মার্চ -- বুধবার -- ভোর -- ৪:৪৫ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৫১ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১২ মিনিট।
দশম রোজা -- ২১শে মার্চ -- বৃহস্পতিবার -- ভোর -- ৪:৪৪ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৫০ মিনিট-- সন্ধ্যা -- ৬:১২ মিনিট।
১১ই রোজা -- ২২শে মার্চ -- শুক্রবার -- ভোর -- ৪:৪৩ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৪৯ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৩ মিনিট।
১২ই রোজা -- ২৩ শে মার্চ -- শনিবার -- ভোর -- ৪:৪২ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৪৮ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৩ মিনিট।
১৩ই রোজা -- ২৪শে মার্চ -- রবিবার -- ভোর -- ৪:৪১ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৪৭ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৪ মিনিট।
১৪ই রোজা -- ২৫শে মার্চ -- শনিবার -- ভোর -- ৪:৪০ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৪৬ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৪ মিনিট।
২০২৪ সালের ১৫ থেকে ৩০ দিনের রোজার ক্যালেন্ডার সূচিপত্রঃ
১৫ই রোজা -- ২৬ শে মার্চ -- মঙ্গলবার -- ভোর -- ৪:৩৯ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৪৫ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৪ মিনিট।
১৬ই রোজা -- ২৭শে মার্চ -- বুধবার -- ভোর -- ৪:৩৮ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৪৪ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৫ মিনিট।
১৭ই রোজা -- ২৮শে মার্চ -- বৃহস্পতিবার -- ভোর -- ৪:৩৭ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৪৩ মিনিট-- সন্ধ্যা -- ৬:১৫ মিনিট।
১৮ই রোজা -- ২৯ শে মার্চ -- শুক্রবার -- ভোর -- ৪:৩৬ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৪২ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৬ মিনিট।
১৯ রোজা -- ৩০শে মার্চ -- শনিবার -- ভোর -- ৪:৩৫ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৪১ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৬ মিনিট।
২০ রোজা -- ৩১শে মার্চ -- রবিবার -- ভোর -- ৪:৩৪ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৪০ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৭ মিনিট।
২১ রোজা -- ১ই এপ্রিল -- সোমবার -- ভোর -- ৪:৩৩ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩৯ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৭ মিনিট।
২২ রোজা -- ২ই এপ্রিল -- মঙ্গলবার -- ভোর -- ৪:৩২ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩৮ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৮ মিনিট।
২৩ রোজা -- ৩ই এপ্রিল -- বুধবার -- ভোর -- ৪:৩১ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত শুরু --
৪:৩৭ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৮ মিনিট।
২৪ রোজা -- ৪ই এপ্রিল -- বৃহস্পতিবার -- ভোর -- ৪:৩০ মিনিট -- ফজরের
ওয়াক্ত শুরু -- ৪:৩৬ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৯ মিনিট।
২৫ রোজা -- ৫ই এপ্রিল -- শুক্রবার -- ভোর -- ৪:২৯ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩৫ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:১৯ মিনিট।
২৬ রোজা -- ৬ই এপ্রিল -- শনিবার -- ভোর -- ৪:২৮ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩৪ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:২০ মিনিট।
২৭ রোজা -- ৭ই এপ্রিল -- রবিবার -- ভোর -- ৪:২৭ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩৩ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:২০ মিনিট।
২৮ রোজা -- ৮ই এপ্রিল -- সোমবার -- ভোর -- ৪:২৬ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত শুরু --
