চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেক মানুষের চুলকানি হয়ে থাকে। কিন্তু কীভাবে নিম পাতা
দিয়ে চুলকানি ঠিক করবেন সেটা সম্পর্কে হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি
এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে নিম পাতা বেটে মুখে
দিলে কি হয়, নিম পাতার ফেস প্যাক, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, চুলকানিতে
নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম, নিম পাতা চুলে দিলে কি হয়, এই
সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
অনেক মানুষ এই চুলকানির সমস্যায় ভুগেন। বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে যখন চুলকানি ওঠে
তখন অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। যখন চুলকানি উঠে তখন মনে হয় সব সময় চুলকাতে
থাকি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সেই জায়গায় ঘা হয়ে যায়। তাই যদি আপনি
চুলকানি দূর করতে চান তাহলে চুলকানিতে নিমের পাতার ব্যবহার করতে পারেন। এটি
ব্যবহার করার ফলে আপনার চুলকানি খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যদি আপনি নিম
পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি ধৈর্য
সহকারে পড়ুন। এই আর্টিকেলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই
আর দেরি না করে সেই সমস্ত বিষয়গুলো খুব দ্রুত জেনে নিন।
নিম পাতা চুলে দিলে কি হয়
নিম পাতার বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ। এই নিম পাতা চুলের যত্নে খুবই কার্যকরী। বিশেষ
করে চুল সুন্দর ও ঝকমকে রাখতে এই নিম পাতার গুনাগুন অপরিসীম। হয়তো অনেকেই এই নিম
পাতা ব্যবহার করেন না। তবে আপনারা যদি এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারেন যে নিম পাতা
চুলে দিলে কি হয় তাহলে নিমের পাতা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করবেন। তাই চলুন আর দেরি
না করে জেনে নিন।
খুশকির সমস্যাঃ নিমপাতা খুশকির সমস্যা দূর করতে বিশেষ কার্যকারী। নারী
পুরুষ উভয়ের খুশকির সমস্যা দেখা যায়। বছরে বিভিন্ন সময়ে এই খুশকির সমস্যা হয়ে
থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে অথবা শীতকালে খুশকির সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। এই
সমস্যাগুলো দূর করতে নিমপাতা খুবই উপকারী। এছাড়াও যদি আপনার খুশকির সমস্যা বেশি
হয়ে থাকে তাহলে আপনার চুল পড়া সমস্যা অনেক দেখা দিতে পারে। তাই খুশকির সমস্যা
দূর করতে নিম পাতার সাহায্য নিয়ে সমাধান করা উচিত। নিমের মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপকরণ যা আপনার মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি
চুলকানির সমস্যাও কমিয়ে আনবে।
নতুন চুলের বৃদ্ধিঃ নিম পাতা চুলে দিলে চুল অনেক সুন্দর ও মসৃণ থাকে।
পাশাপাশি নিম চুল গজাতেও সাহায্য করে। নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ যা আপনার চুলের
গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করবে। ফলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা অনেক কমে যাবে এবং
চুলকে মজবুত ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন নিম পাতা চুলে দিলে
কি হয়।
চুলের শুষ্ক ভাব দূর করেঃ যদি আপনার চুলে শুষ্ক ভাব দেখা দেয় তাহলে নিম
পাতার সাহায্য নিতে পারেন। বিশেষ করে আপনার চুলের ডগার অংশে ভালোভাবে কন্ডিশনারের
কাজ করে এই নিম। ঠিক সেই কারণেই আপনার চুল অনেক নরম ও উজ্জ্বল দেখায়। অর্থাৎ নিম
চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই চুলের যেকোন সমস্যায়
নিমপাতা খুবই উপকারী।
নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
নারী-পুরুষ উভয়ে চুলের সমস্যা নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে থাকেন। বিভিন্ন
সমস্যার কারণে চুল ঝরে যায়। তবে যদি আপনি নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে
অনেক উপকার পাবেন। তবে নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী
চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুল অনেক সুন্দর ও ঝলমলে হয়ে উঠবে। তাই চলুন নিম পাতা
চুলে দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন।
- প্রথমে আপনি পরিমাণ মতো নিম পাতা নিন।
- এরপর সেই নিম পাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- এরপর ধুয়ে পরিষ্কার করা নিম পাতা পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে বা মুড়িতে বেটে পেস্ট তৈরি করুন।
- এরপর আপনার মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় নিম পাতার পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- এটি ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ও মাথা পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এ সমস্ত নিয়ম যদি আপনি মেনে নিম পাতা চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আশা করি
আপনার চুলের গোড়া অনেক মজবুত হবে। এছাড়াও আপনার চুল পড়া দূর হবে। এর
পাশাপাশি আপনার চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
যদি আপনি এর থেকে আরও ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে পেস্ট তৈরি করার সময় অল্প
পরিমাণে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার
করতে পারেন। যদি ত্বকে অ্যালার্জি থাকে তাহলে নিম পাতা ব্যবহারের আগে অবশ্যই
পরীক্ষা করে নিবেন। যদি পেস্ট মাথায় লাগানোর সময় চোখে পড়ে তাহলে সাথে সাথে
