মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার মুখে ঘাম হয়ে থাকে। কিন্তু
অতিরিক্ত ঘাম দূর করবো কিভাবে সেটা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। সেজন্য
আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে অতিরিক্ত মুখ ঘামার
কারণ কি? সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা
প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
সাধারণত মানুষের শরীরে ঘাম হয়ে থাকে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত
পরিমাণে মুখের ঘাম হলে বা শরীরে ঘাম হলে সেটা অস্বস্তিকর মনে হয়। অতিরিক্ত ঘাম
দূর করার কিছু উপায় রয়েছে যা আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে। এই আর্টিকেলে ঘামের সকল বিষয়ে খুব সুন্দর করে একটা সঠিক ধারণা দেয়ার
চেষ্টা করেছি। আশা করি মনোযোগ সহকারে বিষয়গুলো সম্পূর্ণ পড়বেন।
বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণ
প্রতিটা শিশুই ঘেমে যাই একটি প্রক্রিয়া। একটি বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে যদি ঘামে
তাহলে এটা নিয়ে কোন চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু স্বাভাবিক থেকে অস্বাভাবিক হয়ে
যায় তাহলে এটাতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সব শিশুরাই ঘামে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে
প্রত্যেকটা শিশু কিন্তু আলাদা। প্রত্যেক শিশু বিভিন্নভাবে বেড়ে ওঠে। সব শিশুর
স্বাভাবিকভাবে ঘামে না। কিছু কিছু শিশু স্বাভাবিকভাবেই ঘামে। চলুন তাহলে জেনে
নেয়া যাক বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণ।
সাধারণত শিশু বাচ্চারা প্রচুর পরিমাণে ঘামে কেন শিশুদের ঘামের একটি গ্রন্থি
অপরিপক্ব। শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো ঘামে গ্রন্থি অপরিপক্ক থাকার কারণে। শিশুরা
স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত ঘামে নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের মাথার দিকে অতিরিক্ত
ঘাম হয়। নবজাতকের ঘামের গ্রন্থি গুলো কেবলমাত্র মাথার অংশের গ্রন্থি পর্যন্ত
সক্রিয় থাকে। এছাড়াও এইখানে পারিপার্শ্বিকভাবে আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
শিশুদের ঘাম কমানোর জন্য করণীয়
একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে অনেক মানুষ রয়েছে তাদের শিশুদের অনেক পরিমাণ
কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখে এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। শিশুদের অতিরিক্ত কাপড়
জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি পরিমাণ কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে শিশুর অনেক
সমস্যা হয়। এতে করে শিশুর ভয়াবহ সমস্যা উঠতে পারে। যদি শিশুর শরীর অতিরিক্ত
পরিমাণে গরম হয়ে যায় তাহলে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। এই জন্য এগুলো থেকে অবশ্যই
আপনি বিরত থাকবেন।
সাধারণত আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে তাপমাত্রা থাকে এটাই সবচেয়ে ভালো। আপনি সুন্দর
বিছানাতে সাধারণ একটি চাদরের শিশুকে জড়িয়ে রাখলেই যথেষ্ট। বেশ কয়েকটি
স্বাস্থ্যগত কারণে শিশু প্রচুর পরিমাণে ঘামতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নিন কয়েকটি
স্বাস্থ্যগত কারণ। কিছু শারীরিক অসুস্থতা বা সমস্যা বা বিরল পোষণের কারণে শিশুর
মাথা ঘামা হতে পারে।
- জ্বর
- অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস
- ফ্যাকাসে ত্বক
- ওজন বৃদ্ধি বা কমে যাওয়া
- শিশুর হাত-ঘামা, এগুলো সমস্যার কারণে শিশুর প্রচুর পরিমাণে ঘেমে যাই। সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে এর প্রতিকার।
আমরা উপরে দেখলাম যে শিশুদের ঘাম কমানোর জন্য করণীয় যে বিষয় গুলো রয়েছে
এখন আমরা জেনে নিবো এর প্রতিকার গুলো। শিশুদের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে
যাওয়ার কারণে অনেক সমস্যা হতে পারে সেজন্য শিশুর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে
এবং নিজের পদক্ষেপ গুলো অবলম্বন করতে পারেন এতে করে কোন সমস্যা হবে না। আসুন
জেনে নিন প্রতিকারগুলো।