৪:৩২ মিনিট-- সন্ধ্যা -- ৬:২১ মিনিট।
২৯ রোজা -- ৯ই এপ্রিল -- মঙ্গলবার -- ভোর -- ৪:২৫ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩১ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:২২ মিনিট।
৩০ রোজা -- ১০ই এপ্রিল -- বুধবার -- ভোর -- ৪:২৪ মিনিট -- ফজরের ওয়াক্ত
শুরু -- ৪:৩০ মিনিট -- সন্ধ্যা -- ৬:২২ মিনিট।
২০২৪ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে
এখন আমরা জেনে নিবো যে ২০২৪ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে। গত বছরে সৌদি আরবে
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৩ শে মার্চ। আর ঈদুল ফিতর হয়েছিল একুশে
এপ্রিল। আর আমাদের বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশগুলিতে ২৪ শে মার্চ রোজা হয়েছিল
এবং ২২শে এপ্রিল ঈদ পালন করা হয়েছিল।
সেই দৃষ্টিকোণ হিসেবে ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি
রয়েছে। এই রোজা কবে থেকে শুরু হবে এইটা একমাত্র আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কেউ
বলতে পারবে না। কারণ আরবি মাস গুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আপনি এ হিসেবে
ধরে রাখতে পারেন যে যদি আগের দিন যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই দিন ভরে সেহরি
খেয়ে নিতে হবে।
সাধারণত আমরা জেনে থাকি যে সৌদি আরবের একদিন আগেই চাঁদ দেখা যায়। এইটা প্রতি
বছরেই হয়ে থাকে। ঠিক এটার কারণে বাংলাদেশে ও বিভিন্ন দেশগুলোতে রমজান মাসের
চাঁদ দেখা যায়। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের এই বছরে বাংলাদেশে ১১ই মার্চ চাঁদ
দেখা যায় বলে আশা করা যায়। যদি ১১ই মার্চ চাঁদ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ১২ই
মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে।
এই অনুযায়ী যদি রোজা শুরু হয়। তাহলে সেই হিসেবে রোজা শেষ তারিখ ১০ এ
এপ্রিল। আর ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোতে ঈদ পালন হবে। যদি ৩০ টা
রোজা পূরণ হয় তাহলে। যদি এই বছরে ৩০ রোজার কম হয় অর্থাৎ ২৯ টা রোজা হয়
তাহলে এক্ষেত্রে ৯ই এপ্রিল চাঁদ দেখা যাবে এবং ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর পালিত
হবে। এইটা সম্পূর্ণ এটাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে।
২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু
আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে যে ২০২৪ সালের রমজান মাসের
ক্যালেন্ডার এ সমস্ত কিছু সুন্দর করে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজান মাস শুরু হবার
আগে থেকেই বাংলাদেশের যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রয়েছে সেখানে রমজান মাসের সম্পূর্ণ
ক্যালেন্ডার খুব সুন্দর করে উল্লেখ করা হয়। এইটা অনুযায়ী আমাদের সেহরী এবং
ইফতার করতে হয়। যদি আপনি এইগুলো বিষয় সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা রাখতে চান।
তাহলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি অনেক সাহায্য করবে।
প্রতি বছর এই রমজান মাস আট থেকে দশ দিন পিছিয়ে যায়। এগুলো বিষয় আমরা অনেকেই
জানি আবার জানি না। যেহেতু এটা রমজান মাস তাহলে অবশ্যই এই রমজান মাস অনেক
গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত পূর্ণ। এইগুলো কথা আমাদের সকলের মাথায় রাখা উচিত।
এইগুলো বিষয় যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এইগুলো বিষয় সম্পর্কে
আপনাকে জেনে রাখতে হবে।
আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে এইগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা নেয়া একদম উচিত। গতবছর
অর্থাৎ ২০২৩ সালের রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৪শে মার্চ থেকে। তবে এই বছরে অর্থাৎ