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতা চুলের জন্য খুবই উপকারী। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল,
অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী যা চুলের খুশকি, চুল পড়া ও
মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই নিম পাতা চুলের গোড়া
শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আশা করি নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
প্রায় কম বেশি অনেক মানুষের চুলকানি হয়ে থাকে। চুলকানির কারণে অস্বস্তিকর লাগে।
বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে চুলকানি উঠে তখন অনেক খারাপ লাগে। যখন চুলকানি ওঠে
তখন চুলকাতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সেই জায়গায় খুব খারাপ
অবস্থা হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেখা যায় সেই চুলকানো জায়গায় ঘা হয়ে যায়।
তাই যাদের এই চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।
আর্টিকেলে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিভাবে
আপনি চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করবেন তার সঠিক নিয়ম আজকের এই আর্টিকেলে বলবো।
তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
যদি আপনি নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলকানি খুব সহজেই দূর হয়ে
যাবে। আপনি হয়তো অনেক আগে থেকেই জানেন যে আদিমকাল থেকে নিম পাতা ওষুধ হিসেবে
ব্যবহারে আসছে। এই নিম পাতার মধ্যে যে ঔষধি গুনাগুন রয়েছে, সেটি আপনার চুলকানি
দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আরো অন্যান্য রোগ নিরাময় করতে এই নিম পাতা খুবই
কার্যকারী।
যদি আপনার চোখে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে এই নিম পাতা ১০ থেকে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে
নিবেন এরপর সেই সেদ্ধ নিমপাতা ঠান্ডা করার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিবেন। তারপর
ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানি চোখে। ঝাপটার মত করে দিবেন। এতে করে আপনার চোখের
চুলকানি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে
করে আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে নিম পাতা
পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই ফুটানো পানি হালকা কুসুম গরম হলে সেই পানি
দিয়ে গোসল করে নিন। এতে করে আপনার এলার্জি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যদি আপনি
নিমপাতা ব্লেন্ডারে বাটা করে নিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে আপনার
অ্যালার্জি দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও যাদের শরীরে অনেক বেশি চুলকায় তারা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে
করে চুলকানি দূর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম পাতা হালকা কুসুম গরম করে নিতে
হবে। এরপর সেই হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার শরীরের চুলকানি দূর
হয়ে যাবে। এছাড়াও চুলকানি ব্যতীত আরো বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নিমপাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যদি আপনি প্রতিদিন নিম পাতার রস এক গ্লাস করে
খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে কোন রোগ জীবাণু আক্রান্ত করতে পারবে না। তাহলে
বুঝতেই পারছেন নিম পাতার গুনাগুন কতটুকু রয়েছে। আশা করি চুলকানিতে নিম পাতার
ব্যবহার কিভাবে করবেন তা সঠিক ভাবে জানতে পেরেছেন।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার এই সম্পর্কে। এখন
আমরা আলোচনা করবো নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আদিমকাল থেকে
রূপচর্চার জন্য নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। এই নিম পাতা দিয়ে খুব সহজেই ত্বক
ফর্সা করা যায়। যদি আপনার ত্বকে বিভিন্ন দাগ হয়ে থাকে অর্থাৎ ব্রণ বা ত্বকের
বিভিন্ন দাগ সেগুলো দাগ নিম পাতা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই নিম পাতা
আপনার ত্বকের মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের কোষগুলিকে মুক্ত রেডিকেলের ক্ষতি থেকে
রক্ষা করে।
এর ফলে ত্বকের বয়সের ছাপ কমে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়। এছাড়াও এই
নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর
করতে সাহায্য করে। যদি আপনি ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি
করে নিন। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে
হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। এছাড়াও যদি পারেন তাহলে নিম পাতার সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতার সাবান ত্বক সুন্দর রাখতে বেশ ভালো সহায়তা করে। যদি আপনি সুস্থ ও
উজ্জ্বল ত্বক করতে চান তাহলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও ত্বক ফর্সা করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান
এবং পর্যাপ্ত ঘুমান। যদি পারেন পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যদি আপনার
ত্বকের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে
পরামর্শ করুন। আশা করি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে আপনি
অনেক উপকৃত হয়েছেন।
নিম পাতার ফেস প্যাক
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাজের ফাঁকে ত্বকের তেমন একটা যত্ন নেওয়া হয় না।