- শিশুর রুমের তাপমাত্রা সব সময় স্বাভাবিক রাখবেন। অস্বাভাবিক রাখলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শিশুকে অতিরিক্ত কাপড় জড়ানো থেকে বিরত রাখবেন। অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়ে রাখলে শিশুর তাপমাত্রা বেড়ে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই সেদিকে একটু লক্ষ্য করবেন।
- শিশুর বিছানার জায়গায় অতিরিক্ত কোন কাপড় অথবা ফ্রম জাতীয় কোন কিছু দিবেন না।
- শিশুকে সঠিকভাবে জামা কাপড় পরিধান করাবেন। সব সময় অতিরিক্ত কাপড় পড়ানোর কোন দরকার নেই।
- পানি শূন্যতায় যেন শিশু না ভোগে সেদিকে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি শিশুর যেকোনো শারীরিক সমস্যা হলে অবশ্যই আপনি শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।
মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের ঘাম তখনই হয় যখন প্রচন্ড পরিমাণে সূর্যের তাপমাত্রার নিচে থাকা
পড়ে। এত পরিমাণ গরম লাগে যে মুখ ঘেমে যাই। এটি একটি অস্বস্তিদায়ক
ব্যাপার। এই মুখ ঘামার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সেই সমস্যা
থেকে বাঁচতে আজকে আমি কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে জেনে
নেয়া যাক মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
আপনাকে সপ্তাহে ২ দিন অথবা ৩ দিন ফেসিয়াল স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। এটি
ব্যবহারের ফলে আপনার মুখ অনেক সুন্দর থাকবে। বাড়িতে আপনি খুব সহজেই এই
জিনিসটি বানিয়ে নিতে পারবেন। ফেসিয়াল স্ক্রাব বানাতে হলে আপনাকে চালের
গুড়ির সাথে অল্প কিছু পরিমাণ টক দই মিশে নিতে হবে। এরপর সুন্দর করে মুখে
লাগিয়ে নিবেন। হালকাভাবে হাত দিয়ে সুন্দর করে মুখটি কিছুক্ষণ মেসেজ করে
নিবেন। তারপর এইটা ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন আপনি এক চামচ মধুর সাথে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে
মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিবেন। তারপর পানি
দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলবেন। তাহলে মুখের ঘাম দূর হয়ে যাবে। আপনি বাইরে
যখন যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে বাইরে সূর্যের প্রচন্ড
রোদ রয়েছে। সেজন্য আপনাকে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করে বের হতে হবে।
তাহলে আপনার মুখ ঘামবে না। আপনি যখন বাইরে বের হবেন তার ১০ থেকে ১৫ মিনিট
আগে আপনাকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে অথবা আপনি যদি পারেন তাহলে
এস,পি,এফ যুক্ত যে মশ্চারাইজার রয়েছে সেটা লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনার
মুখে ঘাম বের হবে না। আপনাকে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে ময়েশ্চারাইজার
শীতকাল ছাড়া অন্য কোন সময়ে ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে অবশ্যই লক্ষ্য
রাখবেন।
অনেকেই রয়েছে গরমের সময়ও ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে বাইরে বের হয়ে যান
তখন আপনার মুখ প্রচুর পরিমাণ ঘেমে যাবে। তাই আপনার যদি মশ্চারাইজার লাগাতেই
হয়। তাহলে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ত্বকে অবশ্যই হালকা করে পরিস্কার
ঠাণ্ডা পানি অথবা বরফ ঘষে নিবেন। আপনি বের হবার আগে আপনার ব্যাগে অবশ্যই এক
বোতল ঠাণ্ডা পানি রাখবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি রুমাল রেখে দিবেন।
আপনার বাইরে কোনো জায়গায় গরমে মুখ ঘেমে গেলে। তখন ঠাণ্ডা কোমল পানি দিয়ে
সুন্দর করে ধুয়ে ফেলে রুমাল দিয়ে মুখ মুস্তে পারবেন। ঠান্ডা পানি দিয়ে
মুখটা সুন্দর করে ধুয়ে নিলে অনেক শান্তি পাবেন এবং মুখ ঘামা থেকে মুক্তি
পাবেন। আপনি কোথাও বের হওয়ার আগে ব্যাগের মধ্যে অবশ্যই ওয়েট টিস্যু রেখে
দিবেন। খুব ভালো ব্র্যান্ডের ওয়েট টিস্যু কসমেটিক্সের দোকানে পাওয়া যায়।
যখনই আপনার বাহিরে গরমে মুখ ঘামবে তখনই ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে
নিবেন।
এতে করে আপনার মুখের ময়লাও খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হবে এবং তেলতেলে ভাব
থাকলে দূর হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ একটি বিষয় মাথায় রাখবেন। অতিরিক্ত
ব্যবহার করবেন না। করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আশা করি মুখের
অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
অতিরিক্ত মুখ ঘামার কারণ কি?