২০২৪ সালে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রমজান মাস শুরু হবে ১২ই মার্চ থেকে।
তবে এটা যেহেতু সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই রমজান মাস শুরু হবে চাঁদ
দেখা গেলে।
২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ
আমরা অনেকেই জানি না যে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ থেকে শুরু হবে। একজন
মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই রমজান মাস সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। কারণ
রমজান মাস হচ্ছে একটা ইবাদতকারী মাস। রমজান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও
ফজিলতপূর্ণ মাস। এক বছরের মধ্যে এই একটা মাস হচ্ছে রমজান মাস। এই মাসে যে যত
ইবাদত করতে পারবে আল্লাহ তাআলা তাকে আরও বেশি পছন্দ করবে।
আমরা অনেকেই ধারণায় করতে পারবো না যে এই রমজান মাস কতটা ফজিলতপূর্ণ একটি
মাস।আমরা যদি সারা বছর গুনাহ করি এই গুনাহ গুলো এই মাসে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা
করে দেয়। আল্লাহ তাআলার কাছে এই মাস এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ক্ষমা এই মাসে
করে দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি এই মাসে সম্পূর্ণ রোজা রেখে নামাজ
আদায় করল সে ব্যক্তি একটি কুরআনের সওয়াব পেল।
আল্লাহতালা এই রমজান মাসে সমস্ত খারাপ জিন আটকে রাখে শিকল দিয়ে। এই মাসটা
হচ্ছে মাফের মাস তাই একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই এই মাসের কত
তারিখ রমজান সেগুলো জেনে রাখা উচিত। ইতিমধ্যেই আপনাদের সুবিধার জন্য রমজান
মাসের পুরো ক্যালেন্ডার উপরে উল্লেখ করেছি। তবে এই ক্যালেন্ডারে কম বেশি
থাকতে পারে এইটা সঠিক বলা যাবে না। কারণ এটা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর
করে।
যতটুকু পেরেছি সঠিকভাবে ক্যালেন্ডারটি তৈরি করেছি এর মধ্যে এক অথবা দুই মিনিট
কম বেশি হতে পারে। তবে আমরা একটি বিষয় সকলেই জানি যে আরবি মাস শুরু হয় চাঁদ
দেখার উপর। কারণ চাঁদ না দেখা গেলে বোঝা যাবে না যে আরবি মাস কিনা। যদি আকাশে
প্রথমে চাঁদ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই রমজান মাস শুরু হবে এইটা মনে মনে ধারণা
করে নিতে পারেন। সাধারণত আমরা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানতে পারি যে এই বছরে
অর্থাৎ ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে মার্চ মাসের ১২ তারিখ থেকে।
তবে এটা সঠিকভাবে একদম বলা যাবে না যে ১২ তারিখেই রোজা হবে এরকম বলা যাবে না।
এটা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। যদি মার্চ মাসের ১১ তারিখে সন্ধ্যা
বেলা আকাশে চাঁদ দেখা যায়। তাহলে ১২ তারিখ ভোরে সেহরি খেতে হবে। যেহেতু এটা
সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে। তাই একদিন আগে অথবা একদিন পরে শুরু হতে
পারে এটা সঠিক বলা যাবে না। ২০২৪ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার
সম্পর্কে ও ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ এই সম্পর্কে আশা করি সঠিক ধারণা
পেয়েছেন।
রমজানের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
এখন আমরা জেনে নিবো যে রমজানের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্যসমূহ। রোজা হচ্ছে ফরজ
ইবাদত। আমরা যদি এই মাসে এই ইবাদতটা করতে পারি তাহলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের
প্রতি অনেক সন্তুষ্ট থাকবেন। এই একটা মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই রমজান
মাসে মানুষের পরীক্ষা করিয়ে থাকেন আল্লাহ তায়ালা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন আমার হে আমার বান্দাগণ এই রমজান মাসে আমার জন্য কি কি
ইবাদত করে সেগুলো দেখব। আল্লাহ তাআলা এই রমজান মাসের গুরুত্বটা অনেক বেশি
মূল্যায়ন দিয়েছে। এই রমজান মাসে ভোরে খাবার খেয়ে সারাদিন আল্লাহর জন্য