এই যত্ন না নেওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ বিভিন্ন দাগ পড়ে যায়। তবে এই দাগগুলোর
কারণে মুখ দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না। তাই যদি আপনি নিম পাতার ফেস প্যাক
তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ব্রণ সহ আরো অন্যান্য যে
দাগগুলো রয়েছে সেগুলো খুব নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল করতে
এবং সতেজ ও দাগ মুক্ত রাখতে নিম পাতার ফেসপ্যাক খুবই উপকারী। তাই চলুন আর দেরি
না করে নিম পাতার ফেস প্যাক কীভাবে করবেন জেনে নিন।
পদ্ধতিঃ ১
যা যা লাগবেঃ নিম পাতা, টক দই ও বেসন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের
ব্রণ খুব দ্রুত দূর করে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল করে তোলে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে আপনাকে হাফ টেবিল চামচ টক দই ও এক
টেবিল চামচ বেসন এবং এক চামচ নিমপাতার গুড়া একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর
মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে সেই পেস্টটুকু লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০ থেকে
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মুখে ব্যবহার করুন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
পদ্ধতিঃ ২
যা যা লাগবেঃ নিমপাতা, দুধ ও চন্দনের গুঁড়া এই প্যাকটি আপনার ত্বক
অনেক নরম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আপনার ত্বক মসৃণ রাখতেও সাহায্য
করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে আপনাকে এক চামচ চন্দনের গুড়া নিতে হবে।
এর সঙ্গে হাফ চামচ নিমপাতার বাটা এবং এক চামচ দুধ একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি
প্যাক তৈরি করতে হবে। এরপর সেই প্যাকটি আপনার ত্বকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে
রাখতে হবে। এরপর হাতে একটু পানি নিয়ে মুখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর
পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতিঃ ৩
যা যা লাগবেঃ নিম পাতা ও মধু। যদি আপনি নিম পাতা ও মধু একসঙ্গে
মিশ্রণ করে ত্বকে লাগাতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক অনেক সতেজ থাকবে। পাশাপাশি
ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে এক চামচ নিমপাতা নিবেন। এর সঙ্গে এক
চামচ মধু মিশ্রণ করে একটি প্যাক তৈরি করবেন। এই প্যাকটি আপনি ২০ থেকে ৩০
মিনিট লাগে রাখুন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতিঃ ৪
যা যা লাগবেঃ নিম পাতা, হলুদ গুঁড়া ও টক দই এই তিনটি একসঙ্গে
মিশ্রণ করে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার মুখের দাগ দূর হয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি আপনার ত্বক অনেক নরম করবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে এক চামচ নিমপাতার বাটা নিবেন। এরপর
সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়া ও এক চামচ টক দই একসঙ্গে মিশ্রণ করে ত্বকে
লাগিয়ে রাখবেন। এটি লাগিয়ে রাখবেন ১৫ মিনিট এরপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতিঃ ৫
যা যা লাগবেঃ নিম পাতা, মধু ও আপেল সিডার ভিনেগার এইগুলো একসঙ্গে
মিশ্রণ করে যদি আপনি তাকে লাগিয়ে রাখেন, তাহলে আপনার এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রণের
দাগ সহ আরো অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও নিম পাতা, মধু ও
আপেল সিডার ভিনেগার আপনার ত্বক টানটান করে তোলে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে এক চামচ নিমপাতা বাটার সঙ্গে এক চামচ মধু
মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর সেই দুটির সঙ্গে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
নিয়ে একসঙ্গে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্ট ত্বকে ২৫ মিনিট
লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি নিম পাতার ফেস প্যাক এই সম্পর্কে। আজকে আমরা আলোচনা করব নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে। অনেকেই নিমপাতা ব্যবহার করে থাকেন। তবে মুখে দিলে কি হয় এটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আর্টিকেল অবশ্যই ধৈর্য সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাগুলো
দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই নিম পাতা ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বেশ ভালো সহায়তা করে। এই নিম পাতা ত্বকের অতিরিক্ত
তেল পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ত্বকে লোমকূপে যে ময়লা গুলো রয়েছে সেগুলো
পরিষ্কার করতেও বেশ ভালো সাহায্য করে এই নিমপাতা। তাহলে বুঝতেই পারছেন নিম পাতা
বেটে মুখে দিলে কি হয়।
তবে, কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণঃ
সকল মানুষের ত্বক এক রকম হয় না। নিম পাতা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী নাও হতে
পারে। ত্বকে কোনো অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা থাকলে নিম পাতা ব্যবহার করার আগে
পরীক্ষা করে নিন। নিম পাতা দীর্ঘক্ষণ ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন না। এতে ত্বকে
জ্বালাপোড়া বা লালভাব দেখা দিতে পারে। ত্বকের কোনো সমস্যা হলে একজন চর্মরোগ
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
শেষ কথা | চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url