পূর্বে আমরা জেনেছি যে মুখের অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে। এখন জেনে নিবো অতিরিক্ত মুখ ঘামার কারণ কি? এই সম্পর্কে।
গরমকালে মুখ ঘামবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবসময় মুখ ঘেমে থাকার অবশ্যই
অন্য কোন কারণ থাকতে পারে। শরীর ঘামের মাধ্যমে আমাদের তাপমাত্রা বের করে
দেয় এবং শরীর শীতল করে দেয়। এই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে
বলা হয় হাইপার হাইড্রোসিস।
যা দেহের একটি নির্দিষ্ট কিছু অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকোনো কারণেই বেশি
ঘাম হতে পারে শরীরে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ওষুধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়ার কারণেও এই ঘাম হতে পারে। অনেকেই এই মুখ ঘামা নিয়ে এবং মাথা
ঘামা নিয়ে অনেক চিন্তিত মধ্যে থাকেন। যদিও শরীরে ঘাম হলে খুব একটা
আরামদায়ক মনে হয় না। কেমন জানি বিরক্ত চলে আসে। এটা দেহের সঠিক তাপমাত্রা
ধরে রাখতে খুব ভালো সহায়তা করে।
তবে খুব বেশি ঘাম হলে এইটা হাইপার হাইড্রোসিসের লক্ষণ। মুখ ও মাথা ঘামলে
অনেকটাই বিরক্ত বোধ হয় এইটার অর্থ দাঁড়াই যে ক্রেনিওফেইশল, হাইপার
হাইড্রোসিস। এটার কারণে শরীরে যে ঘাম থাকে সেই ঘাম বের করে দিয়ে শীতল করে।
অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না। আবার কিছু কিছু মানুষের এইগুলো
সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণ লক্ষ্য গুলোর মধ্যে যদি দেখা হয় তাহলে পায়ের
তলা, মুখ ঘামা, হাতের তালু, এগুলো ইত্যাদি ঘেমে যেতে পারে।
মুখ ঘামার অতিরিক্ত কারণ হচ্ছে একক্রিন। গ্রন্থির অতিরিক্ত উত্তেজনার ফলে
এই সমস্যাটা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা অন্য কোন নির্দিষ্ট কারণ থাকে না।
এটা বংশগত ভাবেও হতে পারে। অন্যান্য ওষুধের কারণেও হতে পারে যেমন
পিলোকারপিন, ইনসুলিন, ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে এইরকম হতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া কোন ক্ষতির লক্ষণ নয়। তবে এইটা ব্যক্তির
আত্মবিশ্বাসে অনেক ব্যাঘাত ঘটায়। এইটা অন্তরঙ্গ সময়ের উপরও প্রভাব রাখে।
আর জীবন মান অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসে। আশা করি অতিরিক্ত মুখ খামার কারণ কি
এগুলো সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ
গরমের সময় অনেক পরিমান ঘেমে যেতে হয় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম
হওয়াটা তেমন একটা স্বাভাবিক নয় এইটা অস্বাভাবিক। এই অতিরিক্ত ঘামের
প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে না পারলে আপনি অনেক বড় ধরনের বিপদে মুখে পড়তে
পারেন। এই ঘামের কারণে শরীরে অনেক ধরনের জটিল রোগ সংযুক্ত হয়। তাই
অতিরিক্ত ঘাম কোন ধরনের লক্ষণ এইগুলো বিষয় যদি আপনি গুরুত্ব না দেন।
তাহলে অনেক বড় ধরনের দুঃসংবাদ পেতে পারেন। সেজন্য এইগুলো বিষয় উভয়
মানুষকেই জানতে হবে। কারণ পৃথিবীতে সকল মানুষের এই শরীর ঘেমে যায়। কিন্তু
যাদের অতিরিক্ত পরিমাণ ঘেমে যায় তাদের কি ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে
সেগুলো বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক
অতিরিক্ত ঘাম কোন ধরনের লক্ষণ হতে পারে।
ডায়াবেটিসঃ অতিরিক্ত ঘামের সাথে এই ডায়াবেটিসের রোগটি
সম্পর্ক রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের হঠাৎ করে ব্লাড সুগার কমে গেলে শরীরে
প্রচুর পরিমাণ ঘামের সৃষ্টি হয়। এই ডায়াবেটিসের কারণে শরীর থেকে প্রচুর
পরিমাণ ঘাম বেরিয়ে পড়ে।
থাইরয়েডঃ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার লক্ষণ এই থাইরয়েড হতে পারে।