এবাদত করতে হয়। এই রমজান মাসে রোজা থাকলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি
হয়ে থাকেন। রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে সাওম অথবা সিয়াম পালন করা।
আর এই সিয়ামের অর্থ হল বিরত থাকা। ইসলামী পরিভাষায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত
পানাহার, স্বামী স্ত্রী মিলন, শরীয়ত নির্ধারিত বিধি নির্দেশ থেকে নিয়ত
সহকারে নিজেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের রোজা
রাখার জন্য আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফে বলেন যে হে ঈমানদারগণ তোমাদের
জন্য রোজা রাখা ফরজ করা হলো।
যাতে তোমরা এই রোজা রাখার কারণে তাকওয়া অর্জন করতে পারো। অন্য আয়াতে বলে
থাকেন আল্লাহতালা যে রমজান মাস মানুষের দিশারী এবং সৎ পথে চলার নির্দেশন বলে
থাকেন। এই বারোটা মাস ইবাদত করলে আল্লাহ তা'আলা খুশি হন। এই ১২ মাসের মধ্যে
একটি মাস সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতের মাস। সেই মাসটা হচ্ছে রমজান মাস। এই
রমজান মাসে পূর্বের যতগুলো জীবনের গুনাহ রয়েছে সেই সমস্ত গুনাহ আল্লাহ
তায়ালা মাফ করে দেয়।
এই একটি মাসে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে হে বান্দা তুমি আমার ইবাদত কর এবং আমার
কাছে দোয়া করো আমি তোমাদের সমস্ত গুনাহ খাতা মাফ করে দেব। এইটা আমাদের কতটা
গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলা বাহুল্য। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত রমজান মাসে
সকল রোজা রাখা। এতে করে আমাদের জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সত্য ও সৎপথে
চলার দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবো। এজন্য বেশি বেশি আল্লাহর এবাদত রমজান মাসে
পালন করতে হবে।
রমজানের ফজিলত ও করণীয়
আমরা অনেকেই জানিনা রমজানের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে। আপনি যদি
আল্লাহতালার ইবাদত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রমজান মাসের সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতে হবে। রমজানের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে জানতে হলে
অবশ্যই এই বিষয়টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে সকল বিষয়গুলো
ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আরবি বারোটা মাসের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতের মাস হচ্ছে এই রমজান
মাস। আল্লাহ তায়ালা এই রমজান মাস নামাজ আদায় করতে বলেছেন এবং রোজা রাখতে
বলেছেন। তাছাড়াও এই রমজান মাসে এশার নামাজের পরে তারাবির নামাজ আদায় করতে
হয়। সেহেরী করার আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। এগুলো যত বেশি করবেন
আল্লাহ তায়ালা তত বেশি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
আপনি যত বেশি পারবেন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করবেন এবং এই কোরআন শরীফ অর্থ বুঝে পাঠ করবেন।
আল্লাহতায়ালা এই রমজান মাসে বেশি বেশি নামাজ এবং কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে
বলেছেন। এর পাশাপাশি আপনি যদি দান, সাদকা, করতে পারেন তাহলে আরও বেশি ভালো।
আল্লাহ তায়ালা এই রমজান মাসে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখেন।
আপনি যদি আল্লাহর কথামতো চলে রোজা রাখেন। তাহলে আপনার খারাপ কাজ কখনোই করতে
পারবেন। এই রমজান মাসে কখনো কারো সাথে ধোঁকাবাজি প্রতারণা এই কাজগুলো করা
যাবে না। এগুলো থেকে অবশ্যই আপনাকে বিরত থাকতে হবে। দুনিয়াতে যত ধরনের
খারাপ কাজ রয়েছে সেগুলো সব নিজে থেকে বিরত থাকবেন।
তাহলে আল্লাহতালা অনেক বেশি সন্তুষ্ট হবেন। আল্লাহ তায়ালা বেশি বেশি ইবাদত
পালন করতে বলেছেন। রমজান মাসে ফজিলত ও করণীয় গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url