কারণ থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা কারণে এই সমস্যা হয়। মানুষের শরীরে (Hyper
thyroid -- হাইপার থাইরয়েড) এর কারণে হরমোনের যে ক্ষরণ রয়েছে সেটা অনেক
বেশি হয়ে যায়। ফলে রোগীর অনেক বেশি ক্ষুধা বেড়ে যায়। কিন্তু এর জন্য
ওজনও কমতে থাকে। সেই সঙ্গে ঘামের প্রবণতা অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে
যায়।
হৃদরোগঃ হৃদরোগে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা
দেখা দিবে। ঘামের সঙ্গে এটার অনেক সম্পর্ক রয়েছে। যেমন বুক কেমন জানি
ধড়ফড় করবে, বুক অনেক ব্যথা হবে, অস্বস্তিকরভাব, অজ্ঞান হয়ে যাবে
কিছুক্ষণের জন্য, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হবে, হার্টের গতি কম বা বেশি হলে, এই
ধরণের সমস্যা দেখা দিবে। আবার অন্যদিকে হার্টের ব্লক থাকলে অতিরিক্ত
মাত্রায় ঘাম সৃষ্টি হয় ।
নিউরোলজিক্যাল সমস্যাঃ মাথায় অধিক পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হলে ও
খিচুনির মতো হলে বা অন্যান্য যেকোনো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হলে এই অতিরিক্ত
ঘাম হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে সঠিক সময় ঘামের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
আপনি যদি সঠিক সময় ঘামের কারণ খুঁজে বের করতে না পারেন তাহলে অনেক গুরুত্ব
শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই খুব দ্রুত সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিবেন।
রক্তের ইনফেকশনঃ রক্তের ইনফেকশন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে শরীর
প্রায় উত্তপ্ত করে ফেলে। এই সমস্যায় ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা।
এই সমস্যার কারণে হার্টের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ
হয়। এক্ষেত্রে রোগীর বিপদজনক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণে শরীর থেকে
ঘাম সৃষ্টি হতে পারে।
টেনশন ও ভয়ের জন্যঃ শরীরে কোন ধরনের টেনশন অথবা ভয় হয়ে থাকে
তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে। টেনশন ও ভয়ের কারণে (Adrenaline --
অ্যান্ড্রিনালিন) ও (Non Adrenaline -- নন্ অ্যান্ড্রিনালিন) হরমোনের ক্ষরণ
অনেক বেড়ে গিয়ে (Autonomic -- অটোনোমিক) নার্ভাস সিস্টেম চালু হয়ে যায়। এর কারণে ঘাম সৃষ্টি হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম কমানোর ঔষধ
স্বাভাবিকভাবে মানুষের ঘাম হয়ে থাকে এইটা তেমন কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু
এইটা অতিরিক্ত পরিমাণে হলে সমস্যা হয়ে যায়। ঘামের মাধ্যমে শরীরের যে
বাড়তি তাপ রয়েছে সেগুলো বের হয়ে শরীরকে শীতল করে দেয়। তাই ঘাম শরীরের
জন্য উপকারী ক্ষতি নয়। তবে কারো কারো অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে অতিরিক্ত
পরিমাণ ঘাম বের হয়ে যায়।
শরীরে থাকা পানি ও লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক তুলনায় কমে যায়। নানা রকম
শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেকেরই শরীরের তুলনায় হাতের তালু ও
পায়ের পাতায় বেশি ঘাম হয়। এগুলোকে বলা হয় হাইপার হাইড্রোসিস।
সাধারণত আমরা জেনে থাকি হাতের তালুতে বা পায়ের তালুতে, বগলের নিচে, কপালে,
মুখে, ঘাড়ে, অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত পরিমাণে যদি ঘাম হয়
তাহলে নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হবেন। অতিরিক্ত ঘাম কমানোর ওষুধ বাজারে
পাওয়া যায়। সেখান থেকে ওষুধ নিতে পারেন। তবে ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
লেখকের মন্তব্য
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url